দেহুরি মানে আদিবাসী পূজারী। দেহুরিদের নিয়ে আসা হয়েছে, কারণ মুখ্যমন্ত্রী এসে বলতেই পারেন– ‘বেলা হয়ে গেছে, আর পাহাড়ে উঠব না। নিচে থেকেই পুজো দিয়ে দেব।’ যদিও নিচে দাঁড়িয়ে পুজো দেওয়া যায় না, তবে মন্ত্রী চাইলে সব হয়! আমরা পাহাড়ে উঠতে পারছি না। যদি উনি পাহাড়ের নিচে দাঁড়িয়েই পূজা-কর্ম শেষ করে চলে যান! সাড়ে ১২টা নাগাদ জানতে পারলাম, মুখ্যমন্ত্রী রওনা হবেন এক্ষুনি, হেলিকপ্টারে! রাঁচি থেকে এখানে আসতে, কতক্ষণই বা লাগবে? বেশি হলে ২০ মিনিট। অফিসারদের কাছ থেকে এটাও জানতে পারলাম যে, মুখ্যমন্ত্রী নিচে নামছেন না।
২৮.
পাথরবুড়ি জেগে ওঠেন মকর সংক্রান্তির দিন। পাথরবুড়ির অপর নাম ‘জংলেশ্বরী’। কথাটা ছিল ‘জঙ্গলেশ্বরী’, তা বোঝাই যায়। আবার ঝাড়খণ্ডের এইসব লোকের মধ্যে যারা ভদ্দরনোক-ভদ্দরনোক হয়ে উঠেছে, ওরা বলে ‘জলেশ্বরী’। ঝাড়খণ্ডের সিংভূম জেলায় একটি পাহাড়ের মাথায় গুহা, এই গুহার ভিতরেই বাস করেন পাথরবুড়ি। এইদিন মনস্কামনা জানালে পাথরবুড়ি পূর্ণ করেন। তবে মনস্কামনাটি জানানোর আগেই বুড়িকে খুশি করতে হয়, কেউ কাঁধে করে নিয়ে যায় পাঁঠা, কেউ বগলে চেপে নিয়ে যায় হাঁস, কেউ বা ঝুলিয়ে নেয় মোরগ।
পাহাড়ের তলায় মেলা বসে। এরকম এক মকর সংক্রান্তিতে আমি চাইবাসায়। ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চাইবাসায় কাটিয়েছিলাম। আকাশবাণীর একটি কেন্দ্র আছে সেখানে। আমি ওখানে বদলি নিয়েছিলাম চেয়ে-বলে।
মুখ্যমন্ত্রী আসবেন পাথরবুড়িকে পুজো দিতে, পৌষ সংক্রান্তির সকালে। মুখ্যমন্ত্রী আসছেন, ‘চাইবাসা রেডিও’-কে তো কভার করতে যেতেই হবে। আর এইসব ‘মওকা’-র জন্যই তো ‘চাইবাসা চাই’ দাবি করেছিলাম। চাইবাসায় গিয়েছিলাম বলেই দেখেছিলাম কানহার, কিলু, কারো, রোরো, খরকাই, পুনপুন– এইসব নদীর বালি সারাদিন ধরে ছেঁকে, কুলোয় চেলে, সোনার আকর মেশানো বালি ছেঁকে নেয় স্থানীয় মানুষরা, সেই সোনা-বালি কেনার জন্য ব্যাপারিরা আসে, দেড়-দুশো টাকায় কিনে নিয়ে যায় সারাদিনের পরিশ্রম।
দেখেছি বিরসাইয়তদের, যাঁরা এখনও বিশ্বাস করেন মুণ্ডারাজ কায়েম হবেই। বিরসা মুণ্ডার সমস্ত কর্মস্থান, দেখেছি করম-বাঁধনা-বাহা পরব। লুকিয়ে থাকা, আলোর পিছনে থাকা এক অনার্য ভারতকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম।
তো, জঙ্গলেশ্বরীর কথা হচ্ছিল। মকর সংক্রান্তির দিন এরকম বহু দেবীর জাগরণ হয়। জঙ্গলেশ্বরীরা সাত বোন। মানভূম এলাকার সাত জায়গায় সাত বোনের জাগরণ হয় মকরের দিনে। আসলে মকরেই ছিল নতুন বছরের শুরু। সূর্যের দক্ষিণায়ন শুরু হয় এই সময় থেকে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ২১ ডিসেম্বর দিন সবচেয়ে ছোট। এরপর থেকে দিন বড় হতে থাকে। আকাশে সূর্য ক্রমশ বেশিক্ষণ ধরে বিরাজ করবেন। জারলাগা সূয্যিঠাকুর আড়মোড়া ভেঙেছেন। নতুন বছরের শুরু। আকবর বাদশা হিজরি সনকে ভেঙে বাংলা সন বানালেন। নইলে আমাদের নতুন বছর মকর সংক্রান্তির পরদিন থেকেই।
আবার চলে গেলাম অন্য কথায়।
জঙ্গলেশ্বরীর মেলা বসেছে পাহাড়ের তলায়। সকাল থেকেই জিলিপি ভাজা শুরু হয়ে গেছে। গুলগুলাও ভাজা হচ্ছে। গুলগুলা হল আটার সঙ্গে গুড় মিশিয়ে ফুলুরির মতো করে ভাজা। গায়ের চাদর-সোয়েটার ইত্যাদি নিয়েও কয়েকটা দোকান বসেছে। দেশি মোরগ, পাঁঠা, ভেড়া, হাঁসও নিয়ে এসেছে কয়েকজন কারবারি। হাঁস, মোরগ বাঁশের ঝুড়িতে, পাঁঠা-ভেড়ারা দড়িতে বাঁধা। ওরা ‘ভ্যাঁ-ভ্যাঁ’ করে যাচ্ছে।
ফুল নিয়েও বসেছে কয়েকজন– গাঁদা ফুল আর জবা। জবাফুলের দাম একটু বেশি। জবার মালাও আছে। বুঝতেই পারছেন দাম বেশি। এইসব জবার মালা যারা কিনবে, ওরা পাঁঠা-ভেড়াও কিনবে। ওদের গলায় পরিয়ে দিয়ে কাঁধে চড়িয়ে পাহাড়ে উঠবে। পাহাড়ের মাথায় জঙ্গলেশ্বরীর থান।
জবার মালা পাঁঠা-ভেড়া গলায় এমন করে পেঁচিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন নিজের গলার মালা নিজেরাই খেতে না পারে। তবে ওই কাঁধে চড়া চারপেয়েদের চেষ্টাটা থেকেই যাচ্ছে। ওর গলা বেঁকিয়ে, শরীর এধার-ওধার করে নিজের গলার মালা গলাধঃকরণের চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে। দু’হাতে চারটে পা চেপে ধরা লোকগুলো, ওদের ‘বুক্কা পাঁঠাটা’, ‘শালো মেড়াটা’, ‘হাইটাটকা’, ‘হুড়ুমচাঁদা’– এইসব গালিগালাজ দিচ্ছে। জবাফুল সমেত মুন্ডুটাই তো উৎসর্গ করতে হবে মাকে! তার আগেই বোকাগুলোকে ফুল খেতে দেওয়া যাবে না।
চারপেয়ে দেওয়ার সামর্থ্য যাদের নেই, ওরা দু’-পেয়ে নিয়ে উঠছে। হাঁস, মুরগি কিংবা পায়রা। যারা ওপরে উঠছে, ওদের কাঁধে চনমনে প্রাণী, নিজের গলার মালাটা খাবার জন্য ছটফটাচ্ছে। যারা নামছে, ওদের কাঁধে নেতিয়ে পড়া মুন্ডুহীন মনস্কামনা। মুন্ডু মায়ের থানে। মানুষগুলোর জামা, চাদরে রক্ত।
পাহাড়ের তলায় সাহেব-অফিসারদের সাদা গাড়ি, পুলিশের কালো গাড়ি, দমকলের লাল গাড়ি। কেননা ‘আজ হামারা আদরণীয় মুখ্যমন্ত্রীজী মাতৃপূজা কে লিয়ে আয়েঙ্গে।’ একটা হেলিপ্যাডও তাই তৈরি হয়েছে। জিজ্ঞাসা করি, আদরণীয় মুখ্যমন্ত্রী কি হেঁটে হেঁটে পাহাড়ে উঠবেন? ডিএম সাহেব বললেন, ‘হো সাকতা হ্যায়।’ জিজ্ঞাসা করি আবার, কখন আসবেন? সাহেব বললেন, ‘পতা নেহি!’
সকাল ৮টার আগেই পৌঁছে গিয়েছি আমি। বেলা ১১টা বেজে গেল। মন্ত্রীর কোনও খবর নেই। পাহাড়ের তলায় দাঁড়িয়ে আছি, বাইরে তেলেভাজার কড়াইতে তেলের মধ্যে হুড়োহুড়ি করছে বেগুনি, ফুলুরি, গুলগুলা। জিলিপির ওপর পার্টির মিটিং বসিয়েছে মাছিরা, ওয়াকিটকি-তে কথা বলছে ব্যাজ-আঁটা পুলিশেরা, কোট পরা সাহেবরা। দু’জন দেহুরি এল, পরনে ধুতি, ফুলশার্ট, সোয়েটার, তার ওপর লাল টুকটুকে চাদর। বোঝাই যাচ্ছে শার্টগুলো নতুন।
দেহুরি মানে আদিবাসী পূজারী। দেহুরিদের নিয়ে আসা হয়েছে, কারণ মুখ্যমন্ত্রী এসে বলতেই পারেন– ‘বেলা হয়ে গেছে, আর পাহাড়ে উঠব না। নিচে থেকেই পুজো দিয়ে দেব।’ যদিও নিচে দাঁড়িয়ে পুজো দেওয়া যায় না, তবে মন্ত্রী চাইলে সব হয়!
আমরা পাহাড়ে উঠতে পারছি না। যদি উনি পাহাড়ের নিচে দাঁড়িয়েই পূজা-কর্ম শেষ করে চলে যান! সাড়ে ১২টা নাগাদ জানতে পারলাম, মুখ্যমন্ত্রী রওনা হবেন এক্ষুনি, হেলিকপ্টারে! রাঁচি থেকে এখানে আসতে, কতক্ষণই বা লাগবে? বেশি হলে ২০ মিনিট। অফিসারদের কাছ থেকে এটাও জানতে পারলাম যে, মুখ্যমন্ত্রী নিচে নামছেন না। দেখলাম পুলিশবাহিনী পাহাড়ের ওপরে চলল। সিঁড়ি করা আছে, কিছুটা দেখা যাচ্ছে। ঘুরে যাওয়ার পর সিঁড়ি আছে কি না, বোঝা যাচ্ছে না।
পুলিশ সিঁড়ির পথ আটকে দিল। এখন আর ঘাড়ে করে নতুন মনস্কামনা নিয়ে যাওয়া যাবে না। আমি বুঝতে পারছিলাম না, মন্ত্রী হেলিকপ্টার থেকে প্যারাসুটে করে পাহাড়ের মাথায় নামবেন কি না। নাকি পাহাড়ের মাথায় হেলিকপ্টার নামার মতো সমতলক্ষেত্র আছে। কাউকে জিজ্ঞাসা করা যাচ্ছে না। সবাই পড়িমরি করে ছুটছে। আমিও ছুটতে লাগলাম। আমার সঙ্গীসাথীদের কাছে যন্ত্রপাতি। ২০ মিনিটের মধ্যে পাহাড়ে ওঠা অসম্ভব। কিছুক্ষণ পর আর সিঁড়ি নেই তেমন, পাহাড়ের গায়ে খাঁজ-কাটা। পাথরে পাথরে রক্ত দাগ। মুন্ডুহীন ধড়গুলি থেকে পড়েছে ফোঁটা ফোঁটা।
মাথায় উঠতে ঘণ্টাখানেক লেগে গেল। পাহাড়ের উপরে উঠে প্রচণ্ড হাঁপাচ্ছি। একটা গুহার সামনে পড়ে আছে অজস্র কাটা মাথা। গাদাখানেক কাক বসে আছে গাছে। দু’টি ফেট্টি-বাঁধা ছেলে কাক তাড়াচ্ছে। কাছাকাছি হেলিকপ্টার নামার মতো সমতলক্ষেত্র দেখতে পেলাম না। গুহার সামনে একটু চওড়া জায়গা আছে, কিন্তু হেলিকপ্টার নামা সম্ভব নয়। তবে কি মুখ্যমন্ত্রী প্যারাসুটে নামবেন? ভাগ্যিস উনি দেরি করলেন!
মন্ত্রীর ‘প্যারাসুটাবতরণ’ দেখার সৌভাগ্য হবে আমার। পুলিশ-আমলাদের সঙ্গে আমার মাথাটাও আকাশের দিকে ওঠানো। ভগবানকেও এভাবে দেখার চেষ্টা করিনি কখনও। কই আসে? কই আসে?– ‘ওই আসে’, কেউ বলে। দূরে একটা কালো কিছু দেখা যায়। নাহ্, ওটা চিল। কই আসে? আশপাশে কাক-চিল।
এবার সত্যিই আওয়াজ পাওয়া গেল। ঈশ্বরবাবু আসছেন। আওয়াজ বাড়ে। আওয়াজ তীব্রতর হয়। সত্যিই হেলিকপ্টার আসছে। পাহাড়ের কাছাকাছি আসতেই প্রচণ্ড হাওয়ায় জঙ্গল নড়ে ওঠে। জঙ্গলে প্রচুর কুচফুলের গাছ, হাওয়ার তোড়ে শুঁটিগুলো ভেঙে লাল লাল কুচফল ঝড়ে পড়ছে। কাঠবিড়ালিগুলো তুমুল ছুটোছুটি করছে। বাঁদরেরা ওদের শিশুসন্তান কোলে চেপে গাছ থেকে নেমে আসছে। কাকগুলো প্রচুর আর্তনাদ শুরু করে দিয়েছে। বালা, কেদ, পিয়াল, শাল গাছের দেহ থেকে পাতাগুলো খসে খসে পড়ছে।
হেলিকপ্টার পাহাড়ের মাথায় স্থির হল। দরজা দিয়ে বেরিয়ে এল একটা হাত। এবার কি প্যারাসুটে নামবেন মন্ত্রী? না। হাত থেকে ঝরে পড়ল দু’-টাকা, পাঁচ টাকা, ১০ টাকার নোট। শাল-পিয়ালের ঝরাপাতাগুলোর সঙ্গে উড়তে লাগল নোট। উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে পড়তে লাগল। কোনওটা আটকে রইল পিয়ালগাছের খাঁজে, কোনওটা বাবলা কাঁটায়, কোনওটা দুই পাথরের খাঁজে। কিছু ভুঁয়ে। এবার ঝুরঝুর করে পড়ল কিছু এক টাকা-আট আনা-চার আনার কয়েন।
হেলিকপ্টার এবার উপরে উঠল। এবং পাহাড়ের চারপাশে ঘুরতে লাগল। এটা এমনি পাক খাওয়া নয়, প্রদক্ষিণ। সাতবার হেলিকপ্টারটা তুমুল শব্দে জঙ্গলেশ্বরীর থান প্রদক্ষিণ করল। মন্ত্রীর পুজো দেওয়া শেষ।
এবার এক আশ্চর্য ব্যাপার। যে সমস্ত মানুষ ছিল, ওরা টাকা এবং খুচরো পয়সা কুড়তে লাগল। কেউ কেউ উঠে গেল গাছের খাঁজে আটকে থাকা টাকাগুলো সংগ্রহ করতে। কেউ ঢুকে গেল পাথরের সংকীর্ণ খাঁজে। ওখান থেকে বের করে আনল টাকা ও কয়েন। কিন্তু ওদের কেউ পকেটে ঢোকাল না। ট্যাঁকে গুঁজল না, ব্যাগে রাখল না। সবাই গুহা মুখে একটা বড় কচুপাতার ওপরে জমা করল। নোটগুলো যেন উড়ে না যায়, সেজন্য নুড়ি চাপা দিল। এগুলো মায়ের টাকা। মানুষগুলোর কী সারল্য এবং সততায় মন্ত্রীর দেওয়া মায়ের টাকা মায়ের সামনের কচুপাতায় জড়ো করছিল।
…পড়ুন ব্লটিং পেপার-এর অন্যান্য পর্ব…
২৭. স্বামীর গঞ্জনা, প্রেমিক ডিচ করেছে, এসব নালিশও জানানো যায় টুসুর কাছে
২৬. বাঙালদের কাছে ডালের খাতির বেশি, ঘটিদের কাছে মাছটাই প্রিয়
২৩. হীনম্মন্য বাঙালি সমাজে শব্দের প্রমোশন হয় মূলত ইংরেজি বা হিন্দিতে
২১. বাঙালির বাজার সফর মানেই ঘ্রাণেন অর্ধভোজনম
২০. জাত গেল জাত গেল বলে পোলিও খাব না!
১৯: ধোঁয়া আর শব্দেই বুঝে গেছি আট-তিন-পাঁচ-দেড়-দেড়!
১৮: নামের আগেপিছে ঘুরি মিছেমিছে
১৭: টরে টক্কার শূন্য এবং ড্যাশের সমাহারে ব্যাঙের ‘গ্যাগর গ্যাং’ও অনুবাদ করে নিতে পারতাম
১৬: ছদ্মবেশী পাগলের ভিড়ে আসল পাগলরা হারিয়ে গেল
১৫. ধূমপান নিষেধের নিয়ম বদলান, আকাশবাণীর স্টেশন ডিরেক্টরকে বলেছিলেন ঋত্বিক ঘটক
১৪. এমএলএ, এমপি-র টিকিট ফ্রি, আর কবির বেলা?
১২. ‘গাঁধী ভগোয়ান’ নাকি ‘বিরসা ভগোয়ানের পহেলা অবতার’
১১. কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্টের চক্করে বাঙালি আর ভোরবেলা হোটেল থেকে রওনা দেয় না
৫. তিনটে-ছ’টা-ন’টা মানেই সিঙ্গল স্ক্রিন, দশটা-পাঁচটা যেমন অফিসবাবু
৪. রাধার কাছে যেতে যে শরম লাগে কৃষ্ণের, তা তো রঙেরই জন্য
৩. ফেরিওয়ালা শব্দটা এসেছে ফার্সি শব্দ ‘ফির’ থেকে, কিন্তু কিছু ফেরিওয়ালা চিরতরে হারিয়ে গেল
২. নাইলন শাড়ি পাইলট পেন/ উত্তমের পকেটে সুচিত্রা সেন
১. যে গান ট্রেনের ভিখারি গায়কদের গলায় চলে আসে, বুঝতে হবে সেই গানই কালজয়ী
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved