একটি উনত্রিশের মেয়ের এই সহজতা আসে কেমন করে, নির্ভীক বলে যেতে পারেন যে তাঁর দেশের সরকার আসলে দেশের মানুষের শিক্ষা শিকেয় তুলেছে। সামান্য ভয়টুকুও তো কণ্ঠে প্রকাশ পায় না! অনুপর্ণা কি তবে সত্যি সত্যি, সত্যি?
একুশ শতকে, পুঁজি বিনে পুজো অথবা পিণ্ডদান? ব্যাকডেটেড!
এই চাপ থেকে মুক্তির উপায় কী? অনেকে বলবেন সৌন্দর্যের মাণদণ্ডের বাইরে নিজেকে খোঁজা। তা একটা শুরু বটে। তবে একাকী কোনও একটি পথে এই মুক্তি সম্ভব নয়।
জঙ্গলমহল, ছোটনাগপুরের জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামে এই পরব পালিত হয়ে আসছে সুদূরের কাল থেকে। এই সেই করম পরব যেখানে নারীরাই একচ্ছত্র, প্রাণশক্তি আবহনের নৈণায়িক ঋত্বিক। মূল পরবের দিন– যে দিন চারাকে (শস্য) পুজো করা হয়, তার সাত দিন আগে শুরু হয় পার্বণ-রীতি।
যখন সম্পূর্ণ অপরিচিত কেউ কাউকে তীব্র ঘৃণার সহযোগে ‘বাংলাদেশি’ বলে তাহলে তার মানে দাঁড়ায়– সে এদেশের নাগরিক নয়। যাঁরা দেশভাগের যন্ত্রণা বুকে করে এদেশে এসে কোনও মতে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে নিজেদের শ্রম, ঘাম, রক্ত দিয়ে দেশ গড়ে চলেছেন– এই কথায় তাঁদের খুব খারাপ লাগে। আমার জন্ম বাংলাদেশে না হলেও এই কথার বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানাই।
ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিওর ভিডিওগুলো বিশ্বে এত জনপ্রিয় হল কারণ, এগুলো দেখাল– আইনের ভয়ংকর দুনিয়াতেও মানবিকতার জায়গা আছে। যেখানে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট বা কংগ্রেস অচলাবস্থায় আটকে থাকে, সেখানে প্রভিডেন্সের এক সাধারণ কোর্ট বিশ্বকে শিখিয়ে দেয় ন্যায়ের সহজতম পাঠ।
‘শিক্ষা’-র নামে আমরা যে আসলে নগদ টাকার বিনিময়ে কিছু পরিষেবাই কিনছি– সেটা বুঝতে ছাত্রদের বেশি সময় লাগেনি। যেভাবে বিগত দুই-তিন দশকে ডাক্তার-রুগীর সম্পর্কটা তার যাবতীয় আন্তরিকতা খুইয়ে নেমে এসেছে একেবারে খোলা বাজারের মধ্যিখানে, শিক্ষক-ছাত্রের সম্পর্কটাও তার থেকে বেশি দূরে নেই।
গাজার থেকে অনেক হাজার মাইলের নিরাপদ দূরত্বে বসে আমিরের গল্প বা এই না-খেয়ে প্রায় মৃত বাচ্চাদের ছবি দেখি, কিন্তু আসলে কল্পনাও করতে পারি না কীসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এরা আর এদের মা-বাবারা, যদি তাঁরা বেঁচে থাকেন। চ্যানেল পাল্টে দিই, এই দুর্বিসহ খবর পড়া বন্ধ করে দিই, নিজের জীবনযাপন করি, নিজেদের সমস্যায়, নিজেদের সুখশান্তির আশায়। কিন্তু মাঝে মাঝেই মনে হয়, আমাদের মতো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মানুষেরা, যাঁরা সবাই আজকের পৃথিবীর জনগণ হয়ে, এটার সাক্ষী হয়ে থাকছি প্রতিক্রিয়াহীন।
বিগত তিন বছরে দিল্লিতে কুকুরজনিত রোগ রেবিসে মৃতের সংখ্যা শূন্য, বাকি অপরাধের সংখ্যার পরিসংখ্যান বাদ দিয়ে যদি শুধু ধর্ষণের সংখ্যা গোনা হয়– হয়তো একই নিয়মে দিল্লির সমস্ত পুরুষদের শেলটারে বন্দি করে রাখা উচিত। এবং কোনও অবস্থাতেই ছাড়া সম্ভব নয়।
যে মানুষগুলো সারাটা জীবন সড়কের পাশের রাস্তাটাকে নিজেদের বাসস্থান ভেবেছে, তাঁদের কাছে পথকুকুররা তো পোষ্য। সেই পোষ্যকে যদি আইন করে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়, তাহলে কি ফুটপাথবাসীদের পোষ্যের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না?
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved