Robbar

পুরনো খাবার রোজ খাব না, মায়েরা এটা বলে না, আমি বলেছি

আজ বিশ্ব মা দিবসে রইল রাখি গুলজারের একান্ত সাক্ষাৎকার।

→

ছবি আঁকার দক্ষতা শুধু নয়, ছবির বিষয়ও জরুরি, বলেছিলেন নীরদ মজুমদার

ছবির বিষয় প্রসঙ্গে নীরদ মজুমদার বলেছিলেন– ‘দ্যাখো, কেবল ছবি আঁকলেই হল না, ছবির বিষয়টাও খুব জরুরি। বিষয় নির্বাচনেরও একটা মহিমা আছে। তোমরা আবার ভিকিরির ছবি আঁকতে যেও না, খেয়াল রেখো, সেন্টিমেন্টের বদলে ছবি যেন বিশুদ্ধ আনন্দের পরিসর হয়ে ওঠে।’

→

‘শাহজাদা দারাশুকো’ আরও বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে ছিল শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের

শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় মনে করতেন– ‘শাহজাদা দারাশুকো হিন্দুস্থানে হিন্দু-মুসলমানের ধর্মচিন্তায় মিলনবিন্দুটি খুঁজতে গিয়ে সময়ের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে যান। তাই তিনি হিন্দুস্থানের ইতিহাসে একটি কালো গোলাপ। ব্যথা, সৌন্দর্য, কালের ইতিহাসের সঙ্গে এই গোলাপ জড়িয়ে গেছে। হিন্দুস্থান যুগে যুগে তাঁকে বারবার আবিষ্কার করবে।

→

ভারত কিন্তু আম-আদমির

‘আপেল, স্ট্রবেরি, পিয়ারা সব কিছু আমের কাছে নাথিং। জার্মানিতে আমের ভীষণ দাম। তোমাদের দেশে আমের কেজি কত করে?’ তখন ভালো আম ২০ টাকার বেশি ছিল না। আমি বললাম, তোমাদের এক ইউরোতে আড়াই কেজি আম অনায়াসে পাওয়া যায়। শুনে লাফিয়ে উঠল হার্গেন।

→

বিচ্ছিন্ন কারাজীবনে খানিক শ্বাসবায়ু ‘মুলাকাত’

রাষ্ট্রের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই জেল এবং বাইরের প্রিয়জনদের সেতু গড়তে থাকে। জামিনপ্রাপ্ত বন্দিরা জান কবুল করেন ভিতরে থাকা বন্ধুদের বার্তা তাঁর প্রিয়জনদের পৌঁছে দিতে। নজরদারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলতে থাকে চিঠি চালাচালি। প্রিয়জনদের কাছে যাওয়ার জন্য, ক্ষণিকের মুলাকাতের জন্য।

→

জীবনের দরজার বাইরে আমাদের একখানা করে দুঃখের নুড়ি পড়ে আছে

জেসি আইসেনবার্গের ‘আ রিয়াল পেইন’ আমাদের শিখিয়ে দিয়ে যায় যে আমাদের প্রত্যেকের বাড়ির দরজার বাইরে একটা নুড়ি পড়ে আছে। যখনই কষ্ট পাব আমাদের ভাবতে হবে আমাদের পূর্বসূরিরা এর থেকেও বেশি ব্যথা নিয়ে পৃথিবীতে টিকেছিলেন। জীবনের রণে ভঙ্গ দিয়ে আমাদের সরে গেলে চলবে না।

→

মাস্টার অফ গান

বরফি কাটা জানলা দিয়ে বরফি-রোদ্দুর এসে পড়ত দাদুর বিছানায়। ওই বিছানাতেই তোলা হল হারমোনিয়াম। মস্ত একটা কাঠের বাক্স থেকে বড়জোর দু’দিন সে বেরয়। ভেতরে আরশোলা একবার ডিমও পেড়েছিল! সেসব তাড়ানো হয়েছে। বেলো করলে হাওয়া হয়। হাওয়াই নাকি সুর তোলে।

→

গলা না থাকলে মন দিয়েও গাওয়া যায়, বিশ্বাস করিয়েছেন কবীর সুমন

ক্লাসের শুরুতে কবীর প্রথমে গানটি বেশ কয়েকবার গান। সচরাচর কিবোর্ড বাজিয়ে। আমরা শুনতে থাকি। তৃতীয় বা চতুর্থবার গাওয়ার সময় আমাদের গুনগুন করে গলা মেলাতে বলেন।

→

সলিলদা বলতেন, ঠিক-ভুল থাক, হৃদয়টা ঠিক থাকলেই সেটা গান

তাঁর চোখে ছিল বিদ্রোহ, মুখে ছিল শাসনহীন ভালবাসা। বললেন, ‘তুমি বাজাও নিজের মতো করে।’ আমি বললাম, ‘কিন্তু আমি তো শিখিনি আপনার মতো।’ উনি বললেন, ‘তাই তো চাই। আমি চাই তুমি বাজাও তোমার মতো। নিজের মাটি খুঁড়ে নিজেই জল বার করো।’

→

গাইতে গাইতে গানেরাই হয়ে উঠেছে আমার শিক্ষক

অনেকে হয়তো মনে করেন আমি গান শেখাই, মানে ‘গানের মাস্টার’ হয়ে গিয়েছি বুঝি। একেবারেই তা নয়। আমি তো গানের কাছেই গানটা শিখি আর শেখাই শুধু নিজেকেই।

→