Robbar

রোজনামচা

করুণা তোমার কোন পথ দিয়ে

১৩ নভেম্বর করুণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ লেখা।

→

আজ যদি চিত্তপ্রসাদ সাক্ষাৎকার দিতেন…

আপনি চিত্রকে ‘এজিটেটর, অর্গানাইজর’ বলে গেছিলেন, তাঁর উত্তরসুরি কি আমরা হতে পেরেছি? হয়তো আপনার কাজ আমাদের গ্রামের ঘরের দেওয়ালে থাকে না, তবুও আজও গ্রামের আনাচেকানাচে আপনার ছবি কোনও কোনও দেওয়ালে নতুন রাজনৈতিক শিল্পীরা এঁকেই যান।

→

হিন্দিতে অভিনয় করতে পারলে মনোজ ভারতের এক শ্রেষ্ঠ চরিত্রাভিনেতা হিসেবে সম্মান পেতেন

মনোজের বাড়িতে অল্পসময়ের জন্য গেলেও অবধারিতভাবে লুচি-তরকারির প্লেট সামনে এসে যেত, ভূরিভোজ অনিয়মিত ছিল না, আর আমার বাড়িতে নেমন্তন্নে এলে তিনি ল্যাজ আর মাথা প্লেট ছাপিয়ে যায় এইরকম পাবদা মাছের বায়না দিয়ে রাখতেন।

→

অভিনেতাকে সব কিছু মনে রাখতে হয়, আমাকে বলেছিলেন মনোজ মিত্র

অভিনেতা হিসেবে অভিনয়ের যে জায়গাগুলো তিনি আবিষ্কার করেছিলেন, যা আমি আগেও বলেছি, সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা, ভালো থাকার আকাঙ্ক্ষা, জয়ী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, সাধারণ মানুষ যা প্রকাশ করতে পারে না চট করে। মনোজ মিত্র তাঁর সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে তাকে বড় করে দেখিয়েছেন।

→

কল্পনা আর বাস্তবের অবিশ্বাস্য বন্ধুত্বই আসলে মনোজ মিত্র

কত নাটক, কত একসঙ্গে থাকা, কত বন্ধুত্ব, কত কৌতুকময় বিষাদ। আজ বিষাদটুকু পড়ে আছে। মনোজ– বাংলা নাটক ও আমার– একান্ত কাছের। এই ক্ষতি অপূরণীয়।

→

ঋত্বিকের ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’ রুক্ষ বাস্তবের, শিব্রামের ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’ অনাবিল শিশুসাহিত্য

বইয়ের পাতার কাঞ্চন যখন সেলুলয়েডের কাঞ্চন হয়ে ওঠে, তখন তা আর শিব্রামের কাঞ্চন থাকে না, তা হয়ে যায় ঋত্বিকের কাঞ্চন। সেই কাঞ্চন দেখে এক কাঞ্চন দেশের স্বপ্ন, যার নাম এল ডোরাডো।

→

‘কোমল গান্ধার’ এক প্রেমের ছবিই, যা ভবিষ্যৎ অর্থনীতির দলিল হয়ে উঠেছিল

৬০ বছর পরের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির দলিল হয়েও কোমল গান্ধার অপূর্ব প্রেমের ছবি। একটি ব্যক্তিগত ছবি। ব্যক্তিগত দলিল। ঋত্বিক ঘটকই ভৃগু।

→

নরসিংহরূপই আলাদা করেছে কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীকে

কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো তান্ত্রিক মতে হয় বলে একদিনেই পুজো সম্পন্ন হয়। দুর্গাপুজো বৈদিক মতে হয়, তাই চারদিনের।

→

চরিত্রের মধ্যে বিলীন না হয়ে কিছুটা বিজন ভট্টাচার্য হয়ে থেকে যান ‘সুবর্ণরেখা’-র হরপ্রসাদ

নিজের ভূমিকাতেই বিজন অবতীর্ণ হন এইসব ছবিতে, গণনাট্যের একজন নায়ক, ঋত্বিকের একজন সতীর্থ হিসেবে, যেমনটা বাস্তবে ছিলেন। পরিচালকের হয়ে ছবিতে প্রবেশ করেন কখনও কথক, কখনও বিদূষক হিসেবে।

→

জগদ্দল মানুষ হয়, বিমল হয়ে যায় যন্তর, যার পোড়া পেট্রোলের গন্ধে নেশা লাগে

একটা ভাঙাচোরা লড়ঝড়ে গাড়ি’র মনুষ্যত্ব– নেহাতই উন্মাদ না হলে এই ছবির উদ্ভট প্লট কেউ বিশ্বাস করবে না, ‘অযান্ত্রিক‌’ প্রসঙ্গে বলেছিলেন ঋত্বিক।

→