Robbar

রুশদির ‘দ্য ইলেভেনথ আওয়ার’ শেষ প্রহরের, অনিবার্য অন্তিমের দ্যোতক

একটি মানুষ যাকে দেখলে মনে হয়, সে মৃত্যুর জন্যে অপেক্ষা করছে। কী দুঃখের সেই দৃশ্য। কী করুণ সেই মানুষ! কিন্তু তার থেকেও বেদনাদায়ক সেই মানুষটি যে জীবন্ত থেকেও অপেক্ষা করছে বেঁচে থাকার জন্যে।

→

শুধুই কবি-সাহিত্যিক নয়, জনসাধারণের মিলনক্ষেত্র ছিল অমিতাভ দাশগুপ্তর দেড় কামরার ফ্ল্যাট

এক অসম্ভব সারল্যময় মেজাজের অধিকারী ছিলেন। যাঁকে বকতেন, তাঁকেই আবার বুকে জড়িয়ে ধরতেন। বাবা, শক্তিকাকা এবং জেঠু (লেখক সুরজিৎ বসু) যখন প্রবল বর্ষায় জলপাইগুড়িতে সারারাত গান গাইতেন তখন চারপাশ আলোড়িত হয়ে উঠত তাঁদের কণ্ঠস্বর রাতগুলো মিশে যেত আবেগের স্রোতে।

→

ধূমপান ছাড়ার পর ডায়েরিতে নিজেকে ‘নতুন মানুষ’ ঘোষণা করেছিলেন সলিল

ঋত্বিকের মতো বন্ধুর বোহেমিয়ান জীবনচর্চার অনিবার্য পরিণতির দৃষ্টান্ত তো ১৯৮৮-তে টাটকা স্মৃতির দগদগে ঘা। আর নিজের অভ্যন্তরের দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতি আরও জমাট বেঁধে উঠেছে তখন, সমস্যাসংকুল শরীরের তরফে দেওয়া বিবিধ ইঙ্গিতে। তাই প্রয়াণের বছর সাতেক আগে সলিল চৌধুরী ধূমপান বর্জনের উপলব্ধিতেই ক্রমশ জারিত হচ্ছেন।

→

নিজের সবচেয়ে বড় শত্রুর কথাও ডায়েরিতে লিখতে ভোলেননি সলিল

“সেই মদ্যপানই ঋত্বিকের জীবনের অভিশাপ হয়ে দেখা দিল এবং আমার জীবনেরও বহু অমূল্য মুহূর্তের জলীয় সমাধি ঘটাল। ১৯৪৭ সাল থেকেই ঋত্বিক, মৃণাল (সেন) এবং আমি ছিলাম অবিচ্ছেদ্য বন্ধু।… উত্তর-জীবনে আমি আর ঋত্বিক দু’জনেই বয়ে গেলাম– মৃণালটাই কী করে জানি সচ্চরিত্র রয়ে গেল। মদ ছুঁল না জীবনে।…”

→

শব্দ কল্প দ্রুম

কুইন্সল্যান্ড মিউজিয়ামের বিরাট একটা অংশ জুড়ে আছে সাউন্ড আর্ট গ্যালারি। তার ভেতরে জাপানি শিল্পী ইউকো মোহরি-র নতুন শিল্পশৈলী, এক অভিনব প্রদর্শনী: ‘ব্রেদ অর ইকো’। দৃশ্যের সঙ্গে শব্দের আত্মীয়তা আর বিরোধ, সম্পর্ক এবং শত্রুতা নিয়ে সে এক চমৎকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

→

অজয় গুপ্তর নিরন্তর শ্রম আর খুঁতখুঁতে সম্পাদনা ছাড়া মহাশ্বেতা দেবীর রচনাসমগ্র হত না

মহাশ্বেতাদির নিজের সংগ্রহ, প্রকাশকের ঘরে থাকা বই নিয়ে কাজ শুরু হল। কিন্তু যেসব পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে সেই সব কাগজ কোথা থেকে পাওয়া যাবে! আবার মহাশ্বেতাদি যেসব পত্রিকার পাতা ছিঁড়ে রেখেছিলেন সেখানেও দেখা গেল নানা অসঙ্গতি। কোথাও দেখা গেল লেখার শেষাংশ নেই। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা ‘সহজ’ দায়িত্ব অজয়দার কাঁধে এসে পড়েছিল!

→

কনটেন্টের ভিড়ে ক্ষীণ হচ্ছে দর্শকের স্মৃতি– মনোজ বাজপেয়ীর এই আশঙ্কা অমূলক?

‘দেখা’ বা ‘দর্শন’ শব্দটির মধ্যে যে গভীর ছানবিনের দ্যোতনাটি আছে, নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের প্রয়াসের বিষয়টি আছে; তা ক্রমাগত বিঞ্জ-ওয়াচে হারিয়ে যাচ্ছে না কি? তাৎক্ষণিক ধাক্কা মারার মতো দু’-একটি মুহূর্তই কি আমাদের শিল্প থেকে পাওয়ার কথা ছিল? এর দায় কার, দর্শকের না নির্মাতার না উভয়পক্ষের?

→

আশ্রমের কর্মকাণ্ড থেকে বাঁচতে কখনও কখনও সুরুলের নির্জনতায় আশ্রয় নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ

জীবনের শেষ পর্বে রবীন্দ্রনাথ কখনও কখনও যেন এক অভিমান নিয়েই সুরুলে চলে গিয়েছেন। বাস করেছেন তেতলার ঘরে, যেটিকে এখন ‘কবিকক্ষ’ বলা হয়। রবীন্দ্রনাথের প্রধান অভিভাবিকা প্রতিমা দেবী এতে খুবই বিপন্ন বোধ করেছেন।

→

মশলাদার নয়, ‘পার্সোনাল’ ফিল্ম করতে চান রাজ কাপুর, জানিয়েছিলেন তুই-তোকারির বন্ধু সলিলকে

১৯৮৮-র জুন মাসের ২ তারিখে রাজ কাপুরের প্রয়াণের সংবাদ খবরের কাগজে পাঠের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা লিখিত। ১৯৫৩-তে পরিচালক বিমল রায়ের আহ্বানে ‘দো বিঘা জমিন’ ছবির সুরকার হিসাবে সলিলের প্রথমবার প্রবেশ বোম্বের বাণিজ্যিক সিনেমা জগতে। এবং তারপরেই ইন্ডাস্ট্রিতে ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত পরিচালক-নায়ক রাজ কাপুরের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের সূত্রপাত দু’জনের ‘কমনফ্রেন্ড’ পরিচালক হৃষীকেশ মুখার্জির মাধ্যমে।

→

শিল্প-সংগীত থেকে প্রকৃতি সর্বত্র মিশে আছে ফিবোনাচ্চির গণিত

ফিবোনাচ্চির ‘লিবের অ্যাবেসি’ গোটা ইউরোপে দারুণ প্রভাব ফেলেছিল– সহজ আর দ্রুত করে দিয়েছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের গণনা। তাঁর সংখ্যা-শৃঙ্খলা অনুপ্রাণিত করেছে বহু শিল্পী, সংগীতজ্ঞকে। তবে ফিবোনাচ্চি সিরিজের সবচেয়ে সুন্দর রূপটি ছড়িয়ে রয়েছে সারা প্রকৃতিময়। বিশ্ব ফিবোনাচ্চি দিবস উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ।

→