নতুন লেখককে এড়িয়ে গিয়ে পুরনো লেখকদেরই বই ক্রমাগত করে যাওয়ার মধ্যে এক ধরনের চিন্তার স্থবিরতা আছে বলে আমার মনে হয়। একটু গভীরে গেলে মনে হয়, রয়্যালটি যুক্ত বই-ই প্রকাশকের পক্ষে মঙ্গলদায়ক, সুবিধে অনেকগুলো। একই বইয়ের দশ-পনেরো রকম সংস্করণ বাজারে থাকবে না। বইটা আপনি নির্ভয়ে প্রচার করতে পারবেন।
শিকল পরা মাথা নীচু করে দেশে ফেরা ওই ‘অবৈধ’ মানুষগুলো আসলে এই পৃথিবী নামক ভূখণ্ড, শিকল আর কাঁটাতারে ক্ষত-বিক্ষত।
জাতপাতভিত্তিক কাজের পরিবর্তে মিউনিসিপ্যালিটি নিযুক্ত করবে সাফাইকর্মচারী, এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন উনিশ শতকের মেথররা। নিজেদের কাস্ট অকুপেশন বা জাতপাত নির্দিষ্ট কাজ যদি খোয়াতে হয়, হঠাৎ করে তাহলে খাবে কী তারা?
বড় বড় প্রকাশনী সংস্থার স্টলের সামনে দেখেছ, কী লম্বা লাইন। আরও ছোট ছোট স্টলগুলোয় দেখো, পা ফেলার জায়গা পাবে না। শুধু কি নামী লেখকের বই বিকোচ্ছে। কত নতুন লেখক বেস্টসেলার হয়ে উঠছে।
কমলকুমার মজুমদারের ‘গল্পসমগ্র’ নামক সংকলন আদতেই কোনও দিন ‘সমগ্র’ হওয়ার কথা নয়। হয়নিও। তাই আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ প্রকাশিত ওই ‘গল্পসমগ্র’ সংগ্রহ করার পরেও সন্ধানী কমলকুমার পাঠককে তুলে নিতে হবে ব্রেনফিভার প্রকাশিত ‘অগ্রন্থিত গল্পসংগ্রহ’।
এই উপন্যাসটি নানা প্রতিক্রিয়া জাগায়। প্রাক্তন নকশালরা বিরক্ত হন। আত্মহত্যার ঘটনাটি কষ্টকল্পনা মনে হয় কোনও কোনও লেখক-সমালোচকের। আমি শুনে হাসি। একেই বলে ‘ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন’।
ছবির নাম, ‘মুখগুলি’, দিব্যেন্দু পালিতের গল্প অবলম্বনে তৈরি। রাজা ও জিৎ মিলে একটা স্ট্রাকচার বা কাঠামো বানিয়ে দিয়েছিল, তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছি আমি, প্রত্যেকটা সংলাপ আমারই হৃদয়রসে জারিত ও লেখনী নিঃসৃত।
সরস্বতী পুজোকে নিয়ে আন্দোলনের জেরে হিন্দু ছাত্ররা দলে দলে কলেজ ছেড়ে দিল। চরম অর্থসংকটে পড়ল কলেজ। ১২ জন শিক্ষক ছাঁটাই হলেন। ছাঁটাই হলেন কবি জীবনানন্দ দাশও।
গুরু-শিষ্য পরম্পরা, লোকশিল্পীদের সহজ যাপন, কেবল লোকসংস্কৃতির চর্চায় জীবিকা সম্ভব নয় বলে পাশাপাশি একটি অর্থকরী পেশা প্রয়োজন হয়– এই সত্যটিও আছে।
বইটা শেষ করার আগে কেবলি মনে হচ্ছিল– হল না। আরও কী যেন দেওয়ার ছিল, বলার ছিল আরও কত কথা।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved