যে রাজ্যে, যে দেশে তিনবেলার খাবারের সংস্থান এখনও হয়ে ওঠেনি, সেই ভূখণ্ডে মানুষের যা আছে তা-ও কেড়ে নেওয়ার সব ফন্দি নিয়ে হাজির শাসক দল। বুলডোজার দিয়ে ক্রমাগত বাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে আসামে। এই জুলাই মাসের শুরুর দিকেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে ১৪০০ বাড়ি।
বিপ্লবের পরে, বিভিন্ন গির্জা এবং গির্জার সংলগ্ন যে সমস্ত দালান অধিকার করে সরকার ফ্ল্যাট আর সরাইখানায় পরিণত করে এতদিন ভাড়া দিয়ে আসছিল এখন দেশজুড়ে সেগুলি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি মরিয়া হয়ে উঠেছে। একমাত্র মস্কো শহরেই এরকম আটশো দালান আছে।
গৃহকর্তার ভূমিকা টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে পরিবারের কোনও সদস্য যদি নিজেকে একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে, তা নিজের কন্যা হলেও, পুরুষের মাথার ঠিক থাকে না। কারণ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রদান করা পুরুষের গুরুদায়িত্ব এবং তা করতে গিয়ে সে মানসিক দূরত্বের শিকার হলেও ক্ষতি নেই।
সবাই জানেন, হিন্দু ধর্মে ছাতা দান মহাপুণ্যের কাজ। মহেন্দ্র দত্তরা সে কাজ করে আসছেন পাঁচ জেনারেশন ধরে। তিনি নাকি বর্ধমানে রাজার দরবারে পাখোয়াজবাজ ছিলেন? একবার রাজার বিলিতি ছাতা সারিয়ে চমকে দেন, এবং উল্লসিত রাজার বকশিসের টাকাতেই ব্যবসা খুলে ফেলেন?
একটি আন্দোলিত পদ্ম। খসে পড়ছে তার পাপড়ি। চামড়ার মলাটে সোনার রঙে ‘এমবস’ করা এক অনিন্দ্যসুন্দর রেখাচিত্র।
মনে পড়ে যায়, নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ‘কাঠগোলাপ’ গল্পের অণিমাকে। পূর্ব বাংলার গ্রাম থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা অণিমার কলকাতা দেখে অপার বিস্ময়। আর ট্রাম-বাসে চড়া তাঁর কাছে কলকাতাকে উপভোগ করা। স্বামী যখন এই শখকে পয়সা নষ্ট বলে, অণিমা জবাব দেয়– “মাঝে মাঝে ট্রাম-বাসে না উঠলে শহরে আছি বলে মনেই হয় না।“
‘সিস্টার মিডনাইট’ ছবির প্রেক্ষিত রিয়ালিস্ট– তাই ন্যারেটিভ যখন ক্রমশ অভিব্যক্তিবাদ, অ্যাবসার্ডিটি এবং আরও এগিয়ে পরাবাস্তবের সমারোহ তৈরি করে, পর্দায় ম্যাজিক তৈরি হয় বটে, কিন্তু সে ম্যাজিক পর্দায় মিলিয়ে না গিয়ে ‘বিবাহ’ নামক আদি অনন্তের ধারণাকে দা-এর এক কোপে ধর থেকে বিচ্ছিন্ন করে আর সেটি ফুটবল হয়ে গড়াতে থাকে এর ওর পায়ে পায়ে।
মুখোমুখি বসে রবীন্দ্রনাথের পূর্ণাবয়ব প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন অতুল বসু। কিন্তু কোথায় যেন অতৃপ্তি ছিল। সেই ছবি সম্পর্কে একটা খুঁতখুতানি যেন লেগে ছিল মনে। তাই জীবন-সায়াহ্নে এসে চেতনার রঙে রবীন্দ্রনাথকে আঁকলেন। আঁকলেন তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিকৃতিচিত্রটি।
৬৮৪ খ্রিস্টাব্দের জাপানে নিহোন শোকি লেখেন একটি ধূমকেতু যখন আসে তখন ধরেই নিতে হবে রাজনৈতিক ঝগড়া শুরু হল বলে। চিন-প্রভাবিত জ্যোতিষশাস্ত্র আবার এটিকে উচ্ছেদের নোটিশ হিসেবে দাগিয়ে দিল।
নন্দলাল বসুর ছবিতে অধিকাংশ দুর্গা বেগবতী। তাদের ডানদিকে ফেরানো সিংহের মাথা আর তারা সেই গতিমুখেই যুদ্ধে রত। বাংলার সরাচিত্রের মতো কম্পোজিশন নয়। সেখানে দুর্গা অনেক স্থির।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved