Robbar

বিয়ে ও লিভ-ইন, হিংসা যখন দু’ক্ষেত্রেই, তখন শুধু লিভ-ইনে আপত্তি আসলে পিতৃতান্ত্রিক চোখরাঙানি

উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল সম্প্রতি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারে ছাত্রীদের লিভ-ইন অর্থাৎ সহবাসের সম্পর্ক থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। সতর্কবার্তা হিসেবে মনে করিয়েছেন সহবাসে বাঁচা মেয়েদের শরীর পঞ্চাশ টুকরোয় ছিন্নভিন্ন হয়ে পাওয়ার কথা। এদিকে জাতীয় অপরাধ সূচির তথ্য বলছে, ভারতে মেয়েদের ওপর হিংসার সবচেয়ে বেশি ঘটনাই গৃহহিংসা এবং তথাকথিত বিয়ের সম্পর্কের মধ্যে হয়ে থাকে।

→

স্ত্রীর অভিনেত্রীর মতো ফিগার চাওয়া নতুন কিছু নয়!

এই চাপ থেকে মুক্তির উপায় কী? অনেকে বলবেন সৌন্দর্যের মাণদণ্ডের বাইরে নিজেকে খোঁজা। তা একটা শুরু বটে। তবে একাকী কোনও একটি পথে এই মুক্তি সম্ভব নয়।

→

মেয়েদের জীবন যেদিন তার আনুগত্যের চেয়ে দামি হবে, সেদিন পণপ্রথা রোখা সম্ভব হবে

পণপ্রথার ভিত আসলে লিঙ্গ-ভিত্তিক শ্রমবিভাজন এবং নারী-পুরুষের শ্রমের ‘মূল্য’-র পার্থক্যের ওপর দাঁড়িয়ে। এটি আসলে পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে, যেখানে পুরুষ উপার্জন করবে, নিরাপত্তা দেবে; আর নারী পালন-পোষণ করবে এবং তার পুনরুৎপাদনমূলক শ্রম পুরুষের শ্রমের অধীন থাকবে।

→

আজকের কিশোররা বেঁচে আছে ম্যানোস্ফিয়ারে, এ এমন এক ভার্চুয়াল জগৎ যেখানে তৈরি হচ্ছে পৌরুষের চেহারা

বছর খানেক আগে হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিলে কিশোর সুমিত শা-এর ছবি ভেসে ওঠে, যে বন্দুক উঁচিয়ে হুংকার দিচ্ছিল ‘জয় শ্রী রাম’। মনে পড়ে যায় পহেলু খানকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত দুই কিশোরের কথা যারা অ্যাডোলেসেন্সের জেমির চরিত্রের মতোই সাজা কাটাচ্ছে বিশেষ সংশোধনাগারে।

→

ধর্ষণ সংগঠিত অপরাধ, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমরা কি সংগঠিত?

‘অপরাধী’ কখনওই একজন কি? প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ-সহ লিঙ্গ-হিংসাজনিত যে কোনও ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ইন্ধন জোগানো, হিংসার শিকার মানুষদের পাশে দাঁড়ানোয় অনীহা, প্রতিষ্ঠানের মান বাঁচানোর জন্য অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া, চুপ করিয়ে রাখার নরম-গরম হুমকি– এসব কি আমাদের অচেনা? অপরাধীকে আড়াল করাই কি দস্তুর নয়?

→