‘ভাইরাল’ হতে পারা ইনফ্লুয়েন্সারদের সর্বতো আকাঙ্ক্ষা, আমরা জানি, কিন্তু একটি দুর্বল গোষ্ঠীর মানুষদের যতরকম ভাবে পারা যায় অনলাইন-হেনস্তা করে সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা তো আদতে একটা অপরাধ। ‘থ্যাইল্যান্ড’ দেশটার যে কেবল রূপান্তরকামী মানুষদের দেহব্যবসা দিয়ে পরিচয় তা এরা না-থাকলে জানা হত না।
যুক্তিপূর্ণ এবং সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের কিছু অযৌক্তিক এবং বস্তাপচা উত্তর হয়, যা মূলত ট্র্যাডিশন ও পরম্পরাধর্মী। যেমন, এত বছর ধরে চলে আসা এই সাবেকি নিয়মই এদেশের ঐতিহ্য, ইত্যাদি ও ইত্যাদি। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
আরবি ভাষায় ‘সুমুদ’ কথাটার অর্থ প্রতিরোধ। সেই সুমুদের ঢেউয়ে আছড়ে পড়ছে সুদান, কঙ্গো, কাশ্মীর-সহ বিভিন্ন মুক্তি সংগ্রামের প্রতিরোধের স্রোত। সেই দিনবদলের জোয়ারেই জর্ডান নদী থেকে ভুমধ্যসাগর যেন গেয়ে উঠছে– ‘ঢেউ উঠছে, কারা টুটছে, আলো ফুটছে প্রাণ জাগছে’।
নগর পরিকল্পনার ভেতরকার এই অদৃশ্য সহিংসতাই আসল প্রমাণ, রাষ্ট্র আর কর্পোরেট মিলে শহর বানায় পুরুষের গতিবিধির জন্য, নারীর কিংবা প্রান্তিক শরীরের নিরাপত্তার জন্য নয়।
এই চাপ থেকে মুক্তির উপায় কী? অনেকে বলবেন সৌন্দর্যের মাণদণ্ডের বাইরে নিজেকে খোঁজা। তা একটা শুরু বটে। তবে একাকী কোনও একটি পথে এই মুক্তি সম্ভব নয়।
সংখ্যালঘুর মধ্যেও সংখ্যালঘু যাঁরা তাঁদের কথা না ভাবলে বা বৃহত্তর আলোচনায় তাঁদের অন্তর্ভুক্ত না করলে আন্দোলনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কখনওই সফল হবে না। আমাদের সব রকম যৌনশিক্ষা থেকে, লিঙ্গযৌনতা বিষয়ক আলোচনা থেকে প্রতিবন্ধী মানুষদের, বিশেষত যাঁরা একাধারে যৌনসংখ্যালঘু এবং প্রতিবন্ধী, তাঁদের কথা যেন বাদ না পড়ে।
সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে ভারতীয় মহিলাদের সারভাইকাল ক্যানসার বৃদ্ধির প্রবণতা আর আমরা এখনও লজ্জা-ট্যাবুর বশংবদ হয়ে থাকব? পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্কুলগুলির ভর্তির ফি দেওয়ার ক্ষমতা বহু ছাত্রীর নেই। এদের মানসিক স্বাস্থ্য, হীনমন্যতা, রাজনৈতিক অবহেলাকে আরও বেশি করে অনুপ্রাণিত আমরা করতে পারি না। বরং গলাটা ছাড়তে শেখাই, শেখাব!
মমতা শঙ্করের বক্তব্য একটি সময়ের, একটি শ্রেণির, একটি পুরুষতান্ত্রিক শিক্ষার প্রতিফলন– যেখানে নারীর স্বাধীনতা মানেই অশ্লীলতা, দরিদ্র মানুষের কৌশল মানেই ষড়যন্ত্র, আর প্রান্তিক লিঙ্গ পরিচয়ের মানুষদের জায়গা শুধুই করুণার, অধিকারের নয়।
যে রাজ্যে, যে দেশে তিনবেলার খাবারের সংস্থান এখনও হয়ে ওঠেনি, সেই ভূখণ্ডে মানুষের যা আছে তা-ও কেড়ে নেওয়ার সব ফন্দি নিয়ে হাজির শাসক দল। বুলডোজার দিয়ে ক্রমাগত বাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে আসামে। এই জুলাই মাসের শুরুর দিকেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে ১৪০০ বাড়ি।
পণপ্রথার ভিত আসলে লিঙ্গ-ভিত্তিক শ্রমবিভাজন এবং নারী-পুরুষের শ্রমের ‘মূল্য’-র পার্থক্যের ওপর দাঁড়িয়ে। এটি আসলে পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে, যেখানে পুরুষ উপার্জন করবে, নিরাপত্তা দেবে; আর নারী পালন-পোষণ করবে এবং তার পুনরুৎপাদনমূলক শ্রম পুরুষের শ্রমের অধীন থাকবে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved