Robbar

মানবাধিকার

আমাদের দেশে ‘অ্যাবিউজ’ শব্দটিকে থলথলে অর্থে ধরা হয়, তাই অত্যাচার-শোষণের কাহিনির ঘরের মধ্যেই গঙ্গাপ্রাপ্তি ঘটে

সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে ভারতীয় মহিলাদের সারভাইকাল ক্যানসার বৃদ্ধির প্রবণতা আর আমরা এখনও লজ্জা-ট্যাবুর বশংবদ হয়ে থাকব? পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্কুলগুলির ভর্তির ফি দেওয়ার ক্ষমতা বহু ছাত্রীর নেই। এদের মানসিক স্বাস্থ্য, হীনমন্যতা, রাজনৈতিক অবহেলাকে আরও বেশি করে অনুপ্রাণিত আমরা করতে পারি না। বরং গলাটা ছাড়তে শেখাই, শেখাব!

→

উচ্চবিত্তের স্যানিটারি প্যাড নিয়ে ‘লজ্জা’-ই ভারতের লক্ষ লক্ষ কিশোরীর স্কুল ছাড়ার কারণ

মমতা শঙ্করের বক্তব্য একটি সময়ের, একটি শ্রেণির, একটি পুরুষতান্ত্রিক শিক্ষার প্রতিফলন– যেখানে নারীর স্বাধীনতা মানেই অশ্লীলতা, দরিদ্র মানুষের কৌশল মানেই ষড়যন্ত্র, আর প্রান্তিক লিঙ্গ পরিচয়ের মানুষদের জায়গা শুধুই করুণার, অধিকারের নয়।

→

ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষের অস্তিত্বের প্রমাণ কি শুধুই ‘কাগজ’?

যে রাজ্যে, যে দেশে তিনবেলার খাবারের সংস্থান এখনও হয়ে ওঠেনি, সেই ভূখণ্ডে মানুষের যা আছে তা-ও কেড়ে নেওয়ার সব ফন্দি নিয়ে হাজির শাসক দল। বুলডোজার দিয়ে ক্রমাগত বাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে আসামে। এই জুলাই মাসের শুরুর দিকেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে ১৪০০ বাড়ি।

→

মেয়েদের জীবন যেদিন তার আনুগত্যের চেয়ে দামি হবে, সেদিন পণপ্রথা রোখা সম্ভব হবে

পণপ্রথার ভিত আসলে লিঙ্গ-ভিত্তিক শ্রমবিভাজন এবং নারী-পুরুষের শ্রমের ‘মূল্য’-র পার্থক্যের ওপর দাঁড়িয়ে। এটি আসলে পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে, যেখানে পুরুষ উপার্জন করবে, নিরাপত্তা দেবে; আর নারী পালন-পোষণ করবে এবং তার পুনরুৎপাদনমূলক শ্রম পুরুষের শ্রমের অধীন থাকবে।

→

চুনি কোটাল, রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার বয়ানও দলিতের তত্ত্ব নির্মাণের জন্য অবশ্যম্ভাবী

কে বলে দলিতের নির্মাণ সাহিত্য পদবাচ্য নয়? তথাকথিত ক্ষমতার জাঁতাকলে নিষ্পেষিত আত্মের বেদনার ভাষ্যও কিছু সুন্দর কথার জন্ম দিতে পারে।

→

এদেশে এখনও বিয়ের পর বেশিরভাগ মেয়েদের আধপেটা খেয়ে থাকাই রেওয়াজ

গোবলয়ে যেমন কন্যা-সন্তানদের আজকাল খবর অনুযায়ী স্রেফ গলা টিপে খুন করা হয় না ডিসেন্সির খাতিরে, তেমনটা এখানকার রীতি নয়। বাপ, দাদা, ভাই ডিম তো বটেই, এমনকী মাংসও খাবে আর বোনের কপালে শুকনো রুটি-সবজি, অতটা পৌরুষ প্রদর্শন প্রায় কোনও জেলাতেই দেখিনি অদ্যাবধি।

→

মুশতাকের গল্পের মহিলারা ম্লান হয়ে যায়, কারণ তারা সমাজের সৃষ্ট পরিচয়ের বাইরে পা বাড়াতে পারেনি

মুশতাকের গল্পের মহিলারা খুব কম জায়গায় ধর্মের নামে শোষিত হয়েছে। তালাক, সম্পত্তির অধিকার বা বহুবিবাহের কথা আলগা করে ছুলেও ‘হার্ট ল্যাম্প’-এর মহিলাদের সমস্যা ও প্রতিবাদ ধর্মের গণ্ডির মধ্যেই সীমিত।

→

মালবিকা-আকাঙ্ক্ষার ভালোবাসার বারান্দা আজ অনেক মানুষের নিশ্চিন্ত আশ্রয়

প্রায় ৩২-৩৩ বছর পরস্পরের দোসর ও জীবনসঙ্গী মালবিকা-আকাঙ্ক্ষা। সহযোদ্ধা হিসেবে বহু সমকামী মেয়ে ও যৌন সংখ্যালঘু অন্যান্য মানুষজনের হাত ধরে আছে ওরা দু’জন, ওদের ভালোবাসার বারান্দায় চেয়ার/মোড়া/মাদুর পেতে বসে একটি বড় পরিবারের অনেক সদস্য।

→

শোষক যাতে আমাদের স্বপ্নগুলো কেড়ে নিতে না পারে, জেলে এটাই হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্তব্য

জীবনের ১০টা বছর কারাগারে থাকার পর কেউ যখন বাইরে আসে তখন এই ১০ বছরে পালটে যাওয়া পৃথিবীর সঙ্গে সমঝোতা কীভাবে করে? এর দায় রাষ্ট্র নেয় না। যেমন কোনও দায় নেয় না জেলে থাকা রাজবন্দিদের জীবন-জীবিকার। চলতে থাকে ফেলে আসা সময়, হারিয়ে যাওয়া সময় ও বর্তমান সময়ের সঙ্গে জোর লড়াই।

→

বিচ্ছিন্ন কারাজীবনে খানিক শ্বাসবায়ু ‘মুলাকাত’

রাষ্ট্রের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই জেল এবং বাইরের প্রিয়জনদের সেতু গড়তে থাকে। জামিনপ্রাপ্ত বন্দিরা জান কবুল করেন ভিতরে থাকা বন্ধুদের বার্তা তাঁর প্রিয়জনদের পৌঁছে দিতে। নজরদারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলতে থাকে চিঠি চালাচালি। প্রিয়জনদের কাছে যাওয়ার জন্য, ক্ষণিকের মুলাকাতের জন্য।

→