এ বইয়ের বেশ কয়েকটি লেখা ভালোবাসা বিষয়ক। তরুণ এক লেখক বুঝতে চাইছেন কাকে বলে ভালোবাসা? বইটি শুরুই হয়েছিল বাহুল্যহীন একটি বাক্যে। ‘ভালবাসা আত্মসমর্পণ নহে।’ লেখাটির নাম, ‘মনের বাগান-বাড়ি’। সে লেখার শেষে জানিয়েছিলেন তরুণ রবীন্দ্রনাথ, ‘তাই বলিতেছি… ভালবাসা অর্থে ভাল বাসা, অর্থাৎ অন্যকে ভাল বাসস্থান দেওয়া, অন্যকে মনের সর্ব্বাপেক্ষা ভাল জায়গায় স্থাপন করা।’
ছোট্ট একটি বই। নাম তার ‘বিবিধ প্রসঙ্গ’। প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের শরৎকালে, আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্রে। প্রকাশক কালিদাস চক্রবর্তী। প্রসঙ্গ মানে তো ‘প্রবন্ধ’ নয়। বঙ্কিমচন্দ্রের বইয়ের নাম ‘বিবিধ প্রবন্ধ’। সে বইতে ধাপে ধাপে তথ্য-প্রমাণ সহযোগে নানা প্রতিপাদ্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ মননশীল বই। তার পাশে কেউ যদি রাখেন ‘বিবিধ প্রসঙ্গ’, তাহলে প্রথমেই মনে হবে তরুণ রবীন্দ্রনাথের এই বইখানি বঙ্কিমের বইয়ের তুলনায় নিতান্তই ক্ষীণতনু। ছাপা অবশ্য খুবই ছিমছাম– হরফগুলি বড়, দৃষ্টিনন্দন। দুই লাইনের মাঝখানে আর পাতার চারপাশে সাদা-ছাড় পাঠকের চোখের পক্ষেও খুবই আরামদায়ক। রোগা বইখানির ভেতরে যে লেখাগুলি সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি একটিও দীর্ঘ নয়। নানা বিষয়ে ছোট ছোট ভাবনা, বিদ্যুতের মতো। অনেক সময় একটা-দুটো লেখা পড়ে চুপ করে বসে থাকতে হয়– লেখাগুলির আবেদন মনের মগজের কাছে। বঙ্কিমের প্রবন্ধের যে স্বাদ তার থেকে এ-লেখার স্বাদ আলাদা। তরুণ লেখক নানা উপমায় তাঁর অনুভবের যুক্তি পাঠকের কাছে নিবেদন করছেন, যুক্তিগুলি মগজ স্পর্শ করে মনের কাছে থমকে বসছে– সেখান থেকে শুরু হচ্ছে পাঠকের কাজ। পাঠক ভাবছেন, হয়তো নিজের মনে মনে লেখাগুলির সঙ্গে কথা বিনিময় করছেন।
এ বইয়ের বেশ কয়েকটি লেখা ভালোবাসা বিষয়ক। তরুণ এক লেখক বুঝতে চাইছেন কাকে বলে ভালোবাসা? বইটি শুরুই হয়েছিল বাহুল্যহীন একটি বাক্যে। ‘ভালবাসা আত্মসমর্পণ নহে।’ লেখাটির নাম, ‘মনের বাগান-বাড়ি’। সে লেখার শেষে জানিয়েছিলেন তরুণ রবীন্দ্রনাথ, ‘তাই বলিতেছি… ভালবাসা অর্থে ভাল বাসা, অর্থাৎ অন্যকে ভাল বাসস্থান দেওয়া, অন্যকে মনের সর্ব্বাপেক্ষা ভাল জায়গায় স্থাপন করা।’ এ প্রসঙ্গটিই আবার আরেক রকম ভাবে ফিরে এসেছিল এই বইয়ের ‘আদর্শ প্রেম’ লেখাটিতে। সেখানে উদ্ধার করার মতো একটি বাক্য লিখলেন তিনি, ‘ভালবাসিবার জন্যই ভালবাসা নহে, ভাল ভালবাসিবার জন্যই ভালবাসা।’
রবীন্দ্রনাথের এ-কথা কি মেনে নেওয়া যায়? জয় গোস্বামীর কবিতা যাঁদের কণ্ঠস্থ সেই তাঁরা রবীন্দ্রনাথের ‘বিবিধ প্রসঙ্গ’ বইয়ের এ-প্রসঙ্গ দু’টির বিপরীতে রাখবেন জয়ের জনপ্রিয় প্রেমের কবিতার লাইনের পর লাইন। ‘অশান্তি চরমে তুলব, কাকচিল বসবে না বাড়িতে/ তুমি ছুড়বে থালা বাটি, আমি ভাঙব কাচের বাসন।’ ‘নতুন মেয়ের সঙ্গে দেখা করব লুকিয়ে চুরিয়ে/ ধরা পড়ব তোমার হাতে বাড়ি ফিরে হেনস্তা চরম।’ এই তো পাগলির সঙ্গে বঙ্গভঙ্গ মধুবালা বর্ণময় জীবন। এই প্রেমজীবনের কাছে রবীন্দ্রনাথের ‘আদর্শ প্রেম’ বড়ো পানসে, একঘেয়ে। ধীর লয়ে চলা গান। এখন রবীন্দ্রনাথের ‘মনের বাগান বাড়ি’ বাতিল। প্রেম কি ডাবের জল? প্রেম হল ককটেল। নিদেন পক্ষে মকটেল। ঠাকুরবাড়ির অন্তর্মুখী তরুণ রবীন্দ্রনাথের পক্ষে এসব বোঝা অসম্ভব ছিল। সেই মুহূর্তে রসিক একেলে কোনও যুবতী চোরাগোপ্তা রসিকতায় অবশ্য জয়ের বিপরীতে রবীন্দ্রনাথের পক্ষে উচ্চারণ করতে পারে সুনীল। ‘এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ/ আমি কি এ হাতে কোনো পাপ করতে পারি?/ …আমি ডান হাত তুলি, পুরুষ পাঞ্জার দিকে/ মনে মনে বলি,/ যোগ্য হও, যোগ্য হয়ে ওঠো– / ছুঁয়ে দিই নীরার চিবুক/ এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ/ আমি কি এ হাতে আর কোনোদিন/ পাপ করতে পারি?’ এই তো সুনীল লিখেছেন নীরার প্রেমে পুরুষটি ক্রমে শুদ্ধ হয়ে উঠতে চাইছে, সে চাইছে নীরাকে মনের ভালো বাসস্থানখানি দিতে।
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………… ‘বন্ধুত্ব আটপৌরে, ভালবাসা পোষাকী। বন্ধুত্বের আটপৌরে কাপড়ের দুই-এক জায়গায় ছেঁড়া থাকিলেও চলে, ঈষৎ ময়লা হইলেও হানি নাই, হাঁটুর নীচে না পৌঁছিলেও পরিতে বারণ নাই। গায়ে দিয়া আরাম পাইলেই হইল। কিন্তু ভালবাসার পোষাক একটু ছেঁড়া থাকিবে না, ময়লা হইবে না, পরিপাটি হইবে। বন্ধুত্ব নাড়াচাড়া টানাছেঁড়া তোলাপাড়া সয়, কিন্তু ভালবাসা তাহা সয় না। আমাদের ভালবাসার পাত্র হীন প্রমোদে লিপ্ত হইলে আমাদের প্রাণে বাজে, কিন্তু বন্ধুর সম্বন্ধে তাহা খাটে না; এমন-কি, আমরা যখন বিলাসপ্রমোদে মত্ত হইয়াছি তখন আমরা চাই যে, আমাদের বন্ধুও তাহাতে যোগ দিক!’
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
এই কথোপকথনের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারেন ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ কোনও ফিচেল প্রৌঢ়। বলতে পারেন ‘মনের বাগান বাড়ি’-তে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘যাহাকে তুমি ভালবাস তাহাকে ফুল দাও, কাঁটা দিও না; তোমার হৃদয়সরোবরের পদ্ম দাও, পঙ্ক দিও না।… যাঁহাকে তুমি ভালবাস তাঁহাকে তোমার হৃদয়ের সমস্তটা দেখাইও না। যেখানে তোমার হৃদয়ের পয়ঃপ্রণালী, যেখানে আবর্জ্জনা, যেখানে জঞ্জাল, সেখানে তাঁহাকে লইয়া যাইও না…।’ অর্থাৎ মনের খারাপ, অন্ধকারকে অস্বীকার করছেন না শুধু এটুকু বলছেন প্রেমের মধ্যে এসব না আসাই ভালো, না-দেখানোই ভালো। একথাও হয়তো বলতে চাইছেন যে প্রেম, আদর্শ প্রকৃত প্রেম, আমাদের মনের এইসব মালিন্য দূর করে দেয়। সেটা বোঝাতেই পরে এ-বইতে ‘আদর্শ প্রেম’ প্রসঙ্গটি লিখতে হয়েছিল তাঁকে। মনে রাখা দরকার, এ বইতেই ‘বন্ধুত্ব ও ভালবাসা’ নামে আরেকটি প্রসঙ্গও ছিল। সেখানে জানিয়েছিলেন, ‘বন্ধুত্ব আটপৌরে, ভালবাসা পোষাকী। বন্ধুত্বের আটপৌরে কাপড়ের দুই-এক জায়গায় ছেঁড়া থাকিলেও চলে, ঈষৎ ময়লা হইলেও হানি নাই, হাঁটুর নীচে না পৌঁছিলেও পরিতে বারণ নাই। গায়ে দিয়া আরাম পাইলেই হইল। কিন্তু ভালবাসার পোষাক একটু ছেঁড়া থাকিবে না, ময়লা হইবে না, পরিপাটি হইবে। বন্ধুত্ব নাড়াচাড়া টানাছেঁড়া তোলাপাড়া সয়, কিন্তু ভালবাসা তাহা সয় না। আমাদের ভালবাসার পাত্র হীন প্রমোদে লিপ্ত হইলে আমাদের প্রাণে বাজে, কিন্তু বন্ধুর সম্বন্ধে তাহা খাটে না; এমন-কি, আমরা যখন বিলাসপ্রমোদে মত্ত হইয়াছি তখন আমরা চাই যে, আমাদের বন্ধুও তাহাতে যোগ দিক!’
পড়লে বুঝতে পারা যায়, দোস্তি-ইয়ারি-বন্ধুত্ব খুব জরুরি। সেখানে আমোদ-আহ্লাদ আর প্রেমে শুদ্ধি। বন্ধুত্বের পরিসরের বাইরে আলাদা করে প্রেমকে সুভদ্র, শুচিশীল হিসেবে দেখতে চাইছেন তিনি। মোদ্দা কথা হল, আমাদের মন ও মনের ভেতর দু’-জায়গায় দু’-রকম করে খুলবে। বন্ধুদের কাছে একরকম করে আর প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে আরেক রকম করে। প্রয়োজন মতো আমরা কখনও বন্ধুদের দলে, কখনও প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে থাকলে সুস্থ থাকব। প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে সারাক্ষণ থাকলে মনের বাগান-বাড়িতে বসে থাকতে বাধ্য হব, কিন্তু আমাদের তো ‘পয়ঃপ্রণালী’ দরকার! সুতরাং বন্ধু-বিনে প্রাণ বাঁচে না।
ফিচেল ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথা শেষ হতে না হতেই তুমুল হৈ-হল্লা শুরু হয়ে গেল। একালের সমস্ত প্রেমিক ও প্রেমিকা রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে ‘নিপাত যাক, নিপাত যাক’ ধ্বনি উচ্চারণ করতে লাগল। তারা বলল, ‘একালের প্রেমে বন্ধুতা মাস্ট।’ এমনকী, প্রেম ভেঙে গেলেও বন্ধুতা থাকবে। ব্রেক-আপের পর একটা সিগারেট ভাগ করে টেনে পরস্পর পরস্পরকে গালাগাল দিতে দিতে সাম্প্রতিক প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে চলে যাওয়াই না কি এখনকার সুস্থ দস্তুর। এসব সেকেলে শুদ্ধাচারী ব্রাহ্ম রবীন্দ্রনাথ কী বুঝবেন! ফিচেল-প্রৌঢ় বললেন, ‘বিবিধ প্রসঙ্গ’ রবীন্দ্রনাথের তরুণ বয়সের বই। তারপর কত কী হল জীবনে ও লেখায়। সেই সব পড়া দরকার। রবীন্দ্রনাথ পড়া ও ভাবা অভ্যেস করা দরকার। সে কথা আবারও তাহাদের তুমুল হৈ হল্লায় ঢাকা পড়ে গেল। সকলের মুখকমলে তখন ধূম লেগেছে– হৃদয় কমলের দিকে তাকানোর সময় নেই।
…………………ছাতিমতলা অন্যান্য পর্ব……………………..
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি