Robbar

সাম্প্রতিকী

মানুষকে প্রতিদিন মনুষ্যত্বের চর্চা চালাতে হবে

আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি প্রতিদিন এই সমাজটাকে সুস্থ মানুষ-বান্ধব করে তোলার। তবুও আমরা সমষ্টির হাতে মারা পড়ছি, সমষ্টির বোধের মৃত্যু ঘটছে। ন্যায়বিচারের প্রতি মানুষের অবিশ্বাসের ফল এই নিদারুণ পরিকল্পিত ক্ষুব্ধ হত্যাগুলি।

→

‘পাশের দেশের ঘটনা’ বলে আমাদের সান্ত্বনা পাওয়ার কিছু নেই

পকেটমারকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারতে দেখেছে শৈশব, তার থেকে পালিয়ে আমরা যাব কোথায়?

→

শারীরিক প্রহারই একমাত্র শাস্তি, এটা মাথায় গেঁথে বসলে শান্ত মানুষও খেপে ওঠে

কিন্তু কেন আমরা এত হিংস্র হয়ে উঠলাম? কেন তাকে পিটিয়ে মারার আগে খেতে দিলাম? কী জানি, একেক সময় মনে হয়, পথের ধারে যে মাংসর দোকানের সামনে দিয়ে আমরা যাতায়াত করি আর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি, সেখানেও কাটার আগে পাঁঠাকে কাঁঠাল পাতা খেতে দেওয়া হয়।

→

অন্ধ যে গণ মারে আর শুধু মরে

সমষ্টির সদর্থক ভূমিকা উদযাপনের কালে যেন আমরা সমষ্টির এই কদর্য মুখও না ভুলি।

→

‘পথভোলা’ ট্রেনে নস্ট্যালজিয়া নেই, নরকযন্ত্রণা আছে

বিলাসবহুল, তীব্র গতির ট্রেন চালানোর চেষ্টা হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন রেললাইনে! সোজা কথায় ভারতীয় রেলে এখন ‘গরিব হটাও’ প্রকল্প চলছে।

→

মরা বাঁধ দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ হাস্যকর

দামোদর ‘বাংলার দুঃখের নদী’। আমরা কি আদৌ কোনও দিন ভেবে দেখেছি, দামোদর সত্যি দুঃখের নদী কি না?

→

এ চিঠি আন্না সেবাস্টিয়ান পেরায়িলের মা লেখেননি

তবু কি এসে যায় তাতে? তোমার, আমার আর বিশ্বসংসারের সকল সন্তানের কোনও এক মা-এর লেখা এ চিঠি, আসলে তো আমাদের বাঁচিয়ে রাখার; সুস্থ থাকার, শান্তি পাওয়ার আর সময় করে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন মুখে তোলার রিমাইন্ডার।

→

একা, সাধারণ জেগে উঠলে অসাধারণ

রাজনৈতিক সার্কাসের কর্মীবৃন্দ সবসময় বুঝতে পারেন না সাধারণ জেগে উঠলে অসাধারণ, জোটবদ্ধ অসাধারণ।

→

পাথর নাকি প্রাণ, মানুষের বিচারসভায় পরীক্ষা ভগবানেরও

বাস্তব জীবনে যাঁদের আমরা ‘দেবতা’র মর্যাদা দিই, শ্রদ্ধার আসনে বসাই, তাঁদেরও ভুল হয়। সেই শ্রদ্ধেয় মানুষদেরও কোনও না কোনও সময় বিচারের সামনে দাঁড়াতে হয়।

→

দশ দিন ব্যাগহীন পড়ুয়ারা, কিন্তু অভিভাবকদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার ভার কি লাঘব হবে?

ব্যাগহীন দশদিনের এই পরিকল্পনায় ছাত্রছাত্রীদের আদৌ কোনও ভার লাঘব হবে, নাকি তা একটি প্রতীকীব্যবস্থা হিসেবেই থেকে যাবে?

→