Robbar

ক্রিকেটে মেয়েদের বিশ্বজয় মেয়েদেরই অন্যান্য খেলাকে লঘু করে দেবে না তো?

Published by: Robbar Digital
  • Posted:November 6, 2025 5:43 pm
  • Updated:November 6, 2025 5:43 pm  

অপুষ্টির অত্যাচারে লালিত দিন-আনা দিন-খাওয়া গরিব, প্রান্তিক, পিছিয়ে পড়া এইসব কন্যাই বরাবর দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রেখেছে। নুন আনতে পান্তা ফুরনো এই মেয়েদের দল নিখরচায় ফুটবল-কাবাডি-খোখো-ভলিবল খেলে। রাজ্য বা জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সেখান থেকে কারও কারও রুজি-রুটি জোগাড় হয়। হয় স্থায়ী কর্মসংস্থান। যদিও অনেক রাজ্যেই এখন আর স্পোর্টস কোটায় আগের মতো নিয়োগ হয় না। ঠিক এমন একটা মুহূর্তে ক্রিকেটে বিশ্বজয় করল আমাদের কন্যারা। এবার তো মেয়েদের ক্রিকেটের দাপটেই মেয়েদের ক্রীড়া এবং তার মাধ্যমে ক্ষমতায়নের নূন্যতম সাধারণ সম্ভাবনাটুকুও তছনছ হয়ে যাবে বোধহয়।

পৌলমী ঘোষ

‘ক্রীড়া’ আরক্রিকেট’ সমার্থক শব্দ নয় ক্রিকেট ভারতীয় ক্রীড়া সংস্কৃতির সফলতম উপধারা ক্রিকেটারদের সক্ষমতা, দর্শক, দূরদর্শক, পরিকাঠামো, প্রচার, মিডিয়া, স্পনসর, বাজার, জুয়া, জনতা– সব কিছু মিলেমিশে একটি জমজমাট ক্রিকেটীয় পরিসর তবে আদর্শম্যানস্ফিয়ার’ তাও মেয়েরা জোরজবরদস্তি খেলে কিন্তু ক্রিকেটীয় আভিজাত্যে গড়ে ওঠা পরিশীলিত সংস্কৃতি মেয়েদের জন্য বেমানান নিষ্প্রাণ তাদের উপস্থিতি অথচ সেই মেয়েরা ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতল মেয়েরা! কিন্তু, কে তুমি নন্দিনী আগে তো দেখিনি! রক্ষণশীলতার পর্দা না সরালে দেখা যাবে কী করে?  

মুহূর্তে গোটা দেশ আবেগ থরোথরো হয়ে উঠল! ভারতীয় মহিলা ক্রীড়ার বৃহত্তম জয় অবিভাজিত গণতন্ত্রের জয় ভারতলক্ষ্মীর বন্দনা অভূতপূর্ব উত্থান আর তার উদযাপন কিন্তু এত বিশাল বিজয়কাব্য কোথাও যেন ফেমিনিন কনট্রাস্টে ক্লিশে হয়ে যাচ্ছে জয়ের মাহাত্ম্য ম্যাড়মেড়ে হয়ে যাচ্ছে নারীর প্রথাভাঙা কৃতকর্মের শ্রেষ্ঠতম সাফল্যে যেন না-পারারই কথা ছিল মেয়েমানুষের জয় এক অপার বিস্ময়! ‘মেয়েদের জয় মেয়েদের জয়’ বলে ঘ্যানঘ্যান করতে করতে চিরায়ত পিতৃতন্ত্রের প্রতি প্রচ্ছন্ন সম্ভ্রমটা বোধহয় থেকেই যাচ্ছে সেইসঙ্গেই আতঙ্ক, আশঙ্কা আর অনিশ্চয়তার উঁকিঝুঁকি ‘‘জয় রে তবু ভয় কেন তোর যায় না’’ 

বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল

হ্যাঁ, এই জয় ভয়ের এই জয় হয়তো-বা ক্ষয়ের বছর দশেক আগের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল একটি ভারতীয় পরিবার তার কন্যাদের জন্য গানকেই সবার আগে প্রাধান্য দেয় তার পরে নাচ এবং ফাইন আর্টস চারটি পছন্দের একেবারে শেষে খেলা ওই সমীক্ষারই পরবর্তী অংশে আটটি খেলার মধ্যে বাবা-মা-দাদু-দিদা-দাদা এবং বয়ফ্রেন্ড, তাদের কন্যা, নাতনি, বোন এবং বান্ধবীর জন্য পছন্দ অনুযায়ী আটটি খেলার ক্রম নির্মাণ করে সেই ক্রমের শীর্ষে ছিল ক্রিকেট এবং সপ্তম ও অষ্টম পছন্দে কাবাডি ও ফুটবল সমান সমান এক দশকে এই প্রবণতার রদবদল হয়নি সম্ভবত এবং ক্রিকেটের এই জয় নিশ্চিত করেই কন্যার অভিভাবককে আরও বেশি করে ক্রিকেটে প্ররোচিত করবে 

প্র্যাকটিসে ভারতীয় মহিলা ফুটবল টিম

ভালো কথাতবে মনে রাখতে হবে, মুষ্টিমেয় মহিলাদের বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে সমানাধিকার অথবা সাফল্যই নারী ক্ষমতায়ন নয় সর্বস্তরের সব মেয়ের নির্বিঘ্ন যাপন, ইচ্ছার স্বাধীনতা, উপায়ের নিশ্চয়তা, নাগরিক মর্যাদা, প্রাতিবেশিক নিরাপত্তা, সামাজিক সুবিধার ন্যায্য বণ্টনেরপর দাঁড়িয়ে আছে মেয়েদের ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠা এই যুক্তিতে ক্রীড়া নারী ক্ষমতায়নের খুব মজবুত একটি উপায়। কিন্তু ক্রীড়া মানেই ক্রিকেট নয়। দরিদ্র ঘরের মেয়েরা ক্রিকেট খেলে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবে– এই মুহূর্তে এটা আরও বেশি অনিশ্চয়তার অর্থ আর সাংস্কৃতিক দৈন্যে জর্জরিত অনেক মেয়েদের মধ্যেই শারীরিক সক্ষমতা আছে অপুষ্টির অত্যাচারে লালিত দিনআনা দিনখাওয়া গরিব, প্রান্তিক, পিছিয়ে পড়া এইসব কন্যাই বরাবর দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রেখেছেনুন আনতে পান্তা ফুরনো এই মেয়েদের দল নিখরচায় ফুটবল-কাবাডি-খোখো-ভলিবল খেলে রাজ্য বা জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় সেখান থেকে কারও কারও রুজি-রুটি জোগাড় হয় হয় স্থায়ী কর্মসংস্থান যদিও অনেক রাজ্যেই এখন আর স্পোর্টস কোটায় আগের মতো নিয়োগ হয় না ঠিক এমন একটা মুহূর্তে ক্রিকেটে বিশ্বজয় করল আমাদের কন্যারা এবার তো মেয়েদের ক্রিকেটের দাপটেই মেয়েদের ক্রীড়া এবং তার মাধ্যমে ক্ষমতায়নের নূন্যতম সাধারণ সম্ভাবনাটুকুও তছনছ হয়ে যাবে বোধহয়

অ্যাথলিট নীলিমা ঘোষ

এসব ভাবনাচিন্তা নিতান্তই ডাকসাইটে দূরদর্শিতা ২০২৫ সালের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপের তালিকায় আমাদের দেশের ক্রমিক সংখ্যা ১৩১। সেখানে ক্রিকেটে মেয়েদের এই বিশাল জয়, কেতাদুরস্ত গণতন্ত্রে সমানাধিকারের পতাকা উড়াচ্ছে চূড়ান্ত তৃপ্তির ভারতকন্যারা অর্ধশত বছরের তপস্যা শেষে সর্বজন কল্যাণকর ফল লাভ করেছে এই ফলভোগের অধিকার প্রত্যেকটি ভারতীয়র বা, আরও প্রসারিত অর্থে পৃথিবীর আনাচকানাচে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দ্রোহরত প্রত্যেকটি মানুষের জন্য কিন্তু ভয় হয় এই বুঝি পুঁজিপতিরা লাভের গুড় খেয়ে যায়! ছত্রখান হয়ে যাবে ক্রীড়াশ্রিত সাম্য। ক্রিকেটে নারীরা লিঙ্গবৈষম্যের বাধা টপকে গিয়েছে। এবার তাদের এই সাফল্যে বাজার অর্থনীতি লগ্নি করবে। যেমন পুরুষদের ক্রিকেট আমাদের দেশে সর্বগ্রাসী আগ্রাসন চালিয়ে ক্রীড়া সংস্কৃতিকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে। 

ইংলিশ চ্যানেলজয়ী সাঁতারু পদ্মশ্রী আরতি সাহা

ঔপনিবেশিক ভারতে জনতার খেলা ছিল ফুটবল ভারতীয় আবেগ অনুরণিত হত ফুটবলে পাশাপাশি দীর্ঘকালীন সাফল্য ছিল হকিতে দেশজুড়ে চর্চা চলত সাঁতার, র‍্যাকেট স্পোর্টস, অ্যাটলেটিক্স, আর্চারি, বক্সিং, রেসলিং, ওয়েট লিফটিংয়ের সঙ্গে ছোটখাটো দেশীয় খেলায় গমগম করত গ্রাম-মফসসল থেকে শহুরে ময়দান; চোরাগলিও দেশের যে-কোনও প্রান্তের একই ছবি তবে কোথাও বেশি খেলা হত ফুটবল, কোথাও হকি আবার কোথাও শুধুই ইন্ডিভিজুয়াল স্পোর্টস প্রথম প্রথম এসব নির্ভর করত জলবায়ু, ভৌগোলিক পরিবেশেরপর বিশাল ভারতের প্রেক্ষিতে একটি স্বাস্থ্যকর সুষম ক্রীড়াবিন্যাস এই বৈচিত্রের একটি নিজস্বতা ছিল আন্তরিকতাও নিজেরই অজান্তে বাধ্য হওয়ার দায় ছিল না খেলোয়াড় দর্শক কর্মকর্তা কারও মধ্যেই কিন্তু বিগত সিকি শতকে ক্রীড়ার সামাজিক আবেদনটি বদলে গিয়েছে শুরু হয়েছে ক্রীড়াকেন্দ্রিক সমমনস্কতা তবে ওসব সামান্য লিঙ্গনির্ভর সমদর্শন নয় হল আরও বড় অর্থে– জাতীয়তাবোধ বলে কথা সম্মিলিত দেশপ্রেম উথলে উঠছে ক্রিকেট মাঠে হাটে-বাজারে দারুণ রমরমা খেলাটির সেও এক বিশ্বকাপ জয়ের ফলশ্রুতি তারপর থেকেই আস্তে আস্তে তৈরি হয়েছে বাজার সেই বাজারেই এখন ক্রিকেটের মাঠ, ম্যাচ, ম্যান অব দ্য ম্যাচ, জয়, পরাজয়, কূটনৈতিক ভয়, রাজনৈতিক প্ররোচনা, প্রতিভা অথবা প্রতিহিংসা– সবই বিপণনযোগ্য। ক্রিকেটের ভারতায়নে দেশীয় ক্রীড়া সংস্কৃতি মুখ থুবড়ে পড়েছে তাই বিশ্বক্রীড়ায় আমাদের অবস্থান মাঠের বাইরে ঝোপের আড়ালে ঝিঁঝি পোকার মতো নিরন্তর আর্তনাদ করে যাওয়া এতটাও ক্রীড়া নৈপুণ্যহীন ছিল না এদেশ 

রেসলার বিনেশ ফোগট

আজকে আমরা বলছি ক্রীড়াক্ষেত্রে লিঙ্গ বিভাজনের কথা মাঠের মধ্যে এবং মাঠের বাইরে সমান তালে চলছে লিঙ্গগত আক্রমণ নিশ্চয়ই শত বাধা-বিপত্তি টপকে ক্রিকেটে মেয়েরা সফল হয়েছে নিঃসন্দেহে এ এক বিশাল অর্জন সমগ্র দেশের সমগ্র জাতির অর্জন কিন্তু এ তো নতুন নয় ৫০ বছর আগে এই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল এবারও যদি কাপ অস্পর্শ থাকত, তাহলে কি সুদীর্ঘ ৫০ বছরের ভারতীয় নারীদের আত্মপরিচর্যা মিথ্যে হত? আসলে খেলাকে আমরা পাওয়ানাপাওয়ার পরিসংখ্যানে ব্যাখ্যা করছি একেই বলে আত্মপ্রবঞ্চনা বিনেশ ফোগাট পদক পায়নি সে কি সংগ্রামী নয়? মাঠের ভিতরে-বাইরে সমান লড়াই করেছেন খেলার জন্য, পরবর্তী নারী খেলোয়াড়ের নিরাপত্তার জন্য এই লড়াই তাঁদের করতে হয়েছে রাজপথে নেমে, কারণ তাঁরা প্রতিনিধিত্ব করেন একটি প্রান্তিক ক্রীড়াকে ক্রিকেটের মতো কৌলিন্য নেই রেসলিংয়ে কোনও দিন ভালো করে তাকাইনি আমরা ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের দিকে বছরের পর বছর ধরে কেউ তাদের তারিফ করুক বা না-করুক, তার পরোয়া না-করে নীরবে এক মহাসংগ্রামের উপাখ্যান রচনা করেছে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সে দুর্ধর্ষ পারফরমেন্স করেছিল এদেশের মেয়েদের হকি দল চতুর্থ স্থান টোকিও অলিম্পিক্সে মেয়েদের হকি দলের এই সাফল্য ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের থেকে অনেক বেশি কঠিন ছিল হকি ক্রীড়া বিশ্বে ব্যাপক প্রসিদ্ধ আঞ্চলিকতায় বা অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে আবদ্ধ নয় সেই নিরিখে ক্রিকেটের বিস্তার এখনও বিশ্বায়িত নয় বরং চতুর্থ হওয়া মহিলা হকি দলের সাফল্য আরও বেশি করে নারী ক্ষমতায়নের উপযোগী চতুর্থের জন্য কোনও মেডেল থাকে না তাই বলে তো চতুর্থের প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ নয়। বরং পাওয়া-না-পাওয়ার মাঝে চতুর্থই জীবনের কঠিন বাস্তবতা। পি টি ঊষাও চতুর্থ হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ট্র্যাকে একশো বছরে মেয়েদের ইন্ডিভিজুয়াল ইভেন্টের সাফল্যও কিন্তু নারী ক্ষমতায়নের সূত্র ইলা মিত্র, নীলিমা ঘোষ, মেরি ডিসুজা, আরতি সাহা, সাইনি আব্রাহাম, মেরি কম– এঁরা কেউ কম নন এদেরকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে দেশজুড়ে নারী ক্রীড়ার সিরিয়াস চর্চা হয়েছে তৈরি হয়েছে পোক্ত ক্রীড়া পরিসর পাশাপাশি র‍্যাকেট স্পোর্টসেও একটি মজবুত ধারাবাহিকতা আছে যদিও এটা একক অর্জন কারণ এর নেপথ্যে বিপুল আর্থিক যোগান উচ্চবিত্ত পরিবার ছাড়া অসম্ভব 

ভারতীয় মহিলা হকি টিম

পাঞ্জাব, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, পশ্চিমবঙ্গের মতো ভারতের নানা রাজ্যে বেশ কিছু প্রান্তিক অঞ্চলে নিয়মিত মেয়েদের ক্রীড়ার আয়োজন করা হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায় খানিক বিনোদন হিসাবেই নেওয়া হচ্ছে। হয়তো এতে সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের তেমন কোনও সুরাহা হচ্ছে না আবার মেয়েদের সত্যিকারের অধিকার কায়েম করাও যাচ্ছে না তবু এটাই সামাজিক সুস্থতা বহু কাশ্মীরি কন্যার জীবন বদলে গিয়েছে এই ক্রীড়া বিনোদনের বলিষ্ঠ স্পর্শে তার সব থেকে বড় নজির আফসান আসিক আর এর সঙ্গে বেশ কিছু অঞ্চলে প্রশাসনিক সক্রিয়তা সংযুক্ত হয়ে তৈরি হচ্ছে ব্যারিকেড সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নারী পাচার কমছে প্রান্তিক অঞ্চলের কিশোরী বিয়ে বন্ধ হচ্ছে ছোট ছোট মেয়েরা স্কুলমুখী হচ্ছে  আমাদের রাজ্যের নানা জেলায় প্রশাসন সামাজিক পরিচর্যায় মেয়েদের ছোট-বড় নানা ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করছে এই সংস্কৃতিই নারী ক্ষমতায়নের বাতায়ন তৈরি করবে

ভারতীয় পতাকা নিয়ে বক্সার মেরি কম

তাই এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় নারী ক্রীড়া খুব একটা সন্তোষজনক অবস্থায় না থাকলেও, আমাদের সমাজ প্রবণতায় দাঁড়িয়ে এই পরিস্থিতি মন্দ নয় তার উপর ক্রিকেটে মেয়েদের এই বিশ্বজয় বেশ খানিকটা আশাজাগানিয়া তবে এই জয় আগামী ক্রীড়া-সংস্কৃতির জন্য ত্রিভঙ্গ মুরারি প্রথমত খেলার মাঠের লিঙ্গ বিভাজনকে ব্যঙ্গ করেছে দ্বিতীয়ত ক্রীড়ায় মেয়েদের, তাদের পরিবার এবং বৃহত্তর জনতাকে উৎসাহিত করছে বা করবে তবে তৃতীয়টি বড় সংশয়ের এই জয় কি বাজার অর্থনীতিতে আত্মনিবেদনের? নারী ক্রিকেটবাজারি’ হলে নারী ক্রীড়ার মধ্যে ক্ষমতায়নের যেটুকু সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, সেটুকুও চাপা পড়ে যাবে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে সামাজিক সংস্কারের নির্ভরযোগ্য হাতিয়ারটিও