একটা বিজ্ঞাপনে দেখেছিলাম, ১০ নং আর জি কর রোডে অবস্থিত হিন্দু অবলাশ্রমের সেক্রেটারি জনৈক পদ্মরাজ জৈন ‘সুবর্ণ জাতীয়া’ মাত্র ছ’বছর বয়সি ‘কুমারী বালিকার’ জন্য ‘পাণিপ্রার্থী’-দের কাছ থেকে আবেদনপত্রের প্রত্যাশী। ওই একই ব্যক্তি ‘১৬ বৎসর’ বয়সি কুম্ভকার বালবিধবার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিতে গিয়ে বলে নিচ্ছেন, সে-ই পাত্রী ‘লেখাপড়া জানে না’। একইসঙ্গে তাঁর পরিষ্কার কথা, ‘কোন প্রকার পণ বা যৌতুকাদি দেওয়া হইবে না।’ এটা ১৯৩১ সালের বিজ্ঞাপন।
এ বছরের জল দেখে অনেকেই ১৯৬৮ সালের তিস্তার বিধ্বংসী বন্যার কথা মনে করছেন। সে সম্ভাবনা কি মিথ্যা? রায়ডাক নদী, যা ভুটানে ‘ওয়াঙচু’ নামে পরিচিত, সেখানে তৈরি টালা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যামের ওপর দিয়ে জল যাচ্ছে। লকগেট খোলা যাচ্ছে না, কারণ জলের চাপ এতটাই বেশি যে লকগেট খোলার মেকানিজম কাজ করছে না।
‘জাভি অর ইনিয়েস্তা?’ কে আজ? টিম ম্যানেজমেট, মিডিয়া, পেপের কাছে এই প্রশ্ন করলে একটিই উত্তর আসত, ‘জাভি অ্যান্ড ইনিয়েস্তা’।
‘ভাইরাল’ হতে পারা ইনফ্লুয়েন্সারদের সর্বতো আকাঙ্ক্ষা, আমরা জানি, কিন্তু একটি দুর্বল গোষ্ঠীর মানুষদের যতরকম ভাবে পারা যায় অনলাইন-হেনস্তা করে সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা তো আদতে একটা অপরাধ। ‘থ্যাইল্যান্ড’ দেশটার যে কেবল রূপান্তরকামী মানুষদের দেহব্যবসা দিয়ে পরিচয় তা এরা না-থাকলে জানা হত না।
ক্ষমতার চিরন্তন কৌশলই হল জনগণের ভাবনা, কল্পনা ও অন্তরঙ্গ মনস্তত্ত্ব পর্যন্ত নিখুঁত নকশায় ছকে ফেলা। ইংরেজ আমলে এই নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রকাশ্য সাম্রাজ্যবাদী; এখন তার রূপ ভিন্ন। সরাসরি ঔপনিবেশিকতা নেই, রয়েছে ভাষিক জাতীয়তাবাদ– এক পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রকল্প।
যুক্তিপূর্ণ এবং সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের কিছু অযৌক্তিক এবং বস্তাপচা উত্তর হয়, যা মূলত ট্র্যাডিশন ও পরম্পরাধর্মী। যেমন, এত বছর ধরে চলে আসা এই সাবেকি নিয়মই এদেশের ঐতিহ্য, ইত্যাদি ও ইত্যাদি। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
এই বছর অস্কার ওয়াইল্ডের অসামান্য ঠাট্টা বিদ্রুপ হাসি আমোদ চিকন কথার ‘দ্য ইমপর্টেন্স অফ বিয়িং আর্নেস্ট’ নাটকের ১৩০ বছর উদযাপিত হচ্ছে লন্ডনে। সেই সঙ্গে অস্কার ওয়াইল্ডের রিভাইভাল উৎসব। তাঁকে আবার চাঙ্গা করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা।
যত আপনার আসা-যাওয়া বাড়ল, আপনার কথা শুনে বন্ধুদের আসা-যাওয়া বাড়ল, তার কথা শুনে তার বন্ধুদের আসা-যাওয়া বাড়ল, নির্জন জায়গাটি আর ‘নির্জন’ থাকল না।
রাঢ় অঞ্চলে মরাই-লক্ষ্মীকে নিত্যদিন সকাল-দুপুর-সন্ধে ধূপধুনো দেখানো হয়। মরাই-লক্ষ্মীর বিশেষ পুজো হয় পৌষমাসে ‘পৌষলক্ষ্মী’ হিসাবে। আউশ ধান কুলীন নয়। আউশ ধানের দেবী হলেন লোকায়ত ভাদু-লক্ষ্মী। ভাদু-লক্ষ্মী নাচে গানে সন্তুষ্ট হন।
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজাকে কেন্দ্র করেই পূর্ববঙ্গে লক্ষ্মীসরার উদ্ভব হয়েছিল। বঙ্গদেশে মাটি সহজলভ্য হওয়ায়, লক্ষ্মীসরা, উপাসনার উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। তবে সরাচিত্রে মৃন্ময়ী রূপ নয়, চিত্রকারী রূপের প্রতিফলন ঘটেছে; আর এই চিত্রকারী রূপটি বঙ্গদেশে বহু প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত ছিল। সেখানে পাওয়া যাবে একপুতলি, দুইপুতলি, তিনপুতলি, চারপুতলি বা যুগল, পাঁচপুতলি, গজলক্ষ্মী, সাতপুতলি, আটপূজারিনি-সহ লক্ষ্মীসরা ইত্যাদি।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved