Robbar

রোজনামচা

কালচিনির তরুণ কবিকে লেখা চিঠি

রাইনার মারিয়া রিলকের ১৫০তম জন্মদিন আজ। আজকে, কোনও তরুণ কবিকে যদি চিঠি লিখতে হয়, কী লিখবেন কবিতাবিশ্বে দীর্ঘকাল ঘর-সংসার করা কবি সুবোধ সরকার? তিনি লিখছেন আজকের তরুণ কবিকে লেখা চিঠি।

→

বিধাতার চিত্রনাট্যকে শোধরানোর চেষ্টা করেননি গদার

সুমনের ‘পাগল’ বিধাতার সঙ্গে সাপ-লুডো খেলছিল– আমরা সবাই খেলছি। গদার হেরে-যাওয়া খেলায় শেষ পর্যন্ত ‘ছায়ার সঙ্গে কুস্তি’ লড়েননি– তিনি ‘এই মাত্র! আর কিছু নয়’-কে ডিঙিয়ে যেতে চেয়েছেন। বোর্ড উল্টে দিয়েছেন অতর্কিত ‘কাট্’-এ।

→

রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ছাড়া প্রতিবন্ধী মানুষদের উন্নতি অনিশ্চিত

তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য প্রান্তিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি প্রতিবন্ধকতাকেও ধারাবাহিকভাবে দলীয় কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির রীতি অভ্যাসে পরিণত করলেই প্রতিবন্ধী মানুষেরা ‘নিজেদের কথা’ বলার অধিক সুযোগ লাভ করতে পারে।

→

‘ছড়ার ছবি’ নাকি ছবির ছড়া?

রবীন্দ্রনাথ বহুদিন ধরেই দেখে আসছেন সত্যি-মানুষের চলাচলের জগৎ। ‘ছড়ার ছবি’তে এসে তারা ঘটিয়ে বসল এক সাংঘাতিক কাণ্ড! নন্দলালের ছবি তাঁকে দিয়ে ৩২টি ছড়াই লিখিয়ে নিল না শুধু, সৃষ্টি করিয়ে নিল একরাশ সত্যি-মানুষ।

→

রবীন্দ্রনাথের শোকের গান প্রায় নেই, সবই শোক উত্তরণের গান, বলেছিলেন শান্তিদেব ঘোষ

আমার জ্যাঠামশাই, শান্তিদেব ঘোষ বলেছিলেন যে, ‘রবীন্দ্রনাথের শোকের গান প্রায় নেই, থাকলেও খুব কম। তাঁর স্ত্রী-পুত্র-কন্যা প্রিয়জনদের এত মৃত্যু সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের প্রত্যেকটি মৃত্যুর গান মৃত্যু থেকে উত্তরণের গান।’ বলতেন, ‘কেঁদে ভাসিয়ে দিলে এই গানের প্রতি বিচার করা হয় না।’ অর্থাৎ ‘আছে দুঃখ আছে মৃত্যু’ অংশটা কেউ সাংঘাতিক টেনে টেনে করুণ সুরে গাইলে তা আদপে অর্থহীন। আসল কথা হল– ‘তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে’।

→

নির্জন রূপের ছায়া এসে পড়েছিল মাৎসুও বাশোর হাইকুতে

১৬৮৬ থেকে ১৬৯১, এই সময়কালে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পথে পথে, লিখছেন কাব্যময় গদ্য, ভ্রমণকাহিনি আর প্রচুর হাইকু। এই পাঁচ-ছ’ বছর সময়কে বলা চলে তাঁর জীবনের সবচেয়ে ফলবান অধ্যায়। হাইকু লেখার ক্ষেত্রে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ক্রমশই প্রতিষ্ঠা পেল। মাৎসুও বাশোর মৃত্যুদিনে বিশেষ নিবন্ধ।

→

দেবাশীষ দেবের ছবি

সদ্য দেবাশীষ দেবের ৭০তম জন্মদিন চলে গেল। সেই উপলক্ষেই একটি লেখা, তিনজন শিল্পীর জমায়েত। প্রচ্ছদের ক্যারিকেচার করলেন অনুপ রায়, লিখলেন কৃষ্ণেন্দু চাকী। লেখার ভেতরে রইল দেবাশীষ দেবের নানা ছবি।

→

শক্তিদা আলিঙ্গনে তৃপ্ত হতেন, অবলম্বনে নয়

কানাইনাটশাল শক্তিদার প্রিয় বাংলো। নিচের বাগানে ময়ূর, হরিণ, অজস্র গাছগাছালি। সকালে জলখাবার খেয়ে শক্তিদা দরজা বন্ধ করলেন, এক ঘণ্টা পর বারন্দায় তাঁর গমগম কণ্ঠে শুনলাম, ‘গ্রহণ করিনি আগে ভুল হয়ে গেছে/ চুম্বন করিনি আগে ভুল হয়ে গেছে’।

→

শুধুই কবি-সাহিত্যিক নয়, জনসাধারণের মিলনক্ষেত্র ছিল অমিতাভ দাশগুপ্তর দেড় কামরার ফ্ল্যাট

এক অসম্ভব সারল্যময় মেজাজের অধিকারী ছিলেন। যাঁকে বকতেন, তাঁকেই আবার বুকে জড়িয়ে ধরতেন। বাবা, শক্তিকাকা এবং জেঠু (লেখক সুরজিৎ বসু) যখন প্রবল বর্ষায় জলপাইগুড়িতে সারারাত গান গাইতেন তখন চারপাশ আলোড়িত হয়ে উঠত তাঁদের কণ্ঠস্বর রাতগুলো মিশে যেত আবেগের স্রোতে।

→

শিল্প-সংগীত থেকে প্রকৃতি সর্বত্র মিশে আছে ফিবোনাচ্চির গণিত

ফিবোনাচ্চির ‘লিবের অ্যাবেসি’ গোটা ইউরোপে দারুণ প্রভাব ফেলেছিল– সহজ আর দ্রুত করে দিয়েছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের গণনা। তাঁর সংখ্যা-শৃঙ্খলা অনুপ্রাণিত করেছে বহু শিল্পী, সংগীতজ্ঞকে। তবে ফিবোনাচ্চি সিরিজের সবচেয়ে সুন্দর রূপটি ছড়িয়ে রয়েছে সারা প্রকৃতিময়। বিশ্ব ফিবোনাচ্চি দিবস উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ।

→