ওয়াশিংটন-জাদেজারা দিনের শেষে ওই মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি। তাঁদের লড়াকু চওড়া ব্যাটে সাম্যের গান শোনা যায়। ড্র সেই সাম্যের সুর। যে সুরে জয়ের উদ্দামতা নেই, নেই হারের শ্মশান-নীরবতা।
সুপারহিরোর না, আমআদমির বাদলবর্ম রেনকোট। ফুড ডেলিভারির এজেন্ট হোক, কিংবা ভোরবেলার কাগজের হকার, রেনকোট ছাড়া তাঁদের চলে না। ঝড়বৃষ্টি যতই বাহাদুরি দেখাক, ছাতা যতই উড়ে-উল্টে যাক, রেনকোট বড় কাজের। তবে লোকে দাম দিল না, এই যা।
আতশবাজির রোশনাইয়ে উজ্জ্বল আলিয়াঞ্জ এরিনার আকাশ, আবেগস্নাত গ্যালারি। সেই আনন্দধারার মাঝে কোনও এক জ্যোৎস্নার রাত কি খুঁজছিলেন লুইস এনরিকে? যে রাতের সন্ধান বহু যুগ আগে পেয়েছিলেন তাঁর মতো সন্তানহারা আরেক পিতা।
১৪ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ১৬ জানুয়ারি ২০২৩– ফেসবুক ওয়ালে এই সময় পর্বে বাছাই ৩০টি লেখা নিয়ে এই সংকলন। তবে বিষয় আলোচনা দিয়ে দাঁড়ি টানলে এই গ্রন্থ পর্যালোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এ বইয়ের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ, ফেসবুকের ‘দেয়াল লিখন’-এ যে পাঠক প্রতিক্রিয়া, তার সংযোজন। সাহিত্যকর্মের আঙিনা হিসেবে যতই ফেসবুকের ভূমিকাকে গুরুত্বহীন হিসেবে দেখা হোক, পাঠক-লেখকের সরাসরি সংযোগের উপায় হিসেবে এই মাধ্যমের উপযোগিতাকে অস্বীকারের উপায় নেই।
আমাদের স্মৃতিকথায় বন্ধুত্বের ছোট ছোট ঘুপচি ঘর। মনের সুতোয় টান না পড়লে তার দরজা খোলে না। খুললে দেখা যাবে সেই ধুলোমাখা ঘরে বিছিয়ে আছে কত শিশিরভেজা ঘাস, ভাঙা ব্যাট, আমসি-আচার, কাদামাখা ফুটবল, লড়ঝড়ে সাইকেল। আর উপসংহারহীন কিছু অসমাপ্ত গল্প।
এক বিপন্ন বাস্তবের মধ্যে যে আমরা এগিয়ে চলেছি, এর থেকে মুক্তির কোনও উপায় নেই, সেই অস্বস্তিকে জাগিয়ে দিয়ে ‘প্রকৃত বাঁচা’র অর্থ কী, সেই অনুসন্ধানের সামনে পাঠককে দাঁড় করিয়েছেন লেখক।
অরিগামি নিছক আর্ট নয়, এটা একটা গাণিতিক শিল্পকলা। ছোটবেলায় আমরা সবাই নৌকা কিংবা এরোপ্লেন বানিয়েছি। কিন্তু এর ভাঁজে ভাঁজে যে জ্যামিতি লুকিয়ে আছে, তা আমরা ভাবিনি। অরিগামি সেটাই আমাদের ভাবতে শেখায়।
নাতিদীর্ঘ লেখায় শব্দের মায়াজাল, তা দিয়েই স্বভুঁই ও বিভুঁইকে বাঁধতে চেয়েছেন লেখক বৈজয়ন্ত।
কে বলবে, এই বিরাট-রোহিতরাই ছ-মাস আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মায়াবী রাত উপহার দিয়েছিলেন সমর্থকদের। সে মুহূর্তকে সমর্থকরা অনায়াসেই ভুলে গেলেন, অক্লেশে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved