সম্প্রতি ৩ অক্টোবর, ২০২৫-এ কেরল সরকার একটি বিল অনুমোদন করেছেন– ‘Right to disconnect’. এই বিল কর্মজীবী মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রস্তাবিত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বলা হয়েছে, নির্ধারিত কাজের সময় শেষ হওয়ার পর কোনও কর্মচারীকে অফিসের কল, মেইল বা মেসেজের উত্তর দিতে বাধ্য করা যাবে না।
দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়তো নম নম করে এই ঘটনার নিন্দে করেছেন, দেশের প্রায় সমস্ত বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এই ঘটনা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছে, কিন্তু পিছন থেকে বহু মানুষ অভিযুক্ত রাকেশ কিশোরের ওই আচরণকে সমর্থন করছে, যার ফলেই তিনি এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরছেন।
এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হাঙ্গেরির লেখক লাজলো ক্রাজনাহোরকাই। ২০১৫ সালে পেয়েছিলেন ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল। তাঁর নিরীক্ষামূলক গদ্য, দীর্ঘ বাক্যবিন্যাস। পিরিয়ড নেই, বাক্য থামছে না। চলকে পড়ছে, উপচে পড়ছে যেন। তাঁর লেখা টেনে-উপড়ে চিহ্নিত করে সভ্যতার অসুখ।
ভুটান থেকে আসা নদীগুলোতে ডলোমাইটের দূষণ ক্রমশ বাড়ছে, সে-কথা বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এই বন্যা চোখে আঙুল দিয়ে সেই বিপন্নতা দেখিয়ে দিল। কাজেই বোঝা যাচ্ছে, প্রতিবেশী দেশে পাহাড় ধ্বংস অবলীলাক্রমে চলছে। কাজেই বিপদ আরও ঘনিয়ে আসছে।
এ বছরের জল দেখে অনেকেই ১৯৬৮ সালের তিস্তার বিধ্বংসী বন্যার কথা মনে করছেন। সে সম্ভাবনা কি মিথ্যা? রায়ডাক নদী, যা ভুটানে ‘ওয়াঙচু’ নামে পরিচিত, সেখানে তৈরি টালা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যামের ওপর দিয়ে জল যাচ্ছে। লকগেট খোলা যাচ্ছে না, কারণ জলের চাপ এতটাই বেশি যে লকগেট খোলার মেকানিজম কাজ করছে না।
যত আপনার আসা-যাওয়া বাড়ল, আপনার কথা শুনে বন্ধুদের আসা-যাওয়া বাড়ল, তার কথা শুনে তার বন্ধুদের আসা-যাওয়া বাড়ল, নির্জন জায়গাটি আর ‘নির্জন’ থাকল না।
এই প্রম্পট যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হত? পাটুলি থেকে পেনসিলভানিয়া। বাগনান থেকে ব্লুমসবেরি। প্রেমিকার হাত ধরে মিনিটে মিনিটে ছবি। একটা কাল্পনিক প্রি-ওয়েডিং শুট। টিউলিপ গার্ডেন। কিঞ্চিৎ বেহালা। পাগলি তোমার সঙ্গে জেমিনাই জীবন কাটাব। কিংবা ওয়ামিকা গাব্বির কাঁধে মাথা রেখে একটা সেলফি। এই যে এত ছবি, এত প্রম্পট, এত লাইকপ্রাণ পায় কী থেকে? একটা দুর্বার ইচ্ছে। একটা স্বপ্ন। একটা ইটারনাল দুঃখ। সেইসব কি তবে ফুরিয়ে যাবে? বহু আকাঙ্ক্ষিত সুদিন কি দুয়োরে?
এখন যা পড়ে রইল তা অজস্র বইয়ের কঙ্কাল। তার হোমও নেই, যজ্ঞও নেই। এমনকী, কেজি দরে বিক্রির ভবিষ্যৎ নেই। সুরাহার পথ আপাতত কী? কে দাঁড়াবেন এই দুঃসময়ে? সরকার? গিল্ড? স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন? হঠাৎ তৈরি করা কোনও ক্রাউড ফান্ড?
অনেকে অনেক দাম দিয়ে আমার থেকে কিনতে চেয়েছেন অনেকবার, আমিই রাজি হইনি। এখন ভাবছি, কেন হইনি– রাজি হলে কারও কাছে অন্তত তা অক্ষত থাকত! বিধবা বিবাহ চালু হওয়ার সময়কার লিফলেট। তা বিলি করেই প্রচার করা হত সমাজে। কে, কত অনুদান দিচ্ছেন– লেখা ছিল সেসব তথ্যও।
বাঙালি কর্মকেই ধর্ম করেছিল। এখন ধর্মকে কর্ম বানানোর উদ্যোগ চালু হয়েছে। সেটা সোশ্যাল মিডিয়ার রিল হোক বা রাজনীতির মঞ্চ।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved