আজিজুল হক বারবার বারবার বলেছেন পক্ষের কথা। পক্ষ নেওয়ার কথা। সোজা করে বললে আমার মাথা গ্রাস করবে কোন পক্ষ? কার হাতে আমি আমার মাথার অধিকার অর্পণ করব? আমার মাথা নিয়ে যে শোষক ফুটবল খেলবে নাকি আমার আমার মাথা যার কাছে কেবল একটি সাংখ্যিক পরিচিতি না, একটি মনুষ্য-মস্তিষ্কের স্বীকৃতি পাবে। পক্ষ নিতে হবে।
‘ভারত সরকার সম্প্রতি অবৈধভাবে শত শত বাঙালি মুসলিমকে বাংলাদেশে পুশইন করছে’– এমনটাই অভিযোগ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর (এইচআরডব্লিউ)। সংস্থাটির দাবি, এসব মানুষকে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ বলে চিহ্নিত করে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
এই প্রশ্ন করে লাভ নেই যে অ্যানড্রেয়া কি তাহলে সম্পূর্ণ মিডিয়া স্ট্রাটেজি ব্যবহার করেছেন? এছাড়া আর কীভাবেই বা আমেরিকার বাজারে কবি ও আন্দোলনকর্মী টিকে থাকবেন এখন? এটা যদি আমরা আগেভাগে বুঝে নিই, তাহলেই ভালো।
কেরল, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যে ক্লাসঘরে পড়ুয়াদের বসার বিন্যাস বদলানোর আয়োজন শুরু হয়েছে। সারি সারি বেঞ্চ আর টেবিল শুরু থেকে শেষের দিকে যাবে না। অর্ধগোলাকৃতি বিন্যাসে বসানো হবে তাদের। তবে বিন্যাসের বদলই যথেষ্ট নয়। পড়ুয়া আর শিক্ষকদের মনের ভেতরে ক্ষমতাতন্ত্রের যে জগদ্দল ভার, তা না মুছলে ব্যবস্থা আর অবস্থা বদলে যাবে না।
মহারাষ্ট্র সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে– তারা স্কুলের প্রাথমিক শ্রেণিতে যুদ্ধ শেখাবে। জুন মাসের এক আদেশনামায় জানানো হয়েছে, স্কুলের নিচের ক্লাসে যুদ্ধবিদ্যা শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা এবং সামরিকবিদ্যার পাঠ দেওয়া হবে। এই পাঠ দেবেন কারা? খবরে প্রকাশ, রাজ্যজুড়ে পাঠ দেওয়ার জন্য নিয়োজিত হবেন আড়াই লক্ষ লোক, থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা।
ভারতের মতো বহুভাষিক দেশে স্কুলের ছেলেমেয়েদের একটা ভাষা-সাক্ষরতা দরকার। ভারতের ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে তাদের জানতে হবে ভারতের ক’-টা প্রধান ভাষা আছে, ভারতের সংস্কৃতিতে তাদের গুরুত্ব কী রকম। ভাষা সংক্রান্ত অশিক্ষা আর কুশিক্ষাও অনেক নাগরিক সমস্যার মূলে।
চুম্বনের শান্তি-মুহূর্তের সাক্ষী হবার সুযোগ পেল না ক্লান্ত, বিভ্রান্ত, চির বঞ্চিত, অবসন্ন ভারতীয় জনগণ। দু’ ঘণ্টার সিনেমার পরিবর্তে দশ সেকেন্ডের রিল মজাতে আগ্রহী পাবলিক পেল– যা তার প্রাপ্য, সেটাই। আলাপ থেকে ঝালাতে পৌঁছনোর স্বাভাবিক বিস্তারটিকে মাঝপথে কোপ মারায় উঠল মারাত্মক ভিস্যুয়াল হেঁচকি।
‘জন অরণ্য’ ছবির এক সংলাপে যেমন বলা হয়– মাত্র দশটি খালি পদের জন্য একলক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। এটি কোনও ষড়যন্ত্র নয়, বরং এক ভয়ংকর বাস্তবতা। ‘জন অরণ্য’ মুক্তির ৫০ বছরে বিশেষ নিবন্ধ।
ডেস্টিনেশন ম্যারেজের পর, নতুন প্রজন্মের পছন্দের পার্টি ডেস্টিনেশন হল ফেক ম্যারেজ পার্টি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাগুলো আজকাল দেশের নানা প্রান্তে এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। ‘বিয়ে’ নয়, ব্যাপারটার নাম আসলে হওয়া উচিত– ‘ইয়ে’। অর্থাৎ, আনডিফাইন্ড কিছু একটা।
একজন মহিলাকে যদি তাঁর নাগরিকত্ব এবং জাতীয়তাবাদের প্রমাণ করতে হয়, তাহলে সেটা যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা কিছুদিন আগে অসম বুঝেছে, এরপর বিহারের মহিলারা হয়তো বুঝবেন। তারপরে বাংলার গ্রামগঞ্জের মহিলাদের পালা।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved