একের পর এক আসামি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন, তাঁদের পরানো হচ্ছে মালা। সম্বর্ধনাও দেওয়া হচ্ছে। দেশের পক্ষে এ অত্যন্ত লজ্জার।
ময়দানের ভেতরে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা প্রতিযোগিতার যে টানটান মুহূর্ত, সে মুহূর্তে দিনের শেষে করমর্দনে এসে শেষ হওয়ার কথা, ময়দানের বাইরে রাজনীতির অঙ্গনে সে করমর্দন বদলে গেছে তর্জনী উঁচিয়ে রাখা হুংকারে। খেলার স্পিরিট যেখানে ‘নীরবে নিভৃতে কাঁদে’।
যেদিন সমাজ লিঙ্গ-হিংসাশূন্য হয়ে উঠবে, মহিলা ও প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষের শরীর ‘যৌনবস্তু’ হয়ে থাকবে না, সবার চোখে আমরা ‘মানুষ’ হয়ে উঠব, সেদিন আলাদা করে ‘মহিলা কামরা’র দরকার পড়বে না। আমরা সকলে মিলে সমস্ত কামরা ‘সাধারণ’ করে নিয়ে একসঙ্গে যাত্রায় সামিল হতে পারব।
কাজ-পেরোনো ঘামের ঘ্রাণ, একলা হওয়া, মাথার ভিতর লুকোনো প্রেম নিয়ে প্ল্যাটফর্মের পর প্ল্যাটফর্ম পার হয়ে তারা ফিরে আসে চেনা স্টেশনে, কিংবা নিশ্চিন্দিপুরে যাওয়ার আগে লেডিস কামরার কাছে চুপিচুপি বিদায় নিয়ে যায়।
মাতৃভূমি স্পেশাল নিয়ে পুরুষদের ক্ষোভ ছিল দীর্ঘদিন। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মাতৃভূমি স্পেশাল নিয়ে নানারকম নারীবিরোধী কু-মন্তব্যরই প্রতিফলন। এবার সেই পুরুষরা নিজেদের ‘জয়ী’ ভাববেন।
পহেলগাঁওয়ের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড কাশ্মীরের মানুষের কী অশ্বডিম্ব উপকার করবে? এক বিন্দু উপকার করবে– এমন দাবি করবে বিশ্বসংসারে এমন নিরেট মূর্খ আছে কি? সবচেয়ে বড় কথা, এই ধরনের সন্ত্রাস ভারতের মুসলমানদের অস্তিত্বকে নানাভাবে বিপন্ন করে তোলে, তা বোধহয় আইএসআই বা তার কর্তারা খেয়াল করে না।
আজকের দিনে ‘বাটা’ নামটা শুধুই একটা জুতোর ব্র্যান্ড নয়, এ এক ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানও। যার মূল সূত্রপাত এক যুবকের হাত ধরে। তিনি টমাস বাটা।
খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান থেকে শুরু করে আইনি অধিকারের নানা প্রশ্নে ভারতীয় সমাজ মুখর। কিন্তু মানসিক-শারীরিক অধিকারের কথা উঠলেই অনেকে যেন দ্বিধায় ভোগেন।
সাহিত্য যেন এক পা হলেও সমাজের, সভ্যতার, কিংবা সময়ের আগে-আগে হাঁটে। মানুষ নিবিষ্ট চিত্তের সাহিত্যপাঠ থেকে জীবনের অনেক চিরস্থায়ী অন্ধকার অংশে আচমকা আলোর হদিশ পেয়ে যেতে পারে। সাহিত্যের থেকে এরকমই পর্বতপ্রমাণ প্রত্যাশা রাখতেন মারিও ভার্গাস লোসা।
নানা অনুদান বা সুযোগ-সুবিধের পরেও শহর-গ্রাম-মফস্সলের বড় অংশে সরকার-পোষিত স্কুলগুলোতে ভর্তির হার অত্যন্ত কম। পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেও গজিয়ে উঠছে বেসরকারি স্কুল। সেখানে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত বিষয়-শিক্ষক আদৌ আছেন কি না তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামাচ্ছেন না, দৌড়চ্ছেন ছেলেমেয়ে ভর্তি করতে। হু হু করে বাড়ছে পড়ুয়া সংখ্যা, অনেকসময় সাধ্যের অতিরিক্ত ব্যয়েও। কেন এই প্রবণতা?
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved