এই আশ্চর্য মানুষটিকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তেমন চর্চা নেই। যাঁর 'খামোশ' হুংকারে ঢাকার রাজপথে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল দুর্ধর্ষ পাকিস্তানি সেনা, নামিয়ে নিয়েছিল বন্দুক, তিনিই লাল মওলানা ভাসানী।
২০০৮-এ থলয় সাগর জয় করা অবশ্য আমার কাছে এ জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল। এমনকী, এভারেস্ট জয়ের থেকেও বেশি।
যে কমেডি তুলসীবাবু পারতেন, সেই মজাটা তখনকার দর্শকরা বুঝতেন, তার কারণ তখনকার জীবনে চারপাশে এই রকম অনেক মানুষ থাকতেন। মানুষ সেই মানুষদের চিনতেন, জানতেন।
সুনীতিকুমার ‘মানবতা’ অর্থে ব্যবহার করতেন ‘হিউমেননেস’ শব্দটি। শুনে মনে হত, রবীন্দ্রনাথ যে ‘মানুষের ধর্ম’-এর কথা বলেছিলেন, এই ঋষিকল্প মানুষটির ধারণা-বিশ্ব সম্ভবত তার থেকে খুব দূরবর্তী নয়।
‘হীরক রাজার দেশে’র শুটিংয়ে সত্যিই কাউকেই ভূতে ধরেনি। ধরেছিল অদ্ভুতে। সেই অদ্ভুত, অপূর্ব লোকটির নাম কামু মুখোপাধ্যায়।
আসলে জটায়ু হলেন সেই চরিত্র, যাকে দিয়ে হয়তো পাল্প প্রভাবিত বাংলা ফিকশনের কিছু বাড়াবাড়ি অযুক্তি শুধরে নিতে চেয়েছিলেন সত্যজিৎ!
হজমের গোলমাল সারাতে বাঙালি পশ্চিমে ‘চেঞ্জে’ যেতে শুরু করল, কিন্তু নিজেদের দৌড় সীমাবদ্ধ রাখল নিজের রাজ্যের সীমারেখার ১০০ মাইলের মধ্যে। চেঞ্জারদের ভিড় দেখে মধুপুর, শিমূলতলা, ঘাটশিলার স্থানীয় মানুষ দুটো বাড়তি পয়সা রোজগার করার তাগিদে বাংলা শিখে নিল, তাতে বাঙালির হল পোয়াবারো!
দুটো দিকে ভারসাম্য রেখে চলা, একদিকে উকিল সন্তোষ দত্ত, আরেকজন জটায়ু অর্থাৎ ফিকশন লেখকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া– আমায় খুব অবাক করত। ভাবতাম, একটা মানুষের পক্ষে কী করে সম্ভব!
সংলাপ প্রক্ষেপণ কত সুদূরপ্রসারী হতে পারে, তা প্রমাণিত ওই জবানিতে। বড় মাপের অভিনেতা না হলে সংলাপ ‘কিংবদন্তি’র স্তরে পৌঁছতে পারে না। তিনি এ জিনিস অনায়াসেই করতে পেরেছেন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved