Robbar

মন্ত্রী চাইলে সব হয়

হেলিকপ্টার এবার উপরে উঠল। এবং পাহাড়ের চারপাশে ঘুরতে লাগল। এটা এমনি পাক খাওয়া নয়, প্রদক্ষিণ। সাতবার হেলিকপ্টারটা তুমুল শব্দে জঙ্গলেশ্বরীর থান প্রদক্ষিণ করল। মন্ত্রীর পুজো দেওয়া শেষ।

→

স্বামীর গঞ্জনা, প্রেমিক ডিচ করেছে, এসব নালিশও জানানো যায় টুসুর কাছে

বিসর্জনের সময় একটা গান শুনে চমকে উঠেছিলাম। গানটা হল– ‘জল জল যে করহ টুসু–/ জলে তুমার কে আছে!’ এই গানটি যেন শঙ্খ ঘোষের এই বিখ্যাত কবিতাটির লৌকিক রূপ। ‘জল কি তোমার কোনো ব্যথা বোঝে?/ তবে কেন, তবে কেন জলে কেন যাবে তুমি!’

→

বাঙালদের কাছে ডালের খাতির বেশি, ঘটিদের কাছে মাছটাই প্রিয়

এখনও লক্ষ্য করে দেখবেন, তিন প্রজন্ম পরেও বাঙালরা আগে মাছ, পরে ডাল খায়। কলকাতায় এসে এই উলটো কারবার দেখে বাঙালরা বেশ হকচকিয়ে ছিল। মাছের চেয়ে ডালের দাম কম বলে টানাটানির সংসারে ডালের ব্যবহার বেড়ে গেল বটে, কিন্তু ডালকে বাঙালরা অসম্মান করল না। জলসায় আগে মানবেন্দ্র, ধনঞ্জয়, পিন্টু কিন্তু শেষে হেমন্ত। তেমন শেষে ডাল।

→

আদালতে একটি দুপুর

উকিল মশাই বলছেন ‘ধর্মাবতার, ফুল যদি তার রঙিন পাপড়ি মেলে ডাকে, বলে আয় আয়– ভ্রমর, প্রজাপতি সে দিকেই যায়। অগ্নি যখন জ্বলে, তার শিখাটি ছড়ায়, বাতাস ধাবিত হয়ে সেদিকেই যায়। সমুদ্র নিচে থাকে স্যর, নদীকে ডাকে আয়, নদী ওদিকেই ধায়। আমার মক্কেল নির্দোষ স্যর।

→

পিতৃপিণ্ডে টমেটো সস

বাবার মৃত্যুর পর পিতৃশ্রাদ্ধ চলছে। পিণ্ড প্রস্তুত। বন্ধুটি বলল, ‘তিলটা বাবার খুব প্রিয় খাবার। সিসম ব্রেড, তিলের বড়া। তিন ইজ ওকে।’ তারপর দু’ হাত জড়ো করে পুরোহিত মশাইকে বলেছিল: ‘একটা অনুরোধ করব ঠাকুরমশাই, পিন্ডির উপর একটু টমেটো সস ঢেলে দিতে অনুমতি করবেন?’

→

হীনম্মন্য বাঙালি সমাজে শব্দের প্রমোশন হয় মূলত ইংরেজি বা হিন্দিতে

রুটি ক্রমশ চাপাটি হতে চলেছে। ছোলা হয়ে যাচ্ছে চানা। হলুদ হয়ে যাচ্ছে হলদি। এগুলো হিন্দি প্রভাব বটে, কিন্তু এই হীনম্মন্য বাঙালি সমাজে এই পরিবর্তন প্রমোশনের মতোই প্রায়।

→

গন্ধটা খুব সন্দেহজনক!

টর্চ ফেলল টেরিকট। কাছাকাছি চলে গিয়ে উবু হয়ে বসল। একবার বেশ জোরে শ্বাস নিল। তারপর নিজেই মেটাল ডিটেক্টর হাতে নিল। ডান্ডাটা দিয়ে টেনে আনল বস্তুটা, এবার বেশ নিচু হয়ে ঘ্রাণ নিল। গন্ধ শুকল আর কি!

→

বাঙালির বাজার সফর মানেই ঘ্রাণেন অর্ধভোজনম

ফলের কারবার যখন করতাম, তখন আমার সমস্যা হত ‘ফাটিয়ে দাও’ দাদাদের নিয়ে। ঢ্যাঁড়শ ফাটিয়ে কচিত্ব বোঝা যায়, নারকোল ফাটিয়ে বুড়োত্ব বোঝা যায়। ফলওলাদের ডাক্তার হতে হয়। নারকোলটা হাতে নিয়েই প্রথম কথা ‘ঝুনো হবে তো?’

→

জাত গেল জাত গেল বলে পোলিও খাব না!

বিরসাইয়তরা ভাবতে থাকেন অন্যান্য মুন্ডার তুলনায় ওরা শ্রেষ্ঠতর মানুষ। উঁচু জাতের মুন্ডা। আর পোলিও-র টিকা তো ওরা মুখেই দেন না। কোন জাত না কোন জাতের লোক খাওয়াচ্ছে ঠিক নেই। জাত যাবে না!

→

ধোঁয়া আর শব্দেই বুঝে গেছি আট-তিন-পাঁচ-দেড়-দেড়!

বাবাজি ঝোলা থেকে একটা ছোট্ট দাঁড়িপাল্লা বের করলেন। এটাকে ‘নিক্তি’ বলে। আর একটা রুপোর টাকা, একটা আধুলি ও সিকি। এইবার দীক্ষা দেওয়া হবে। আমি উত্তেজনায় কাঁপছি। বাবলুদা আমাকে বলল, ‘তোকে এবার একটু বাইরে যেতে হবে!’

→