আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগে এরকম কাজের ভাগ তাঁদের মধ্যবিত্ত বাড়িতে চালু ছিল, ভাবা যায়! তাও আবার বুদ্ধিজীবী ও বিখ্যাত কবির বাড়ি বলে কথা!
হাতে যত কম পয়সাই থাকুক না কেন, মাহমুদ-রশীদার খাবার টেবিলে সবার জন্য খিচুড়ি-আচারের ব্যবস্থা থাকতই।
যাঁরা সবিতার বিরুদ্ধে ছিলেন, আম্বেদকরের মৃত্যুর জন্যেও সবিতাকে দায়ী করেছিলেন তাঁরা। কেউ কেউ অভিযোগ করেছিলেন ডক্টর আম্বেদকরের ভুল চিকিৎসা করেছেন তাঁর স্ত্রী, আবার কেউ কেউ আরও এক ধাপ এগিয়ে এটা মৃত্যু না হত্যা সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন।
‘এ লো বায়ান হমারে’-তে এক জায়গায় রাজ্যশ্রী বলছেন যখন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গিয়ে অকথ্য অত্যাচার করা হত, তখন তাঁকে নিজেদের তিন-চারটে সায়া পরিয়ে পাঠাতেন কৃষ্ণারা, যাতে শরীরের নিচের দিকে একটু কম ব্যথা লাগে।
তিনজনের সম্পর্ক নিয়ে, কীভাবে সংসার চালান এই তিন ‘অনাত্মীয়’ মহিলা– এসব নিয়ে পাড়ার লোকের কৌতূহল ছিল যথেষ্ট!
স্কুল গড়ার কাজে উমাদির সঙ্গে নিরঞ্জনবাবু ছিলেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। স্কুল নিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্ক-বিতর্কও হত খুব। যাঁরা দেখেছেন তাঁরা বুঝতেন স্কুল নিয়ে কতখানি প্যাশন ছিল দু’জনের মধ্যে সেসব তর্কে। স্কুলের কাজে চিনুদা প্রত্যক্ষভাবে জড়াননি, কিন্তু তাঁর পূর্ণ সমর্থন ছিল।
আমবাগানে গজল-সম্রাজ্ঞীকে গোর দেওয়া হয়ে যাওয়ার পর, রাত জেগে শাহিদ লেখেন ‘In Memory of Begum Akhtar’ নামে একটি কবিতা, যে কবিতাটা পরে উৎসর্গ করেছিলেন সেলিমকে। এর বেশ কয়েক বছর পর শাহিদের একটা কবিতার বই বের হয় ‘In Memory of Begum Akhtar’ নামে।
তাঁদের সঙ্গে থাকত এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী, যাদের নিয়ে দিনের পর দিন মিটিং হত কখনও শ্যামলীদি, কখনও বাণীদির বাড়িতে। মনীষা-সজল-অহনা এবং আরও কয়েকজন ছিল এই দলে। শুধু মিটিং নয় অবশ্য, ছোটদের অনেক হুজুগকে প্রশ্রয় দেওয়াও ছিল শ্যামলীদি ও বাণীদির।
বিয়েটা প্রথমে মেনে নিতে না পেরে নাসিমাদির এক ভাই কমিউনিস্ট পার্টি নেতাদের কাছে নিজের বোনকে বহিষ্কার করার আর্জি জানালে, এক কথায় বাতিল হয়ে যায় সেই আর্জি।
পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের বাইরেও এই স্বাধীনচেতা মেয়েরা অন্যরকম পরিবার তৈরি এবং যৌথতায় বিশ্বাসী ছিলেন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved