আশি সালে আমি গোপেনদার পাড়া ছেড়ে চলে এসেছি। মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলেরই প্রান্তবর্তী সদ্যনির্মিত এক নতুন জায়গায় ঝাঁ-চকচকে ২২তলা দালানের তিনতলার একটি প্রশস্ত তিন কামরার ফ্ল্যাটে। তিয়োপলিস্তানের অন্তর্ভুক্ত জায়গাটা তখন এতই নতুন যে রাস্তার নামকরণ পর্যন্ত তখনও হয়নি, নয়ের বি উপনগরী– এই নামে পরিচিত ছিল। প্রথম প্রথম নানা অসুবিধায় পড়তে হত, কেননা স্থানীয় শাসন কর্তৃপক্ষের কথায়, এলাকাটা নাকি বিদেশিদের জন্য একরকম নিষিদ্ধ ছিল।
২৯.
একজন বিপ্লবী ও একটি বিপ্লবের পরিণতি
গোপেনদার বাড়িতে গেলে রাজনীতি নিয়ে যে-সমস্ত টুকরোটাকরা কথা হত, তার বেশিরভাগই হত অতীতচারণ। যদিও এম.এন. রায়ের পরামর্শেই তিনি এদেশে এসেছিলেন কিন্তু এম. এন. রায় সম্পর্কে খুব একটা ভালো মন্তব্য তাঁর মুখে শুনিনি। তিনি বলতেন এম. এন. রায়ের জীবনযাত্রার ধরনের জন্য কমিন্টার্নে অনেকেই নাকি তাঁকে ‘প্রিন্স’ বলত। সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি কেমন যেন সংকুচিত হয়ে পড়তেন: তাঁর সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই ওঁর মুখে শুনতে পাইনি। স্তালিন সম্বন্ধে তেমন একটা প্রতিকূল মন্তব্য তাঁকে করতে শুনিনি। একসময় ঠাট্টা করে বলেছিলেন যে তাঁর গোঁফজোড়ার জন্য অনেকে তাঁকে স্তালিনের সহোদর বলতেন, তবে স্ত্রীর ছবি যে তাঁকে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি, এর জন্যে স্তালিনের বিরুদ্ধে মৃদু অভিযোগও তাঁর ছিল। স্তালিনের মূর্তি সরানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন: ‘যখন সরায় আমার চোখ ছিল, জানি। তবে স্তালিনকে উৎপীড়ক হিসেবে চিহ্নিত করাটা ঐতিহাসিক বিকৃতি। সাধারণ মানুষের ওপর উৎপীড়ন হয়নি। হ্যাঁ হয়েছে, তবে যাঁদের ওপর হয়েছে তাঁরা রাজনীতির লোক। এর জন্যও অনেকাংশে দায়ী স্তালিনকে ঘিরে থাকা কিছু লোকজন। সম্প্রতি গোপেনদার তাই মনে হচ্ছিল কমিউনিস্ট সংগঠনে এটাই হয়তো ত্রুটি– নেতার কানে ঠিক খবরটি না পৌঁছনো। যৌথখামার নিয়ে স্তালিনের ‘বাড়াবাড়ি’ ও অভিযোগ সম্বন্ধে গোপেনদার বক্তব্য মানুষের প্রচুর ‘ভালো’-র জন্য প্রচুর বলপ্রয়োগ প্রয়োজন। স্বেচ্ছাচার নয়, একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জীবনযাত্রার মান বেড়ে গিয়েছিল। অত বড় একটা যুদ্ধের পরও খাদ্যাভাব ছিল না। খ্রুশশোভের আমল গোপেনদার কাছে খোলামেলার আমল। তবে তা শেষের শুরু। ব্রেজনেভ আমলে, গোপেনদা জানান, বহু ধান্দাবাজ চোখের সামনে কমিউনিস্ট পার্টিতে ঢুকল। নেতা হয়ে গেল। পার্টির লোকজনদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি করল এরা। তখনই ঘুণ ধরে গেছে।
গোপেনদার ছেলে সাগর অনেককাল হল দেশে ফিরে গেছেন। ১৯৭৫ সালে মস্কোয় এসে আমি আর তাঁকে সেখানে পাইনি। বেহালার পর্ণশ্রীতে গোপেনদা তাঁর পেনশনের টাকায় ছোটখাটো একটা বাড়ি তৈরি করেছিলেন। সাগর বিয়ে-শাদি করে তাঁর মাকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন।
ইতিমধ্যে মস্কোয় গোপেনদার ফ্ল্যাটে তাঁর মেয়ের যাওয়াটাও অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। তাঁর দেখাশোনা করার মতো বিশেষ কেউ ছিল না সেখানে। একসময় অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে বা কোনও-না-কোনও স্বাস্থ্যোদ্ধার কেন্দ্রে বিশ্রামের সুযোগ– কোনওটারই অভাব ছিল না। সেসব সোভিয়েত আমলের ব্যাপার।
অবশ্য আমি যখন গোপেনদার পাড়ায় থাকতাম, তখন মারিনা নামে এক ভদ্রমহিলা তাঁর দেখাশোনা করতেন। বোধহয় তিনি গোপেনদার তৃতীয় জীবনসঙ্গিনী ছিলেন। ভদ্রমহিলার নিজের নাতি-নাতনিও ছিল। উনি এককালে কোনও একটা স্কুলের আর্ট-টিচার ছিলেন। আমি সপরিবারে গোপেনদার বাড়ি গেলে উনি আমার মেয়েদের আঁকা শেখাতেন। আমার মেয়েদের কাছে ‘বাবুশকা মারিনা’ নামে পরিচিত ছিলেন।
…………………………………………………….
সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি কেমন যেন সংকুচিত হয়ে পড়তেন: তাঁর সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই ওঁর মুখে শুনতে পাইনি। স্তালিন সম্বন্ধে তেমন একটা প্রতিকূল মন্তব্য তাঁকে করতে শুনিনি। একসময় ঠাট্টা করে বলেছিলেন যে তাঁর গোঁফজোড়ার জন্য অনেকে তাঁকে স্তালিনের সহোদর বলতেন, তবে স্ত্রীর ছবি যে তাঁকে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি, এর জন্যে স্তালিনের বিরুদ্ধে মৃদু অভিযোগও তাঁর ছিল।
…………………………………………………….
আশি সালে আমি গোপেনদার পাড়া ছেড়ে চলে এসেছি। মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলেরই প্রান্তবর্তী সদ্যনির্মিত এক নতুন জায়গায় ঝাঁ-চকচকে ২২তলা দালানের তিনতলার একটি প্রশস্ত তিন কামরার ফ্ল্যাটে। তিয়োপলিস্তানের অন্তর্ভুক্ত জায়গাটা তখন এতই নতুন যে রাস্তার নামকরণ পর্যন্ত তখনও হয়নি, নয়ের বি উপনগরী– এই নামে পরিচিত ছিল। প্রথম প্রথম নানা অসুবিধায় পড়তে হত, কেননা স্থানীয় শাসন কর্তৃপক্ষের কথায়, এলাকাটা নাকি বিদেশিদের জন্য একরকম নিষিদ্ধ ছিল। এই তল্লাটে অবশ্য আমি আসার আগে পর্যন্ত কোনও বিদেশি ছিল না, তাই যখন-তখন মাটি ফুঁড়ে পুলিশের আবির্ভাব ঘটত– ‘দকুমেন্ত!’ বলে হাঁক দিয়ে পরিচয়পত্র দেখতে চাইত।
বেশ কয়েক বছর হল দূরত্ববশতই বটে, গোপেনদার বাড়িতে তেমন একটা যাতায়াত ছিল না। তবে আমি ভুলে গেলেও দেখেছি অনেক সময় আমাকে লজ্জায় ফেলে দিয়ে উনি নিজে থেকেই আমাকে ফোন করতেন, আমাদের খবরাখবর নিতেন।
১৯৯১ সালে আমি যখন দেশে ছুটি উপভোগ করছিলাম, সেই সময় ১৯ অগাস্ট, গর্বাচ্যোভের পরোক্ষ প্রশ্রয়ে বা কারসাজিতে, সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির হঠকারিতায় সে দেশে কমিউনিস্টদের অভ্যুত্থান ঘটেছিল। কিন্তু তিনদিনের মাথায় ইয়েলৎসিনপন্থীদের তৎপরতায় সে অভ্যুত্থান অবদমিত হল, যার ফলে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন ত্বরান্বিত হয়ে গেল। গর্বাচ্যোভ সেই সময় ‘ভবিষ্যৎদ্রষ্টা’র ভঙ্গিতে মন্তব্য করেছিলেন: ‘আমরা এক নতুন যুগের পথে ধাবিত হচ্ছি।’ এই ঘটনার পর চার মাস যেতে না যেতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেল।
সে যাত্রায় দেশ থেকে ফিরে এসে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি আমি গোপেনদার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। দেশে থাকতেই শুনেছিলাম গোপেনদা নাকি দেশে ফিরে আসার জন্য তোড়জোড় করছেন, পার্টিও এই ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করছে।
দেখলাম খুবই দুর্দশার মধ্যে আছেন, অনিশ্চিত অবস্থায় উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। পেরেস্ত্রৈকার পর্বে শুরু থেকেই অবশ্য নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন। পেরেস্ত্রৈকার মাথামুণ্ডু কিছুই তিনি বুঝতে পারছিলেন না। এই পর্বে একসময় কথায় কথায় আমাকে এমনও বলেছিলেন যে, কে বা কারা যেন বলেছে এসব ইহুদিদের কারসাজি। এতদিন রাজনীতি করার পর কিনা ঘুরে ফিরে সেই পুরনো কথা। বিপ্লবের সময় বিপ্লব-বিরোধীরা ঠিক এই একইরকম অভিযোগ চাপায় ইহুদিদের ঘাড়ে। গোপেনদাকে সেইসময় বুঝিয়ে বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তখনই জেনেছিলাম রাজনীতির ব্যাপারে তাঁর মাথা পুরোপুরি কাজ করছে না। বয়স ততদিন নব্বই ছাড়িয়ে গেছে। বছর পাঁচেক হল চোখের হাল খারাপ। এখন দেখলাম চোখে একেবারেই দেখতে পান না। তাই দাড়ি কাটারও কোনও উপায় নেই। ঘরদোরের অবস্থাও তথৈবচ। খুব সম্প্রতি তৃতীয় স্ত্রী গত হয়েছেন। তখন দুপুর। দ্বিপ্রাহরিক আহারের অপেক্ষায় এক নোংরা খাটের ওপর স্তব্ধ হয়ে বসে আছেন। প্রয়াত স্ত্রীর দূরসম্পর্কের আত্মীয়রা এই একটিবার মাত্র তাঁকে খাবার দিতে আসেন। ওঁর সঙ্গে কথা বলব কী! দেখেশুনে আমি স্তম্ভিত।
আজ বেশ কিছুকাল হল গোপেনদা পেনশনভোগী– বলশেভিক পার্টির প্রবীণ সদস্যদের সমমর্যাদার পেনশনভোগী– এদেশে যাকে পার্সোনাল পেনশন বলে, তা-ই পেয়ে আসছেন। বেশ মোটা অঙ্কের টাকা। পেনশন যাতে দেশে ট্রান্সফার করা যায়, তার জন্য তিনি বেশ কিছুকাল হল তদবির করে আসছিলেন, কিন্তু লাল ফিতের বাঁধন আর কাটে না; তাছাড়া পেনশন কীভাবে ট্রান্সফার করা যায় কে স্থির করবে? ওই পেনশনও তো আবার বলতে গেলে পার্টির পেনশন– তখন অবশ্যই পার্টিই সরকার ছিল। কিন্তু এখন অন্য পরিস্থিতি। আর পার্টির নিজেরই তো এখন টালমাটাল অবস্থা। পরিস্থিতি জটিল।
সোভিয়েত ব্যবস্থা যখন পতনের মুখে, ততদিনে গোপেনদার ধৈর্যের বাঁধও ভেঙে পড়ার উপক্রম। এখন অন্ধপ্রায়। কানেও কম শোনেন, কী বলতে কী শোনেন কে জানে? দরজায় এমন একটা কলিং বেল লাগিয়েছেন যে বাইরে থেকে টিপলে তার আওয়াজে আগন্তুকের নিজেরই পিলে চমকানোর মতো অবস্থা হয়। দেশে তাঁর স্ত্রী-বিয়োগ হয়েছে অনেককাল হল। সম্প্রতি এখানে তৃতীয় স্ত্রী বিয়োগের পর একেবারে একা। তিনি বললেন: ‘বেহালায় ছেলের কাছে যাব। তবে তোমরা সবাই দেখো ২১৩ রুবলের পেনশনটা যেন কলকাতায় পৌঁছে যায়, দিল্লির কেন্দ্রীয় সিপিআই নেতারা পেনশন ছাড়াই ওঁর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেবেন বলেছেন, কিন্তু বৃদ্ধ এদিক দিয়ে হুঁশিয়ার– শুনে বললেন, ‘না না, ওসব কোনও কাজের কথা নয়। অথচ দেশেও কিন্তু তিনি পেনশন পাচ্ছিলেন– ব্রিটিশ আমলে জেল খাটা বিপ্লবী হিসেবে।
আমি মনে মনে ভাবছিলাম, একজন বিপ্লবীর নয়, একটি বিপ্লবের এই কি পরিণতি!
দেশে ফিরে অল্পকালের মধ্যেই বার্ধক্যজনিত ভগ্নস্বাস্থ্যের কারণে পার্টির আনুকূল্যে পি জি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি হতে হয়– আমৃত্যু চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে সেখানেই কাটান। পুরনো বন্ধু গণেশ ঘোষও তখন সেখানে ভর্তি ছিলেন।
…পড়ুন রুশকথা-র অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২৮। দেশে ফেরার সময় সুরার ছবি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাননি গোপেনদা
পর্ব ২৭। বিপ্লবের ভাঙা হাট ও একজন ভগ্নহৃদয় বিপ্লবী
পর্ব ২৬। ননী ভৌমিকের মস্কোর জীবনযাত্রা যেন দস্তইয়েভস্কির কোনও উপন্যাস
পর্ব ২৫। ননীদা বলেছিলেন, ডাল চচ্চড়ি না খেলে ‘ধুলোমাটি’র মতো উপন্যাস লেখা যায় না
পর্ব ২৪। মস্কোয় শেষের বছর দশেক ননীদা ছিলেন একেবারে নিঃসঙ্গ
পর্ব ২৩। শেষমেশ মস্কো রওনা দিলাম একটি মাত্র সুটকেস সম্বল করে
পর্ব ২২। ‘প্রগতি’-তে বইপুথি নির্বাচনের ব্যাপারে আমার সঙ্গে প্রায়ই খিটিমিটি বেধে যেত
পর্ব ২১। সোভিয়েতে অনুবাদকরা যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করত, সে দেশের কম মানুষই তা পারত
পর্ব ২০। প্রগতি-র বাংলা বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে ননীদাই শেষ কথা ছিলেন
পর্ব ১৯। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি খুব ভালো রুশভাষা জানতেন, প্রমথনাথ বিশী সাক্ষী
পর্ব ১৮। লেডি রাণু মুখার্জিকে বাড়ি গিয়ে রুশ ভাষা শেখানোর দায়িত্ব পড়েছিল আমার ওপর
পর্ব ১৭। একদিন হঠাৎ সুভাষদা আমাদের বাড়ি এসে উপস্থিত ফয়েজ আহমেদ ফয়েজকে নিয়ে
পর্ব ১৬। মুখের সেই পরিচিত হাসিটা না থাকলে কীসের সুভাষ মুখোপাধ্যায়!
পর্ব ১৫। রুশ ভাষা থেকেই সকলে অনুবাদ করতেন, এটা মিথ
পর্ব ১৪। মস্কোয় ননীদাকে দেখে মনে হয়েছিল কোনও বিদেশি, ভারতীয় নয়
পর্ব ১৩। যিনি কিংবদন্তি লেখক হতে পারতেন, তিনি হয়ে গেলেন কিংবদন্তি অনুবাদক
পর্ব ১২। ‘প্রগতি’ ও ‘রাদুগা’র অধঃপতনের বীজ কি গঠনপ্রকৃতির মধ্যেই নিহিত ছিল?
পর্ব ১১। সমর সেনকে দিয়ে কি রুশ কাব্যসংকলন অনুবাদ করানো যেত না?
পর্ব ১০। সমর সেনের মহুয়ার দেশ থেকে সোভিয়েত দেশে যাত্রা
পর্ব ৯। মস্কোয় অনুবাদচর্চার যখন রমরমা, ঠিক তখনই ঘটে গেল আকস্মিক অঘটন
পর্ব ৮: একজন কথা রেখেছিলেন, কিন্তু অনেকেই রাখেননি
পর্ব ৭: লেনিনকে তাঁর নিজের দেশের অনেকে ‘জার্মান চর’ বলেও অভিহিত করত
পর্ব ৬: যে-পতাকা বিজয়গর্বে রাইখস্টাগের মাথায় উড়েছিল, তা আজ ক্রেমলিনের মাথা থেকে নামানো হবে
পর্ব ৫: কোনটা বিপ্লব, কোনটা অভ্যুত্থান– দেশের মানুষ আজও তা স্থির করতে পারছে না
পর্ব ৪: আমার সাদা-কালোর স্বপ্নের মধ্যে ছিল সোভিয়েত দেশ
পর্ব ৩: ক্রেমলিনে যে বছর লেনিনের মূর্তি স্থাপিত হয়, সে বছরই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার সূচনাকাল
পর্ব ২: যে দেশে সূর্য অস্ত যায় না– আজও যায় না
পর্ব ১: এক প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে রাশিয়ার খণ্ডচিত্র ও অতীতে উঁকিঝুঁকি