Robbar

সন্ত্রাসেও আছি, সিদ্ধিতেও আছি

অকাজের ইঁদুর বিজ্ঞানীদের খুব ভরসার। পরীক্ষাগারে জীবনদানের জন্য কোনও পুরস্কার নেই। দু’-একটা কুকুর-বিড়ালের মূর্তি বসেছে বটে, তবে ইঁদুরদের স্মৃতি তর্পণের কোনও ইতিহাস নেই। শুধু তাদের মতো গর্ত করার প্রক্রিয়া রপ্ত করলে খনি লুঠ করা যায়, আবার ভূগর্ভে আটকে পড়া শ্রমিকের প্রাণ বাঁচানো যায়।

→

সুনীল দাসের ছবি আঁকা ছিল কাগজে পেনসিল না ঠেকিয়ে একটু ওপরে, যেন হাওয়াতে ড্রইং হচ্ছে

সুনীল দাসের ঘোড়ার ড্রইংয়ে কিন্তু সরলরেখার স্থান নেই। সবই বক্ররেখা। যাকে আমরা বলি, লিরিক্যাল লাইন। অথচ পশ্চিমের ধাঁচে, আধুনিক শিল্পে যে স্ট্রাকচার, ছবির জমিকে ধরে রাখার কথা বারবার বলা হয়েছে সেটাও পাচ্ছি পুরোপুরি। সেটা কী করে হল?

→

মনরো মনোরম নয়

মেরিলিন মনরোর জীবন নিয়ে কম চর্চা হয়নি হলিউড, হলিউড ছাড়িয়ে দিকে দিকে। কেউ তাঁকে ‘ডাম্ব ব্লন্ড’ বলবে, তো কেউ বলবে যৌনতার প্রতিরূপ। ব্যক্তিগত জীবন কাঁটাছেড়া করার এই লক্ষণ আজও সমানতালে চলছে। বিদিশা চট্টোপাধ্যায় বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কথা বলে জানলেন গসিপ কালচার আজও কেমনভাবে জিইয়ে আছে।

→

মালবিকা-আকাঙ্ক্ষার ভালোবাসার বারান্দা আজ অনেক মানুষের নিশ্চিন্ত আশ্রয়

প্রায় ৩২-৩৩ বছর পরস্পরের দোসর ও জীবনসঙ্গী মালবিকা-আকাঙ্ক্ষা। সহযোদ্ধা হিসেবে বহু সমকামী মেয়ে ও যৌন সংখ্যালঘু অন্যান্য মানুষজনের হাত ধরে আছে ওরা দু’জন, ওদের ভালোবাসার বারান্দায় চেয়ার/মোড়া/মাদুর পেতে বসে একটি বড় পরিবারের অনেক সদস্য।

→

এই আমি নরমা জিন, এই আমার মুখোশ, এই আমি মেরিলিন মনরো

১৯৫০ সালে খুবই কম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তাঁর ‘কন্ট্রাক্ট’ হয় ‘টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স’-এর সঙ্গে; তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকলে ১৯৫১ সালে তৎকালীন সংবাদমাধ্যম তাঁকে ‘মিস চিজকেক’ আখ্যা দেন। ‘চিজকেক’ মানে (অতি) ‘মিষ্টি’ মেয়ে নয়, এটি একটি মার্কিন স্ল্যাং; যার অর্থ– স্বল্প পোশাক পরা মহিলা, সস্তা ও লোভনীয় বস্তু।

→

অভিনেত্রী হিসেবে, ‘গসিপ’-কে অবজ্ঞা করতে শিখিয়েছেন মেরিলিন মনরো

মেরিলিন মনরো নামটা শুনলে এখনও মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার ইচ্ছে হয়। ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া যায় সব উড়ো কথা। মনরো নিজেও হয়তো পুরোটা পারেননি। একটা জিতে যাওয়া লড়াইয়ের শেষপ্রান্তে এসে ময়দান ত্যাগ করেছেন। কিন্তু তবুও মনরো আমাদের শক্তি দেন, উঠে দাঁড়ানোর ভরসা দেন।

→

সেই অনন্ত সুন্দর, সময় যাকে খায়

কেন এতগুলো স্বপ্নের নায়িকা বেশ ধীরেসুস্থে হাসিমুখে বুড়িয়ে যাবেন না? আমার মতো একটি বিসমকামী পুরুষের হয়ে ওঠা মনকে এঁরাই জানিয়ে গেলেন যে আকর্ষণীয় নারীর প্রতিকৃতিটা কেমন, এবং সেই ছবির উল্টোদিকে থাকে কীরকম বিভীষিকা!

→

নায়ক ছবিতে উত্তমকুমারের কস্টিউমের মাপ নিয়েছিলেন মনসুর, তাঁর থেকেই আজীবন পাঞ্জাবি বানাতেন বসন্ত চৌধুরী

মনসুরের তৈরি করে দেওয়া এক ধরনের পাঞ্জাবিই রীতি মেনে বাবাকে পরতে দেখেছি। পাঞ্জাবি অবশ্যই অনেকগুলো, নানা সময়ে তৈরি করতে দেওয়া। কিন্তু প্রতিটা পাঞ্জাবিই এক্কেবারে একইরকম দেখতে। ছয়ের দশকের পাঞ্জাবির নকশা বা কাপড় যা, নয়ের দশকেও তাই।

→

ওরা আমাদের গান গাইতে দেয় না

বিদ্বেষ বিষ বর্তমানে যতই সংখ্যাগরিষ্ঠ হোক না কেন, কেবলমাত্র গণতান্ত্রিকতার যুক্তিতেই বলা যায়, ভারত দেশ আর রাষ্ট্র এক নয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও তা অন্যথা হয় না। মৌলবাদীর গলা দিয়ে গোটা দেশের সুর ধরা যায় না কখনও।

→

ছদ্মবেশী পাগলের ভিড়ে আসল পাগলরা হারিয়ে গেল

পাগলের কোনও সংজ্ঞা হয় না। এটা একটা কনসেপ্ট। অভিধানে আছে– পাগল মানে উন্মাদ, খ্যাপা, মাথা খারাপ, মত্ত ইত্যাদি। পাগলরা নানা রকমের হয়ে থাকেন। নিজস্ব উদাসীনতাই বোধহয় পাগলত্বের প্রধান চিহ্ন।

→