Robbar

সরোজিনী ছিল আমাদের আদিম বিকল্প

শতাব্দী জুড়ে থাকা এই ময়নাতদন্তের ধারাবাহিক প্রকাশ প্রমাণ করে যে কথকতার দায় আর কবির নয়। বরং কবিতা সৌন্দর্যপ্রথার যে মাংসল প্রবর্তন সম্ভব করেছে, তাতে কবির প্রতি শর্তহীন আনুগত্য ছুড়ে ফেলে বহুগামিনী সরোজিনী ক্রমেই দাবি করেছে পাঠকের রতিমুখরতা।

→

চলতি পরিবার ধারণার বাইরের মেয়েদের বেঁচে থাকার জমকালো মঞ্চ প্যারির সালোঁ

লিবার্টি-ইক্যুয়ালিটি-ফ্রেটারনিটি থেকে বিশুদ্ধ প্রজ্ঞা সবেরই বিশ্বজনীন কর্তা তখন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ, এমনকী অভিজাত বাড়ির মেয়েদের অবধি বাইরে বেরিয়ে লেখাপড়ার অধিকার নেই, সেই সময় মাদামরা কেমন পাশার গুটি উল্টে সালোঁ সাজিয়ে নিলেন, স্বশিক্ষার সেই গভীর দাপট খেয়াল করার মতো।

→

সুজাতা চক্রবর্তীর কণ্ঠে ‘ভুল সবই ভুল’ শ্রোতাদের বুকে আজও বেজে চলেছে

‘ভুল সবই ভুল’– গানটির ভেতর এক নীরব সন্ধ্যা আছে। কোনও শহরের ফাঁকা রাস্তায় একাকী পুরনো ল্যাম্পপোস্ট জ্বলে ওঠে, আর তার নিচে একজন দাঁড়িয়ে থাকে নিজের হৃদয়ের ভুল ভুলে যাওয়ার চেষ্টা নিয়ে।

→

জেমিমাদের জয়ে যে ভারত হারল

হারল সেই ভারত, যে-ভারত মনে করে মেয়েদের ক্রিকেট মানে ‘ধুস’! হারল সেই ভারত যে-ভারত মনে করে, রাতে হোটেল থেকে বেরনোর আগে অস্ট্রেলিয়ান মহিলা ক্রিকেটারদের সিকিউরিটিকে জানানো উচিত ছিল।  হারল সেই ভারত, যে-ভারত পুরুষ ক্রিকেট টিমের জয়কে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদের বিষ ছড়িয়ে দেয় রাজ্যে রাজ্যে। জিতল আরেক ভারত। সেই ভারতকে আমরা কতটুকু চিনি?

→

অমরত্বের জাল কাঁপানো এক চিরকালের বন্ধুত্ব

বন্ধু, অর্থাৎ, ফেরেঙ্ক পুসকাস চলে গিয়েছিলেন বছর ৭৯-এ। সাতের ঘরের ন্যুব্জ বৃদ্ধ ডি’স্টেফানো আর কি মনে করতে পারতেন সোনালি রিয়াল, ’৫৮ থেকে ’৬৪-র রিয়াল মাদ্রিদকে? সেই সব ফাইনাল? আলফ্রেডোর সঙ্গে জুটি, ডুয়ো, কোচ মিগুয়েল মুনোজের টিমের ভয়ংকর সাদা জার্সি, গোল, দর্শক, চিৎকার– চলে যায়, একসময় সব চলে যায়।

→

মানুষ যখন শিশুদের চিনি-রং-ফ্লেভারে ভবিষ্যৎ খোঁজে, তখন জনস্বাস্থ্য আর নীতির নয়, লাভের প্রশ্ন

বোতলের ভিতরে যে দ্রবণ, তা আর মহলানবীশের মানবিক সমীকরণ নয়। WHO (বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা) অনুমোদিত ওআরএসে যেখানে প্রতি লিটারে ১৩.৫ গ্রাম চিনি, সেখানে এসব পণ্যে সেই মাত্রা প্রায় ১০ গুণ বেশি। অর্থাৎ, ডায়রিয়ায় জীবন বাঁচানোর পরিবর্তে এই পানীয় বাড়িয়ে দিচ্ছে বিপদ।

→

ছাদ: কখনও সামাজিক পরিসর, কখনও একলা চিন্তার মঞ্চ

দীর্ঘ সময় বাদে কাঁচা ছাদের পরবর্তীতে ইট, বালি, সিমেন্টে গড়া পাকা ছাদ আবিষ্কার হল। তখন মানুষেরা ছাদেও দিনের একটি অবসর সময় কাটাতে আরম্ভ করল।

→

বাঙাল ভাষা রপ্ত না হলেও ‘দ্যাশের বাড়ি’র প্রতি জ্যোতি বসুর টান ছিল অতুলনীয়

ঢাকার বিপ্লবী মদনমোহন ভৌমিক জ্যোতি বসুদের বারদীর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন। ডাক্তার বাড়ি বলে তেমন কেউ সন্দেহ করত না। তাই বিপ্লবীদের ভরসার আশ্রয়স্থল ছিল বসুদের বারদীর বাড়ি।

→

প্রযুক্তি নয়, বিজ্ঞাপনে স্টোরিটেলিংই আসল কথা, মনে করতেন পীযূষ পাণ্ডে

এখন টেকনোলজির যুগ– অ্যালগরিদম, অ্যানালিটিক্স এখন বিজ্ঞাপনের চালিকাশক্তি। এই নিয়ে আক্ষেপ ছিল পীযূষের। বিভিন্ন ইন্টারভিউতে সেই কথা তিনি বারবার বলেছেন। ব্র্যান্ড এবং বিজ্ঞাপন তার সৃজনশীলতা এবং স্টোরিটেলিং দিয়েই মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারে– প্রযুক্তি দিয়ে নয়।

→

মেয়েদের দুর্গা আঁকাতে গিয়ে অসুরের জায়গায় ইংরেজকে বসিয়েছিলেন নিবেদিতা

নব্যবঙ্গীয় চিত্রকলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে ‘প্রবাসী’ আর ‘মর্ডান রিভিউ’-এর পাতা ভরে উঠেছিল তাঁর লেখা চিত্র-পরিচিতিতে। অবনীন্দ্রনাথ ভারতমাতার ছবি আঁকলে, সেটি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন ভগিনী নিবেদিতা। তাঁর মনে হয়েছিল, এটি নতুন ভারত নির্মাণের লক্ষ্যে ভারতীয় শিল্পভাষায়, দেশের মানুষের জন্যে আঁকা ছবি।

→