শিল্পভাবনায় বিপরীতপন্থী হয়েও কী এক আশ্চর্য ম্যাজিকে রবীন্দ্রনাথ ও নন্দলাল– দুই ব্যক্তিত্ব আধুনিক ভারতশিল্পের অন্যতম দিকপাল হয়ে উঠেছিলেন, তা আমাদের অবাক করে। রবীন্দ্রনাথ আর অবনীন্দ্রনাথের শিষ্য নন্দলাল– উভয়ের যোগাযোগের সেতুটির দিকে তাকাই। সন-তারিখের বিচারে ১৯০৯ নাগাদ ‘চয়নিকা’ কাব্যগ্রন্থে ছবি আঁকার সূত্রে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নন্দলালের পরিচয় গাঢ়তর হয়। তখন থেকেই রবীন্দ্রনাথ মনে মনে নন্দলালকে শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে টেনে আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে যে অবনীন্দ্রনাথের সায় ছিল না– একথা তাঁর ‘রবিকা’-ও জানতেন। ফলে নন্দলাল মনে মনে চাইলেও শান্তিনিকেতনে যোগ দিতে পারেননি। আসলে অবন ঠাকুর কখনওই চাননি যে, তাঁর প্রিয়তম ছাত্রটি এভাবে হাতছাড়া হয়ে যাক।
২১.
রবীন্দ্রনাথ আর নন্দলাল। কবি ও শিল্পী। বয়সের যথেষ্ট ব্যবধান ছাপিয়ে দু’জনের মধ্যে মিল এই যে, বিশের দশকের মাঝামাঝি পর্ব থেকে দু’জনেই শান্তিনিকেতনের মাটিতে দাঁড়িয়ে চিত্রচর্চা করে চলেছেন। যদিও উভয়ের কাজ এবং শিল্পভাবনা বহু যোজন দূরত্বে অবস্থান করে। সে অবশ্যি হওয়ার কথা। তবু এই ভিন্নচিন্তার শিল্পীদ্বয়ের মিল আর অমিলের প্রসঙ্গটি তলিয়ে দেখতে ইচ্ছে করে।
এখানে কয়েকটা বিষয় আমাদের খেয়াল রাখা দরকার। আগেই আভাস দিয়েছি, দু’জনের শিল্পভাবনায় নৈকট্যের চেয়ে বিভেদের পাল্লা কিঞ্চিৎ ভারী। তার কারণ আছে। মনে রাখতে হয়, এমন দুই দিকপাল চিত্রকরের মধ্যে রবিঠাকুর স্বশিক্ষিত শিল্পী। তাঁর ছবিকে দীর্ঘকাল সাধারণ মানুষ বা তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি, ‘কবির ছবি’ হিসেবে পাশ কাটিয়েছেন। অন্যদিকে নন্দলালের মতো তাঁকে ছবি আঁকা নিয়ে ‘মাস্টারি’ করতে হয়নি। সিলেবাস হাতে নিয়ে দাঁড়াতে হয়নি চিত্রশিক্ষার্থীদের সামনে। শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে বা বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার পরেও শিল্পকলা বিষয়ক কোনও প্রত্যক্ষ কোনও পাঠ রবীন্দ্রনাথকে দিতে হয়নি। জীবনের প্রান্তে পৌঁছে তাঁর শিল্পীসত্তা, চিত্রীর সেই আশ্চর্য ভূমিকা– সম্পূর্ণ এক স্বতন্ত্র অধ্যায়। অথচ প্রতি মুহূর্তে তাঁর অন্দরে ধীরে ধীরে এক আধুনিক চিত্রকরের আবির্ভাব ঘটছিল। এই কারণে কবির জবানিতে ‘চিত্রকলা হঠাৎ এসে পড়েছে’ বা ‘কোনো নোটিশ দিয়ে আসেনি’ ইত্যাদি কথাবার্তা শুনলেও সবসময় তাকে সিরিয়াসলি গ্রহণ করা চলে না। বরং সেইসব বয়ান তাঁকে বুঝে নেওয়ার পথে প্রায়শই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কখনও তিনি এমনভাবে বলেন, যেন চিত্রী রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কবি রবিঠাকুরের কোনও সম্পর্ক নেই, ছিল না। কিন্তু সত্যি কি তাই? উভয়ের মধ্যে সুদৃঢ় যোগাযোগ না থাকলেও এঁরা দু’জন কি একেবারে ভিন্ন স্বতন্ত্র শিল্পীসত্তা? আপাতদৃষ্টিতে দেখে তেমন লাগলেও বাস্তবে তা নয়। সচেতনভাবেই তরুণ বয়সে লেখা কবিতার বই ‘ছবি ও গান’ শিরোনামের মতো নিজের কবি ও শিল্পীসত্তার দু’টি দিক তিনি একত্রে গেঁথে তুলতে চাননি। এখানেও প্রশ্ন আছে, চাননি? না কি সফলভাবে গেঁথে তুলতে পারেননি? এই কারণেই কি অধিকাংশ আলোচক আর্টিস্ট রবীন্দ্রনাথের কথা বলতে গিয়ে তাঁর সাহিত্যের এলাকার প্রতি খেয়াল করেন না? বলা ভালো, খানিকটা এড়িয়ে যেতে চান! তাঁদের কাছে এ যেন একই নদীর দু’টি পার, যার একদিকে যদি সাহিত্যের স্রোত, তো অন্যদিকে চিত্রকলার।
অপরদিকে নন্দলাল একজন শিল্পী ও শিল্পশিক্ষক। সাহিত্যের সঙ্গে কখনও তাঁর গাঁটছড়া বাঁধা ছিল না। সরাসরি তিনি ছবির পাঠ নিয়েছেন গুরু অবনীন্দ্রনাথের কাছে। পরবর্তী সময়ে নিজের চিত্রচর্চার পাশাপাশি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির ‘বিচিত্রা স্কুল’ ও পরে রবীন্দ্রনাথের কলাভবনে সুদীর্ঘকাল শিক্ষকতা করেছেন। শুধু তাই নয়, সারা দেশ এক সময় তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিল– আধুনিক ভারতীয় চিত্রধারার অন্যতম অগ্রপথিক হিসেবে। দেশজুড়ে তাঁর শিল্পপ্রবাহ থেকে রসদ আহরণ, কখনও বা তাঁর পথ অনুসরণ করে একদা এগিয়ে চলেছেন সেকালের শিল্পীরা। এমন দুই মহাশিল্পীর ভাবনার দিকে এক ঝলক আলোকপাত করা যাক।
শিল্পভাবনায় বিপরীতপন্থী হয়েও কী এক আশ্চর্য ম্যাজিকে এ দুই ব্যক্তিত্ব আধুনিক ভারতশিল্পের অন্যতম দিকপাল হয়ে উঠেছিলেন, তা আমাদের অবাক করে। রবীন্দ্রনাথ আর অবনীন্দ্রনাথের শিষ্য নন্দলাল– উভয়ের যোগাযোগের সেতুটির দিকে তাকাই। সন-তারিখের বিচারে ১৯০৯ নাগাদ ‘চয়নিকা’ কাব্যগ্রন্থে ছবি আঁকার সূত্রে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নন্দলালের পরিচয় গাঢ়তর হয়। তখন থেকেই রবীন্দ্রনাথ মনে মনে নন্দলালকে শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে টেনে আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে যে অবনীন্দ্রনাথের সায় ছিল না– একথা তাঁর ‘রবিকা’-ও জানতেন। ফলে নন্দলাল মনে মনে চাইলেও শান্তিনিকেতনে যোগ দিতে পারেননি। আসলে অবন ঠাকুর কখনওই চাননি যে, তাঁর প্রিয়তম ছাত্রটি এভাবে হাতছাড়া হয়ে যাক। তাঁর মনে এই আশঙ্কা জেগেছিল যে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই ‘সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্ট’-এর ক্ষতি হবে। অন্যদিকে কলাভবনের সূচনা তখনও ঘটেনি, ফলে নন্দলালকে শান্তিনিকেতনে আনার ব্যাপারে অবনের ওপর ‘রবিকা’ সেভাবে জোর করতে পারেননি। পরে অবশ্য অনেক বাধা মান-অভিমান কাটিয়ে নন্দলাল শেষপর্যন্ত রবি ঠাকুরের কলাভবনে যোগ দিয়েছেন। সে অন্য প্রসঙ্গ, এখন থাক।
নন্দলাল কেবল শিল্পশিক্ষক হিসেবে যোগ দেননি, অচিরেই সমগ্র কলাভবনের ভার তাঁকে নিতে হয়েছে। আর এখান থেকেই আমাদের প্রকৃত আলোচনার সূত্রপাত। অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানের আচার্য রবীন্দ্রনাথ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকের প্রতি নানা পরামর্শ ও নির্দেশ দিলেও কলাভবনের ক্ষেত্রে নন্দলালের ওপরেই সম্পূর্ণ নির্ভর করেছেন। চিত্রচর্চার পাঠ কীভাবে দেবেন, সে বিষয়ে নন্দলাল ছিলেন সম্পূর্ণ স্বাধীন। নানা সূত্রে একথা আমরা জানতে পারি। শান্তিনিকেতনের পুরনো ছাত্র কাননবিহারী মুখোপাধ্যেয়ের স্মৃতিকথা এমনই সাক্ষ্য বহন করে। নন্দলাল তাঁকে বলেছেন, ‘রবিবাবু বরাবর আমাকে স্বাধীনতা ও উৎসাহ দিয়েছেন। কখনও কোনও সূত্রে এসে আমার কাজের ধারায় বাধা দেননি। আমি যে পদ্ধতিতে কাজ করি, সে তো তাঁরও মনের মতো পদ্ধতি’। তবে রবীন্দ্রনাথ নন্দলালকে এ-ও বলেছিলেন, ছাত্ররা যেন নিজের মতো করে গড়ে উঠতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে, দাগাবুলোনো শিক্ষায় কলাভবনের ছাত্রেরা শিক্ষিত হয়ে উঠুক– এ তিনি কখনওই চাননি। নন্দলালের শিক্ষণপদ্ধতিও তাঁর গুরু অবনীন্দ্রনাথের চেয়ে অনেকটা ভিন্ন।
‘আমি যে পদ্ধতিতে কাজ করি, সে তো তাঁরও (রবীন্দ্রনাথ) মনের মতো পদ্ধতি’– নন্দলালের মুখে শোনা এই কথা সত্ত্বেও দুয়েকটা ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তোলে। মনের মধ্যে প্রশ্ন উঁকি দেয়, প্রবল ভাবে স্বাদেশিকতায় জারিত নন্দলালের শিল্পীমন রবীন্দ্রনাথের মতো মুক্ত উদারচিত্তের সঙ্গে সর্বদা পাল্লা দিতে পারছিলেন তো? বিশেষত মহাত্মা গান্ধীর প্রভাবে তীব্রভাবে জাতীয়তাবাদের ঝুঁকে পড়া নন্দলাল, সেই মুহূর্তে শিল্পকলার আধুনিকতার দৌড়ে কলাভবনের প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে পেরে উঠছিলেন তো? তথাকথিত ভারতীয়ত্বের তকমা দেওয়া শিল্পের বাইরে এসে রবীন্দ্রভাবনায় অবগাহিত পূর্ব-পশ্চিমের দেওয়া নেওয়ার ক্রিয়েটিভ সার্কিটটিকে শিক্ষক নন্দলাল সর্বদা সচল সজীব রাখতে পেরেছিলেন কি? এ আশঙ্কা ঘন হয়ে ওঠে দুয়েকজনের স্মৃতিকথায়।
এখানে একবার আলগোছে তাকিয়ে দেখে নিই, কলাভবনের শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং তার প্রতিষ্ঠাতার শিল্পভাবনা– এই মিথস্ক্রিয়ার গতি-নকশার দিকে। সেই পর্বের কলাভবনের ছাত্র সুধীর খাস্তগীরের লেখায় এমনই একটা ঝলক উঠে আসতে দেখি, যেখান থেকে খানিকটা আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে। সুধীর লিখেছেন, “রবীন্দ্রনাথ যখন ছবি আঁকতে আরম্ভ করেন সেই সময় এই প্রবন্ধের লেখক (সুধীর খাস্তগীর) শান্তিনিকেতনের ছাত্র। যতদূর স্মরণ হয়, ১৯২৬ সালে একদিন গুরুদেব কলাভবনে এলেন সকালে। আমরা সকলে তাঁকে ঘিরে বসেছিলাম। মাস্টারমশাই-এর (নন্দলাল বসু) সঙ্গে তাঁর শিল্পালোচনা হচ্চিল। আমরাও যে দু-একটা প্রশ্ন করেছিলাম না তা নয়। কিন্তু আলোচনার বিশেষ কিছু তখন আমাদের (অন্তত আমার) বোধগম্য হয় নি। Abstract art-এর কথা তখনই আমি প্রথম শুনি। মনে আছে কয়েকটি কথা। গুরুদেব বলেছিলেন, বড় করে বাহুর জোরে কল্পনার জোরে ছবি আঁকতে– ছোট সরু তুলী তুলে রাখতে বলেছিলেন। ‘মোটা তুলীতে নির্ভয়ে আঁকতে শেখ’ বলেছিলেন”। এখানে স্পষ্ট যে, কলাভবনে বসে শিক্ষকের সঙ্গে এই আলোচনা নিঃসন্দেহে ছাত্রদের সামনে আধুনিক বিশ্বশিল্পের দরজাটাকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার প্রয়াস। সাবেকি ধারায় প্রবাহিত তথাকথিত দৃষ্টিনন্দন ছবি থেকে ছাত্রদের বাইরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন কলাভবনের প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ। সূক্ষ্ম কারুকাজের শৌখিন চিত্রকলা থেকে সবল বলিষ্ঠ তুলির আঁচড়ে আঁকা ছবি রবীন্দ্রনাথকে তখন বিপুলভাবে আকর্ষণ করেছে। সেই মুহূর্তে তিনিও এসে দাঁড়িয়েছিলেন এক নতুন বাঁকের মুখে, যেখান থেকে চিত্রকর রবি ঠাকুরের জয়যাত্রা শুরু। তাহলে কি নন্দলালের শিক্ষাপদ্ধতির প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছিলেন না রবীন্দ্রনাথ? তাই সকালবেলায় ক্লাস-আওয়ারে এসে কলাভবনের শিক্ষক নন্দলালের শিল্পচিন্তাকে একটু যাচাই করে নিতে চাইছিলেন? প্রচ্ছন্নভাবে ভারতীয় চিত্রধারার পাশাপাশি বিশ্বশিল্পের প্রতি নন্দলালের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছিলেন? হয়তো তাই।
১৯৩০-এ প্যারিস এগজিবিশনের পরে বিদেশ থেকে নন্দলালকে লেখা রবীন্দ্রনাথের চিঠিতে এই ভাবনা আরও উসকে দিয়ে যায়। সন্দেহের খোঁচা আমাদের মনে আরও গাঢ়তর হয়ে উঠতে চায়। রবীন্দ্রনাথ সে চিঠিতে নন্দলালকে লিখেছেন, ‘আমার ছবিগুলি শান্তিনিকেতন চিত্রকলার আদর্শকে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেচে’। এ কি ভারি আশ্চর্যের কথা নয়? এখানে ‘শান্তিনিকেতন চিত্রকলার আদর্শ’ বলতে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন? নিঃসন্দেহে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত কলাভবনের চিত্রকলার আদর্শের কথাই বলতে চাইছেন। তাই যদি হয়, তবে সন্দেহের খোঁচাটুকু লুকিয়ে আছে এখানেই। রবীন্দ্রনাথের ছবি আর কলাভবনের চিত্রআদর্শকে কি এক সারিতে বসানো চলে– যা কি না বিশ্বের কাছে রবিঠাকুরের একা ছবির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে– বিশেষত ১৯৩০ সালে? এ লেখার অন্দরে কি যথেষ্ট কূটাভাস নেই? তবে কি নন্দলালকে বিশ্বশিল্পের প্রতি আরেকটু সজাগ করে দিতে চাইলেন রবীন্দ্রনাথ? ভারতীয় ছবির আলংকারিক ঘেরাটোপ থেকে সরিয়ে এনে কলাভবনের শিক্ষাদর্শকে নতুন চোখে দেখার প্রচ্ছন্ন আহ্বান রয়ে গেল রবি ঠাকুরের এই চিঠিতে?
…পড়ুন ছবিঠাকুর-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২০: ছবি বুঝতে হলে ‘দেখবার চোখ’-এর সঙ্গে তাকে বোঝার ‘অনেক দিনের অভ্যেস’
পর্ব ১৯: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথ কোন রংকে প্রাধান্য দিয়েছেন?
পর্ব ১৮: ছবি আঁকিয়ে রবিঠাকুরও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন
পর্ব ১৭: রবীন্দ্রনাথের নারী মুখমণ্ডলের সিরিজ কি কাদম্বরী দেবীর স্মৃতিজাত?
পর্ব ১৬: ট্যাক্স না দেওয়ায় রবীন্দ্রনাথের ছবি আটক করেছিল কাস্টমস হাউস
পর্ব ১৫: বাইরে সংযত রবীন্দ্রনাথ, ক্যানভাসে যন্ত্রণাদগ্ধ ছবিঠাকুর
পর্ব ১৪: অমৃতা শেরগিলের আঁকা মেয়েদের বিষণ্ণ অভিব্যক্তি কি ছবিঠাকুরের প্রভাব?
পর্ব ১৩: আত্মপ্রতিকৃতির মধ্য দিয়ে নতুন করে জন্ম নিচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ১২: আমেরিকায় কে এগিয়ে ছিলেন? ছবিঠাকুর না কবিঠাকুর?
পর্ব ১১: নন্দলাল ভেবেছিলেন, হাত-পায়ের দুয়েকটা ড্রয়িং এঁকে দিলে গুরুদেবের হয়তো সুবিধে হবে
পর্ব ১০: ১০টি নগ্ন পুরুষ স্থান পেয়েছিল রবীন্দ্র-ক্যানভাসে
পর্ব ৯: নিরাবরণ নারী অবয়ব আঁকায় রবিঠাকুরের সংকোচ ছিল না
পর্ব ৮: ওকাম্পোর উদ্যোগে প্যারিসে আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে যাচাই করেছিলেন রবি ঠাকুর
পর্ব ৭: শেষ পর্যন্ত কি মনের মতো স্টুডিও গড়ে তুলতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ৬: রবীন্দ্র চিত্রকলার নেপথ্য কারিগর কি রানী চন্দ?
পর্ব ৫: ছবি আঁকার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরলোকগত প্রিয়জনদের মতামত চেয়েছেন
পর্ব ৪: প্রথম ছবি পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ামাত্র শুরু হয়েছিল বিদ্রুপ
পর্ব ৩: ঠাকুরবাড়ির ‘হেঁয়ালি খাতা’য় রয়েছে রবিঠাকুরের প্রথম দিকের ছবির সম্ভাব্য হদিশ
পর্ব ২: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম ছবিটি আমরা কি পেয়েছি?
পর্ব ১: অতি সাধারণ কাগজ আর লেখার কলমের ধাক্কাধাক্কিতে গড়ে উঠতে লাগল রবিঠাকুরের ছবি