বাস্তবকে তো শুধুমাত্র আমাদের ইন্দ্রিয় দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। পরমাণু এবং তার সংশ্লিষ্ট কণাদের গতিবিধি অনুমান করা বড় সহজ কাজ নয়। লীলা মজুমদার আর প্রফেসর নারলিকারের কল্পনার সমান্তরাল পৃথিবীরা বুঝি-বা এক বাঁকে এসে মেশে, যেখানে কল্পনা এসে বিজ্ঞানের হাত ধরে। জন্ম নেয় কল্পবিজ্ঞান।
পানাহির সিনেমার প্রতিটি ফ্রেম বুঝিয়ে দিয়েছে ইরানের সরকার, নীতি-নির্ধারক মন্ত্রালয় এমনকী পুলিশও শিল্পের ভাষা ও শক্তিকে কী পরিমাণ ভয় করতেন। অনিশ্চয়তায় ভুগতেন সরকারি আধিকারিক ও প্রতিষ্ঠান, তাই ‘ফ্রিডম অফ স্পিচ’ ব্যাপারটা এদের অভিধানে ছিল না। তাই কুড়ি বছরের জন্য সিনেমা-নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা।
‘ইট ওয়াস জাস্ট অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট ’ পাঁচজন লোকের কথা বলবে, যে পাঁচজন রাজনৈতিক বন্দি একসময় একটি লোককে খুঁজে পায়, যাকে দেখে তাদের মনে হয় এই সেই লোক, যে জেলখানায় তাদের ওপর অত্যাচার করেছিল। তারা লোকটিকে অপহরণ করে এবং ঠিক করে তাকে একটি নির্জন মরুপ্রান্তরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করবে। তাহলে পানাহির এই ছবি কি একটি রিভেঞ্জ ড্রামা?
মুসলিম সমাজের প্রেক্ষিতে এই বই লেখা হলেও কোনও এক নির্দিষ্ট ধর্ম বা ভৌগোলিক অবস্থানে এই বইকে সীমাবদ্ধ করা যাবে না। নারীর জন্ম এবং এই পুঁজিবাদী, ভোগবাদী, পিতৃতান্ত্রিক, ধর্মান্ধ পৃথিবীতে তার যাপন এক অর্থে বিপ্লব।
বলুক ওরা সেকু, বলুক দেশদ্রোহী, বলুক গান্ডে-পিন্ডে দেশের খাচ্ছি, বলুক নজরুল ভুল, বলুক কীসের কুসুম, তবু আমরা ওদের থামাব। থামাতেই হবে ওদের রক্তপিপাসা আর যুদ্ধজিগিরের মৌলবাদী উসকানি।
১৯০২ থেকে ১৯৪০ মহারাজ কৃষ্ণরাজা মাইসোরে রাজত্ব করেছেন। বলা হয় মাইসোরের স্বর্ণযুগ। কৃষ্ণরাজা ছিলেন খাদ্যরসিক। তাঁর রসনাতৃপ্তির কাজে সদা তৎপর মাডাপ্পা নিত্যনতুন খাবার তৈরি করতে গিয়ে, একদিন জন্ম হল মাইসোর পাকের– যা অচিরেই হয়ে উঠল ভারতবর্ষ নামটার সঙ্গে জুড়ে থাকা সমস্ত খাবারের মধ্যে একটি।
বাংলা সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক পুরস্কারের উপযুক্ত করে তুলতে হলে প্রয়োজন সাহিত্যের কৌশলগত অনুবাদ, আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণ ও বহুভাষিক যোগাযোগের সেতু নির্মাণ। বাংলা এখনও সেখান থেকে অনেক দূরে।
যেখানে ঘৃণা সহজ, সেখানে ক্ষমা কঠিন। ম্যালকম নিজেই প্রমাণ করেছেন– একজন মানুষ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে পারেন, কঠোরতা থেকে সহমর্মিতার দিকে এগোতে পারেন। এই সময়ের বিভক্ত সমাজে এই পরিবর্তনের পথ কি দেখান না ম্যালকম?
যে যুদ্ধ দেশের নাগরিক, আখলাখ, পেহেলু খান, জুনেইদ-সহ বহু মুসলমান যুবককে পিটিয়ে মেরেছে, সেই যুদ্ধ থামানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আজ অবধি কোনও কথা বলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী? বলেননি বলেই আজ সেই তাঁরাই নিজের দেশের বিদেশ সচিবকেও ছাড়ছেন না।
যখন ‘ট্যুরেট সিন্ড্রোম’ থাকা এক ছাত্র বলছে, সে পড়াশোনার সঙ্গে মোটিভেশনাল স্পিকার হতে চায়; যখন তার ভীষণ কষ্ট করে বলা একেকটা বাক্য আশার ফুলকি হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে এদিক-ওদিক; যখন আর্ট ক্লাস নেওয়া আরেকজন ছাত্র বলছে, ‘ডাউন সিনড্রোম’ তার পরিচয় নয়– তার জীবনের লক্ষ্য, সে শুধু মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে চায়। যতদিন মানুষ আছে, কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের, কোনও সরকারের ক্ষমতা নেই এই আলো নিভিয়ে দেওয়ার।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved