Robbar

দেওয়ালচিত্র দেখেই শিল্পে আগ্রহী হয়েছিলেন সোমনাথ হোর

Published by: Robbar Digital
  • Posted:December 6, 2025 8:01 pm
  • Updated:December 6, 2025 9:06 pm  

‘বরমা ত্রাহী মেনকা স্কুল’-এ সোমনাথের ক্লাসের ড্রয়িং শিক্ষক ছিলেন দেবেন্দ্র মজুমদার। বরমা গ্রামে কালীসাধকের আখড়ার দেওয়ালে দু’জন গ্রাম্য শিল্পী ‘শ্মশানে হরিশচন্দ্র’র কাহিনিচিত্র আঁকেন। এই আঁকা দেখে মুগ্ধ হয়ে সোমনাথ ছবি আঁকার দিকে আগ্রহী হন। সোমনাথের ছবি আঁকার আগ্রহ দেখে শৈলেন কাকা জলরঙের ছোট একটি বাক্স কিনে দেন।

কামরুল হাসান মিথুন

২২.

সোমনাথ হোর। তিনি শিল্পী, ভাস্কর এবং ছাপাই ছবির ধারক-বাহক। তাঁর জন্ম, শতবর্ষ আগে, অবিভক্ত বাংলায়। চট্টগ্রামের মহকুমা পটিয়া। বর্তমানে যা চন্দনাইশ উপজেলা। গ্রামের নাম বরমা। পটিয়া এক সময় ছিল পর্তুগিজদের আড্ডাখানা। চন্দনাইশ ছিল আরাকান আমলে একটি সামুদ্রিক বন্দর।

সোমনাথ হোর

চন্দনাইশ উপজেলার শঙ্খ নদীর পাড়ে এই বরমা গ্রাম। কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম শহর। এই দুই নদী, নৌকা, সাম্পান, বন্দর, নগর চট্টগ্রাম ও বরমা গ্রাম সোমনাথ হোরের– প্রারম্ভের সব কিছুর সাক্ষী।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ভয়াবহতা। মন্বন্তরের চাক্ষুষ অভিজ্ঞতা। দাঙ্গা। দেশভাগ। ১৫ বছর বয়সে বাবার মৃত্যু। এইসব সোমনাথ হোরকে আহত করে, ক্ষত করে। তাঁর জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার পাঠ নেওয়ার শুরু চট্টগ্রামে।

সোমনাথ থাকেন বাবার সঙ্গে চট্টগ্রাম শহরে। একদিন খবর এল, চট্টগ্রাম জেটিতে একটি হাওয়াই জাহাজ এসেছে। এই খবর শুনে দলে দলে লোকজন ছুটলেন হাওয়াই জাহাজ দর্শনে। সাম্পান করে বালক সোমনাথকে সঙ্গে নিয়ে বাবা দেখিয়ে নিয়ে এলেন সেই সি-প্লেন। এরপর সোমনাথ দিনকয়েক ধরে নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়ে ছুরি-কাঁচি-সূচ-সুতো, কার্ডবোর্ড, কঞ্চি, আঠা ইত্যাদি নিয়ে ফড়িংয়ের মতো দেখতে একখানি জলভাসি উড়োজাহাজ তৈরি করে ফেললেন, যা লম্বায় প্রায় ১৭-১৮ ইঞ্চির মতো! এভাবেই সোমনাথ হোর তৈরি করলেন নিজের প্রথম শিল্পকর্ম– একটি সি-প্লেন।

কর্ণফুলী নদীর তীরে চট্টগ্রাম শহর। এই নদীতে প্রথম সি-প্লেন দেখে সোমনাথ হোর প্রথম শিল্পকর্ম সৃষ্টি করেন

চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়া ওয়াসা থেকে আলমাস সিনেমাহল যেতে যে প্রধান সড়ক তার নাম ‘রেবতী মোহন লেইন’। চট্টগ্রাম মিউনিসিপালিটির ‘ওয়াটার ওয়ার্কস’ বিভাগের প্রথম ও প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন রেবতীমোহন হোর। তাঁর স্মরণে কয়েক বছর আগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শহরের একটি রাস্তার নামকরণ করে। রেবতীমোহন হোর বরমা গ্রামের মানুষ। তাঁর পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় পুত্রের নাম সোমনাথ হোর।

চট্টগ্রামে একটি প্রধান সড়ক সোমনাথ হোরের বাবার নামে, রেবতি মোহন লেইন।

পাহাড় ও সাগরবেষ্টিত একটি প্রাচীন ভূখণ্ড চট্টগ্রাম এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে রূপময় খণ্ডের অংশ এই বিভাগ। চট্টগ্রাম জেলার উত্তরে ফেনী জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। দক্ষিণে কক্সবাজার জেলা ও বঙ্গোপসাগর। পূর্বে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলা এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। চট্টগ্রাম শহর থেকে বাসে বরমা যেতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। বরমা থেকে বাসে কক্সবাজারের দূরত্ব দু’ঘণ্টা।

বরমা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা শঙ্খ নদী, দূরে পাহাড়ের চূড়া, পাহাড়ের পর সমুদ্র, কক্সবাজার জেলা

বাবার কর্মসূত্রে সোমনাথ হোর থাকতেন শহরে, মা-ভাই-বোনরা বরমা গ্রামে। প্রথম পড়াশোনা শুরু হয় ‘চট্টগ্রাম মিউনিসিপালিটি স্কুল’-এ। স্কুলের পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায় সোমনাথকে পাঠিয়ে দেওয়া হওয়া গ্রামে। সেই সময়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে বরমা গ্রামে যেতে হত কর্ণফুলী নদীর ঘাট থেকে লঞ্চ বা স্টিমারে করে পটিয়ার বরকল, কেশুয়া চানখালী ঘাট। সেখান থেকে হাঁটাপথে বরমা গ্রাম। এই গ্রামে সোমনাথদের একান্নবর্তী পরিবারের বিরাট বাড়ি।

বরমা গ্রামে মাটির দোতলা ঘর, বাড়ির মালিক বঙ্কিম হোর ও বিধান হোর। এই গ্রামের শেষ হোর পরিবার

‘বরমা ত্রাহী মেনকা স্কুল’-এ সোমনাথের ক্লাসের ড্রয়িং শিক্ষক ছিলেন দেবেন্দ্র মজুমদার। বরমা গ্রামে কালীসাধকের আখড়ার দেওয়ালে দু’জন গ্রাম্য শিল্পী ‘শ্মশানে হরিশচন্দ্র’র কাহিনিচিত্র আঁকেন। এই আঁকা দেখে মুগ্ধ হয়ে সোমনাথ ছবি আঁকার দিকে আগ্রহী হন। সোমনাথের ছবি আঁকার আগ্রহ দেখে শৈলেনকাকা জলরঙের ছোট একটি বাক্স কিনে দেন।

সোমনাথ হোরের গ্রামের বাড়ির স্কুল

শুরু হয় সোমনাথের ছবি আঁকার পর্ব। ছবির সঙ্গে বসবাসের শুরু বরমা গ্রাম থেকে। শেষ হয় শান্তিনিকেতনের লালবাঁধের গ্রামে। শুরু আর শেষের মাঝখানে সৃষ্টি করেন কালজয়ী সব শিল্পকর্ম। সোমনাথ হোরের জীবন আর তাঁর শিল্পকর্ম আলাদা কিছু নয়। দীর্ঘ জীবনের সবটুকু অংশ শিল্পকর্মের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন।

সোমনাথ হোরের দ্যাশের বাড়ি বরমা গ্রামের পথ

বিপ্লবতীর্থ খ্যাত বরমা গ্রাম। এই গ্রামের সন্তান ‘দেশপ্রিয়’ যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত। তাঁর পিতার নাম যাত্রামোহন সেনগুপ্ত। পিতামহর নাম ত্রাহীরাম সেন। মাতামহীর নাম মেনকা দেবী। ত্রাহিরাম সেন ছিলেন বরমা গ্রামের সম্ভ্রান্ত আয়ুর্বেদ চিকিৎসক। দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত আজীবন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন চট্টগ্রামের মানুষের কাছে ‘মুকুটহীন রাজা’। এবং জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাঁচবার কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। বরমা ত্রাহী মেনকা স্কুলটি এই সেন পরিবার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।

বরমা গ্রামে যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তর বাড়ির সম্মুখে স্মৃতিসৌধ (যাত্রামোহন সেনগুপ্ত, যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত ও নেলী সেনগুপ্ত), এই বাড়ির বিপরীতমুখে সোমনাথ হোরের পৈতৃক বাড়ি

সোমনাথ হোর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে দু’বছর পড়েন। এখান থেকেই আইএসসি পাস করেন। এরপর চলে যান কলকাতায়। ভর্তি হন সিটি কলেজে। কলকাতার বউবাজারের মোড়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধ ছাত্রনিবাসে থাকতেন। এই ছাত্রনিবাসে বেশিরভাগ ছাত্ররা চট্টগ্রামের। সোমনাথ হোর খুব কম বয়সে কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসেন। চট্টগ্রামে থাকাকালীন সময়ে ছবি আঁকা দিয়েই কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যাত্রা শুরু করেন।

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে দু’বছর পড়েন সোমনাথ হোর

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতা ফাঁকা হয়ে যায়। কলেজ বন্ধ। সোমনাথ ফিরে আসেন গ্রামে। বরমা গ্রামে সোমনাথের বন্ধু বিমল সেন, রাখাল দাস তখন কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় কর্মী। তাঁদের সঙ্গে জুটে গিয়ে পোস্টার লিখতে শুরু করেন। কমিউনিস্ট পার্টির ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘পিপলস ওয়ার’ পত্রিকায় চিত্তপ্রসাদ ভট্টাচার্য-সহ আরও অনেকের আঁকা ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশিত হত। সোমনাথ সেগুলো কপি করতেন। বড় বড় করে পোস্টার হিসেবে আঁকতেন। এবং বরমা গ্রামের হাটে, গাছে, নাটমন্দিরে সেই পোস্টারগুলো সাঁটা হত।

সোমনাথ হোরকে ২০১৩ সালে মুক্তিযুদ্ধে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য বাঙালি জাতির শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা (মরণোত্তর)’ প্রদান করা হয়

কিছুদিনের মধ্যেই তেতাল্লিশ বা পঞ্চাশের মন্বন্তর এল। তখনই চিত্রশিল্পী চিত্তপ্রসাদ ভট্টাচার্যর সঙ্গে যোগাযোগ হয় সোমনাথের। চিত্তপ্রসাদ চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেছেন। সেই হিসেবে সোমনাথের কলেজের সিনিয়র দাদাভাই। চিত্তপ্রসাদ সোমনাথকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন রাস্তায় রাস্তায়, হাসপাতাল ও লঙ্গরখানায় মানুষের দুর্দশার চিত্র দেখিয়ে, হাতে-কলমে আঁকতে শিখিয়ে দেন। চিত্তপ্রসাদ সোমনাথের প্রথম ‘দীক্ষাগুরু’।

চিত্রশিল্পী চিত্তপ্রসাদ ভট্টাচার্য

চট্টগ্রাম-সহ সারা বাংলার পথে পথে, রংপুরে, তেভাগা আন্দোলনে, চা বাগানে ছবি আঁকার যে স্মৃতি, সোমনাথ হোরের শিল্পকর্মে সেই স্মৃতিচিত্র কীভাবে এসেছে? সেই অভিজ্ঞতা সোমনাথ প্রকাশ করেছেন, ‘পঞ্চাশের মন্বন্তরের যে ক্ষত, যুদ্ধের যে অমানবিকতা, ছেচল্লিশের দাঙ্গার বীভৎসতা– এগুলি আমার আঁকার পদ্ধতিতে খোদিত হয়ে যাচ্ছিল, আমারই অজানিতে। কাঠ-খোদাইয়ে নরুণ দিয়ে কাঠ কাটি, ধাতুতলে অ্যাসিড দিয়ে ক্ষত তৈরি করি, আগে থেকে কোনও প্রাথমিক খসড়া ছাড়াই এই কাটাকুটির কাজ চলে, পরে অসংখ্য ক্ষত একটি মাত্র বিষয়ের ইঙ্গিত বয়ে আনে, তা হল আমাদের চারিপাশে যারা অসহায়, পরিত্যক্ত, নিরন্ন, তাদের অবয়ব। দুর্ভিক্ষের ছবি দিয়ে যে খড়ি হাতের আঙুল পেরিয়ে হৃদয়ে দাগ কেটে ছিল, তার দাগ আর মিলাল না।’

সোমনাথ হোরের বাড়ি যাওয়ার পথ

বরমা গ্রামে দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত বাড়ির মুখোমুখি ইঞ্জিনিয়ার রেবতীমোহন হোরের বাড়ি। কালের পরিক্রমায় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তর বাড়ি যেমন হারিয়ে গিয়েছে। তেমনই সোমনাথ হোরের পৈতৃক বাড়িও হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বরমা গ্রামে প্রবীণ যাঁরা, তাঁরা চিনিয়ে দিলেন সোমনাথ হোরের পৈতৃক ভিটে। তবে তাঁরা সোমনাথ হোরকে সহজে চিনতে পারলেন না, চিনতে পারলেন সোমনাথ হোরের বাবা ইঞ্জিনিয়ার রেবতীমোহন হোরকে। এই বাড়িকে ‘ইঞ্জিনিয়ার বাড়ি’ হিসেবেও অনেকে চেনেন।

যে বাড়ি খুঁজে পেলাম, সেখানে শতবর্ষ আগের কোনও চিহ্নই অবশিষ্ট নেই। যা আছে তা মাটি। এই ভিটেমাটিতে জননী সিন্ধুবালা তাঁর পাঁচ সন্তানের (সোমনাথ, শিবনাথ, ধনা, গৌরী ও বুড়ি) নাভি পুঁতে রেখেছেন। সোমনাথ হোর এই মাটিতে টলমল পায়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন। হাঁটতে শিখেছেন। এই মাটিতে সোমনাথের পায়ের পাতা ধুয়ে দিয়েছে হেমন্তের প্রথম শিশির।

সোমনাথ হোরদের পৈতৃক ভিটে, যা এখন ফসলের জমি

সোমনাথের ভিটা বাড়ি এখন চাষের জমি। যেখানে রোদ পড়ে। নতুন ফসল ফলে। পাখি আসে। গান হয়। বৃক্ষ থেকে ফুল ঝড়ে পড়ে। কেউ আবার সেই ফুল নত হয়ে কুড়োয়। এই মাটিতে ঘুমিয়ে আছে সোমনাথের আদরের ছোট ভাই ধনা। এই মাটির গন্ধ লেগে আছে সোমনাথের শিল্পঘরে। সেই মাটির টানেই সোমনাথ হোরের ‘দ্যাশের বাড়ি’র তল্লাশ করা।

…………………………………………..
ছবি কামরুল হাসান মিথুন

দ্যাশের বাড়ি-র অন্যান্য পর্ব …

পর্ব ২১: কলকাতায় যখন বোমা পড়েছিল পরিবার-সহ ‘দ্যাশের বাড়ি’তে আশ্রয় নিয়েছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

পর্ব ২০: বাঙাল ভাষা রপ্ত না হলেও ‘দ্যাশের বাড়ি’র প্রতি জ্যোতি বসুর টান ছিল অতুলনীয়

পর্ব ১৯: সমরেশ বসুর ‘দ্যাশের বাড়ি’ বেঁচে রয়েছে তাঁর সৃষ্টিতে, তাঁর গল্পে, উপন্যাসে

পর্ব ১৮: পাসপোর্ট-ভিসা করে জন্মভূমিতে ফিরতে হবে, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তা ছিল অপমানের

পর্ব ১৭: ফরিদপুর শহরে জগদীশের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন এক জেলখাটা দুর্ধর্ষ ডাকাত

পর্ব ১৬: দেশভাগের পরও কলকাতা থেকে পুজোর ছুটিতে বানারীপাড়া এসেছিলেন শঙ্খ ঘোষ

পর্ব ১৫: আমৃত্যু ময়মনসিংহের গ্রাম্য ভাষায় কথা বলেছেন উপেন্দ্রকিশোর

পর্ব ১৪পাবনার হলে জীবনের প্রথম সিনেমা দেখেছিলেন সুচিত্রা সেন

পর্ব ১৩নদীমাতৃক দেশকে শরীরে বহন করেছিলেন বলেই নীরদচন্দ্র চৌধুরী আমৃত্যু সজীব ছিলেন

পর্ব ১২: শচীন দেববর্মনের সংগীত শিক্ষার শুরু হয়েছিল কুমিল্লার বাড়ি থেকেই

পর্ব ১১বাহান্ন বছর পর ফিরে তপন রায়চৌধুরী খুঁজেছিলেন শৈশবের কীর্তনখোলাকে

পর্ব ১০: মৃণাল সেনের ফরিদপুরের বাড়িতে নেতাজির নিয়মিত যাতায়াত থেকেই তাঁর রাজনৈতিক চিন্তার জীবন শুরু

পর্ব ৯: শেষবার বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে জানলায় নিজের আঁকা দুটো ছবি সেঁটে দিয়েছিলেন গণেশ হালুই

পর্ব ৮: শীর্ষেন্দুর শৈশবের ভিটেবাড়ি ‘দূরবীন’ ছাড়াও দেখা যায়

পর্ব ৭: হাতে লেখা বা ছাপা ‘প্রগতি’র ঠিকানাই ছিল বুদ্ধদেব বসুর পুরানা পল্টনের বাড়ি

পর্ব ৬ : জীবনের কালি-কলম-তুলিতে জিন্দাবাহারের পোর্ট্রেট এঁকেছিলেন পরিতোষ সেন

পর্ব ৫ : কলাতিয়ার প্রবীণরা এখনও নবেন্দু ঘোষকে ‘উকিল বাড়ির মুকুল’ হিসেবেই চেনেন

পর্ব ৪ : পুকুর আর বাঁধানো ঘাটই প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের দেশের বাড়ির একমাত্র অবশিষ্ট স্মৃতিচিহ্ন

পর্ব ৩ : ‘আরতি দাস’কে দেশভাগ নাম দিয়েছিল ‘মিস শেফালি’

পর্ব ২: সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় শৈশবের স্মৃতির নন্দা দিঘি চিরতরে হারিয়ে গেছে হাজীগঞ্জ থেকে

পর্ব ১: যোগেন চৌধুরীর প্রথম দিকের ছবিতে যে মাছ-গাছ-মুখ– তা বাংলাদেশের ভিটেমাটির