দেখা যাচ্ছে যে, পিতৃতান্ত্রিক সমাজ নারীদের নতজানু করে যত আমোদ পেয়েছে, ততটা রাজত্ব, যুদ্ধজয়, রাজনীতি, জুয়া খেলা, চুরিচামারি, বিপুল ঠকানো– কিছু করেই পায়নি আর সেভাবে!
আমাদের ছোট শহরে এবং তার আশপাশের গ্রামগঞ্জে গত এক দশকে যে পরিমাণে বট অশ্বত্থ জাতীয় বড় বড় গাছ কাটা পড়েছে, তার হিসাব নেই। দুঃখের বিষয় এই অঞ্চলের মানুষজনের এবং মিডিয়ার কোনও হেলদোল দেখা যায় না। যেমনটা হয়েছিল যশোর রোডের গাছ কাটার সময়।
রঙের যে রাজনীতি হয় ছোটবেলায় বুঝতাম না। মাঝবয়সে এসে বুঝলাম কিছুটা। নির্বাচনের ফলাফল বের হলে যদি গাড়ি নিয়ে ঘোরেন, মানুষের মুখমণ্ডলে মাখানো বিজয়ধূলি, মানে আবিরের রং দেখেই বুঝে যাবেন কোন পার্টি জিতল।
শঙ্কুদার সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া মানে ইতিহাস-ভূগোল-পুরাণের এনসাইক্লোপিডিয়ার সঙ্গে বেরিয়ে পড়া। গোয়ায় পর্তুগিজদের আসার ইতিহাস থেকে শুরু করে ওখানকার চারটি বিখ্যাত গির্জা আর অসংখ্য মন্দির এবং সব জায়গার অমূল্য সব শিল্পকীর্তি-স্থাপত্যকলা আমাদের খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে দেখিয়েছিলেন শঙ্কুদা।
অবনীন্দ্রনাথে যে ‘ভারতমাতা’র ছবি আঁকলেন, সেই সন্ন্যাসিনীর পরিধেয় বস্ত্রটি কমলা মিশ্রিত গেরুয়ার প্রলেপে ‘ভারতমাতা’ ছবিকে অন্য স্তরে পৌঁছে দিয়েছে। সাদা রঙের পোশাকে আবৃত হলে এই ছবি হয়তো ধরা দিত সেবিকার প্রতিমায়। তখন ঊষার অরুণালোকে রঞ্জিত ‘ভারতমাতা’র প্রতিমা এমনি করে দেশমাতৃকা হয়ে উঠতেন কি না বলা যায় না।
ফ্রয়েডের প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব ‘eros and thanatos’ (১৯২০), বা সেক্স ড্রাইভ (life force/will to live) ও ডেথ-ড্রাইভ (self-annihilation/destruction)-এর দ্বিধা ছাড়িয়ে, ভ্রমর বা ভ্রমররা বাঁচতে চায়, এবং সেই বেঁচে থাকার কেন্দ্রে রয়েছে রক্ত-মাংস-মজ্জা দিয়ে তৈরি একটি শরীর।
এই লাল অবশ্য, দেশে দেশে, মুক্তির রং হিসেবে, ছড়িয়ে পড়লেও, তার রং, ফ্যাকাশে হতেও সময় লাগেনি। ঘন লাল, মাঝারি লাল, হালকা লাল, গোলাপি লাল, আগ্রাসী লাল, একসময় সাম্রাজ্যবাদী লালও হয়ে ওঠে, একনায়ক লাল, ফ্যাসিস্ট লাল– এমনভাবেই লাল তার এক ধরনের রাজনৈতিক চেহারা নিল, আমরা দর্শক বনে গেলাম।
আমি যদি আমার কামনার কথা আমার লেখায় প্রকাশ করে থাকি, তার মানে যে-কেউই এগিয়ে আসতে পারেন, তা নয়। আমাকে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতে হবে। ‘আমার সম্মতি’ থাকতে হবে। না, এভাবে বলাটা ঠিক হল না। আমার মনে হয় বলা উচিত, ‘আমাদের পারস্পরিক সম্মতি’ থাকতে হবে।
স্বীকার করার সময় এসেছে যে, জেন্ডার গ্যাপ, পে-গ্যাপ-এর মতো অর্গাজম-গ্যাপও হচ্ছে বাস্তবতা। সেক্স এডুকেশন, মহিলাদের নিজেদের শারীরিক চাহিদার উন্মুক্ত দাবির ক্ষেত্র না হলে গ্যাপ থাকবেই চিরকাল।
ঘুমের মধ্যে ঘেমে ওঠে ছোটির হাতের তালু, শক্ত হয়ে ওঠে তার স্তনবৃন্ত। একটি ভারি সুন্দর মুখ, সুঠাম দু’টি কাঁধ নেমে আসে তার দিকে...
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved