Robbar

আশ্রমের কর্মকাণ্ড থেকে বাঁচতে কখনও কখনও সুরুলের নির্জনতায় আশ্রয় নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ

Published by: Robbar Digital
  • Posted:November 23, 2025 12:19 pm
  • Updated:November 23, 2025 7:47 pm  
for inner peace rabindranath started living in surul

১৯২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ‘পল্লি উন্নয়ন কেন্দ্র’ স্থাপিত হয় সুরুল কুঠিবাড়িতে। এ কাজে রবীন্দ্রনাথের প্রধান সহায় ছিলেন লেনার্ড এলমহার্স্ট, কালীমোহন ঘোষ। এলমহার্স্ট ছিলেন প্রথম সচিব। তাঁর বান্ধবী ডরোথি স্ট্রেটের অর্থসাহায্য শ্রীনিকেতন গড়তে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল। কৃষিখামার, ডেয়ারি, ট্যানারির কাজ দিয়ে শ্রীনিকেতন প্রকল্প শুরু হয়। তারপর ক্রমশ শুরু হয় ব্রতীবালক দল, ডাক্তারখানা, বালিকা বিদ্যালয়।

শ্রীলা বসু

১১.

শান্তিনিকেতন আশ্রমের ২০ বিঘা জমি দেবেন্দ্রনাথ মৌরসিপাট্টা নিয়েছিলেন ১৮৬৩ সালে, রায়পুরের ভুবনমোহন সিংহের কাছ থেকে। আর রায়পুরের সিংহদের কাছ থেকেই সুরুল কুঠিবাড়ি কিনে নেন রবীন্দ্রনাথ ১৯১২ সালে। বাড়িটি আদতে ছিল রেসিডেন্ট চিপ সাহেবের কুঠি। জন চিপ ছিলেন রাঢ় অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একজন প্রধান মানুষ। এ অঞ্চলের রেশম, নীল ও গালা চাষের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িত। চিপের উদ্যোগে যে-অর্থনৈতিক বলয় গড়ে উঠেছিল, সুরুলের সরকার পরিবার বা রায়পুরের সিংহ পরিবার তা থেকে লাভবান হয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ১৯১২-র বিলেত ভ্রমণের সময় খবর পান যে, এই বাড়িটি সিংহরা বিক্রি করতে চান। নরেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহের সঙ্গে আট হাজার টাকায় বাড়ি বিক্রির কথা হয়। যদিও কাগজপত্রে লেখাপড়া তাঁর ভাই সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহের সঙ্গে হয়। রবীন্দ্রনাথ এই বাড়িটি রথীন্দ্রনাথের কথা ভেবেই কিনেছিলেন, সেকথা সন্তোষচন্দ্র মজুমদারকে লেখা চিঠিতে পাওয়া যায়।

‘রথীর জন্য জমি সংগ্রহ করে বাড়ি ও ল্যাবরেটরি তৈরি করিয়ে বাগান প্রভৃতি করতে বিস্তর খরচ পড়বে এবং সে খুব সম্ভব আমার সাধ্যাতীত হবে এই জন্যেই আমার আর্থিক দুর্গতি সত্ত্বেও এই বাড়ি কিনে ফেলতে হল।’ 

রথীন্দ্রনাথ সেই সময় থাকতেন প্রধানত শিলাইদহে। ১৯০৯ সালে বিদেশ থেকে কৃষিবিজ্ঞানের পাঠ শেষ করে রবীন্দ্রনাথ সেখানেই তাঁর গবেষণাগার তৈরি করেছিলেন। তাঁদের দাম্পত্য জীবনের পক্ষে সেই সময়টি স্বর্ণযুগ। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ বিদ্যালয়ের কাজে তাঁকে বোলপুরে ডেকে নিলেন। কিছুটা দুঃখ নিয়েই রথীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে চলে আসেন। ১৯১২-তে রথীন্দ্রনাথের জন্য বাড়ি কেনার কথা থেকে মনে হয়, আগে থেকেই তো শান্তিনিকেতনে রথীন্দ্রনাথের কর্মক্ষেত্র প্রস্তুত করছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

সুরুল কুঠিবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ

কেনার সময় বাড়িটি বাসযোগ্য ছিল না। মেরামতির পর ১৯১৪ সালে বাড়িটির গৃহপ্রবেশ হয়। রবীন্দ্রনাথ, রথীন্দ্রনাথ ও প্রতিমা দেবী ১৯১৪ সালে বেশ কিছুদিন সুরুল কুঠিবাড়িতে ছিলেন। সুরুলে রথীন্দ্রনাথ-প্রতিমা দেবী নতুন সংসার পেতেছেন। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, 

‘কবি সেখান হইতে প্রায় প্রতিদিন অপরাহ্ণে শান্তিনিকেতনে আসেন গোরুর গাড়ি করিয়া। শ্রীনিকেতন ও শান্তিনিকেতনের মাঝে যে পাকা রাস্তা আজ দেখা যায়, তখন তাহার কিছুই ছিল না। অত্যন্ত ভাঙা মেঠোপথ দিয়া গোরুর গাড়িতে যাওয়া-আসা করিতে হইত ৷ বেণুকুঞ্জের খড়ের ঘরে থাকেন দিনেন্দ্রনাথ, সেখানে সন্ধ্যায় গানের আসর জমে। গীতালির নূতন গান যেদিন যা লেখা হয় কবি সন্ধ্যায় আসিয়া দিনেন্দ্রনাথকে তাহা শিখাইয়া যান। কবি সুর দিতে দিতে গান রচনা করিতেন; সমগ্র গানটিতে রূপ ও সুর স্পষ্ট হইয়া উঠিলে সেটি কাহাকেও না দিতে পারিলে কবি বিব্রত হইয়া পড়িতেন। দিনেন্দ্রনাথ প্রভৃতি কেহ কাছে না থাকিলে যাহার কণ্ঠে সামান্য সুর আছে তাহাকেই শিখাইয়া দিতেন।’

সুরুলে থাকাকালীন ‘গীতালি’র গানগুলি লেখা হয়, প্রচুর চিঠিও লেখা হয় এ সময়ে। কিন্তু সুরুল ও তার পাশের গ্রামগুলি ছিল ম্যালেরিয়ার ডিপো। রথীন্দ্রনাথরা দু’জনে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। তাঁরা হাওয়া বদলাতে চলে যান পুরী। রবীন্দ্রনাথ সে সময় দেহলিতে একলা থাকতেন। রবীন্দ্রনাথ মানসিক অবসাদে কষ্ট পাচ্ছিলেন, তা রথীন্দ্রনাথ ও প্রমথ চৌধুরীকে লেখা চিঠি থেকে জানা যায়। মৃত্যু আকাঙ্ক্ষা তাঁকে তাড়িত করেছিল, সেকথাও জানাচ্ছেন। পরে, সুরুলে থাকাকালীন তিনি ‘ফাল্গুনী’ এবং ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাসের অনেকখানি লিখেছিলেন। 

আশ্রমের কর্মকাণ্ড থেকে বাঁচতে কখনও কখনও রবীন্দ্রনাথ সুরুলের নির্জনতায় আশ্রয় নিয়েছেন, একথা রবীন্দ্র-জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখছেন। আশ্রমিক প্রভাতচন্দ্র গুপ্ত লিখেছেন তিনের দশকের শেষে কোনও এক সময়ের কথা। রবীন্দ্রনাথের তখন বিজ্ঞানের বই পড়ার ঝোঁক চেপেছিল। ‘শান্তিনিকেতনে থাকলে লোকজনের আনাগোনাতে পড়াশোনার ব্যাঘাত হয়, তাই পালিয়ে গেছেন শ্রীনিকেতনে এবং তেতলার একটি নির্জন ঘরে নিয়েছেন আশ্রয়’– লিখেছেন ‘রবিচ্ছবি’ বইতে। 

সুরুল কুঠিবাড়ি, লক্ষ্মীশ্বর সিংহের ডিজাইন করা আসবাব

এই বাড়িটি আজও রবীন্দ্রনাথের গ্রাম পুনর্গঠন ভাবনা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের প্রধান কেন্দ্র। দেশগঠনের প্রকল্প নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ভাবছেন অনেক দিন ধরেই। শিলাইদহ থেকেই তার সূত্রপাত। শুধু ভাবনা নয়, কাজেরও। সেখানে গ্রামের রাস্তা সংস্কার, চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা, বয়ন বিদ্যালয় স্থাপন ইত্যাদি কাজ করেছেন তিনি। ‘দেশ’ বলতে যে শুধু শহর কলকাতাকে বোঝায় না, তখনকার শিক্ষিত ভদ্রলোক বাঙালির, এই ধারণাটি রবীন্দ্রনাথ বারেবারেই খণ্ডন করতে চেয়েছেন। দেশের আইডিয়া কল্পনা করে তার বন্দনা ছিল রবীন্দ্রনাথের অপছন্দ। ছাত্রদের তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে, দেশমাতৃকা হিমালয়ে বসে বীণা বাজাচ্ছেন এমন ‘ধ্যান করা নেশা করা মাত্র’। দেশমাতৃকা আসলে রুগণ প্লীহারোগীকে কোলে করে পানাপুকুরের ধারে গ্রামে বসে রয়েছেন– ছাত্রদের প্রতি সম্ভাষণ ভাষণে সেকথা বলছেন রবীন্দ্রনাথ। যা পরে ‘আত্মশক্তি’ বইয়ে প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ দেশের মাটিতে, দেশের গ্রামে কাজ করা মানুষ। যদিও তাকে আমরা দীর্ঘদিন ‘গজদন্ত মিনার বিলাসী’ কবি বলেই জেনেছি। 

১৯২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ‘পল্লি উন্নয়ন কেন্দ্র’ স্থাপিত হয় সুরুল কুঠিবাড়িতে। এ কাজে রবীন্দ্রনাথের প্রধান সহায় ছিলেন লেনার্ড এলমহার্স্ট, কালীমোহন ঘোষ। এলমহার্স্ট ছিলেন প্রথম সচিব। তাঁর বান্ধবী ডরোথি স্ট্রেটের অর্থসাহায্য শ্রীনিকেতন গড়তে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল। কৃষিখামার, ডেয়ারি, ট্যানারির কাজ দিয়ে শ্রীনিকেতন প্রকল্প শুরু হয়। তারপর ক্রমশ শুরু হয় ব্রতীবালক দল, ডাক্তারখানা, বালিকা বিদ্যালয়। এলমহার্স্টের পর সন্তোষচন্দ্র মজুমদার ও তারপর রথীন্দ্রনাথ শ্রীনিকেতনের দায়িত্ব নেন। 

জীবনের শেষ পর্বে রবীন্দ্রনাথ কখনও কখনও যেন এক অভিমান নিয়েই সুরুলে চলে গিয়েছেন। বাস করেছেন তেতলার ঘরে, যেটিকে এখন ‘কবিকক্ষ’ বলা হয়। রবীন্দ্রনাথের প্রধান অভিভাবিকা প্রতিমা দেবী এতে খুবই বিপন্ন বোধ করেছেন। মৈত্রেয়ী দেবীর কাছে অনুযোগ করেছেন তা নিয়ে। মৈত্রেয়ী দেবী লিখছেন–

‘স্টেশনে প্রতিমাদেবী গাড়ি পাঠিয়েছিলেন। প্রথমে সুরুলে না গিয়ে উত্তরায়ণে গেলাম। যতদূর মনে পড়ে এইবারই প্রতিমাদি কয়েকটি কথা বললেন, যেরকম কথা আমি পূর্বে শুনি নি। প্রতিমাদি বললেন, বাবামশায় কিছুদিন থেকে আমাদের সঙ্গে থাকতে চান না, এমন কি আমাদের সঙ্গে খাবেনও না এখন দুর্বল শরীরে সুরুলে থাকতে চলে গেছেন। আমাদের পক্ষে এটা একটা সমস্যা– কী করে ওঁর দেখাশোনা করব বল?’

সুরুল কুঠিবাড়িতে জওহরলালের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, ১৯৩৯

তার ঠিক আগেই রবীন্দ্রনাথ অসুখ থেকে উঠেছেন। প্রতিমা দেবীর দুশ্চিন্তা স্বাভাবিক। বিশেষত সুরুলের পরিবেশ খুব সুবিধাজনক ছিল না। মৈত্রেয়ী দেবী বোঝাতেও চেষ্টা করেছেন কবিকে অতখানি অসুখের পর একলা থাকার এই অভিযান মোটেই সমর্থনযোগ্য ছিল না। এবং একদিন নয় কয়েকবারই এ বিষয়ে কবির সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে।

‘‘দুপুরবেলা যখন সুরুল পৌঁছলাম তখন রৌদ্র প্রখর। শান্তিনিকেতন থেকে সুরুলে লালমাটির পথ দিয়ে ধুলো উড়িয়ে গাড়ি চলল। বৃক্ষরোপণ করে করে এখনকার শ্যামল শান্তিনিকেতন যাঁরা দেখছেন তাঁরা সেদিনকার ছবি বিশ্বাস করতে পারবেন না। রুক্ষ জমি প্রথম সূর্যতাপ ধরে রেখে শীতকালের দ্বিপ্রহরকেও তপ্ত করে রেখেছে। এখানে ইলেকটিক নেই সন্ধ্যায় লণ্ঠন জ্বলে। ওই আলোকে উপেক্ষা করে ঝাঁকে ঝাঁকে রক্তলোলুপ মশা মানুষকে পাগল করে দেয়। কবি বসে থাকেন ‘lemon grass oil’ নামে একটা তেল মেখে।’’

মৈত্রেয়ী দেবী তাঁর ‘কুটিরবাসী রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থে আরও খুঁটিয়ে রবীন্দ্রনাথের সুরুল বাসের কথা লিখেছেন। তিনতলার ঘর, টিনের ছাদ, তেতে আগুন। সেকথা শুনে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, বৈশাখের দুপুরবেলায় কি জ্যোৎস্না আশা কর? মৈত্রেয়ী দেবী– যিনি রথীন্দ্রনাথ-প্রতিমার দূত হয়ে গিয়েছিলেন, তিনি রবীন্দ্রনাথকে বোঝার বহু চেষ্টা করেন, এমনকী, এ-ও বলেন যে, অসুস্থ প্রতিমা দেবী বা রথীন্দ্রনাথের পক্ষে বিষয়টি ‘unfair’ হচ্ছে না কি? এর উত্তরে রবীন্দ্রনাথ রুদ্রমূর্তি ধারণ করে যা বলেন, তা মৈত্রেয়ী দেবী লিখে গিয়েছেন,

“এইবার তাঁর শান্তভাবটা অন্তর্হিত হল, টেবিলের উপর কলমটা ফেলে দিয়ে উনি চেয়ারে হেলান দিয়ে সোজা হয়ে বসলেন। তারপর তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে বললেন, ‘unfair! তুমি মনে করো আমি unfair হয়েছি? ওরা আমার প্রতি unfair হয় নি?’ আমায় বিস্ময়াভিভূত দেখে উনি বলতে লাগলেন, বলতে পারো আমার আশ্রমের মধ্যে ওরা রাজবাড়ি বানাল কেন? ওরা যদি কলকাতায় বা পতিসরে বানাত আমার বলার কিছু ছিল না, কিন্তু আমার আশ্রমে কেন? এখানে আমি একটা পরীক্ষা করছি আমার আদর্শে বিশ্বাস করে, আমার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে কত জ্ঞানী-গুণী এসেছেন তারা মাটির ধরে ছোট ছোট বাড়িতে থেকেছেন, আর সেইখানেই কিনা প্রাসাদ তৈরী করল ওরা? তারপর আবার গোলাপ বাগান! ও বাড়িতে আমি কখনো থাকব না– সেই জন্যই আমি শ্যামলীতে মাটির বাড়িতে থাকতে চাই আর ইচ্ছে করে মুড়ি টুড়ি খেয়ে থাকি এদেশের গরীব মানুষের যা খাদ্য।’

শ্রীনিকেতন বার্ষিক উৎসবে সুরুল কুঠিবাড়িতে ঢুকছেন

শ্যামলীতে মুড়ি খেয়ে কাটাতে চান রবীন্দ্রনাথ!– এ সত্যিই অভাবনীয় এক ব্যাপার। সুরুল কুঠিবাড়িতে শুধু বনমালীকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথের সংসার পাতার এই ঘটনাটি শুধু বৃদ্ধ কবির অভিমান নয়। রবীন্দ্রনাথের আদর্শ যে বিশ্বভারতীর মূল চত্বরে বারবার ধাক্কা খাচ্ছিল, তার এক বহির্প্রকাশ। যেখানে গ্রাম পুনর্গঠনের কেন্দ্র তৈরি করেছেন তিনি সেই কুঠিবাড়ি, সেই শ্রীনিকেতনের প্রকল্প কি তাঁর পক্ষে বেশি আকাঙ্ক্ষার ধন হয়ে উঠেছিল? 

গ্রন্থঋণ:
১. রবীন্দ্রনাথ গৃহে ও বিশ্বে, মৈত্রেয়ী দেবী
২. রবিচ্ছবি, প্রভাতচন্দ্র গুপ্ত
৩. রবীন্দ্রজীবনী দ্বিতীয় খণ্ড, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
৪. শ্রীনিকেতনের গোড়ার কথা, সত্যদাস চক্রবর্তী

ছবি: রবীন্দ্রভবন আর্কাইভ

…………… পড়ুন কবির নীড় কলামের অন্যান্য পর্ব ……………