সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ অনেক বেশি সেল্ফ- ক্রিটিক্যাল নিজের এশীয় পরিচয়কে বিশ্বনাগরিকতার সাপেক্ষে বিচার করে দেখার ব্যাপারে। এবং, এই জন্য শিম রান্নার উৎকৃষ্ট পদ্ধতি জানার চেষ্টা নতুন ধরনের গদ্যভাষার অন্বেষণ মাত্র। আসল উদ্দেশ্য, নিজের বিশ্ববীক্ষার সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থিত করা।
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজাকে কেন্দ্র করেই পূর্ববঙ্গে লক্ষ্মীসরার উদ্ভব হয়েছিল। বঙ্গদেশে মাটি সহজলভ্য হওয়ায়, লক্ষ্মীসরা, উপাসনার উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। তবে সরাচিত্রে মৃন্ময়ী রূপ নয়, চিত্রকারী রূপের প্রতিফলন ঘটেছে; আর এই চিত্রকারী রূপটি বঙ্গদেশে বহু প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত ছিল। সেখানে পাওয়া যাবে একপুতলি, দুইপুতলি, তিনপুতলি, চারপুতলি বা যুগল, পাঁচপুতলি, গজলক্ষ্মী, সাতপুতলি, আটপূজারিনি-সহ লক্ষ্মীসরা ইত্যাদি।
সারা বিশ্বকে জানালেন মানবজাতির নিকটতম জীবিত আত্মীয়দের কথা, মানুষ আর না-মানুষদের মধ্যে সম্পর্কের জানলা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর গবেষণা প্রাণীবিজ্ঞানে নতুন দিশা দেখাল। তাঁর দেখানো পথেই নারীরা খুঁজে পেয়েছিল বিজ্ঞানজগতের এক নতুন সম্ভাবনা।
দশমীতে বেজে উঠুক হিংসা-বিসর্জনের ঢাক। শত-সহস্র লক্ষ-কোটি। দেশ-দেশান্তর, নদী-পর্বত সাতসমুদ্র, সব মহাদেশ জুড়ে।
এমন গ্রন্থ কখনওই শিশুপাঠ্য হওয়া উচিত নয়, যেখানে ঈশ্বরকে এক এবং অদ্বিতীয় বলে বর্ণনা করা হয়নি। এ কারণে শুধু প্রাচ্যদেশীয় কিছু গোঁড়া ব্যক্তিবর্গ নয়, ইউরোপের রেনেসাঁসের সন্তানদের মধ্যে কেউ কেউ এদেশে এসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’ বইটির প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
রুখমাবাইয়ের সংগ্রাম কেবল উনিশ শতকের এক মামলার স্মৃতি নয়। তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন– নারীর শরীর তাঁর নিজের। অথচ আজকের ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ এখনও অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত হয়নি। আইনি কাঠামো নারীর সম্মতির প্রশ্ন আংশিকভাবে স্বীকার করলেও, দাম্পত্যের ভেতর সেই সম্মতির গুরুত্ব এখনও অস্বীকৃত।
বিমল কর নিহিত সেই পাতালের মুখ– কখনও যা সামাজিক ঔচিত্যের বিধানে নাড়া দেয়– অকপটে খুলে ধরেন, কিন্তু আখেরে পৌঁছে দিতে চান কামনার স্থূল অন্ধিসন্ধি পেরিয়ে ভালোবাসার ব্যাপ্ত চরাচরে। গোপন কামনা-বাসনার খবরাখবর মেলে ধরা গেলে সেই সূত্র গোটা মানুষের কাছে নিয়ে যায়, প্রকৃত অবস্থান বোঝা যায় তাঁর।
‘আমি আর যাব না ওখানে। কেন যাব? কার কাছে যাব?’ আর আজ যখন তিনি সেই শান্তিনিকেতনে এলেন তাঁর দু’চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে এল? কেন এমন হল? এর কারণ কি তবে সেই রবীন্দ্রনাথ? তিনি সেই মাটিকে স্পর্শ করলেন, অনুভব করলেন রবীন্দ্রনাথকে, আর তখনই অল্পবয়সি মেয়েটির চোখ ভারী হয়ে এল।
আইনসভার বিবরণী ছাপার ব্যাপারে মানহানির অভিযোগ থেকে সংবাদমাধ্যমকে সুরক্ষিত রাখাটা কতটা জরুরি, তা ফিরোজ গান্ধী অনুভব করেছিলেন।
সুবর্ণরেখার ইন্দ্রদাকে সকলেই একডাকে চিনতেন, সেই তুলনায় বিমলদার পরিচিতি কী আর! কিন্তু দাদা ইন্দ্রনাথের ওপর আলো এসে পড়ত বলে বিমলদা ক্ষুণ্ণ হতেন না। বরং চাইতেন ইন্দ্রদার কথা লোকের কাছে পৌঁছে যাক।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved