old para photo studios back in light because of sir in west bengal
পাড়া স্টুডিওর ক্ষণিকের নবজাগরণ
Published by: Robbar Digital
Posted:November 20, 2025 4:51 pm
Updated:November 20, 2025 7:27 pm
হইহই কাণ্ড। রইরই ব্যাপার। এই যে অনেককাল ধরে, পাড়ার নানা প্রকার ‘কল্পনা’, ‘ছবিঘর’, ‘পিয়ালি স্টুডিও’ গোছের নানা স্টুডিও ছিল ফোটো তোলার, তারা ঝিমিয়ে পড়েছিল। হঠাৎ জেগে উঠেছে। গত দশ বছরে এহেন কাজের চাপে পড়েছে কি না, সন্দেহ! আজ ছবি তুললে, ডেলিভারি নাকি সাত দিন বাদে! বোঝো কাণ্ড! পাড়ার স্টুডিওর এই ক্ষণিকের নবজাগরণে পুরনো-নতুন দিনের স্মৃতি মিলেমিশে আজকের ককটেল।
শুভময় মিত্র
জেন ঝি, জেন বু-হা কেউ তেমন লাফাচ্ছে না কিন্তু! আমি নজর রেখেছি। তীরেও নাহি পারেও নাহি, যে জন আছে মাঝখানে-রা, জেন এম-এর মধ্যে কেউ কেউ যথেষ্ট চিন্তিত! ‘জেন এম’ বলতে মধ্যবিত্ত, মিডিওকার, মিন মাইন্ডেড, ম্যাদামারা। করিৎকর্মারা হুড়মুড় করে এসে পড়া আতঙ্কের প্রতিমূর্তি ‘স্যার’কে আগেই সালটে নিয়েছে। এদের সব আছে। অনেকেই নাকি স্যাট করে অনলাইন ফর্ম সাবমিট করে দিয়েছে, ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া’টা এরা জানে। গাঁইয়া মার্কা কাগজ-ফাগজ এরা দেবেই না! ওকে, এরা কিন্তু ‘ক্যাপিটাল এম’। মডার্ন। ফুল মার্ক্স। কাল নয়। জাগুয়ার থেকে জলজিরা– স্বচ্ছন্দে পারচেজ করতে পারে ফোনে। ওকে, এক্সট্রিম উল্টোদিকের ক্রাউডটা দেখেনি। শীত-গ্রীষ্ম নির্বিশেষে ফুটপাথের জল ফাউন্টেনে মাথা থেকে পা পর্যন্ত দামড়া বের সাবান ঘষে যে গায়ের রং নিত্য পরিষ্কার করে ফেলে, তার কোনও হেলদোল নেই। ‘কী রে ছোটু, তোকে নাকি বাইরে পাঠিয়ে দেবে?’ আমার থেকে অনেক বেশি খবর রাখা, সেয়ানা, ঢের বেশি বাঙালি সে। একগাল হেসে বলল, ‘হাঁ হাঁ,বন্দে ভারত চাপিয়ে পাঠাবে তো। গাড়ি তো সেন্টারের। আমার মুলুকে তোমাদের মতো লোকগুলোকে ইলেকশনে ফুটিয়ে দিয়েছে। ওখানে এখন সব আমার মতো লোক। চলে যাবো, ভালোই হবে। সরকার টাকা ভরে দেবে, কাজ করতে হবে না।’ ‘বাংলাদেশে? ওটা ওরা পারবেই না। ভাবো, ভাবো। বিএসএফ ট্রেন ট্রাক ঠেলছে, ওদিক থেকে বিডিআর-ও ঠেলছে। কেউ নেবে না। কিন্তু কতদিন ঠেলবে?’ ‘শোনো, আগের লোককে ফেরত এনে ওরা ফাঁসি-টাসি দিক, অনেক কাজ, তারপর তো! ভুল সে তো, শুরুতেই। মনে আছে, সেই যে একবার ইন্ডিয়ান আর্মি গিয়েছিল, সব ঠান্ডা করে এসেছিল? আবার হবে। অপারেশন লাঙ্গুর। বাংলার ওই দেশ উপচে উঠবে ভরা বাঁদরে। বোম ফোম নষ্ট করবে না। ব্লুপ্রিন্ট রেডি। এখান থেকে পোলি পার্টস যাবে, ওখানে জুড়ে ঠিকঠাক গরমেন বসিয়ে দেবে।’ আমাদের পাড়ার একমাত্র লাইসেন্সধারী পাগল এমবিএএ ভবানন্দ এসব শুনে দৌড়ে এসে সাবান মাখা ছোটুকে জাপটে ধরে নিজেও ভিজে একশা হতে হতে বলতে লাগল, ‘আমাকে নিয়ে চল, এবারে নিয়ে যেতেই হবে কিন্তু, কতদিন ধরে শিমূলতলা যাবো ভাবছি।’
পাড়ার ফোটো স্টুডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড
কিছুদিন আগে শোনা যাচ্ছিল, এই রকম শীতের সময়, এয়ারপোর্টের প্রথম গেটের লম্বা লাইনের পাশে কফির কাপ নিয়ে লোক এসে অপেক্ষা করা প্যাসেঞ্জেরদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলছিল, কফি। ওড়ার আগে উড়ুউড়ু মনে অনেকেই ধরে নিচ্ছিল, এয়ারলাইন্স ফ্রিতে দিচ্ছে সকালে। না। দিলেই নিতে হবে? এদিকে কাপে চুমুক পড়ে গিয়েছে। সকাল সকাল চেঁচামেচি কেউ করেনি। ঠিক এইরকম কিছু লোককে এখন দেখা যাচ্ছে একটা লাইনে। ছবির দোকান, মানে স্টুডিও বা প্রিন্টিং হয় যেখানে তার সামনে। ফর্মে নিজের সাম্প্রতিকতম বদনচিত্র সাঁটতে হবে। পাশেই রয়েছে মুছে যাওয়া দিনগুলির ক্রিমিনালগন্ধী ঝাপসা গ্রে কালো ছবি। এখানে কেউ কেউ এসেছে ছবি তোলাতে। অন্যেরা করাতে। ওই লোক ঘুরছে কোনও বদ মতলবে নয়। ছবি ক্যামন চাই, বুঝিয়ে দিচ্ছে। সরকারি ফরমানের ছবির ব্যাপারে লাইনে অনেকেই নতুন। বেশ কয়েক বছর ধরে মহানন্দে আত্মচিত্ৰরতির অভ্যেস হয়েছে মানুষের। নিজের মুখের নরমাল ছবির অভ্যেস চলে গ্যাছে। অতএব, বেশ চলছিল, আমি আর নেইকো আমির ফুর্তিগুলো। বিভিন্ন আঙুলের মুদ্রা কম্বিনেশন মুখের লেদারে চিপকে বহুত মজা হচ্ছিল। কিন্তু হেড SIR ওসব নেবে না। ভুল চরিত্রের ছবি সেঁটে দিলে বাঘাযতীনের প্রথম বাঘকে পর্যন্ত রোহিঙ্গা করে দেবে। এই প্র্যাকটিকাল সত্যিটা বুঝিয়ে বলার জন্যই পরোপকারী কিছু লোক ঘুরছে। সবাই যে কিছু জানে না, তা নয়। কানে এল, ‘দু-পাঁচ টাকা চাইলে দিয়ে দে, ফর্ম ফিলাপ করিয়ে নে, কপি রেখে, ভুলেও ওটিপি দিবি না, উজাড় করে সব মেরে দেবে।’ সরকারি কোনও কিছুকে বিশ্বাস করতে লোকে ভুলে গিয়েছে। সরকারও পাবলিককে ট্রাস্ট করে না। এখানে তো এসব হওয়াই স্বাভাবিক।
সূত্র: ইন্টারনেট
পাসপোর্ট, আইডি কার্ডের মতোই ছবি তোলা হচ্ছে। স্টুডিও মালিক নিয়মকানুন জানেন। চিন্তার কিছু নেই। ডিজিটাল ক্যামেরা। ইনস্ট্যান্ট ছবি। মুখের ব্রণ বা অকাল বার্ধক্যের দুর্ভাগ্যকে গুলিয়ে দেওয়ার অনুরোধ আসছে কিছু, লাভ হচ্ছে না। ‘কাউন্টারে পেমেন্ট করে মাল নিয়ে নেবেন, নে-এ-ক্সট।’ আপন চিত্রসত্তা ক্ষণিকের জন্য ডিজিটাল অপারেশন থিয়েটারে উঠছে যদিও। এক দাগ ফরসা করে মানুষটার পশ্চাৎপট সম্পূর্ণ মুছে দিয়ে মাপে ফেলে এক ছবিতেই অনেকগুলো দরকারের স্ট্যাম্প ছবি বেরিয়ে আসছে প্রিন্টার থেকে। সে ছবি দেখে কেউই নিজেকে চিনতে পারছেন না। ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে ফেলার ভীষণ দরকার যে এখনই, অনেকের কাছে। এনিওয়ে, এটা অশান্তির সময় নয়। ছোট প্রিন্টারে প্রিন্টের সময় একটা ব্যাপার দেখতে পেলে শিহরিত হতে হচ্ছে। হাড়ে হাড়ে চেনা আজ অতীত। বিন্দু বিন্দু রঙিন কালিতে গড়ে উঠছে সাম্প্রতিক এক আমি। এই অমিকে স্ক্যান করে বুঝে নেবে রাষ্ট্র।
ছবিটি প্রতীকী
ছবি পছন্দ নয়? মনে আছে, এককালে বিয়ের জন্য ছবি তোলানোর সময় কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হত? সাদা-কালো ফিল্মের আমলের ঘটনা। ছবি তোলা হয়ে গেলে নেগেটিভ তৈরি করে আর্টিস্ট আসল কাজে বসতেন। আলতা লাল, কিন্তু স্বচ্ছ একটা কালি মাখাতেন মুখের জায়গায়, সাবধানে, তুলি দিয়ে। পরতে পরতে লালের ঘনত্ব বৃদ্ধি হত। যত কালো মানুষ, তত জোরালো লাল ফিল্মের ফেস মাস্ক। এনলার্জারে চাপিয়ে এক্সপোজ করে প্রিন্ট ডেভলপ করলেই দেখা যেত মুখটা মোটেই পান্তো নয়, ক্যামন বেশ জ্যান্ত ফ্যাকাসে হয়ে উঠেছে। জানেন এই পমেটমের কথা? চোখের মণিকে কালো ফটো-ইন্ক্ দিয়ে রিটাচ করে হরিণ কালো করে দেওয়া হত অবলীলায়। এসব মোটেই আইন বিরুদ্ধ ছিল না। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে ফোটোগ্রাফার এইসব কারসাজিতে এমন একটা চেহারা বানিয়ে ফেলতেন যে, সম্ভাব্য পাত্র, তার গুষ্টির সবার লোলুপ দৃষ্টিতে সেই ছবি মাপজোক করে, মেয়েটা বাড়িতে বউ হয়ে এলে বাড়ির সম্মান থাকবে কি না, বুঝে নিত। বেশ নির্লজ্জভাবে। এই পোর্ট্রেট জরিপটা চলত। আপাতত ছবি নয়, তার পাশের বাক্সে ভরার উপযোগী কিছু সংখ্যা, অক্ষর দিতে হবে। মিললে ভালো। না মিললে কী, সেটাও স্পষ্ট নয়। যাই হোক টেনশন চলছে, ফোটো উঠছে দেদার। এইসব ছবিও দেখা হবে সেই ওই একই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। চেকারদের সকলেই নাকি সরকার।
‘ভালোবাসি পর পর মিছে কথা বলতে, ভালোবাসি টুপি দিয়ে বুদ্ধু বানাতে, ভালোবাসি চান্স পেলে ব্যাঁকা ছুরি শানাতে… তবুও কিছুই যেন ভালো যে লাগে না ক্যানো।’ আজকে হলে এটাই হত গৌতম বুদ্ধের বাণী।
ফোনে ছবি তুলে সঙ্গে সঙ্গে দেখে, সাংঘাতিক ব্যাপার, খুব খুশি হয়েছিলাম আমরা। প্রধানত স্বাধীনতার আনন্দে। কাউকে তোয়াজ করা নেই, একনয়া পয়সা খরচ নেই। নিজে একবার তুলে ফিল্টার চাবকে কিছু একটা, চপ-ফ্রাই-বেগুনি-ধোকলা করে ভূতবুকে চিপকে দিলেই খ্যালা শুরু। লাখো অচেনা লোক প্রশংসা করছে, স্রেফ মুখের ছবি দেখে, বেশ কেটে গিয়েছিল কয়েকটা বছর। একই কাজ সবাই করে যাচ্ছিল। ফেকোৎসবে মেতে উঠে অন্যের পিঠ চুলকে দিতে দিতে একটা মুশকিল হয়ে গেল। চামড়া উঠে শিরদাঁড়া বেরিয়ে পড়ায়… ওকে, ওসব থাক, ডিজিটাল গন্ডারের চামড়া লাগানোর ব্যবস্থা তো রয়েছে। আজকাল বোধহয় ব্যাপারগুলো একটু থমকে গিয়েছে। সেই আগের মতো, কাজ হচ্ছে না বিশেষ। তাই বলে জনগণ সুড়সুড় করে আবার স্টুডিওমুখী হবে বা হচ্ছে, সৎ, স্বাভাবিক ছবি চাইবে কি না, আমার জানা নেই। হুল্লাট হ্যা-হ্যা। বলে কী জানেন, আমি একটু ছবি তুলতাম, এখন তুলি না আর। অন্তত কেউ বললে তুলে দিই না। দেখামাত্র একটাই কথা, আমাকে মোটা লাগছে। ‘‘নিজেই নিজের গালে দু’-থাপ্পড় মেরে ছবি তোলো, ঠিক হবে’– এসব তো বলা যায় না। আমার মতো অপমানিত ফোটোগ্রাফার খুব খুশি। স্যার-এর দাপটে এই মনুষ্যেতর জীবগুলো খুব জব্দ হচ্ছে এখন সেটা ধরে নিয়ে কুমড়ো বদনকে চিচিঙ্গে বানালে ওই সেই– রোহিঙ্গা করে দেবে। বেশ হয়েছে।
ছবিটি প্রতীকী
রাগ রাগ কথাবার্তা হচ্ছে! কী দরকার। এখন ভাবতে ভালো লাগছে যে, একসময় মিনার-বিজলী-ছবিঘরে নাইট শো দেখার মত স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তোলানোর সময়টা বোধ হয় আমার টাইপ জেন ওপিডিদের কাছে অনেক শান্তির ছিল। মেট্রোপলিসে একরকম যা হোক হলি-বম্বি হত কিছু একটা। আসল আনন্দ ছিল অধুনালুপ্ত গ্রামের বা শহরতলির চিত্র গৃহে। তাজমহলের সামনে (যেহেতু ছবি তোলা হচ্ছে) কোটপ্যান্ট পরে একটা বাজে টুলের ওপর এক পা তুলে দাঁড়াত সিঙ্গল পুরুষ। দোকা হলে সে নিজে চেয়ারে বসবে। মহিলা শাড়িতে প্যাক করা, ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবে পাশে। ঠাকুরবাড়ি হলে ব্লাউজে একটু শেলি-বায়রন। এখন এসব করলে জেন-খ এমন ট্রোল করবে যে, হেলমেট ছাড়া বাজারে যাওয়া যাবে না। ওকে, আমার হবে কোনও ঠাকুরদা-দা-দা, তার ছবি আজও আমাদের বাড়িতে আছে। মলিন ধুতি আর বরকন্দাজের সেকেন্ড হ্যান্ড চাবকান পরা অ্যাপিয়ারেন্স। ডুমো ডুমো বোতাম পেরেক মারা চামড়ার সিংহ চেয়ারে বসে আছেন। না, কিংখাব, গুপ্তি, বাঘছাল নেই। আছে মার্বেল বিছানো কক্ষে একসেমি স্বচ্ছ সেক্সি হাফ উড়ন্ত পর্দা, যার আড়ালে কিছুতেই লুকনো যাচ্ছে না চন্দ্রালোকিত হস্তিনাপুরের (যুদ্ধপূর্ব) নিসর্গ। সেখান দিয়ে ইনগ্রিড বার্গম্যান, অপর্ণা সেন না হলেও, ছায়াদেবী মুখ বের করলেও তো পারতেন। তখন আমাদের বাড়ির একমাত্র ক্যামেরা মালিক আমার কাকা বলেছিল, ‘এই পশ্চাৎপট হাতে আঁকা, সাংঘাতিক স্কিল বুঝলি, এর নাম সস ফিনিশ।’
আশ্চর্য অদ্ভুত সব স্টুডিওর দিনকাল আর ফিরবে না হয়তো। সূত্র: ইন্টারনেট
এইবারে যেটা কিছুতেই বলা হচ্ছে না, আমি সেই গল্পটা বলবই বলব। আমার স্কুলের বাল্যবন্ধু (এখনও আছে, আমাকে ত্যাগ করেনি) এই মুহূর্তে সর্বত্র বেজায় সম্মানিত, ন্যাশনালি ইম্পরট্যান্ট লোক। কাগজে নাম বেরয় কিন্তু আজকের ছ্যাবলা কোনও মিডিয়া তাকে আজ পর্যন্ত পেড়ে ফেলতে পারেনি। না না, তর্ক যাত্রার আসরে তাকে দেখা যায় না। এগেইন, মনে করিয়ে দি’, আমার ফ্রেন্ড! কীভাবে সে এই উচ্চতায় পৌঁছল তার একটি সূত্র আমার কাছেই সম্ভবত রয়েছে। এটি স্টুডিও ফোটোগ্রাফির ব্যাপার। তার মা একদম খুদে বয়স থেকে কয়েক মাস অন্তর স্নেহের পুত্রের প্রচুর ছবি তোলাতেন পাড়ায় রাস্তার উল্টোদিকের স্টুডিওতে। তাসের চেয়েও ছোট, সাদা-কালো ছবি। সেই ছবিগুলো অত্যন্ত যত্ন করে খোপ খোপ গ্রিডে সাজিয়ে বাঁধিয়ে রাখতে দেখেছি। একই জায়গা, একই বসার টুল। প্রথম দিকের ছবিগুলোয় পা ঝুলে থাকত। পরে টুলের ক্ষয়ে বা অন্য কারণে পা মাটিতে ঠেকে যায়। এই কালেক্টিভ অ্যালবামটা ঝুলত ওদের বাড়ির সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে। ফুলপ্যান্ট ধরার পর কোনও ছবি নেই। কারণ সে নিশ্চয়ই রাজি হত না আর। সেই বয়সেই হয়তো বুঝে গিয়েছিল যে, একটা সামান্য ছবি ভবিষ্যতে একজন মানুষের প্রচুর ডাটা ফুটপাথে বিছিয়ে দেবে। যার কোনও দরকার নেই। অনুচিত। ওয়েল, একবার জিজ্ঞেস করা যেতেই পারে। বললে, আমার না বললেই হল। হ্যাঁ হ্যাঁ, আমার স্কুলফ্রেন্ডের পা এখনও ফাটিয়ে, মাটিতেই আছে।