Robbar

ধুলোমাটির মুখ

ভালোবাসার সাহসের ভাষা জানলে দোভাষীর আর দরকার নেই

ক্ষমতাকেন্দ্র না হয়ে ওঠার আদর্শকে মানবতার সঠিক চেহারা বলে নন্দিতা আজও বিশ্বাস করে। এইজন্য নিজের মতবাদ নিয়ে কোনও গোঁড়ামি নেই নন্দিতার মধ্যে, চারিপাশকে দেখতে দেখতে এক বিশ্বাসে স্থির থাকার জন্য বারে বারে নিজের বোঝাকে সে নমনীয় রেখেছে আজীবন। সত্যের চেয়ে নিজের ইমেজকে প্রধান করে তোলার পথ কখনও তার ছিল না।

→

যিনি লাইব্রেরিতে ঢুকতে দেন, বই নিতে দেন– তিনি সর্বশক্তিমান

এই জগতের প্রবেশদ্বার খুলে দিয়েছিলেন সেই দু’জন মানুষ– জীবনে একমাত্র যাঁকে আমি মাস্টারমশাই বলেছি, যদিও প্রত্যক্ষ ছাত্রী ছিলাম না তাঁর, আর অমলদা, পুরুলিয়া জেলা গ্রন্থাগারের অমলদা। কোনও দিন জানার কথা মনেও পড়েনি অমলদার পদাধিকার। কোনও দিন জানতে পারিনি যে আমার নিজের কার্ডে আমি বই পাই একটা আর মায়ের কার্ড থাকলে আরও একটা। বাকিগুলো অমলদা নিজের কার্ডে ইস্যু করে দেন!

→

পথের কুকুর, আকাশের কাক-চিল, মাটির পিঁপড়েরও অন্নের ভাবনা গৃহস্থের

ভূতযজ্ঞে গৃহস্থের ধর্ম তাই প্রতিদিন না-মানুষ কোনও একজনকে অন্নে প্রতিপালন করা। তাই গৃহস্থনিবাসে আসা ভিখারিরা, বৃত্তিজীবীরা, সন্ন্যাসী, পথিক– সকলের অন্নের যে কোনও ব্যবস্থা গৃহস্থেরই ধর্ম। তাই তো পথের কুকুর, আকাশের কাক-চিল, মাটির পিঁপড়েরও অন্নের ভাবনা গৃহস্থের।

→

বেনারসে স্কুলে পড়ার সময় বহেনজির তকলি কাটার ক্লাসে বন্ধুদের ভাগেরও সুতো কেটে দিতাম

মুখ, মানুষের মুখই, মাঝে মাঝে মনে হয়, সবচেয়ে প্রিয় দৃশ্য। গাছপালা, পাখি, পোকা, নদীদের কথা মনে রেখেও বললাম। যতদূর আসি-যাই, কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই পথচিহ্ন। মুখই সেই অভিজ্ঞান, যা দিয়ে পথচিহ্ন তৈরি হয়।

→