রজঃস্বলা নারী বরাবরই একলা। উপচে পড়া ভিড়েও নিঃসঙ্গ সে। জন-সমাগম তার স্পর্শ বাঁচিয়ে পিছলে-পিছলে যায়।
সেই সময়ের কথা মনে পড়ে, যে সময়ে হিমশীতল দার্জিলিং থেকে কুয়াশার পর্দা সরিয়ে ঢুকে যেতাম কেক আর প্যাটিস আর কফি আর মদের গন্ধে মম করা শব্দহীন মগ্ন পানশালায়, যেখানে যে যার নিঃসঙ্গ নিলয় পেত টেবিলে একা কিংবা মুখোমুখি।
কাগজে-কলমে উন্নত প্রবৃদ্ধির খাড়া দেওয়াল বেয়ে সবেগে গড়িয়ে নামছে টাকার দর। শক্তিধর ডলার ক্রমেই হয়ে উঠছে বহু-‘রুপি’!
শার্লক হোমস কিংবা কিরীটী, এমনকী ব্যোমকেশের প্রচ্ছদেও পাইপ কিংবা সিগারেট এসেছে বারবার। যে বয়সের পাঠক এই বইগুলো পড়ে, তাদের শিক্ষার কথা ভাবলে তো এই প্রচ্ছদগুলো রাখাই যাবে না। এ-ও যেমন হয় না, তেমন দেওয়ালে দেওয়ালে ‘মদের নেশা ছাড়ান’ পোস্টার মারলেই কেউ নেশা ছেড়ে দেয় না।
‘মাদার মেরি কামস টু মি’ বইয়ের প্রচ্ছদে অরুন্ধতী রায়ের ধূমপানের ছবি নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্টে কেস হয়েছে। এই বইয়ের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করতে চলেছে দে’জ পাবলিশিং। প্রকাশক হিসেবে প্রচ্ছদের ছবি নিয়ে এই আপত্তি বিষয়ে কী ভাবছেন তাঁরা?
অরুন্ধতী রায় একজন সমাজকর্মী। মানবাধিকার নিয়ে লড়াই করেছেন। ‘নর্মদা বাঁচাও’ আন্দোলনে শামিল হয়েছেন মেধা পাটেকরের সঙ্গে। তিনি যুদ্ধবিরোধী; বনসংরক্ষণ, পরিবেশ রক্ষার পক্ষে। এমন একটি অবস্থান নিয়ে নিজের ধূমপানরত ছবি নিজের বইয়ের প্রচ্ছদে দেওয়া কি কোনওভাবে তাঁর অবস্থানের বিরুদ্ধতা করে?
এতদিন লড়াই করে যে মানুষগুলো সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার চেষ্টা করেছেন, সেই কাজটাই তো বৃথা হয়ে যায়, যদি একজন মানুষ যদি একদিন সকালে উঠে দেখেন, তিনি সরকারের খাতায় বেনাগরিক হয়ে গেছেন। তখন তাঁর মনের ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে?
৮ পৌষের প্রতিষ্ঠাদিবস পালনের জন্য এই আলপনা চলত মেলা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত। ছাতিমতলা থেকে শুরু করে ‘শান্তিনিকেতন বাড়ি’, ‘আম্রকুঞ্জ’, ‘ঘণ্টাতলা’, ‘মাধবীবিতান’ যেন আমার সমস্ত নান্দনিক ভাবনা-চিন্তার উৎসক্ষেত্র হয়ে উঠত। আম্রকুঞ্জ হয়ে উঠত ছবির পট– আমার সকল আনন্দের উৎস।
এমটিভি কিন্তু আসলে আমাদেরই বয়সি, আমাদের সঙ্গেই বড় হচ্ছিল সে। আমাদের সঙ্গেই সে-ও ঢুকেছিল টিনেজে। আমাদের মতো নব্বই-এর জাতকদের কান-মাথার খাবারে কার্বাইড জুগিয়েছিল। একটু টক্সিক, কিন্তু না-থাকলেও চলে না।
আমরা দূষণকে ‘শীতের সমস্যা’ মনে করি বলেই, বছরের বাকি সময়ে আমাদের প্রস্তুতি থাকে না। দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের নজরদারিতে শীতকালে তৎপরতা বেশি, কিন্তু গ্রীষ্ম বা বর্ষায় একই উৎসগুলো অবাধে দূষণ ছড়াতে থাকে। দূষণ যখন সারাবছরের সমস্যা, সমাধানও হওয়া উচিত সারাবছরব্যাপী।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved