প্রতি রবিবার, ‘ইতি কলেজ স্ট্রিট’ প্রকাশিত হয় রোববার.ইন-এ। কলেজ স্ট্রিট, পুরনো কলকাতা, লেখক-প্রকাশকের চিঠি, প্রকাশকের চোখে দুরন্ত এক প্রকাশনা গড়ে তোলার স্বপ্ন– সব মিলিয়ে এই কলাম যেন এক মায়াবি ট্রাম, যা লেখকদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাতায়াত করছে অনবরত। পাঠক সেই ধারাবাহিক পড়েই লিখেছেন আন্তরিক এক চিঠি।
দ্বিতীয় বই আমার দিকে তাকিয়ে এখন মুচকি হাসে। ফিসফিস করে সে বলে, তুমি ভাবছ ফোয়ারা জিতেছে কিন্তু আসল গোলটা কিন্তু আমিই দিয়েছি মোক্ষম মুহূর্তে।
শেষের দিকে তাঁর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন তাঁর মেয়ে শিষ্যরা—শান্তি হিরানন্দ, অঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায়, রীতা গাঙ্গুলি। সকলেই মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেন, বেগম আখতার তাঁদের মাতৃসম স্নেহে মুড়ে রেখেছিলেন। এ মাতৃত্ব তাঁর ওপর কেউ চাপিয়ে দেয়নি। এ মাতৃত্ব তিনিই বেছে নিয়ে হতে পেরেছিলেন শিষ্যদের প্রিয় ‘আম্মি’।
আমি ভেবেছিলাম, একটা কাল্পনিক রেলপথের কথা। কেওনঝড়ে পাথরের মধ্যে অনেক লোহার পাহাড় রয়েছে। কল্পনা করেছিলাম এই পাহাড়ের মধ্য দিয়েই রেললাইন যাচ্ছে, এবং তা ঢুকে পড়ছে আদিবাসী গ্রামের মধ্যে। তাঁদের যে ‘মিথ’, রেলপথ আসায় তা একটু একটু করে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
চিরাচরিত লোকশিল্পের অন্তরে আধুনিকতা আর শিষ্ট শিল্পের শরীর ছুঁয়ে দিয়ে মিশ্রশিল্পের সাধক হিসেবে পরিচিত হতে চাইছেন বিশ্বের দরবারে। অন্যান্য শিল্পধারা থেকে পরিগ্রহণের মাধ্যমে নির্মাণ করে চলেছেন টেরাকোটা শিল্পের নতুন নতুন সম্ভাবনার সোপান।
আমাদের দেশে ‘সুন্দরী’ তকমা পাওয়া আহ্লাদের চেয়ে ভয়ের বেশি।
এই বইয়ে এবং আমার আরও অনেক পরবর্তী লেখায় খোলাখুলি যৌনতা থাকলেও, আমি আমার ভাষা থেকে রুচি, শিক্ষা, সভ্যতা এবং ড্রইংরুম পালিশ কখনও বর্জন করেছি বলে মনে হয় না।
দয়া নায়েক আসলে রূপকথার হিরো, যিনি জীবন্ত তবুও রূপকথার!
সেপ্টেম্বরের এক বর্ষণমুখর সকালে গিয়েছিলাম ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাটে গান্ধী-মিউজিয়মে শুটিং করতে। বিষয় ছিল, গান্ধীজির সঙ্গে বিশিষ্ট কিছু মানুষের সম্পর্ক নিয়ে, যেমন নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ, সরোজিনী নাইডু, আবুল কালাম আজাদ।
প্রথম বই-ই আনন্দ পুরস্কারে ভূষিত হয়। এতে আমার মাথা ঘুরে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। এই পুরস্কার বরং আমার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছিল। যাঁরা কাব্য জগতে আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের জন্য আরও ভালো লেখার দায়িত্ব।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved