রাইনার মারিয়া রিলকের ১৫০তম জন্মদিন আজ। আজকে, কোনও তরুণ কবিকে যদি চিঠি লিখতে হয়, কী লিখবেন কবিতাবিশ্বে দীর্ঘকাল ঘর-সংসার করা কবি সুবোধ সরকার? তিনি লিখছেন আজকের তরুণ কবিকে লেখা চিঠি।
আনন্দ-বিনোদন খেলার মুখ্য বৈশিষ্ট্য হলেও হাজার হাজার বছরের ফেলে আসা জীবনের স্মৃতিকে প্রকাশ করার স্বভাবগত তাগাদা খেলার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়। অনেক সময় গোষ্ঠী বা জাতির ঐতিহ্য প্রকাশের মাধ্যম হয়ে ওঠে।
সুমনের ‘পাগল’ বিধাতার সঙ্গে সাপ-লুডো খেলছিল– আমরা সবাই খেলছি। গদার হেরে-যাওয়া খেলায় শেষ পর্যন্ত ‘ছায়ার সঙ্গে কুস্তি’ লড়েননি– তিনি ‘এই মাত্র! আর কিছু নয়’-কে ডিঙিয়ে যেতে চেয়েছেন। বোর্ড উল্টে দিয়েছেন অতর্কিত ‘কাট্’-এ।
তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য প্রান্তিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি প্রতিবন্ধকতাকেও ধারাবাহিকভাবে দলীয় কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির রীতি অভ্যাসে পরিণত করলেই প্রতিবন্ধী মানুষেরা ‘নিজেদের কথা’ বলার অধিক সুযোগ লাভ করতে পারে।
রবীন্দ্রনাথ বহুদিন ধরেই দেখে আসছেন সত্যি-মানুষের চলাচলের জগৎ। ‘ছড়ার ছবি’তে এসে তারা ঘটিয়ে বসল এক সাংঘাতিক কাণ্ড! নন্দলালের ছবি তাঁকে দিয়ে ৩২টি ছড়াই লিখিয়ে নিল না শুধু, সৃষ্টি করিয়ে নিল একরাশ সত্যি-মানুষ।
হৃদয়ের শুশ্রূষাকে যে জেমিমা তাঁর আধুনিক মন আর বোঝাপড়া দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই রাখেন, তা টের পাওয়া গিয়েছিল আগেই। মনই যে মগজ, আর মগজেই মন, এই মেয়ে মাত্র ২৪-এ সে-কথা এত নির্ভুল পড়তে পারল কীভাবে?
কোথাও গাছে বাঁধা হাঁড়িতে আগে থেকে চিনি রাখা থাকছে, কোথাও রস জ্বাল দেওয়ার সময় মেশানো হচ্ছে চিনি, নলেন গুড়ের রাসায়নিক ‘এসেন্স’ আর ফটকিরি। নকল রস, নকল গুড়। আর সেই গুড় দিয়ে তৈরি পিঠে-পায়েসই হোক, মোয়া বা মিষ্টি, সবেতেই ভেজালের স্বাদ।
যে বিএলও’দের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার দায়িত্ব হওয়া উচিত ছিল কমিশনের, সেই কমিশন কি তাঁদের কোনওরকম সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে? ২০০২ সালেও যে পদ্ধতিতে ভোটার তালিকায় সংশোধন হয়েছিল, সেই সময়েও কি এই সমস্ত বিএলওর নম্বর অঞ্চলের সবাই জানত?
আকাশ দেখতে সুবিধে হবে ভেবে একসময় কোণার্ক বাড়িতে চৌকির উপর চেয়ার চাপিয়ে সূর্যাস্ত দেখবার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। সেই কবির আশ্রমে আকাশ ক্রমশ ফালা ফালা হয়ে গেল বড় বাড়ির স্থাপনায়। আশ্রম-সংলগ্ন অন্য বাড়িগুলির বা অধুনা শান্তিনিকেতন উপনগরীর কথা যদি বাদ দিই, খোদ উত্তরায়ণের আকাশই খণ্ডিত হয়ে গেল।
আমার জ্যাঠামশাই, শান্তিদেব ঘোষ বলেছিলেন যে, ‘রবীন্দ্রনাথের শোকের গান প্রায় নেই, থাকলেও খুব কম। তাঁর স্ত্রী-পুত্র-কন্যা প্রিয়জনদের এত মৃত্যু সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের প্রত্যেকটি মৃত্যুর গান মৃত্যু থেকে উত্তরণের গান।’ বলতেন, ‘কেঁদে ভাসিয়ে দিলে এই গানের প্রতি বিচার করা হয় না।’ অর্থাৎ ‘আছে দুঃখ আছে মৃত্যু’ অংশটা কেউ সাংঘাতিক টেনে টেনে করুণ সুরে গাইলে তা আদপে অর্থহীন। আসল কথা হল– ‘তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে’।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved