E-Robbar
আমরা নিজেরাও আমাদের চারপাশের মানুষ সম্পর্কে একটা নির্দিষ্ট ধারণা গড়ে নিই। সেই ধারণাকে ঘিরে একটা বেড়া তৈরি করি। সেখান থেকে কেউ একটু এদিক-ওদিক হলেই মুশকিল! ঋতুদা, আমাদের ঋতুদা– সে সারাক্ষণ নানা বৌদ্ধিক আড্ডার শিরোমণি, তাকে সেটুকু দেখতেই আমি স্বচ্ছন্দ, হিসেবের বাইরে হলে, মেলাতে অসুবিধে। ঋতুদার যে একটা অন্য মন থাকতে পারে, ভেবেই দেখিনি কখনও।
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও
‘ডাকনাম’ রিলিজ বাংলা ব্যান্ডের ইতিহাসে খুব স্পেশাল। সেই প্রথম তাজ বেঙ্গলের ক্রিস্টাল রুমে কোনও ব্যান্ডের অ্যালবাম বেরচ্ছে। কারা রিলিজ করছেন? মৃণাল সেন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও কঙ্কনা সেনশর্মা।
ঋতুদা ভালোবাসত আমাদের গান। সে ভালোবাসার মধ্যে ভালো কাজের একটা প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় ছিল সবসময়। কিন্তু সত্যি কত মানুষ শোনে– সে বিষয়ে জানত না একেবারেই।
কিন্তু ঋতুপর্ণ ঘোষ কলকাতা ছেড়ে চলে যাবে ভাবলে মনখারাপ হয়ে যায়।
হাবেভাবে, সাজেগোজে আমি আমার মতো করেই চলব– তুমি গ্রহণ করতে হলে গ্রহণ করো। ‘এবং ঋতুপর্ণ’তে এই ছিল ঋতুদার অ্যাটিটিউড।
মুখের চামড়া থেকে মেক-আপ তুলতে তুলতে চোখ কড়কড় করছিল। নিশ্চয়ই চোখের বালিই হবে।
আমি করলাম না কাজটা, সেই আমি, সেই প্রথম ঋতুদার অবাধ্য হলাম।