মৃত্যু বা হত্যা সব প্রেমে ঘটে না, হয়তো শ্যামপুকুর বা হাজরার কোনও যুবক-যুবতীর অনার কিলিং সম্পর্কে কোনও ধারণাও ছিল না তখন। কিন্তু ওবাড়ির জানালায় যে এসে আর দাঁড়াবে না কোনওদিন, যার সঙ্গে আর সিনেমা দেখতে যাওয়া হবে না কখনও- তাদের কথাও কি মনে পড়েনি? বিষণ্ণতার একলা ছাদে তখন হয়তো বসেছে পরিত্যক্ত মাছের কাঁটার মতো, অথচ শিরদাঁড়া-সোজা টিভি অ্যান্টেনা। কিন্তু যে তরঙ্গ মনের মধ্যে বয়ে যায়, তার খোঁজ রাখে কোন অ্যান্টেনা?
২৯.
যে-বছর ‘রামায়ণ’ এসেছিল, সেই বছরই এসেছিল ‘তেরো পার্বণ’, বাঙালির বৈঠকখানায়। বাঙালির সঙ্গে সেই পরিচয় ‘সিরিয়াল’ নামে এক আনোখা ধারার। যে গল্প দুই থেকে আড়াই ঘণ্টায় শেষ হয় না, যে গল্প চলে জীবনের সঙ্গে, বহতা। ধারাবাহিক উপন্যাসের সঙ্গে বাঙালির পরিচয় হয়েছে, এই প্রথম, ধারাবাহিক জনপ্রিয় ফিকশনের স্বাদ পাওয়া গেল, তাও একেবারে ব্যক্তিগত ছোটপর্দায়, এবং খোদ বাংলা ভাষায়। গোরার ভূমিকায় সব্যসাচী চক্রবর্তীর জনপ্রিয়তা, অন্তত কলকাতা শহর জুড়ে ব্যাপৃত হল। গোরা খুবই আগ্রহব্যঞ্জক চরিত্র, বাংলার নিরিখে অন্তত। সমরেশ মজুমদারের কাহিনি থেকে উঠে আসা সেই তরুণ, দায়িত্বশীল, বিলেতফেরত নায়কের রোম্যান্টিকতা একেবারেই নয়া পাওনা। হিন্দিতে ডিডি ওয়ান, বাংলায় ডিডি সেভেন এভাবেই ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে শুরু করল পৌরাণিক থেকে আধুনিক ও নাগরিক নায়কদের। জোছন দস্তিদারের ‘সোনেক্স’-এর এই ধারাবাহিক মারফতই খেয়ালি দস্তিদার বা ইন্দ্রাণী হালদারদের চিনতে শুরু করল বাঙালি দর্শক।
এই নতুন নায়ক ও নায়িকাদেরই দশক আশি। এই দশকের একেবারে শুরুতে, দক্ষিণী নায়ক কমল হাসান যেমন প্যান ইন্ডিয়ান বা সর্বভারতীয় নায়ক হলেন, ‘এক দুজে কে লিয়ে’ ছবির মাধ্যমে। তার বছরচারেক আগে, কে. বালাচন্দ-র ‘আভাল উরু থোডার কোথাই’-এর বঙ্গীকরণ, ভরত শামসেরের ‘কবিতা’ ছবিতে কমলকে দেখেছে বাঙালি। তাঁর লিপে ও কিশোরকুমারের কণ্ঠে ‘শুনো শুনো গো সবে’ পুজোর মাইকে বাজতে শুরু করল। সলিল চৌধুরী ও ইলাইয়ারাজা-র সুর মিলেমিশে গিয়েছিল সেই ছবিতে। এরপর, ১৯৮১ সালের এই ছবি তারুণ্যে ভরা প্রেম ও ভয়াবহ বিচ্ছেদের যে আখ্যান তুলে ধরল, তা বাঙালি দর্শককে বিশেষত, প্রেমজ ট্র্যাজেডির এক নতুন চেহারা দিল। সেই ‘ময়মনসিংহ গীতিকা’ থেকেই, আবহমানকালের বিয়োগান্তক প্রেম বাঙালির চেনা। কিন্তু এই ছবির শেষে, গুন্ডাদের হাতে আহত বাসু (কমল হাসান) ও অর্ধমৃত এবং ধর্ষিতা স্বপ্নার (রতি অগ্নিহোত্রী) মিলন-আকাঙ্ক্ষা নাড়া দিল বাঙালি দর্শক মনে। মেয়েকে কাঁদতে কাঁদতে ‘পদ্মশ্রী’ সিনেমা হল থেকে বেরতে দেখে ফেলেছিলেন এক বাবা, লুকিয়ে সিনেমা দেখতে যাওয়ার অপরাধ মাফ করে দিয়েছিলেন, কেবল মেয়ের মধ্যে করুণ রসের অমন সঞ্চার দেখে। অমন প্যাশনেট প্রেম, ও একেবারে আনকোরা তরুণ নায়ক-নায়িকার আবেদনই ‘এক দুজে’-কে অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছিল। সঙ্গে জুড়ল শেষের রক্তাক্ত বিচ্ছেদ। এক দর্শক যেমন বলেই উঠল রোমন্থন করতে গিয়ে, ‘ক্লাইম্যাক্সে বিচ্ছেদটা না হলেই পারত।’ অনেকেই রাগে ফুঁসেও উঠেছিলেন এই ছবিতে শেষমেশ দুর্বৃত্তরা কোনওভাবে শায়েস্তা না হওয়ায়। জনমানস জনপ্রিয় ছবির কাছে আদতে বিচার চাইত, যে বিচার বাস্তবে মেলে না।
এর বেশ কয়েক বছর পর, আশির শেষাশেষি মুক্তি পেল ‘ক্যায়ামত সে ক্যায়ামত তক’। ‘ইয়াদোঁ কি বরাত’-এর শিশুশিল্পী মহম্মদ আমির হুসেন খান ততদিনে নাসির হুসেনের সহকারী পরিচালক হিসেবে যেমন কাজ করেছেন, তেমনই, নিউ ওয়েভের সমান্তরাল ও বলিউডি মূলধারার মধ্যের সেতুবন্ধ নির্মাণকারী ‘মিডল রোড’ ধারার পরিচালক কেতন মেহতা-র কিঞ্চিৎ নিরীক্ষামূলক ছবি ‘হোলি’-তে আমিরকে দেখা গিয়েছিল এক মস্তান কলেজপড়ুয়া হিসেবে। ওম পুরি, নাসিরউদ্দিন শাহ, আশুতোষ গোয়ারিকর অভিনীত এই ছবিতে আমিরের অভিনয় একাংশের দর্শকের নজরও কাড়ল। কিন্তু ‘ক্যায়ামত সে ক্যায়ামত তক’ আমিরকে দিল অন্য উচ্চতা। নেপথ্যে, আবারও সেই তরুণ যুগলের ট্র্যাজিক প্রেমকাহিনি। সঙ্গে নবাগত নায়িকা জুহি চাওলা। শেষে গুলিবিদ্ধ জুহির পাশে ছুরিকাঘাত করে আত্মহনন করা আমিরের দেহকে প্রেক্ষাপটে রেখে যখন সূর্য ডোবে, তখন শেলবিদ্ধ হয়েছিল বহু প্রণয়ীর বুক, উত্তর-মধ্য-দক্ষিণ কলকাতার হলে বসে। কারও মনে পড়ে গিয়েছিল দু’-বাড়ির আপত্তিতে ভেঙে যাওয়া প্রেমের কথা, কেউ মনে করেছিল ঠিকানা বদলে পাড়া ছেড়ে যাওয়া প্রেমিকাকে, কেউ বা এসটিডি বুথে অস্তিত্বহীন নম্বরে বারংবার ডায়াল করে ব্যর্থ হওয়ার কথা ভেবেও কেঁদেছিল।
মৃত্যু বা হত্যা সব প্রেমে ঘটে না, হয়তো শ্যামপুকুর বা হাজরার কোনও যুবক-যুবতীর অনার কিলিং সম্পর্কে কোনও ধারণাও ছিল না তখন। কিন্তু ওবাড়ির জানালায় যে এসে আর দাঁড়াবে না কোনওদিন, যার সঙ্গে আর সিনেমা দেখতে যাওয়া হবে না কখনও- তাদের কথাও কি মনে পড়েনি? বিষণ্ণতার একলা ছাদে তখন হয়তো বসেছে পরিত্যক্ত মাছের কাঁটার মতো, অথচ শিরদাঁড়া-সোজা টিভি অ্যান্টেনা। কিন্তু যে তরঙ্গ মনের মধ্যে বয়ে যায়, তার খোঁজ রাখে কোন অ্যান্টেনা?
মজরু সুলতানপুরীর লিরিক আর আনন্দ-মিলিন্দ জুটির সুরের মেলবন্ধনও তো সেই প্রথম। ‘গজব কা হ্যায় দিন সোচো জারা’ তখন শিসের সুরে বেজে উঠছে পাড়ায় পাড়ায়, হয়তো রোয়াকবাজরা গেয়েছে ‘পাপা কহতে হ্যায় বড়া নাম করেগা, বেটা হামারা…’। সত্যিই ‘বেটা’-র ‘মনজিল’ কোথায় আছে, তা লুকিয়ে রাখা এত সহজ ছিল না উত্তুরে পাড়ায়। কাজেই ‘মগর ইয়ে তো কোই না জানে’ কেবল গুনগুনিয়েই ক্ষান্ত হতে হত অনেককেই। উদিত নারায়ণ, অলকা ইয়াগনিকরা হয়ে উঠল নতুন কণ্ঠস্বরের মাইলফলক। ‘পাপা কহতে হ্যায়’ এমনই জনপ্রিয় সুর হয়ে উঠল, পরে আমির অভিনীত দু’টি ছবিতেই পুনর্ব্যবহৃত হয়েছিল এই গান। বহু পরে, করণ জোহরের নিজস্ব ধারা বদলানো ও বলিউডের মূলস্রোতের অভিমুখ কিছুটা ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রয়াসে নির্মিত ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’-এও গানটির পুনর্নির্মাণ ঘটানো হয়েছিল, ঘটিয়েছেন বিশাল-শেখর। কিন্তু এই গানের ভ্যাগাবন্ডপনা যে ট্র্যাজিক মোড় নিয়েছিল ‘ক্যায়ামত সে…’ বা ‘কিউএসকিউটি’-তে, তার কোনও তুলনা আর মেলেনি।
আমিরের এই খ্যাতির শিখরে ওঠার সিঁড়ি তৈরি করেছিলেন তাঁর কাকা, ‘আনারকলি’, ‘তিসরি মনজিল’ বা ‘ইয়াদোঁ কি বরাত’-এর নাসির হুসেনই। এর পরে তাঁকে জাতীয় পুরস্কার এনে দিল, নব্বই-পরবর্তী অন্যধারার ছবির প্রথম মশালবাহকদের একজন, আদিত্য ভট্টাচার্যর ছবি, ‘রাখ’। আদিত্যর পরের হিন্দি ছবি ‘দুবাই রিটার্ন’ এসেছিল দেড় দশক পর, ২০০৫ সালে। ইরফান খান-দিব্যা দত্ত অভিনীত সেই ছবি ফেস্টিভ্যালে ও পরবর্তীতে আন্তর্জালে দেখার সুযোগ হয়েছে গুটিকয় দর্শকের, কিন্তু সেই ছবি রীতিমতো উল্লেখযোগ্য। যা হোক, ‘রাখ’ অন্ধকারাচ্ছন্ন থ্রিলার গোত্রের ছবি, যার জন্য মোটেই তখনও তৈরি নয় ভারতীয় দর্শক। আবহহীন, প্রায় নিস্পৃহ ক্যামেরাভঙ্গিতে তোলা ওই ছবির অস্বস্তি খুব হজমযোগ্য ছিল না তখনও। কিন্তু এক অ্যান্টি হিরো ইমেজ আমিরের তৈরি হয়ে গিয়েছিল সেই ছবি থেকেই।
১৯৮৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মাসুম’-এ দাম্পত্যের দোলাচলের গল্প ছিল। ‘পরমা’ ওর আশপাশেই পরকীয়ার কাঁপুনি দিয়েছে বাঙালিকে। কিন্তু শেখর কাপুরের প্রথম ছবি ‘মাসুম’ ছিল পরিণত দাম্পত্যের গল্প। ‘দো নয়না এক কহানি’, ‘তুঝসে নারাজ নেহি জিন্দেগি’ বা ‘হুজুর ইস কদর ভি না’-র মেলোডি শেষ গোধূলিবেলার ডবল ডেকার বাস চুঁইয়ে পড়ত তখন। হয়তো ইতালো ক্যালভিনোর গল্পের, সেই সারাদিনে একটিবার দেখা হওয়া দম্পতির অ্যাডভেঞ্চারের মতোই, সদ্য বিবাহিত, চাকরিরত দম্পতিদের দেখা হত ‘মাসুম’ দেখার জন্য। দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘অশ্বমেধের ঘোড়া’-তে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, প্রেমের ঠিকানা শহরে মেলা ভার। কিন্তু সামান্য পুঁজিতে সিনেমা হল কোনওদিন যুগলকে ফেরায়নি।
১৯৮৭-তে গুলজারের ‘ইজাজত’-ও বিয়োগান্তক প্রেমের কথা বলল, কিন্তু তা অমন তারুণ্যের জেদের গল্প নয়। নাসিরউদ্দিন-শাবানা জুটি ‘মাসুম’-এর দাম্পত্যে যেমন গম্ভীর ও অবিচল, তেমনই নাসির-রেখা জুটির রেলস্টেশনে হঠাৎ দেখার ওই কাব্যিক আখ্যানেও গাম্ভীর্য টলমল করে স্বচ্ছ জলের মতো। ‘সিলসিলা’-র সেই সর্বনাশী, ঘরভাঙানি রেখা বাস্তব প্রেমের কেচ্ছার কারণে যত অভিশাপ কুড়িয়েছেন, ততদিনে সেসবে পুড়ে যেন তিনি খাঁটি সোনা। চশমাপরা সেই রেখা যেন স্কুলের রাশভারী অথচ বিষণ্ণ দিদিমণি। নাসির যেন অগোছালো কোনও লেখক, এই বেরলেন কফিহাউস থেকে, আচমকা, একা। দেশলাই রাখা ও ভুলে যাওয়ার অভ্যেসের মাঝে রয়ে গিয়েছিল যেন অপার নৈঃশব্দ্য, পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলালের ‘গতযৌবন’ কবিতার পঙক্তির মতো, ‘এখন শুধু বহন করা- সর্পিল ধূপ ঘুরছে, পুড়ছে/ দাঁড়িয়ে রয়েছে নম্র আমার পিতলপ্রদীপ, ধাতব।’ আর. ডি. বর্মনের সুরে ‘কাতরা কাতরা মিলতি হ্যায়’ যেন ঘরফেরতা শেয়ালদা স্টেশন থেকে বিকেলের ডালহৌসির ভাঙা অফিসপাড়ার ওপর দিয়ে হু হু বাতাসের মতো বইত আটের দশক জুড়ে। যে বিচ্ছিন্ন দম্পতির দেখা হয়েছিল ‘পূর্ণ’ সিনেমায় ‘ইজাজত’ দেখতে গিয়েই, সেই দম্পতির প্রাক্তন স্ত্রী তার বর্তমান স্বামীর কথা শুনতে পায়নি আর ফিরতি পথে। তোমার প্রিয় হারিয়ে যাওয়া চাবির মতো ‘মেরা কুছ সামান’ দূরের মাইকের মতো ভেসে এসেছে হয়তো। হয়তো এসব গান ছাপিয়ে অনেকের মনে পড়ে গেছে আরও ১৩ বছর আগে মুক্তি পাওয়া ‘আপ কি কসম’ ছবির সেই গান, ‘জিন্দেগি কি সফর মে গুজর যাতে হ্যায় যো মাকাম, ও ফির নেহি আতি…’।
এসবের ফাঁকেই কত ফাঁকা ট্রাম ফিরে গেছে ট্রামডিপোতে, উঠে যাওয়া বাসরুট শুনশান হয়েছে, বাড়ি থেকে ফোনের নম্বর বদলেছে, কারখানার লকআউটে মিলিয়ে গেছে স্লোগান। আর আটের দশকের শেষে এসে সোভিয়েত নড়বড়ে হয়ে পড়েছে শেষরাতের স্বপ্নের সৌধের মতো। বিশ্বব্যবস্থার বদলের মুখে দাঁড়িয়ে অন্য অনেক হারিয়ে যাওয়ার খবর দিব্য চাপা পড়ে রইল। আস্তে আস্তে ফুরিয়ে এল দিন।
…পড়ুন জনতা সিনেমাহল-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২৮। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দিন জনশূন্য কলকাতায় পকেটমারি
পর্ব ২৭। মাস্টারমশাইরা কি আজও কিচ্ছু না দেখেই থাকবে?
পর্ব ২৬। ‘হাওয়া হাওয়াই’য়ের আপত্তি জোটেনি কিন্তু ‘উরি উরি বাবা’ নাকি অপসংস্কৃতি
পর্ব ২৫। চুল কাটলেই মাথার পিছনে জ্যোতির মতো বাজবে ‘শান’-এর গান!
পর্ব ২৪। মরণোত্তর উত্তমকুমার হয়ে উঠলেন সিরিয়াল কিলার
পর্ব ২৩। স্কুল পালানো ছেলেটা শহিদ হলে টিকিট কাউন্টার, ব্ল্যাকাররা তা টের পেত
পর্ব ২২। ক্যাবলা অমল পালেকরের চোস্ত প্রেমিক হয়ে ওঠাও দর্শকেরই জয়
পর্ব ২১। বন্দুকধারী জিনাতকে ছাপিয়ে প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠলেন স্মিতা পাতিল
পর্ব ২০। হকার, হোটেল, হল! যে কলকাতার মন ছিল অনেকটা বড়
পর্ব ১৯। দেওয়ালে সাঁটা পোস্টারে আঁকা মধুবালাকে দেখে মুগ্ধ হত স্কুলপড়ুয়া মেয়েরাও
পর্ব ১৮। পানশালায় তখন ‘কহি দূর যব’ বেজে উঠলে কান্নায় ভেঙে পড়ত পেঁচো মাতাল
পর্ব ১৭। গানই ভেঙেছিল দেশজোড়া সিনেমাহলের সীমান্ত
পর্ব ১৬। পুলিশের কাছেও ‘আইকনিক’ ছিল গব্বরের ডায়লগ
পর্ব ১৫। ‘শোলে’-র চোরডাকাতরা এল কোথা থেকে?
পর্ব ১৪। ‘শোলে’-তে কি ভারত আরও আদিম হয়ে উঠল না?
পর্ব ১৩। ‘জঞ্জির’ দেখে ছেলেটা ঠিক করেছিল, প্রতিশোধ নেবে
পর্ব ১২। ‘মেরে পাস মা হ্যায়?’-এর রহস্যটা কী?
পর্ব ১১। ইন্দ্রজাল কমিকস-এর গ্রামীণ নায়ক বাহাদুর পাল্পে এসে রংচঙে হল
পর্ব ১০। দু’টাকা পঁচিশের টিকিটে জমে হিরোইনের অজানা ফ্যানের স্মৃতি
পর্ব ৯। খান্না সিনেমায় নাকি পৌরাণিক সিনেমা চলছে
পর্ব ৮। পাড়াতুতো ট্র্যাজেডিতে মিলে গেলেন উত্তমকুমার আর রাজেশ খান্না
পর্ব ৭। পাড়ার রবিদা কেঁদেছিল ‘কাটি পতঙ্গ’ আর ‘দিওয়ার’ দেখে, সাক্ষী ছিল পাড়ার মেয়েরা
পর্ব ৬। যে কলকাতায় পুলিশ-পকেটমার মিলেমিশে গেছে, সেখানে দেব আনন্দ আর নতুন করে কী শিরশিরানি দেবেন?
পর্ব ৫। হিন্দি ছবির পাপ ও একটি অ্যাডাল্ট বাড়ির গল্প
পর্ব ৪। দেব আনন্দ, একটি বোমা ও অন্ধকারে হাত ধরতে চাওয়ারা
পর্ব ৩। অন্ধকারে ঢাকা পড়ল কান্না থেকে নিষিদ্ধ স্বপ্ন!
পর্ব ২। ‘জিনা ইঁয়াহা মরনা ইঁয়াহা’ উত্তর কলকাতার কবিতা হল না কেন?
পর্ব ১। সিনেমা হলে সন্ত্রাস ও জনগণমন-র দলিল