সালোয়ার কামিজ পরে, গায়ে লাল শাল জড়িয়ে মেনকা গান্ধী একবার এলেন শীতকালে পাড়া বেড়ানোর মতো ঘরোয়াভাবে দিল্লির ইন্ডিয়া হ্যাবিটাট সেন্টারে। যেন পাশের বাড়ির বনানীদি!
উন্নততর কাজের জন্যই বদলি করেছিলেন বারবার, এক এক সময় মনে হয়েছে ড. ঘোষ আমার ওপরে রাগলে, আমাকে ধমকালেও এটা ওঁর নাটক ছিল, অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নাটক।
রামানন্দ বন্দোপাধ্যায় শিল্পী যতটা, তার চেয়ে কর্মী বেশি, সেটা ওঁর নিজের কথা। কর্ম করতেই আনন্দ। উনি গৃহী-সন্ন্যাসী। রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার ছবি আঁকার গুরু নন, উনি আমার জীবন যাপনের পথপ্রদর্শক।
প্রীতীশদা বলতেন, আমি এই ‘লাভ’ (love) শব্দটাকে একেবারে পছন্দ করি না। আই লাইক ‘হেট’ অর ‘রেসপেক্ট’– এখন বুঝি, এটা বজায় রাখার জন্যই প্রীতীশদার এত পাগলামি! ‘এক্সট্রিমিস্ট’ যাকে বলে আর কী! ওঁর বিশ্বাস, পৃথিবী কালকেই শেষ হয়ে যাবে, যা করার আজকেই করতে হবে এবং তা হবে জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ।
আমিরের বাড়িতে একসঙ্গে খেতাম রাতের খাবার, দিনের খাবার শুটিং-এর লোকেশনে। খাওয়ার পাতে বাঙালিদের মতোই হাতের এঁটো শুকিয়ে যেত, কথা আর শেষ হত না।
আমাদের নতুন দল কন্ট্রিভান্সের প্রদর্শনীতে নিয়মিত আসতেন শ্যামলদা। আমার ছবি দেখতে আসতেন যে কারণে, সেটা উনিও বলেছেন আর আমিও লক্ষ করেছি। ছবিতে রং খুঁজতেন। উনি আমার রং পছন্দ করতেন।
জয়াদির মধ্যে যেটা আরও আছে প্রচণ্ড আন্তরিকভাবে, তা হচ্ছে বাঙালিপনা। এখনও সাদা চুলেও ফিক করে ওই ঠোঁট টিপে ধন্যি মেয়ে মার্কা মুচকি হাসিটি আগলে রাখতে পেরেছেন।
মাঝে মাঝে মনে হয়, এখন সিদ্ধার্থ খুঁজে বেড়াচ্ছে কত কী! আলো। সিভিলাইজেশান। প্রযুক্তি। অলিতে গলিতে, চাকার দাগ, ল্যাম্পপোস্ট, ধাতুর ঢাকনা, ফেলে দেওয়া আবর্জনার মধ্যে থেকে মানুষের কীর্তি, অনেক দিন আগেকার মানুষের ইচ্ছাগুলো।
পঞ্চাননতলার পাশে ফণী পোটোর বাড়ি বলে কি কেউ একটা লিখে দিতে পারত না! তাহলে আমিই করব এবার। এই লেখাটার মাধ্যমেই ইন্টারনেটে নাম তুলব ফণীজ্যাঠার।
ঘরের মধ্যে ছবি আঁকা শেখানো যত, তার চেয়েও বেশি ছবি নিয়ে কথাবার্তা হত। আসলে ছবি আঁকার চেয়ে বড় কথা, এমনই একটা পরিবেশের মধ্যে উনি রাজনীতির বাইরে থাকতে চাইতেন। কবিতা লিখতেন। ফোটোগ্রাফি করতেন খুব ভালো। ওঁর উর্দু কবিতার বইও এখান থেকেই ছাপা হয়েছিল, যার প্রচ্ছদ আমার।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved