রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্মশানযাত্রা যখন শ্মশানে এসে পৌঁছয়, তখন আরও একটি মৃত্যু যন্ত্রণার কথা সেদিনের শ্মশানের বাতাসে মিশে গিয়েছিল।
প্রতিটি গ্রামে নিজস্ব শ্মশান আছে। সেই শ্মশানের মোটামুটি দু’টি ভাগ; একটি ব্যক্তিগত। অপরটি 'সাজারে' বা সর্বজনীন। ব্যক্তিগত শ্মশানে নির্দিষ্ট বংশ পরম্পরায় দাহ করা নিয়ম। সাজারে শ্মশানে গ্রামের সব শ্রেণির অধিকার।
একমাত্র শ্মশানে গেলেই এই ধরনের বৈরাগ্য সাময়িকভাবে মানুষের ওপর চেপে বসে। কিন্তু এরাই বাড়ি ফিরে গেলে পরপর দু’দিন যদি প্রাতঃকৃত্যের সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে তখন এরা ওই শ্মশানে যাওয়াটাকেই দায়ী করবে।
নিখিল ছিলেন ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক সুন্দর মিশ্রণ, ‘মহান অপবিত্র’ (Great Impurist) বলে যাঁকে পণ্ডিত রবিশঙ্কর মজা করে ডাকতেন, সেই আলাউদ্দিন খানের শিষ্য হয়েও তিনি জীবনে ছিলেন প্রগতিশীল ও মুক্তমনা। নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনে বিশেষ লেখা।
মৃত্যুর কিছুদিন আগে কেয়ার মরদেহের সামনে অজিতেশ বলে উঠেছিলেন, ‘কমরেড কেয়া আমরা তোমায় ভুলছি না, ভুলব না।’ আর এদিনের মহাযাত্রায় সেই কমরেড, যিনি একদিন কোলিয়ারি থেকে ‘মহৎ উদ্দেশে পাড়ি দিয়াছিল’!
‘এই সইগুলো আমরা করাব, খবরের কাগজ সংবাদ তৈরি করবে, কিন্তু আর কী হবে? কিচ্ছু হবে না। হলে সিনেমার লোকজনরাই প্রতিবাদ করত, এগিয়ে আসত। আমার কথা মিলিয়ে নিও।’ অজিতদার দৃঢ় কথাগুলো আজ মনে হয় একদম ঠিক।
হিমালয় ভ্রমণকাহিনি বলতেই জলধর সেন আর উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথাই মনে আসে সবার আগে। ৯৫ বছরের দীর্ঘ জীবনকালে (১৯০২-১৯৯৭) ৮৬ বছর বয়স পর্যন্ত ঘুরে বেড়িয়েছেন উমাপ্রসাদ। সুবিস্তৃত ভ্রমণজীবনে হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা অবধি ভ্রমণকাহিনি লিখেছেন। বাঙালিকে পাহাড়ের সৌন্দর্য চিনিয়েছেন। বাংলার বাঘ স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের তৃতীয় পুত্র উমাপ্রসাদের জন্ম ও মৃত্যু উভয়ই ১২ অক্টোবর। সেই উপলক্ষে বিশেষ এই নিবন্ধ।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ অনেক বেশি সেল্ফ- ক্রিটিক্যাল নিজের এশীয় পরিচয়কে বিশ্বনাগরিকতার সাপেক্ষে বিচার করে দেখার ব্যাপারে। এবং, এই জন্য শিম রান্নার উৎকৃষ্ট পদ্ধতি জানার চেষ্টা নতুন ধরনের গদ্যভাষার অন্বেষণ মাত্র। আসল উদ্দেশ্য, নিজের বিশ্ববীক্ষার সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থিত করা।
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজাকে কেন্দ্র করেই পূর্ববঙ্গে লক্ষ্মীসরার উদ্ভব হয়েছিল। বঙ্গদেশে মাটি সহজলভ্য হওয়ায়, লক্ষ্মীসরা, উপাসনার উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। তবে সরাচিত্রে মৃন্ময়ী রূপ নয়, চিত্রকারী রূপের প্রতিফলন ঘটেছে; আর এই চিত্রকারী রূপটি বঙ্গদেশে বহু প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত ছিল। সেখানে পাওয়া যাবে একপুতলি, দুইপুতলি, তিনপুতলি, চারপুতলি বা যুগল, পাঁচপুতলি, গজলক্ষ্মী, সাতপুতলি, আটপূজারিনি-সহ লক্ষ্মীসরা ইত্যাদি।
সারা বিশ্বকে জানালেন মানবজাতির নিকটতম জীবিত আত্মীয়দের কথা, মানুষ আর না-মানুষদের মধ্যে সম্পর্কের জানলা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর গবেষণা প্রাণীবিজ্ঞানে নতুন দিশা দেখাল। তাঁর দেখানো পথেই নারীরা খুঁজে পেয়েছিল বিজ্ঞানজগতের এক নতুন সম্ভাবনা।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved