নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কর্মবিরতি এবং কর্মক্ষেত্র ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষাও যে কর্মক্ষেত্রের নিতান্ত প্রয়োজনীয় শর্তাবলি, বেশি কাজ মানেই যে ভালো কাজ নয়, তা আমরা মানতে চাই না।
প্রতিকূল রাজনীতির কারণে হয়তো হীনম্মন্যতা একটুকরো অন্ধকারের মতো টিকে আছে। তাই মাঝেমধ্যেই বাঙালি-বিদ্বেষ মাথাচাড়া দেয়; এবং বাঙালির (এবং একইসঙ্গে ভারতের) আইকনদের ধরে ধরে আক্রমণ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দু’জন মনে হয় এই আক্রমণের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হয়েছেন এ পর্যন্ত– এক, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আর দুই, রামমোহন রায়।
হইহই কাণ্ড। রইরই ব্যাপার। এই যে অনেককাল ধরে, পাড়ার নানা প্রকার ‘কল্পনা’, ‘ছবিঘর’, ‘পিয়ালি স্টুডিও’ গোছের নানা স্টুডিও ছিল ফোটো তোলার, তারা ঝিমিয়ে পড়েছিল। হঠাৎ জেগে উঠেছে। গত দশ বছরে এহেন কাজের চাপে পড়েছে কি না, সন্দেহ! আজ ছবি তুললে, ডেলিভারি নাকি সাত দিন বাদে! বোঝো কাণ্ড! পাড়ার স্টুডিওর এই ক্ষণিকের নবজাগরণে পুরনো-নতুন দিনের স্মৃতি মিলেমিশে আজকের ককটেল।
ভারতে একজন প্রার্থী, যিনি একটা জায়গার মানুষ, পরিবেশ, সমস্যার সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও অনায়াসে নির্বাচনের টিকিট পেয়ে যান। তাই মিশেল, জোহরানের মতো মানুষগুলোকে যখন দেখি, কীভাবে চেনেন নিজের শহর, নির্বাচনী ক্ষেত্র, হাতের পাতার মতো, শ্রদ্ধা-মেশানো বিস্ময় কাটে না।
বাস্তবে, ভোটার তালিকা ধরে নেয় একটি স্থায়ী ও প্রমাণযোগ্য বাসস্থান। কিন্তু যাঁদের জীবনই সংজ্ঞায়িত হয় স্থান থেকে স্থানান্তরে সরে সরে যাওয়া দিয়ে– যাঁরা উড়ালপুলের নিচে, হাসপাতালের ওয়ার্ডে, বা অস্থায়ী আশ্রয়ে রাত কাটান– তাঁদের কী হবে? এই মানুষদের এরকম মুছে যাওয়া নেহাতই আকস্মিক নয়, কাঠামোগত একটি সমস্যা বলেই মনে হচ্ছে।
অঙ্ক বইতে এরকম ইতিহাসের প্রবেশ হবে কেন? অঙ্ক তো একটা নৈর্ব্যক্তিক বিষয়। দু’য়ে দু’য়ে চার, আপনি করলেও হবে, আমি করলেও হবে কিন্তু ইতিহাসের ক্ষেত্রে তো ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাস তো আর শুধু কী ঘটেছিল, সেকথা বলে না। সেটা বলার কাজ তো কালপঞ্জির।
সুন্দরবনের দুই তরুণী সামাজিক বিয়েতে আবদ্ধ হলেন। বিয়ে দিলেন গ্রামের পরিবার ও ক্লাবের ছেলেরা। সপাট একটা থাপ্পড় এসে পড়ল এলিট, তত্ত্বপ্রিয়, অ্যাকটিভিজমকেন্দ্রিক, কাগুজে সচেতনতার মুখে। আমরা আদতে যাদের ‘শিক্ষিত’ করার স্বঘোষিত দায়িত্ব পেয়ে জীবন বর্তে দিয়েছি, তারাই আমাদের বিচারপ্রবণতার সামনে একটা সহজ সমাধান নিয়ে বেরিয়ে গেল।
সাকুল্যে পাঁচটা গল্প। ‘ইন দ্য সাউথ’ আর ‘দি ওল্ড ম্যান ইন দ্য পিয়াৎজা’ তুলনায় ছোট। ‘লেট’ আর ‘ওকলাহোমা’ বেশ বড়। সবচেয়ে বড় গল্প/উপন্যাসিকা– ‘দ্য মিউজিশিয়ান অফ কাহানি’। প্রতিটা গল্পে কোনও না কোনও ভাবে মৃত্যুর গায়ের গন্ধ।
১১,৩০০ জন ডিএসএ সদস্য নিউ ইয়র্কে জোহরানের পক্ষে প্রচার করেছেন। কিন্তু মোট স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ছিল এর ৯ গুণেরও বেশি। অর্থাৎ ডিএসএ-র বামপন্থী রাজনীতি আর কোনও ‘ফ্রিঞ্জ এলিমেন্ট’ নয়, ধীরে ধীরে মেইনস্ট্রিমে জায়গা করে নিচ্ছে।
সমস্ত অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রান্তিক সমাজের একজন মানুষ যখন নিজের রাজনীতির সঙ্গে কোনওরকম আপোস না করে, এত বড় একটা জয় হাসিল করে নেয়, তখন সবার মনেই একঝলক আশা জেগে ওঠে এই নৈরাশ্যের হতাশার যুগে। মনে পড়ে যায় সেই চিরন্তন স্লোগান, ‘Another world is possible’।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved