Robbar

কলাম

অভিধানের যে শব্দটা সবচেয়ে বেশি মনুষ্যরূপ ধারণ করেছে

জীবনের বাকি শাখা-প্রশাখা থেকে বাদুড়ের মতো ঝুলতে দেখা যায়, ‘অকৃতজ্ঞ’, ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘তঞ্চক’ নামের নানা কুটিল শব্দবন্ধকে‌। যারা উদর নয়, হৃদয়কে তাক করে। বারবার। যন্ত্রণার ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়ে বুকের বাঁ দিকটা এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিতে থাকে সুযোগ পেলে।

→

প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আততায়ীর হাতে নিহত, গোলযোগের আশঙ্কায় দূরদর্শনের বাইরের গেটে ঝুলছিল তালা!

যথাসম্ভব নো মেকআপ লুক নিয়ে ফ্লোরে গিয়ে বসলাম আমার নির্দিষ্ট জায়গায়। তরুণ চক্রবর্তী ঢুকল। অন্যান্য দিন কুশল বিনিময় হয়, আজ কেবল স্তব্ধতা। শুরু করলাম অধিবেশন, চিরাচরিত হাসিটি আজ মুখে নেই। তারপরেই তরুণের মুখে উচ্চারিত হল প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর নিহত হওয়ার সংবাদ। ঘোষিত হল রাষ্ট্রীয় শোক।

→

শুধু বিদেশে থাকার জন্য উচ্চশিক্ষা লাভ করেও ছোটখাটো কাজ করে কাটিয়ে দিয়েছেন বহু ভারতীয়

তত্ত্ববিদ, মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার কাজ নিয়েছে মস্কো রেডিয়োতে, কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে ‘মির’ বা ’প্রগতি’তে অনুবাদক হয়েছে, কেউ বা সাংবাদিকতায় পি.এইচ. ডি. ডিগ্রি অর্জন করে সংবাদপত্রের দফতর খুলে তার অন্তরালে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে দিয়েছে।

→

রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে

যে-রবীন্দ্রনাথকে আগলে রেখেছে তাঁর লেখার টেবিল অতি সন্তর্পণে, সেই রবীন্দ্রনাথকে চেনে না, চিনতে হয়তো চায়ও না তাঁর আঁকার টেবিল, এই নির্মম সত্যটি বুঝতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

→

আমার শিল্প ও বিজ্ঞানের তর্কাতর্কি সামলাতেন সমরদাই

বন্ধুভাবাপন্ন মানুষটি এমনই মিশুকে ছিলেন যে, মিস্টার সমর বাগচী কিংবা বাগচী সাহেব না বলে সরাসরি ‘সমরদা’ বললেই যেন বেশি খুশি হতেন। এমনই সে সম্পর্ক যে অফিসের সহকর্মীদের পরিবারের সকলেরই উনি পরিচিত এবং প্রিয় মানুষ ছিলেন।

→

যে তিন ‘অনাত্মীয়’ মেয়ে সংসার পেতেছিলেন দিগন্ত-রেখায়

তিনজনের সম্পর্ক নিয়ে, কীভাবে সংসার চালান এই তিন ‘অনাত্মীয়’ মহিলা– এসব নিয়ে পাড়ার লোকের কৌতূহল ছিল যথেষ্ট!

→

শুভ মহরৎ-এ আমার ভদ্রতা আর প্রেমে দাগা, বন্ধুরা মেনে নিতে পারেনি

একটা সিনেমা এতটা বদলে দেয় জীবন? পর্দায় দেখলে এতটা সম্মান করে মানুষ?

→

ছোট্ট অপুকে দেখেই রঙিন ছবিতে ভরা টানটান গল্পের বই করার ইচ্ছে জেগেছিল

আটের দশক জুড়ে কার্তিকদার সঙ্গে জুটি বেঁধে আমি প্রচুর ছোটদের বই প্রকাশ করেছি। কার্তিকদা কোনও দিনই দে’জ পাবলিশিংয়ের কর্মী ছিলেন না। কিন্তু আমাদের প্রকাশনার শিশুসাহিত্য বিভাগে তাঁর অবদান ভোলার নয়।

→

একটা আশাবাদ ও একটা অনলস কৌম চেতনা

এই গানের কোথাও বর্ণবিদ্বেষ ও অত্যাচারের কোনও বয়ান নেই। কোনও রক্ত ঝরে না এ গানে, এ গানে অপমানের হিসাব নেই। একটা আদ্যন্ত প্রতিবাদী গান, কিন্তু তার ছত্রে ছত্রে আশাবাদ।

→

মেটিয়াবুরুজের দরবারই কলকাতা শহরে হিন্দুস্তানি সংগীত নিয়ে আগ্রহ তৈরি করেছিল

মেটিয়াবুরুজের এই আওয়াধি-সংস্কৃতি শুধু ওই অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিল না। কলকাতা শহরের অন্যত্রও এই নিয়ে আলাপ-আলোচনা, আসর-মেহফিল হতে শুরু করে ধীরে ধীরে।

→