শিল্পবিষয়ক কথাবার্তায় উঠে আসা তাঁর এই মতামত খানিকটা প্রবন্ধের আকার নেয়। একদিকে যেমন সামগ্রিক শিল্পের কথা এসে পড়ে, তেমনই আসে নিজের ছবির কথাও। রানী মহলানবীশ তাঁদের অন্যতম, যাঁকে লেখা চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ অনায়াসে ব্যক্ত করেছেন নিজের ছবিভাবনা। এ ছাড়া অবন-গগন-নন্দলাল, অসিত হালদারের চিঠিতেও ‘আঁকিয়ে’ রবি ঠাকুরের দেখা মিলবে।
১৮.
আর্টিস্ট রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছবির বিষয়ে কখনও সরাসরি ইন্টারভিউ দিয়েছেন? সেভাবে মনে পড়ছে না বটে, তবে শিল্প নিয়ে তাঁর ভাবনা ও প্রশ্নের উত্তর চিঠির বয়ানে মাঝে মাঝে ভেসে উঠতে দেখা যায়। তাদের অবশ্য সাক্ষাৎকারের গোত্রে ফেলা চলে না। শিল্পবিষয়ক কথাবার্তায় উঠে আসা তাঁর এই মতামত খানিকটা প্রবন্ধের আকার নেয়। একদিকে যেমন সামগ্রিক শিল্পের কথা এসে পড়ে, তেমনই আসে নিজের ছবির কথাও। রানী মহলানবীশ তাঁদের অন্যতম, যাঁকে লেখা চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ অনায়াসে ব্যক্ত করেছেন নিজের ছবিভাবনা। এছাড়া অবন-গগন-নন্দলাল, অসিত হালদারের চিঠিতেও ‘আঁকিয়ে’ রবি ঠাকুরের দেখা মিলবে।
প্রথাগত সাক্ষাৎকার না-হলেও নন্দলালের সঙ্গে তাঁর একটি আলোচনা ‘শিল্পের উদ্দীপনা’ শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশিত। তাকে অবশ্যি প্রবন্ধই বলতে হবে। এছাড়া একেবারে শেষবেলায় শান্তিনিকেতনের মাটিতে বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের আলাপচারিতা ‘সাহিত্য-গান-ছবি’ শিরোনামে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় মুদ্রিত হয়েছে। এগুলোর কোনওটাকেই নিয়মমাফিক সাক্ষাৎকার বলা যায় না। নিশ্চিতভাবেই এরা প্রবন্ধের নামান্তর। তবে কি শিল্পী রবি ঠাকুরের ইন্টারভিউ কখনও কেউ নেননি? দেশে বা বিদেশে কোথাও নয়?
অনুসন্ধান করে দেখলে চকিতে আমাদের মনে পড়বে ১৯৩০ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর রাশিয়া সফরের কথা। সেখানে মস্কোতে রবীন্দ্রনাথ সরাসরি ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন একদল শিল্পী ও সমালোচকের কাছে। তবে অবশ্যই দোভাষীর মাধ্যমে। সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে তাঁর বহু আকাঙ্ক্ষিত রাশিয়া ভ্রমণের দিকে একঝলক তাকানো যাক। সে যাত্রায় কবির সঙ্গে ছিলেন সৌম্যেন্দ্রনাথ, উইলিয়ম আরিয়ম, অমিয় চক্রবর্তী, হ্যারি টিম্বারস ও আইনস্টাইনের কন্যা মার্গারিটা আইনস্টাইন। মস্কোতে পাকাপাকি দু’সপ্তাহের মতো অবস্থান করেছেন রবীন্দ্রনাথ। প্রতিদিন তাঁকে ঘিরে অজস্র সভাসমিতির আয়োজন ও আলোচনা হয়েছে অসংখ্য বিষয় নিয়ে। সেসব আলোচনা সভায় ভিড় করেছেন শিল্পী, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, অভিনেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সকলে। কেবল তা-ই নয়, শিল্প সাহিত্য থেকে কৃষকসভা পর্যন্ত বিস্তার পেয়েছে কবির আলাপচারিতার এই পরিসর। এর ফাঁকে চলেছে নাটকের অভিনয় দেখা, ‘রেজারেকশন’ দেখতে গিয়ে চেকভের স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করা, আইজেনস্টাইনের বিখ্যাত ছবি ‘ব্যাটলশিপ পতেমকিন’ দেখার মতো উল্লেখযোগ্য ঘটনা ইত্যাদি ইত্যাদি।
মস্কোতে রবীন্দ্রনাথের দৈনিক কাজের সূচির দিকে তাকালে দেখি, একাধিক জরুরি সভা তিনি সেরেছেন এক দিনে। কেবল ১৩ সেপ্টেম্বরেই তিনি যোগ দিয়েছেন বেশ কয়েকটি আলোচনায়। সকালে ছাত্র অধ্যাপকবৃন্দের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা সেরে বিকেলে মিউজিয়মের ডিরেক্টর, শিল্পকলার বিভাগের প্রতিনিধি এবং প্রদর্শনী বিভাগের অধ্যক্ষের সঙ্গে চলেছে তাঁর মিটিং। তারপর সন্ধ্যায় মস্কো আর্ট থিয়েটারে নাটক দেখতে যাওয়া, নাটকের শেষে বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ, অটোগ্রাফ দেওয়া ইত্যাদি নানা কাজ চলেছে পরপর। ১৩ সেপ্টেম্বর তারিখেই তাঁর আঁকা ছবি নিয়ে চিত্রপ্রদর্শনীর সিদ্ধান্ত পাকা হয়েছে এবং শিল্প সমালোচকদের সঙ্গে তাঁর এক জরুরি সাক্ষাৎকার গৃহীত হয়েছে– যা আর কোথাও দেখা যায়নি।
সাক্ষাৎকারের একটি স্টেনো-রিপোর্ট অবলম্বনে প্রশ্নোত্তরের সেই কথোপকথন আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়। তাঁর ছবির প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর। তার দিনতিনেক আগে দেওয়া এই ইন্টারভিউ চিত্রকর রবীন্দ্রনাথকে নতুন ভাবে চিনিয়ে দেয়। রিপোর্ট অনুসারে, সাক্ষাৎকারের শুরুতে রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছবির শুরুয়াত প্রসঙ্গে খানিকটা গৌরচন্দ্রিকা সেরে নিয়েছেন। বলেছেন– ‘এ (চিত্রকলা) এসেছে একেবারেই হঠাৎ, কোন শিক্ষা বা প্রস্তুতি ছাড়াই। তাই মনে করি এর মনস্তাত্ত্বিক মূল্য আছে। অবশ্য ইয়োরোপের অন্যান্য দেশে যারা শিল্প ও শিল্পকীর্তি সম্বন্ধে খুবই সমালোচক তাঁরা আমায় আশ্বাস দিয়েছেন যে, আমার ছবিতে নাকি শুধু মনস্তাত্ত্বিক আকর্ষণই নয় শিল্পের আকর্ষণও আছে, তাঁরা আমায় শিল্পী বলে স্বীকার করেছেন, তার জন্য আমি খুবই গর্ববোধ করি।
আপনারা আমার প্রচেষ্টা সম্বন্ধে কী ভাবেন তা জানতে চাই, কারণ আপনাদের শিল্পসংক্রান্ত মতের আমি খুবই মূল্য দিই। আপনাদের কাছেও আমার ছবি দেখাতে চেয়েছি, কারণ ছবির ভিতর দিয়েই আমি আপনাদের মনের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসতে সক্ষম হব। কথা দিয়ে তা হবে না, কারণ ভাষার বাধা রয়েছে। আমার ছবিরা আপনাদের সঙ্গে আলাপ করবে দোভাষীর সাহায্য ছাড়াই।
সমালোচক: এই ছবিটার আইডিয়া কী?
রবীন্দ্রনাথ: কোনও আইডিয়াই নেই। এ একটি ছবি। আইডিয়া থাকে কথায়, জীবনে নয়।
সমালোচক: আপনার কাজে উল্লেখযোগ্য যৌবনের উদ্দীপনা। আর সেইজন্যই এরা এত কৌতূহলোদ্দীপক। যৌবনের উদ্দীপনা তার অভিব্যক্তির প্রকৃত মাধ্যম খুঁজে পেতে কোনও বাধা অনুভব করে না আর আপনার ছবি তাদের নিজস্ব আঙ্গিক গড়ে তুলেছে। ছবিগুলি এতই চিত্তাকর্ষক যে আপনি পেশাদার শিল্পী হলেও তার আকর্ষণ কমত না। আপনি আগে কখনও ছবি এঁকেছেন?
রবীন্দ্রনাথ: কখনও না।
সমালোচক: আপনি প্রথম শ্রেণির শিল্পী। প্রতিটি নতুন ছবি মনে গভীরতর ছাপ ফেলে, দর্শকরা সবাই এ দেখে রোমাঞ্চিত। এই ছবিগুলি কখন এঁকেছিলেন তা জানতে খুবই উৎসুক।
রবীন্দ্রনাথ: এরা আগেকার। কয়েকটি পরে আঁকা, কয়েকটি আগে। এরা প্রধানত রেখা-প্রধান, রং এসেছে পরে।
সমালোচক: কয়েকটির সঙ্গে ভ্রুবেলের [রাশিয়ার আধুনিক শিল্পী, মিখাইল আলেক্সান্দ্রোভিক ভ্রুভেল (?) ১৮৫৬ – ১৯১০] ছবির খুবই মিল আছে, যাঁর ছবি আপনি হয়তো কখনও দেখেননি?
রবীন্দ্রনাথ: কখনও দেখেছি বলে তো মনে হয় না।
সমালোচক: আপনাকে দেখাতে পারলে খুবই খুশি হব।
অন্য সমালোচক: ভারি আনন্দ হত যদি আপনার ছবি আমরা পেতাম। তাহলে আমাদের শিল্পীর, রুশ শিল্পীর আঁকা বলে তা প্রদর্শিত করা যেত।
সমালোচক: আপনার ছবির কোনও নাম আছে কি?
রবীন্দ্রনাথ: কোনও নামই নেই। কোনও নামের কথা ভাবতেই পারিনে। এদের কীভাবে বর্ণনা করব জানিনে।
সমালোচক: এটি কি আপনারই পোট্রেট?
রবীন্দ্রনাথ: হ্যাঁ, আমারই পোট্রেট। এত ছবি, আপনাদের ধৈর্যের উপর জুলুম করছি না তো?
সমালোচক: বাকি ছবি দেখতে পেলে খুবই আনন্দিত হব।
রবীন্দ্রনাথ: তাদের দূর থেকে দেখা যাবে না।
সমালোচক: এটা কি দান্তের পোট্রেট?
রবীন্দ্রনাথ: না, দান্তের পোট্রেট নয়। এটা এঁকেছি জাপান থেকে আসার পথে স্টীমারে। গত বছর আমার কলম তার নিজের ইচ্ছেয় চলেছিল, তার ফলে এই যে ছবিটি দেখছেন, এটি দেখা দেয়। রঙটা পেয়েছি… ফল থেকে।
সমালোচক: এটা কি কোন বিশেষ রঙ ?
রবীন্দ্রনাথ: না, সাধারণ ঝর্ণাকলমের কালি।
সমালোচক: আর এই রঙ ?
রবীন্দ্রনাথ: এটি কালো আর লাল কালিতে আঁকা। এগুলো আগেকার ছবি– এই যেগুলো কালো আর সাদায় আঁকা।
সমালোচক: তেল রঙে কিছু এঁকেছেন কি? না সবই কালিতে?
রবীন্দ্রনাথ: হ্যাঁ, তাই।
সমালোচক: (আগের দিন আঁকা একটি ছবির বিষয়ে): এটা কি মস্কোর ইম্প্রেশন ?
রবীন্দ্রনাথ: এটা কালই এঁকেছি। জানি না এর সঙ্গে মস্কোর কোন সম্পর্ক আছে কি না– কে জানে, হয়তো থাকতে পারে! (মস্কো অবস্থান কালে রবীন্দ্রনাথ অনেকগুলি ছবি এঁকেছেন। তার মধ্যে ১২টি ছবি রবীন্দ্রভবন সংগ্রহে রক্ষিত)।
দোভাষী: আমাদের আপনি এত আনন্দ দিলেন– আমরা তার জন্য আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। অধ্যাপক ক্রিস্তি (ত্রেতিয়াকভ আর্ট গ্যালারির ডিরেক্টর) বলছেন– আপনাকে কি বহুকাল থেকেই মহাকবি বলে জানেন, এখানে এসেছিলেন এক সৌখিন শিল্পোৎসাহীর কিছু কাজ দেখতে পাবেন এই ভেবে। কিন্তু যা দেখলেন তাতে তিনি বিস্ময়াভিভূত। এই যে ছবিগুলো দেখার সৌভাগ্য তাঁর হল তাদের বলিষ্ঠতায় তিনি আকৃষ্ট। আপনার ছবি যে সমগ্র শিল্প জগতের এক বিরাট ঘটনা সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। তাঁর বিশ্বাস, আমরা সাংস্কৃতিক ও আর্থনীতিক জীবনের সব নতুন বিকাশকেই বিরাট মূল্য দিই বলে আমাদের শিল্পীরা আপনার কাজের সঙ্গে পরিচিত হয়ে খুবই উপকৃত হবেন।
রবীন্দ্রনাথ: আপনাদের প্রশংসায় আমি খুবই আনন্দিত। বিশেষ ভালো লাগছে আপনাদের দেশের দক্ষ সমালোচক আর শিল্পীরা এ কথা বলছেন জেনে। আমি আমার কাজকে প্রায় নিষ্প্রয়োজন বলেই মনে করতেম। একান্ত নবাগত বলে এখনো প্রশংসায় অভ্যস্ত হইনি। প্রশংসা শুনলে সব সময় খুশি হয়ে উঠি, কুণ্ঠিত লাগে কারণ নিজের কোন মাপকাঠি নেই– শিল্প অভিজ্ঞতার ব্যাপক (বিপুল) পটভূমি যাঁদের আছে তাঁদের উপর ভরসা করে থাকি। সত্যিই ভারি আনন্দ হল– আমার কাজ তারিফ করছেন দেখে খুবই খুশি হচ্ছি।
দোভাষী: আপনার ছবিতে আমাদের উৎসাহ ও আগ্রহ প্রকাশে আমরা অত্যন্ত ব্যগ্র। কিন্তু আপনি নিশ্চয় এর মধ্যেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তাই আপনাকে আর বিরক্ত করতে চাইব না। প্রদর্শনীর উদ্বোধনে ওঁরা সবাই যা ভাবছেন বলবেন। প্রদর্শনীর জন্য একটা বিশেষ ক্যাটালগ পেলে খুব বাধিত হতাম।
রবীন্দ্রনাথ: আমি তো ছবির কোন নাম দিই নি। যদি নাম দেওয়া প্রয়োজন মনে করেন তবে আপনাদেরই সেই ত্রুটি পূরণ করতে বলব। আমার নিজের পক্ষে তা সম্ভব নয়।
দোভাষী: ছবির নামের কোনই প্রয়োজন নেই। আমরা আপনার কাছে থেকে শিল্পের ব্যাখ্যা করে একটা ভূমিকা জাতের কিছু চাই।
রবীন্দ্রনাথ: তেমন একটা কিছু বোধহয় করা আছে, ইংলন্ডেই করেছিলাম।
দোভাষী: আমরা বিশেষভাবে এই দেশের জন্যই একটা চাই আপনার ভ্রমণের স্মৃতি হিসেবে।
রবীন্দ্রনাথ: বেশ, তা করব।
দোভাষী: আপনার ছবি (ম প ক্রিস্তির পক্ষে) অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। তিনি যা আশা করেছিলেন তাই দেখতে পেয়েছেন। প্রদর্শনীর ছবিগুলো কীভাবে দেখানো হবে তার একটা পারম্পর্য করে দিতে আপনাকে অনুরোধ করছেন।
রবীন্দ্রনাথ: আমার মনে হয় আপনি নিজে নানা ধরন বেছে নির্দিষ্ট করে সেই অনুসারে যদি সাজান তাহলেই ভাল হয়। এদের কালপর্যায় আমার মনে নেই। এই এতগুলো অন্যদের চেয়ে আগেকার– এইটুকু আমি জানি। কিন্তু আঁকার তারিখ আমার ঠিক মনে নেই। তাই মনে হয় আঁকার সময় অনুসারে নয়, আপনি নিজে বেছে নানা ধরন অনুসারে যদি সাজান তবেই যাঁরা দেখতে আসবেন তাঁদের সুবিধা হবে।
দোভাষী: এ কথা শুনে (ম প ক্রিস্তি) আনন্দিত হয়েছেন। তিনিও এদের কালপর্যায় অনুযায়ী নয়, একমাত্র স্টাইল অনুযায়ীই সাজাতে চান।
রবীন্দ্রনাথ: আমার কাজ আমি করেছি। সাজাবার ভার এখন আপনাদের উপর।
দোভাষী: এখানে যাঁরা আছেন তাঁরা বলছেন অন্য শিল্পীরাও যদি আপনার মতো ভাবতেন তাহলে খুব ভাল হত। যে আনন্দ পেলাম তার জন্য আরেকবার কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমরা বিদায় নেব’।
কবির এই সাক্ষাৎকার ‘সোভিয়েত দেশ পুস্তিকা’ প্রকাশিত ‘তীর্থদর্শন’-এর ৫০ বছর’ থেকে নেওয়া হয়েছে।
…পড়ুন ছবিঠাকুর-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ১৭: রবীন্দ্রনাথের নারী মুখমণ্ডলের সিরিজ কি কাদম্বরী দেবীর স্মৃতিজাত?
পর্ব ১৬: ট্যাক্স না দেওয়ায় রবীন্দ্রনাথের ছবি আটক করেছিল কাস্টমস হাউস
পর্ব ১৫: বাইরে সংযত রবীন্দ্রনাথ, ক্যানভাসে যন্ত্রণাদগ্ধ ছবিঠাকুর
পর্ব ১৪: অমৃতা শেরগিলের আঁকা মেয়েদের বিষণ্ণ অভিব্যক্তি কি ছবিঠাকুরের প্রভাব?
পর্ব ১৩: আত্মপ্রতিকৃতির মধ্য দিয়ে নতুন করে জন্ম নিচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ১২: আমেরিকায় কে এগিয়ে ছিলেন? ছবিঠাকুর না কবিঠাকুর?
পর্ব ১১: নন্দলাল ভেবেছিলেন, হাত-পায়ের দুয়েকটা ড্রয়িং এঁকে দিলে গুরুদেবের হয়তো সুবিধে হবে
পর্ব ১০: ১০টি নগ্ন পুরুষ স্থান পেয়েছিল রবীন্দ্র-ক্যানভাসে
পর্ব ৯: নিরাবরণ নারী অবয়ব আঁকায় রবিঠাকুরের সংকোচ ছিল না
পর্ব ৮: ওকাম্পোর উদ্যোগে প্যারিসে আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে যাচাই করেছিলেন রবি ঠাকুর
পর্ব ৭: শেষ পর্যন্ত কি মনের মতো স্টুডিও গড়ে তুলতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ৬: রবীন্দ্র চিত্রকলার নেপথ্য কারিগর কি রানী চন্দ?
পর্ব ৫: ছবি আঁকার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরলোকগত প্রিয়জনদের মতামত চেয়েছেন
পর্ব ৪: প্রথম ছবি পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ামাত্র শুরু হয়েছিল বিদ্রুপ
পর্ব ৩: ঠাকুরবাড়ির ‘হেঁয়ালি খাতা’য় রয়েছে রবিঠাকুরের প্রথম দিকের ছবির সম্ভাব্য হদিশ
পর্ব ২: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম ছবিটি আমরা কি পেয়েছি?
পর্ব ১: অতি সাধারণ কাগজ আর লেখার কলমের ধাক্কাধাক্কিতে গড়ে উঠতে লাগল রবিঠাকুরের ছবি