সাংবাদিক জীবনের একদম গোড়ায় আলপনা ঘোষের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তিনি তখন সাংবাদিকতা পড়ছেন। সেই পাঠক্রমের অংশ ছিল কোনও সংবাদ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশি করা। আনন্দবাজারে শিক্ষানবিশ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আনন্দবাজারের তৎকালীন সম্পাদক সন্তোষ কুমার ঘোষ একরকম রুক্ষ ব্যবহারই করেন আলপনার সঙ্গে। বলেন কাগজের দপ্তরে মেয়েদের বাথরুম নেই, তাই মেয়েদের নেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে পরিকাঠামো বানিয়ে নিতে হবে এই স্বাভাবিক কথাটা তাঁর মনে হয়নি, কারণ তাঁর তীব্র পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব। মেয়েরা সাংবাদিকতা করতে পারেন– এই ধারণাটাই তাঁর ছিল না মনে হয়। এই মানসিকতার তেমন পরিবর্তন হয়েছে বলেও সব সময়ে মনে হয় না
১৯.
জ্ঞান ফেরার পর বড় হলঘরের মধ্যে আশপাশে ভিড় দেখে বীণা প্রথম টের পেল সে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। চোখ তুলে দেখল একটি মেয়ে আইস ব্যাগ চেপে ধরেছে তাঁর মাথায়। মেয়েটিকে চিনতে দেরি হোল না। বীণার পাশের চেয়ারে বসেছিল সে খানিক্ষণ আগে।… জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর সেই কমলার কথাই বীণা প্রথম শুনল, ‘এখন কেমন বোধ করছেন।’… দু’জনের মধ্যে আলাপ পরিচয়, অন্তরঙ্গতা বন্ধ হোল না। নাইট ডিউটি শেষ করে রাত দুটোর সময়ে পাশাপাশি বেডে শুয়ে দুজনের চোখে ঘুম আসত না, দুজনের মনে ক্লান্তি আসত না।
নরেন্দ্রনাথ মিত্র। দূরভাষিণী
বীণা আর কমলা– দুই টেলিফোন অপারেটর। তাঁদের জীবন, জগৎ ঘিরে নরেন মিত্রর উপন্যাস ‘দূরভাষিণী’। তাদের বন্ধুত্বের আখ্যানের মাঝে হঠাৎ চোখে পড়ে যায় টেলিফোন অফিসের টুকরো ছবি। নাইট ডিউটি শেষ করে ক্লান্ত মেয়েরা পাশাপাশি বেডে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। বুঝি কাজ শেষে মেয়েদের বিশ্রামের জন্য ছিল ডর্মেটরি। মৌসুমী মণ্ডলের গবেষণায় পাই টেলিফোন অফিসের পরিকাঠামোর আরও বিশদ বর্ণনা। মৌসুমী লিখছেন, ‘টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসে মেয়েদের দৈনন্দিন প্রয়োজন অনুসারে পরিকাঠামো ছিল।… যাঁদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি, তাঁরা প্রত্যেকে বলেছেন মহিলাদের জন্য ছিল ভালো বাথরুম, ভালো ডর্মেটরি।’
এই ডর্মেটরি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বে ছিলেন আয়ারা। বেশি রাতে মেয়েরা বাথরুমে গেলে তাঁদের সঙ্গে যেতেন তাঁরাও। সুপারভাইজরের কাছে থাকত স্যানিটারি ন্যাপকিন। দেবাশীষ দত্তগুপ্ত টেলিফোন দপ্তরে চাকরি পান ১৯৬৪ সালে। তাঁর মনে আছে ১৯৭০ সালের আশপাশে কিছুদিনের জন্য একটি ক্রেশও চালু হয়েছিল একটি এক্সচেঞ্জে, কর্মরতা মায়েদের জন্য। খুব বেশিদিন অবশ্য চলেনি সেই ক্রেশটি। তবে এক কথায় বললে, টেলিফোন এক্সচেঞ্জগুলিতে মেয়েদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকাঠামো ছিল। তার মানে অবশ্য এই নয় বীণা, কমলাদের কর্মজীবন নিয়ে কোনও অভিযোগ ছিল না। অসম্ভব কাজের চাপ, কড়া নজরদারি, গ্রাহকদের দুর্ব্যবহার– সব নিয়েই ছিল তাঁদের দৈনন্দিন জীবন।
আসলে উনিশ শতকের শেষ থেকেই টেলিফোন অপারেটরের চাকরিতে মেয়েদের একচেটিয়া অধিকার। তখন অবশ্য ছিলেন মূলত অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ও ইউরোপীয় মেয়েরা। টেলিফোন অফিসে মেয়েদের এই দীর্ঘ উপস্থিতির ফলে, তাঁদের প্রয়োজন অনুসারে পরিকাঠামো তৈরি হয়েছিল। দেশভাগের পর টেলিফোন অফিসে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ও ইউরোপীয় মেয়েদের সংখ্যা কমল, তাঁদের জায়গা নিলেন হিন্দু বাঙালি মেয়েরা। তাঁদের টেলিফোন অফিসের দায়দায়িত্ব বুঝে নিতে সময় লেগেছিল ঠিকই, কিন্তু পরিকাঠামোগত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি।
টেলিফোন দপ্তরের মতো সুবন্দোবস্ত না থাকলেও, বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি অফিসে মেয়েদের প্রয়োজন মাথায় রেখে কিছু ব্যবস্থা ছিল। ১৯৫৬ সালে প্রতিরক্ষা বিভাগে চাকরি পান মায়া ঘোষ (আচার্য)। তাঁর মুখে শুনেছি তাঁদের অফিসে মেয়েদের জন্য ছিল আলাদা বাথরুম, ক্লোকরুম। প্রতিরক্ষা বিভাগে তখন হাতে গোনা মেয়ে চাকরি করতেন। মেয়ে হিসাবে পরিকাঠামোগত অসুবিধা তাঁদের হত না, অন্তত মায়ার তাই মত। তবে প্রতিরক্ষা বিভাগেও ঔপনিবেশিক আমলের শেষ দিক থেকেই মেয়েরা চাকরি করেছেন। তাই মায়ারা যখন কাজে ঢুকেছেন একটা ব্যবস্থা তৈরি হয়ে গিয়েছিল।
সব চাকুরিরতার অভিজ্ঞতা অবশ্য মায়া বা টেলিফোন অপারেটরদের মতো ছিল না। বিশেষ করে যেসব অফিসে খানিকটা হঠাৎ করে মেয়েদের চাকরিতে নেওয়া হল, সেখানে তাঁদের উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি ছিল না। ধীরে ধীরে, প্রয়োজন অনুযায়ী, মেয়েদের দাবি দাওয়া মেনে তাঁদের জন্য নানা ব্যবস্থা হল।
কিছু উদাহরণ দিই। ১৯৬৪ সালে প্রথম যখন এলাহাবাদ ব্যাঙ্কে মেয়েরা চাকরি করতে শুরু করেন, তখনই চাকরি পেয়েছিলেন গীতিকা মিত্র। দক্ষিণ কলকাতার একটি শাখায় তাঁর প্রথম পোস্টিং। সেই শাখায় মেয়েদের কোনও আলাদা বাথরুম ছিল না। অসুবিধা তো হতই। তবে মেয়েদের দাবি মেনে কয়েক বছরের মধ্যেই কর্তৃপক্ষ তৈরি করে দিয়েছিল আলাদা বাথরুম। আর গীতিকাদের অফিসের কাছেই ছিল এক মহিলা সহকর্মীর বাড়ি। হঠাৎ ঋতুস্রাবের মতো কোনও মেয়েলি প্রয়োজনে তাঁরা সেই সহকর্মীর বাড়ি চলে যেতেন। ব্যাঙ্ক অব বরোদার লেক মার্কেট শাখায়, ছয়ের দশকের শেষে চাকরি করতে আসেন ছায়া সেন। তাঁর অভিজ্ঞতা খানিকটা আলাদা। সে সময়ে কোনও বাথরুমই ছিল না সেই শাখাতে। লেক মার্কেটের দোতলায় অবস্থিত এই শাখার কর্মীরা বাজারের দু’টি বাথরুম ব্যবহার করতেন। নিজেরাই ঠিক করে নিয়েছিলেন কোনটা ছেলেদের, কোনটা মেয়েদের। ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে, বারান্দা দিয়ে কিছুটা গিয়ে, বাথরুম যেতে নিশ্চয়ই অসুবিধা হত ছায়াদের।
মেয়েদের আলাদা শৌচাগার নেই এই অজুহাতে মেয়েদের চাকরি দেয়নি কোনও কোনও সংস্থা– এমন উদাহরণও আছে। সাংবাদিক জীবনের একদম গোড়ায় আলপনা ঘোষের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তিনি তখন সাংবাদিকতা পড়ছেন। সেই পাঠক্রমের অংশ ছিল কোনও সংবাদ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশি করা। আনন্দবাজারে শিক্ষানবিশ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আনন্দবাজারের তৎকালীন সম্পাদক সন্তোষ কুমার ঘোষ একরকম রুক্ষ ব্যবহারই করেন আলপনার সঙ্গে। বলেন কাগজের দপ্তরে মেয়েদের বাথরুম নেই, তাই মেয়েদের নেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে পরিকাঠামো বানিয়ে নিতে হবে এই স্বাভাবিক কথাটা তাঁর মনে হয়নি, কারণ তাঁর তীব্র পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব। মেয়েরা সাংবাদিকতা করতে পারেন– এই ধারণাটাই তাঁর ছিল না মনে হয়। এই মানসিকতার তেমন পরিবর্তন হয়েছে বলেও সব সময়ে মনে হয় না। কয়েক দিন আগে কলকাতার বুকে, নামী সরকারি হাসপাতালে, ধর্ষিতা হলেন, মারা গেলেন এক মহিলা ডাক্তার। কাজের জায়গায় মেয়েদের জন্য উপযুক্ত, নিরাপদ পরিকাঠামোর অভাব চোখে আঙুল দিয়ে দেখি দিল এই ঘটনা। সরকার সমাধান দিল রাতে মেয়েদের পারতপক্ষে ডিউটি দেওয়া হবে না। অর্থাৎ, মেয়েদের উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি না করে তাঁদের বাদ রাখাই শ্রেয় মনে করলেন সরকার। সন্তোষ কুমার ঘোষের যুগেই আটকে রইলাম আমরা।
আলপনা অবশ্য শিক্ষানবিশি করার সুযোগ পেয়েছিলেন ‘বসুমতী’ কাগজে। সেখানেও মেয়েদের জন্য কোনও আলাদা পরিকাঠামো ছিল না। আলপনা ছাড়া তখন আর কোনও মেয়েও ছিল না বসুমতীর অফিসে। তবে আলপনার মনে আছে বয়োঃজ্যেষ্ঠ পুরুষ সাংবাদিকরা তাঁকে আগলে রাখতেন, তিনি বাথরুম গেলে সবসময়ে জিজ্ঞেস করতেন সঙ্গে যাবেন কি না। বসুমতীতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেননি অবশ্য আলপনা। ছেলেদের বাথরুমে একাই যাতায়াত করতেন।
লিঙ্গ রাজনীতি নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেছেন তাঁরা অনেকেই বলেন কোনও জায়গাই সাধারণত লিঙ্গ নিরপেক্ষ হয় না। সক্ষম পুরুষদের কথা মাথায় রেখেই গড়ে ওঠে শহর, দোকান-বাজার, গণপরিবহন, অফিস পরিসর। আর পাঁচ-ছয়ের দশকে, যখন বিভিন্ন অফিসে প্রথম মেয়েরা চাকরিতে ঢুকছেন তখন তো গণপরিসরে তাঁরা নতুন– অফিসে তাঁদের জন্য/তাঁদের মতো করে পরিকাঠামো তৈরি করা বা অদলবদল করার মতো সচেতনতাই বা ক’জনের ছিল?
একজনের ছিল, তাঁর কথা দিয়েই শেষ করি আজকের আখ্যান। তাঁর নাম সন্ধ্যা মিত্র। একসময়ে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমির কলকাতা শাখার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এশিয়াটিক সোসাইটির পুরনো বিল্ডিংয়ে ছিল এই অফিস। কোনও বাথরুমই ছিল না সেই বাড়িতে। প্রয়োজনে সবাইকে যেতে হত এশিয়াটিক সোসাইটির নতুন বাড়িতে। আর ছয়ের দশকের শেষে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমিতে বেশিরভাগই মেয়ে। সন্ধ্যা মিত্র এই সমস্যার সমাধান করেছিলেন। বিল্ডিংয়ের একতলায় তাঁর নির্দেশে তৈরি হয়েছিল মেয়েদের বাথরুম। তারপর দোতলায় তৈরি হয় প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য আলাদা বাথরুম। যখন মেয়েরা সবে চাকরিতে আসছেন, তখন সন্ধ্যা মিত্রের মতো চরিত্র বিরল। খুব অল্পসংখ্যক মহিলাই সে যুগে উঁচুপদে চাকরি করতেন। কিন্তু যে ক’জন করতেন, তাঁদের হয়তো চোখে পড়ত কাজের জায়গায় লিঙ্গভিত্তিক পরিকাঠামোগত বৈষম্যগুলো। আজও এই দেশে বেশিরভাগ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাথায় মহিলার সংখ্যা পুরুষের তুলনায় কম; আর অন্যান্য লিঙ্গের মানুষের উপস্থিতি তো নেই বললেই চলে। যতদিন না তাঁরা নীতি নির্ধায়ক হবেন, ততদিন কাজের জায়গার পরিকাঠামো কিন্তু পুরুষতান্ত্রিকই রয়ে যাবে।
… পড়ুন চৌকাঠ পেরিয়ে কলামের অন্যান্য পর্ব …
পর্ব ১৮: অফিসে মেয়েদের সখ্যকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নিছক পরনিন্দা-পরচর্চার ক্ষেত্র মনে করেছিল
পর্ব ১৭: পুরুষ সহকর্মীদের ‘বন্ধু’ ভাবতে অস্বস্তি হত পাঁচ ও ছয়ের দশকের চাকুরিরতাদের
পর্ব ১৬: ট্রামের স্বস্তি না বাসের গতি, মেয়েদের কোন যান ছিল পছন্দসই?
পর্ব ১৫: অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শই শুধু নয়, চৌকাঠ পেরনো মেয়েরা পেয়েছিল বন্ধুত্বের আশাতীত নৈকট্যও
পর্ব ১৪: লীলা মজুমদারও লেডিজ সিট তুলে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন!
পর্ব ১৩: অল্পবয়সি উদ্বাস্তু মহিলারা দেহব্যবসায় নেমে কলোনির নাম ডোবাচ্ছে, বলতেন উদ্বাস্তু যুবকরা
পর্ব ১২: মৃণাল সেনের ‘ইন্টারভিউ’ ছবির মিঠুর মতো অনেকে উদ্বাস্তু মেয়েই চাকরি পেয়েছিল দুধের ডিপোতে
পর্ব ১১: প্রথম মহিলা ব্যাঙ্ককর্মীর চাকরির শতবর্ষে ব্যাঙ্কের শ্রমবিভাজন কি বদলে গিয়েছে?
পর্ব ১০: সেলসগার্লের চাকরিতে মেয়েরা কীভাবে সাজবে, কতটা সাজবে, তা বহু ক্ষেত্রেই ঠিক করত মালিকপক্ষ
পর্ব ৯: স্বল্পখ্যাত কিংবা পারিবারিক পত্রিকা ছাড়া মহিলা সাংবাদিকরা ব্রাত্য ছিলেন দীর্ঘকাল
পর্ব ৮: অভিভাবকহীন উদ্বাস্তু মেয়েদের ‘চিরকালীন বোঝা’র তকমা দিয়েছিল সরকার
পর্ব ৭: মেয়েদের স্কুলের চাকরি প্রতিযোগিতা বেড়েছিল উদ্বাস্তুরা এদেশে আসার পর
পর্ব ৬: স্বাধীনতার পর মহিলা পুলিশকে কেরানি হিসাবেই দেখা হত, সেই পরিস্থিতি কি আজ বদলেছে?
পর্ব ৫: প্রেম-বিবাহের গড়পড়তা কল্পকাহিনি নয়, বাস্তবের লেডি ডাক্তাররা স্বাধীনতার নিজস্ব ছন্দ পেয়েছিলেন
পর্ব ৪ : নার্সের ছদ্মবেশে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যৌন হেনস্তার কবলে পড়তে হয়েছিল
পর্ব ৩ : উদ্বাস্তু মেয়েদের রোজগারের সুযোগ মিলেছিল টাইপ-শর্টহ্যান্ডের কাজে
পর্ব ২ : পিতৃতন্ত্রের কাঠামোয় কিছু ফাটল নিশ্চয়ই ধরিয়েছিলেন সে যুগের মহিলা টেলিফোন অপারেটররা
পর্ব ১ : দেশভাগের পর ‘চঞ্চল চক্ষুময়’ অফিসে চাকুরিরত মেয়েরা কীভাবে মানিয়ে নিলেন?
২০২৪ নির্বাচনে বিজেপি যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তার পিছনে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিডিয়া চ্যানেলগুলির বিপুল ভূমিকা ছিল। তাদের ওপর কীরকম কোপ পড়বে, সহজেই অনুমেয়। অর্থাৎ, রণবীর-সময়কে ঢাল করে, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা বাতিলের দাবিটিকে অস্ত্র করে আদপে দেশের সমস্ত ওটিটি, সোশাল মিডিয়ার ওপরে নজরদারি চালাবে সরকার।