Robbar

অন্ধবিশ্বাস মাথাচাড়া দিলে ‘অপয়া’ হয় মাথায় হাত

শরীর ও মনকে আধ্যাত্মিকতার সূত্রে বাঁধতে পারে, এমন অনেক যোগ-ব্যায়াম মাথায় হাত না-দিয়ে হয় না। এবং সেই বিজ্ঞানের বয়সও হাজার বছরের ভয় ও কুসংস্কারের থেকে কিঞ্চিৎ বেশি। কিন্তু কলোনিয়াল হ‍্যাংওভারে ভুগতে ভুগতে আমরা সে সব যুক্তি মাথায় রাখিনি। রেখেছি মাথায় হাত না রাখার কুসংস্কার।

→

চুল তার কবেকার অন্ধকার অপয়ার নিশান

শুধু ভীষণ প্রেমে যে কবিমন এককালে ভেবেছিল– ‘স্নানের পরে চুল ঝাঁকালে মুখ ধোবো’, সে বেচারা জানতই না, এলোচুলের ইতিহাসে সে আসলে নিষ্পাপ প্রেমিক নয়, খাঁটি শয়তান!

→

যে আত্মীয়তার ডাককে অপয়া বলে বিকৃত করেছে মানুষ

দার্জিলিং চায়ে চুমুক দিয়ে কেউ বলে ওঠে ‘উফ! কী অলক্ষীর মতো ডেকে যাচ্ছে দেখ কুকুরটা’। কুকুর বেচারা জানেই অনেক কিছুর মতোই কাঁদার অধিকারও তার থেকে বহু আগেই কেড়ে নিয়েছে মানুষ।

→

অকারণে খোলা ছাতায় ভেঙে পড়েছে পাবলিক প্লেসে চুমু না-খাওয়ার অলিখিত আইন

পূর্ব ইউরোপে, ছাতা শবযাত্রার সঙ্গে যুক্ত ছিল, বৃষ্টি থেকে শোকার্তদের রক্ষা করত। ঘরে তা খোলা মানে ছিল মৃত্যুকে আমন্ত্রণ জানানো; হাড় হিম করা শীতলতার আবাহন করা। ঔপনিবেশিক শক্তি তাদের প্রভাব ছড়িয়ে দিলে, এই কুসংস্কার এশিয়া, আফ্রিকা, আর আমেরিকায় পৌঁছে যায়।

→

দলবদলু নেতার মতো ধূমকেতু ছুটে চলে অনবরত

৬৮৪ খ্রিস্টাব্দের জাপানে নিহোন শোকি লেখেন একটি ধূমকেতু যখন আসে তখন ধরেই নিতে হবে রাজনৈতিক ঝগড়া শুরু হল বলে। চিন-প্রভাবিত জ্যোতিষশাস্ত্র আবার এটিকে উচ্ছেদের নোটিশ হিসেবে দাগিয়ে দিল।

→

কখনও ভয়ংকর, কখনও পবিত্র: দাঁড়কাক নিয়ে দোদুল্যমান চিন্তা!

ভারতে, আধুনিক যুগে, দাঁড়কাক পিতৃপক্ষ সময়ে তার আচার-অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বজায় রাখে, কিন্তু স্থানীয় গল্পে এর অশুভ ধারণা এখনও টিকে আছে। ১৯ ও ২০ শতকের গবেষণায় এমন বিশ্বাসও নথিবদ্ধ হয়েছে যে, দাঁড়কাকের ডাক বা অস্বাভাবিক আচরণ অসুস্থতা বা আর্থিক ক্ষতির পূর্বাভাসও দেয়।

→

শুধু একটা হ‍্যাঁচ্চো– বলে দেবে কীভাবে বাঁচছ

আসলে হাঁচির অপয়া গল্প হাজার বছর ধরে চলছে। মেসোপটেমিয়ার দেবতার ভয়, ইউরোপের প্লেগের আতঙ্ক, ভারতের আচার ভঙ্গ, পোল্যান্ডের শাশুড়ির গুজব। প্রতিটি দেশের গল্প তার ইতিহাস আর সংস্কৃতির মধ‍্য দিয়ে দেখায় শুভ ধারণা থাকলেও, অশুভ বিশ্বাস কীভাবে টিকে আছে।

→

অপয়ার ছেলে কাঁচকলা পেলে

কেন এমন হয়? কেন কাউকে না কাউকে বাগান থেকে তাজা ফুল তোলার মতো করে বেছে নেয় সমাজ? আর তার ললাটে, পিঠে, বুকের পাটায় কেন ক্ষুরধার নিষ্ঠুরতায় লিখে দেয় ‘তুমি অপয়া’?

→

চোখের নাচন– কখনও কমেডি, কখনও ট্র্যাজেডি!

ভাগ‍্যের নামে জীবন চালায় যারা তাদের জন্য চোখের নাচন একটি সিরিয়াস ব‍্যাপার, নির্ভেজাল পয়া আর অপয়ার গল্প।

→

জুতো উল্টো অবস্থায় আবিষ্কার হলে অনেক বাড়িতেই রক্ষে নেই!

মধ্যযুগে ইউরোপে লোকে জুতো লুকিয়ে রাখত দেওয়ালে, চিমনিতে, ভূত-প্রেত থেকে বাঁচতে। নর্দাম্পটন মিউজিয়ামে এখনও ২,০০০ জোড়া লুকানো জুতোর রেকর্ড আছে।

→