মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মা ছেলেমেয়ে নিয়ে আগরতলা কলকাতা হয়ে শান্তিনিকেতনে। ঈদের সময় মায়ের কিপটের মতো শুধু জর্দা পোলাও রান্না। দু’-একজন বন্ধু আসে কি আসে না। ব্যস ওইটুকুই। স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার পরে নানুর আশ্রয়ে কিছুদিন থেকে মা থিতু হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকায়। প্রায় দুই দশক অন্য এক ঈদের স্বাদ।
‘‘আপনার নিজস্ব কোনও চারচাকা বাহন নেই কেন প্রফুল্লদা? এতগুলো বই, রমরম করে লোকে কিনছে। ‘এখানে পিঞ্জর’– কতগুলো সংস্করণ হয়ে গেল।’’ প্রফুল্লদা উত্তর দিয়েছিলেন, ‘‘ওরা দেয়। কিন্তু বেশিরভাগই মেরে দেয় টাকা। উল্টোপাল্টা যা হোক হিসেব দেয়। মেরে কেটে গোটা তিনেক পাবলিশার অনেস্ট, বাকিরা সব আলু-পটলের কারবারি।’’
অজিতেশ– এই বাংলায় সর্বক্ষণের নাট্যকর্মীদের চেয়েছেন। বাদল সরকার বলেছেন– দারিদ্রের থিয়েটারের কথা অথবা থিয়েটারের দারিদ্র প্রসঙ্গে– কিন্তু কেউ-ই, গুরু রতনের মতো আমাদের কাছে কোনও নির্দিষ্ট পথ দেখাতে পারেননি।
লোকমুখে শুনেছিলাম, উমাদিকে বাবা কোনও ইন্সট্রাকশন দেননি। অর্থাৎ, সেভাবে কোনও ডিরেকশনই দিতে হয়নি। চিত্রনাট্য পড়ে এতটাই নাকি তৈরি ছিলেন তিনি! এবং স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়নি যে, এটা ওঁর প্রথম ছবি। সকলেই খুবই চমৎকৃত হয়েছিলেন ওঁর কাজ দেখে। এমনকী, ওঁকে নাকি কখনও সেকেন্ড টেক দিতে হয়নি।
ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম যে বিদেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তিনি মনমোহন। ওবামা তাঁকে আর্থিক গুরু মানতেন। আমেরিকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য তিনি মনমোহনকে পরামর্শ দিতে বলেছিলেন। হোয়াইট হাউসের সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা হল মনমোহন-ওবামা শিক্ষা বৃত্তি, মেধাবী বিদ্যার্থীদের জন্য। অন্য কোনও প্রধানমন্ত্রীর নামে এমন কোনও শিক্ষা বৃত্তি বোধহয় নেই।
সুব্রহ্মণ্যনের দুর্গায় ত্রিশূল ব্যতীত দেবী ও মানবীর মধ্যে ফারাক খুঁজে পাওয়া ভার। তিনি মনে করেন, মানুষের অন্তরে দেবত্ব আর পশুত্বের যে সহাবস্থান, সেখানেই অসুরদলনীর সারসত্যটি উদ্ঘাটিত। বাইরে থেকে আরোপিত নয়, শ্রেয় আর প্রেয়র দ্বন্দ্বে সত্য এবং সুন্দরের প্রতিষ্ঠার মধ্যেই দেবীর সত্যিকার আবির্ভাব।
প্রতুল মুখোপাধ্যায় ছিলেন একক ছিলেন না। ছিলেন জনতার কণ্ঠস্বর, ইতিহাসের সাক্ষী, বিদ্রোহের ঢাক, প্রেমের ফিসফিস। তাঁর গান আজও বাঁচিয়ে রেখেছে হাজার মানুষের ভেতরের আলো।
‘এই যে এখন বিক্রম অনেক বড় বড় কথা বলছে; আপনারা জানেন না, আমি কিন্তু একসময় ওকে বেবিসিট করিয়েছি!’ বলে, মঞ্চে বসেই আমার গালে চুমু খেয়ে নিলেন। আমাদের সম্পর্কটাই এমন। স্নেহের, ছেলেমানুষির। ঈশ্বরকে স্পর্শ করা যায় না। আমি জাকির হুসেনকে স্পর্শ করেছি। উনি আমার ঈশ্বর নন। পিতা, মাতা, গুরু কেউ নন– ‘হিরো’। ‘হিরো’দের কখনও মৃত্যু হয় না।
রামপ্রসাদের গানের ক্রেডিটই ছিনিয়ে নিচ্ছে জেনারেশন জেড! এই প্রবণতায় নবতম ও বিচিত্রতম সংযোজন ‘মন রে কৃষিকাজ জানো না’। সংগীত প্রতিযোগিতার মিষ্টি প্রতিযোগী গানটি ‘কভার’ করে গীতিকারের নাম লিখেছেন শ্রীজাত। সুরকার? না, অরিজিৎ সিং নন, জয় সরকার।
মঙ্গলময়ী, অভয়দাত্রী মায়ের যে রূপটি বারবার উঠে আসে শ্রীরামকৃষ্ণের কথায় বা গানে, স্বামী বিবেকানন্দ সেই একই মাতৃশক্তিকে অনুভব করেছিলেন ভিন্নভাবে– প্রলয়ের সাজে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved