Robbar

রোজনামচা

শালবনে মাতাল নীলকণ্ঠের যে গমনাগমন– তা আসলে শ্মশানের পরপারে বসে থাকা মানুষের

এই হলাহল পান করার অধিকার তো একমাত্র তাঁর। একমাত্র তিনিই, নীলকণ্ঠ বাগচি ওরফে ঋত্বিক ঘটক।

→

গীতা আর নীতার তফাত আদর্শচ্যুত মানুষ আর আদর্শে বেঁচে থাকা মানুষের তফাত

‘মেঘে ঢাকা তারা’ যে বছর জাতীয় পুরস্কারের জন্য লড়েছিল, সে বছর জুরিতে ছিলেন কারা? তাদের কি সিনেমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না! সুপ্রিয়া দেবীর জাতীয় পুরস্কার না পাওয়াটা নীতার জীবনের মতোই বিশ্বাসঘাতকতার!

→

তিতাস শুকোয়, কান্না শুকোয় না, সুরও না

তিতাস কি ভালোবাসার নাম নয়? তিতাস কি সারল্যের নাম নয়? জীবনের বাঁকের নাম কি তিতাস? প্রতিবাদের নাম কি তিতাস?

→

জনপ্রিয় শ্যামাসংগীত ও কিছু চেনা ভুলভ্রান্তি

রামপ্রসাদের গানের ক্রেডিটই ছিনিয়ে নিচ্ছে জেনারেশন জেড! এই প্রবণতায় নবতম ও বিচিত্রতম সংযোজন ‘মন রে কৃষিকাজ জানো না’। সংগীত প্রতিযোগিতার মিষ্টি প্রতিযোগী গানটি ‘কভার’ করে গীতিকারের নাম লিখেছেন শ্রীজাত। সুরকার? না, অরিজিৎ সিং নন, জয় সরকার।

→

হাজার ভিন্নতা সত্ত্বেও শ্রীরামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের কালী-দর্শন মিলেমিশে যায়

মঙ্গলময়ী, অভয়দাত্রী মায়ের যে রূপটি বারবার উঠে আসে শ্রীরামকৃষ্ণের কথায় বা গানে, স্বামী বিবেকানন্দ সেই একই মাতৃশক্তিকে অনুভব করেছিলেন ভিন্নভাবে– প্রলয়ের সাজে।

→

ঘাটশিলায় হঠাৎ বহুরূপী কালীর সঙ্গে দেখা না হলে ‘সুবর্ণরেখা’-র ওই দৃশ্য তৈরি হত না

‘মেঘে ঢাকা তারা’-তে নীতা জগদ্ধাত্রীর প্রতীক– কোমল, আশ্রয়দাত্রী। আর সেখানেই তাঁর মা একধরনের টেরিবল মাদার।

→

শাড়ি পরিহিত সাদা কালীর অপরূপ লোককথা

ঘোড়িয়াল অর্থাৎ জলঘড়ির পরিচালক প্রতিমুহূর্তে সময় মেপে পুরোহিতদের সময় বলে দেন, আর সেই সময় দেখে পুরোহিত পুজো করেন শ্বেতকালীর।

→

কালিকা প্রেস থেকে আমার নাম করে ৫০ গ্রাম ‘গু’ নিয়ে এসো

বলেছিলেন কৃষ্ণগোপাল মল্লিক। অধুনা প্রেসের কর্ণধার। সাধ্যমতো কৃষ্ণগোপালদাকে ‘কাল্টিভেট’ করতেও শুরু করছিলাম ১৯৬৯ সালের আশপাশের সময় থেকে। টের পেতে থাকি তাঁর ভৌতিক ব্যাপার-স্যাপার।

→

পূর্ণেন্দু পত্রীর ‘শালিকের ঠোঁট’ ছেপে বেরল ‘শালিকার ঠোঁট’ হয়ে!

কাগজ বেরনোর পর দেখা গেল উপন্যাসের নাম হয়ে গেছে ‘শালিকার ঠোঁট’! পূর্ণেন্দুদা রেগে আগুন। পিঠে হাত দিয়ে সন্দীপন তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন, ‘কী করবে ভাই বল! ছাপাখানার ভূত কাউকেই রেহাই দেয় না রে।’ পরে জানা গিয়েছিল এটা সন্দীপনদারই সূক্ষ্ম হাতের কাজ।

→

কলেজ স্ট্রিটের ফুটপাথে বিক্রি হচ্ছিল পাতলা কাগজে ছাপা ‘কম্যুনিস্ট ম্যানিকেষ্ট’

লেখক-প্রকাশক-সম্পাদক মায় প্রুফ রিডার– কারুক্কে পরোয়া করে না ছাপাখানার ভূত! ভূতচতুর্দশী উপলক্ষে ‘ছাপাখানার ভূত’ নিয়ে প্রথম লেখা।

→