সাঁওতাল বিদ্রোহের ঠিক ৩৮ বছর পর, পাকাপাকি শান্তিনিকেতনে আসার অনেক আগে, রবীন্দ্রনাথ এই বিদ্রোহের প্রতি যে সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছিলেন, তা জেনে কেবল বিস্মিতই হতে হয় না, পাশাপাশি গণবৃত্তের নিরপেক্ষ ইতিহাস কথনেও রবীন্দ্রনাথকে পথপ্রদর্শক বলে মনে হয়। হুল দিবস উপলক্ষে রোববার.ইন-এর বিশেষ প্রতিবেদন।
ভারতে পাইরেসির বাজার তৈরি হয়েছে ধীরে। ক্যাসেট ও ভিসিআর ভাড়া নিয়ে সিনেমা দেখার চল হয় সেই আটের শেষ, নয়ের দশকের শুরু থেকে। সিনেমাহল থেকে রেকর্ড করে নিয়ে সেই ক্যাসেট চড়া দামে রেপ্লিকা করে বাজারে ছাড়া শুরু হল। মধ্যবিত্তের হল-বিমুখ হবার সূত্রপাত সেই সময় থেকেই।
বর্ষায় প্রাণ সঞ্চার হয় পৃথিবীর বুকে। মানুষের পাশাপাশি গাছপালা-কীটপতঙ্গ সকলের জীবনই সিক্ত হয়ে ওঠে নবধারাজলে। প্রকৃতির সেই সুর, যা মিশে আছে আমাদের সুরের সঙ্গেও, তার দেখা মিলবে চারপাশে চোখ মেললেই। বিশ্বপ্রাণের সেই আনন্দকে আমরা কতটুকু দেখি? কতটুকু চিনি আমাদের এই খুদে প্রতিবেশীদের দুনিয়াকে?
রিসার্চ বলছে ডেটিং অ্যাপে আসলে অচেনা মানুষদের চোখে নিজের মূল্য যাচাই করে মানুষ। তবে কি চেনা মানুষের চোখে রহস্য ফুরিয়ে গেলে, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্যোতনা তৈরি হলে, চেনা মানুষের চোখে ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’ হলে গেলে– অচেনার কাছে সেলফ এস্টিম খুঁজে পেতে হয়?
বিরসাইয়তরা ভাবতে থাকেন অন্যান্য মুন্ডার তুলনায় ওরা শ্রেষ্ঠতর মানুষ। উঁচু জাতের মুন্ডা। আর পোলিও-র টিকা তো ওরা মুখেই দেন না। কোন জাত না কোন জাতের লোক খাওয়াচ্ছে ঠিক নেই। জাত যাবে না!
হিন্দিতে হালের বিশাল হিট ‘অ্যানিমেল’-এর গল্পটি যদি খেয়াল করা যায় তা ‘গডফাদার’ প্রথম খণ্ডেরই সারাংশ। যদিও সেই গল্পটা বলতে লাগে দুই ঘণ্টা, ছবিটা ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিটের, বাকি সময়টা পরিচালক বরাদ্দ করেছেন তাঁর আলফা-ম্যাস্কুলিনিটি তত্ত্বকথার কাজে। 'অ্যানিমেল'-এর গল্পেও সচেতনভাবে কপোলার ছবিকে ‘ভুল বোঝা’ হয়েছে।
নারায়ণ সান্যালের বইয়ের সব অদ্ভুততর নাম। বিশ্বাসঘাতক, প্রবঞ্চক, না-মানুষ, রাস্কেল– আরও কত সব। দে’জ-এর কাউন্টারে এসে পাঠকদের বলতে শুনেছি, ‘একটা বিশ্বাসঘাতক নারায়ণ সান্যাল দিন’ বা ‘প্রবঞ্চক নারায়ণ সান্যাল দিন’।
একজন বৃদ্ধ নিবিষ্টচিত্তে পড়ে চলেছেন আজকের তাজা খবর– মুখের সামনে রাখা মাইক্রোফোন, হাতে ধরা খবরের কাগজ; বিড়ি-শ্রমিকদের দেশ-দুনিয়ার সংবাদ সম্পর্কে অবগত করছেন ষাটে পা রাখা পশুপতি নাগ।
মণিকুন্তলা সেন হোটেলের ক্যাবারেগার্লদের কথাও বলেছেন, ‘এদেরই উপার্জনে হয়তো পিতৃ-পরিবার বা স্বামীর সংসার বাঁচে। কিন্তু এসবের মধ্যে এখন আর কেউ অন্যায় বা অসামাজিক কিছু দেখে না। বরং আমোদ-প্রমোদের অনিবার্য অঙ্গ হিসাবেই এগুলো স্বীকৃত।’
প্র্যাগম্যাটিক্স নামে ভাষার মারপ্যাঁচ, ভাবমূর্তির প্যাঁচঘোঁচ নিয়ে একটা জটিল আলোচনাক্ষেত্র ভাষাবিজ্ঞানীরা ভেবেছেন। ভেবেছেন ফেস থ্রেটনিং অ্যাক্ট বা এফ.টি.এ কাকে বলে! কীভাবে আমরা অজান্তেই সেই জটিল প্যাঁচালো ভাষিক সংবর্তনক্রিয়ায় অহরহ অংশ নিচ্ছি। সুকুমারের প্যাঁচাকে বুঝতে গেলে আগে এই ব্যাপারটা বুঝতে হবে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved