Robbar

বাঙালির রসোমন

রানাঘাটের পালচৌধুরী জমিদারদের বাঁধা-ময়রা ছিলেন ফুলিয়ার হারাধন ময়রা। একদিন জমিদারবাড়ির মিষ্টি তৈরি করতে বসেছেন হারাধন ময়রা, এই সময় তাঁর শিশুকন‌্যা কাঁদছিল, তার কান্না থামাতে হারাধন হাতের ছানা গোল্লা করে চিনির রসে ছেড়ে দিলে নতুন একপ্রকার মিষ্টান্ন প্রস্তুত হল।

→

কাদের কুলের ঢেউ গো তুমি

আমাদের অজ গাঁদেশে কোনও চাটনি নেই। আমাদের আছে ভর্তা। ভর্তা আমরা প্রথম পাতে খাই, মাঝপাতে খাই এবং শেষপাতে তো খাই-ই, ভর্তা খাই যখন তখন।

→

আমাকে লাল দইয়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করে দেওয়া যেতে পারে

শুধু দই দিয়ে বিচার করলে দক্ষিণ কলকাতাকে উত্তর কলকাতা ১০ গোল দেবে! শ্যামবাজার ছাড়িয়ে সিঁথি, বরানগর, ব্যারাকপুরের দিকে যত যাওয়া যায়, সেই পথেও চমৎকার সব মিষ্টির দোকান আছে। সেখানকার রসগোল্লা মোটেই ‘স্পঞ্জ’ নয়। এবং অরিজিনাল দই তৈরি হয় সেখানে– যাকে বলে ‘পয়োধি’!

→

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে, একদলা সন্দেশ মিশিয়ে দিয়ে তাতে

আজ একটি প্রকৃত সঠিক সন্দেশের দাম, বাজারি আইসক্রিমের চেয়ে অনেক বেশি। এই দাম দিয়েও মধ্যবিত্ত বাঙালি আর সন্দেশ খেতে পারছে না। দিনে দিনে আরও বেশি করে সন্দেশের বাজার সামলাবে অ-বাঙালি ভোক্তার দল। ফলে সন্দেশের একটা জিনগত পরিবর্তন তৈরি হয়েছে বেশ কিছুটা সময় ধরেই।

→

ইতিহাসের রঙ্গমঞ্চে অবশেষে ‘খোদাই’ হল বিনোদিনীর নাম

ইতিহাসের মোড় আবারও বদলাল। তার জন্য বাংলা থিয়েটার তথা বাঙালি সমাজকে অপেক্ষা করতে হল ১৪১ বছর। আর কী অদ্ভুত সমাপতন! ‘স্টার’ থেকে ‘বিনোদিনী’ নামকরণ হল একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে।

→

রাজনীতিতে অদূরদর্শিতার ফল যে কত সুদূরপ্রসারী, তার প্রমাণ আফগানিস্তান

মুজাহেদির নামে পরিচিত মুসলিম মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কাবুলের কমিউনিস্ট সরকারের পতনের পাঁচ বছর পরে আজও আফগানিস্তানে ইসলামের নামে যুদ্ধ অব‌্যাহত রয়েছে।

→

আমার জলরঙের গুরু শ্যামল দত্ত রায়ের থেকে শিখেছি ছবির আবহ নির্মাণ

আমাদের নতুন দল কন্ট্রিভান্সের প্রদর্শনীতে নিয়মিত আসতেন শ্যামলদা। আমার ছবি দেখতে আসতেন যে কারণে, সেটা উনিও বলেছেন আর আমিও লক্ষ করেছি। ছবিতে রং খুঁজতেন। উনি আমার রং পছন্দ করতেন।

→

ইংরেজ ভাবনার জীর্ণ স্মৃতি নিয়ে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের রোমান ‘মিনার্ভা’

এক কথায় ‘উইসডম’ যেমন মিনার্ভার পরিচায়ক গুণ, একই ভাবে এদেশের সবাইকে বুঝিয়ে দিতে হবে রোমের জ্ঞান গরিমার দেবীর আশীর্বাদ নিয়েই এদেশের মাটিতে পা রেখেছে ইংরেজ। জ্ঞান গরিমার আলোয় অন্ধকার থেকে এদেশের মানুষকে মুক্ত করতে এসেছে ইংরেজ।

→

এত বড় ফিরে আসা সাহিত্যের রূপকথায় বেশি নেই

নোবেল প্রাইজ পাওয়ার থেকেও কি রুশদির কাছে এটা বড় পাওয়া নয় যে, তিনি জানলেন তাঁর জন্মভূমি ভারত কোনও দিন নিষিদ্ধ করেনি তাঁর শয়তানের কবিতা। এবং তাঁর এই গ্রন্থের কাছে খুলে গেল সমগ্র ভারত জোড়া ব্যাপক বাণিজ্য আকস্মিক সৌভাগ্যে!

→

উপহার নয়, অরুণ মিত্রর পুরস্কারের টাকায় টাটা নেটের মশারি চেয়েছিলেন শান্তি মিত্র

আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগে এরকম কাজের ভাগ তাঁদের মধ্যবিত্ত বাড়িতে চালু ছিল, ভাবা যায়! তাও আবার বুদ্ধিজীবী ও বিখ্যাত কবির বাড়ি বলে কথা!

→