প্রথমেই দরকার গা থেকে পুরনো জামা খুলে ফেলা। নতুন গামছায় নিজেকে মুড়ে ফেলার অভ্যেস। ক্লাসকে ফ্লাশ করে দেওয়ার ফার্স্টক্লাস উপায়। মোদ্দা ব্যাপারটা হল, ‘তুমি কে’ ভুলে গিয়ে তৈরি হও ‘মেসের তুমি কে’ সেই হিসাবে ভাবতে। এই যে ক্ল্যাসিক টেস্ট ম্যাচটা চলছে, এবং আগামী কয়েক বছর চলবে, সেখানে তোমার কী ভূমিকা ভালো করে বুঝে নাও। যদি তোমার সকালে জল তোলার পালা থাকে তাহলে তোমাকে ওপেনিং অর্ডারে নামতেই হবে।
৩.
ক্রিকেট জীবনেরই ক্রীড়া-সংস্করণ। কথাখানা শঙ্করীপ্রসাদ বসুর। একটু ঘুরিয়ে নিয়ে বলা যায়, মেস আসলে জীবনের ক্রিকেট-সংস্করণ।
মেসের ইনিংসে ওপেনিং, মিডল অর্ডার, নাইট ওয়াচম্যান সবই আছে। মেসজীবনের মেজাজ ক্ল্যাসিক টেস্ট ম্যাচের। খাঁটি বাংলায় যাকে বলে, আনম্যাচেবল। ওয়ান-ডে বা টি-টোয়েন্টির সাময়িক উত্তেজনা তার কাছে নস্যি। এদিকে ফুটবলের মতো নিয়ত ঘটনাবহুলও নয়। নব্বই মিনিট মেসের মহাকালে দু’-দণ্ড মাত্র! অতএব জীবনের টেস্ট নেওয়া এ ইনিংসে ম্যাচ হিসাবে টেস্টের সঙ্গেই একমাত্র তুলনা করা যায়। ১২-১৪ খানা ক্যালেন্ডারের এপার থেকে এখন তাকিয়ে দেখি মেসের রুলবুকে প্রথম কথাটিই হল, রানে হয়রান না হয়ে টিকে থাকা। তার জন্য বল ধরা, বল ছাড়ার হিসাবটা জানা চাই। যে বেশি ছাড়তে জানে, সে কম ছড়ায়। মেসে তার ইনিংস-ই দীর্ঘস্থায়ী। আর যার যত আমার আমার ব্যায়রাম, মেসে সে দ্রুত আয়ারাম আর গয়ারাম।
এখন, পাঁচ জায়গা থেকে সাত রকমের ছেলেপুলেরা যে এক ছাদের নিচে এসে জুটল তাদের টিম হয়ে ওঠা কী চাট্টিখানি কথা! বলা-চলার ধরনেই ঢের ফারাক। কত টানে কত কথা! ক্রিয়ার ধরন বদলে গেলে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সবাই চমকে এবং বমকে। কেউই তেমন প্রমিত নয়। ধীরে ধীরে বোঝা গেল, বাংলার সহায়ক পাঠ আসলে তেমন সহায়ক ছিলই না। লেখা-টেখা আলাদা ব্যাপার, নানা অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে কথা না-বললে কে জানত বাংলা কতখানি রূপসি! বিভিন্নতা রপ্ত করে ফেলার ভিতর একরকমের আত্মতৃপ্তিও ছিল। তবে, বেশিদিন টিকল না। যখন অসম থেকে আসা বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে সিলেটিতে কথা বলতে শুরু করল। টানে আর টোনে বাকিদের সটান ফ্ল্যাট করে দিয়ে তারা যখন হেসে উঠত কোনও রসিকতায়, আমরা বুঝতাম পৃথিবী কী করুণ! দু’জন যে বিষয়ে হাসে, বাকিরা তার ভাগ পায় না। অতএব কান খাড়া হল। মিলিয়ে মিলিয়ে ধ্বনিপরিচয় করে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা শুরু হল। ক’-দিন যেতে না যেতে বোঝো কাণ্ড! নিজের কথা শুনে নিজেই চমকে যাই। সিলেটের টান ঢুকে পড়েছে আমার কথাতেও। এরকম কি হওয়ার কথা ছিল!
তার উপর আছে খাওয়া-দাওয়া। রুগ্ন রুই চারার সঙ্গে যে শিদল শুটকির কোনওদিন দেখা হবে কে জানত! চিনি আর লঙ্কার সহবাস সম্ভাবনাও অকল্পনীয়। তবে, এইসব অলৌকিক মেসে ঘটেই থাকে। ভূগোল বইতে সেসব কস্মিনকালেও লেখা থাকে না। কোন এলাকার লোক বেশি ঝাল খায়, তার সঙ্গে অর্থনীতি কিংবা দেশভাগ-উত্তর পরিস্থিতির সম্পর্ক আছে কি-না, এসব সিলেবাসে বাস করে না। কে কবে চাঁদে গেছে জেনে কার কী লাভ হয় কে জানে! তবে ওইসব পড়তে পড়তে সবাই চাঁদের দিকেই তাকিয়ে থাকে। নিজেদের দিকে আর তাকানো হয় না। অপরিচয়ের দূরত্ব পুরু হয়ে লেগে যায় চামড়ায়। চামড়া মোটা হলে ছ্যাঁকা-জ্বালা কম লাগে। তাতে বোধহয় দেশ চালানো বাবুদের বিশেষ সুবিধা।
তবে মেস সে-কথা মানবে কেন! মোটা চামড়ায় পরিচয়ের পাউডার ছড়িয়ে সে বুঝিয়ে দিতে শুরু করল, আর্মস্ট্রং-এর থেকে নিজেদের আর্ম স্ট্রং করা ঢের জরুরি।
আর একটা ব্যাপার, প্রত্যেক বাড়ির এলেম আলাদা। চাকরির সচ্ছলতা বা ব্যবসার বৈভব; সেই হিসেবে মাপা আছে এলাকাভিত্তিক প্রতিপত্তি। যতই মোল্লার দৌড় মসজিদ অবধি হোক, তাও মসজিদ অবধি হাওয়া তো খেলে! এক-একজন সেই চেনা বাতাস পনেরো-ষোলো বছর ধরে ঢুকিয়ে নিয়েছে ফুসফুসে। অথচ এক বিশেষ অর্থনীতির ফসল হয়ে তারা মাথা গলিয়েছে এক তাঁবুতে। এখান থেকেই খেলা শুরু। প্রথমেই দরকার গা থেকে পুরনো জামা খুলে ফেলা। নতুন গামছায় নিজেকে মুড়ে ফেলার অভ্যেস। ক্লাসকে ফ্লাশ করে দেওয়ার ফার্স্টক্লাস উপায়। মোদ্দা ব্যাপারটা হল, ‘তুমি কে’ ভুলে গিয়ে তৈরি হও ‘মেসের তুমি কে’ সেই হিসাবে ভাবতে। এই যে ক্ল্যাসিক টেস্ট ম্যাচটা চলছে, এবং আগামী কয়েক বছর চলবে, সেখানে তোমার কী ভূমিকা ভালো করে বুঝে নাও। যদি তোমার সকালে জল তোলার পালা থাকে তাহলে তোমাকে ওপেনিং অর্ডারে নামতেই হবে।
সময় জলের মতো গড়িয়ে যায়, এদিকে জলেরও সময় আছে। ঘড়ি না দেখে সে বাড়ি আসে না। আমাদের সকালেই আপ্যায়ন জানাতে হত। কেননা সারা দিন কে কোথায় থাকবে ঠিক নেই। কলেজ জরুরি, কলেজের বাইরের সময়টা কলজেয় হাওয়া লাগানোর জন্য ততোধিক জরুরি। সব মিলিয়ে যখন ঘরে ফেরা তখন জলের আসা নেই, আশাও নেই। গোড়ার দিকে অ্যালার্ম মিস্ করা আমরা একটুকু প্রাণের লোভে এই জন্যই গিয়ে দাঁড়াতাম মালিকের দরজায়। তিনি প্রথমে দিতেন জ্ঞান। যে, দায়িত্বসচেতন না হলে জীবনটা বঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার হয়ে যাবে আখেরে। অতএব, পরিবর্তন জরুরি। শুকনো গলায় সেসব হজম করার পর হাতে দু-বোতল জল। তাতে আমাদের কৃতজ্ঞচিত্ত এমন বিগলিত হয়ে তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করত, বুঝি শরশয্যায় জল পেয়ে অর্জুনের প্রতি ভীষ্মও অমন আহ্লাদিত চোখে চাননি। আমরা বুঝলাম, কেন বইতে লেখা থাকে জল-ই জীবন। এবং বুঝলাম, জীবনকে যদি এই জ্ঞানের ঝড়ঝাপটা থেকে বাঁচাতে হয়, তাহলে জল তোলার কাজটা নিজেদেরই করতে হবে।
মেসে সিনিয়র থাকলে, কাজখানা অনায়াসে জুনিয়রের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া যায়। ব্যাপারটা কর্তৃত্ববাদী এ নিয়ে সন্দেহ নেই। কী আর করা যাবে, গণতন্ত্রের ভিতরই তো রাজতন্ত্র ট্রোসান হর্স! মেস আর কতই বা নিজেকে বাঁচাবে! তা ছাড়া এখানে একটা পারস্পরিক আদানপ্রদানও আছে। দাদারা জীবন সম্পর্কে যে মহার্ঘ টিপস দেয়, তাতে দু’-বোতল জল তাদের জন্য তুলে রাখা কী আর এমন! পড়াশোনা সম্পর্কে খুচরো সাহায্য তো পাওয়াই যেত, স্ট্রিম এক হলে সোনায় সোহাগা। ফার্স্ট সেমিস্টারের মেকানিক্সে শূন্য পাওয়া যে নিত্যসত্য, একথা আর কে জানাবে! তা ছাড়া বর্তমান জীবনের ভোগ-উপভোগ এবং ভবিষ্যতের চাকরি-বাকরির চিন্তা যে আদতে এক ট্রাপিজের খেলা, নিজে আচরি জীবন তারা সে বোধিপ্রাপ্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। অতএব তাদের কথা বেদবাক্য। মেসে তাই পড়া কম, শোনা বেশি।
তবে সবথেকে বড় সাহায্য ছিল, হঠাৎ করে কাউকে ভালো লেগে গেলে তা প্রেম নাকি প্রেম নয়, তা পরীক্ষা সম্বন্ধীয় মূল্যবান মতামত। দুঃখের বিষয়, প্রেম সম্পর্কিত কোনও সাধারণ সংজ্ঞা আজ অবধি কেউ দেননি। কবিগণ আরও মুশকিল করে দিয়েছেন ব্যাপারটা। এদিকে রাতে অনেক কষ্টে জোগাড় করা টকটাইমের দিনকালে ভালোবাসা মাধুকরি করতে বেরিয়ে প্রায়শই হতাশ হতে হত। তার কারণগুলো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঘটিয়ে দেওয়ার মতোই। যথা জানা গেল, তিনি অর্থাৎ কিনা সেই স্বপ্নসম্ভব নারীটি নাকি সারা রাত অর্কুটে আর একজনের সঙ্গে চ্যাট করেছেন। গুপ্তচর বন্ধুর মুখে এ খবর শুনে কার আর মাথার ঠিক থাকে! কিন্তু কলেজবেলা বলে সে যাত্রা ওপেনহাইমার নিষ্কৃতী পেয়ে যেতেন। সকালের রাগ পেরিয়ে দুপুরের খিদে এসে প্রবল দর্পে মন দখল করে নত। আর বিকেল নেমে এলে একবুক দুঃখজলের ভিতর সহসা জেগে উঠতেন রবীন্দ্রনাথ, তোমরা যে বলো ভালোবাসা ভালোবাসা ইত্যাদি। রবীন্দ্রসন্ধ্যায় একশোবার শোনা এরকম একটা গানের লাইনকে হাড়ে হাড়ে বোঝার দরুন মনে খানিক তৃপ্তিও হত।
তারপর মনে হত, বেকার রবীন্দ্রনাথের গলায় মালা দেওয়া শিখিয়েছে পঁচিশে বৈশাখ। যে মানুষটা এসব আগেই বুঝে ফেলেছেন, তার সঙ্গে বসে দু-পাত্তর দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে পারলে বেশ হত! কিন্তু সে উপায় নেই, অনুশীলনও নেই। গৌতম ঘোষের সিনেমা ছাড়া মেসজীবনের অলক্ষে তো আর অপর্ণা সেন রবীন্দ্রনাথ আবৃত্তি করে বেড়ান না। অতএব ঠিক এইসব কূটপ্রশ্নের সামনেই বুদ্ধের মতো হাজির হতেন মেসের সিনিয়ররা। বলতেন, প্রেমে দুঃখ আছে, দুঃখের কারণ আছে, দুঃখ থেকে বেরনোর পথও আছে। প্রেমে দুঃখের মূল কারণ প্রেম-ই। এমন গুরুতর দর্শনে ফলত প্রেম সম্বন্ধীয় কোনও স্থির সিদ্ধান্তেই শেষ পর্যন্ত পৌঁছনো যেত না, তবে তাঁদের অমৃতবাণীর সামনে এসে চঞ্চল মন খানিক সান্ত্বনা পেত। অবশ্য কতটা প্রেমের তাৎপর্য বুঝে বলা যায় না। বরং মনে হত, সকলেই তাহলে এক গোয়ালের গরু। এই যে একটা কমিউনিটি বোধ, তা সেই সব প্রেমহতাশ দিনকালে চাঙ্গা করে তুলত। বালকবয়স থেকে ছাত্রবন্ধু ঘেঁটে আসা আমরা ছাত্রীবন্ধুর মন পড়তে না-পারার দুঃখে গভীর রাতে সিনিয়রের সান্ত্বনামলম লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম, সকালে তার জন্য জল তুলব বলে।
তবে ঘুম ভাঙা যে জটিল বিষয় কে না জানে! আমার বন্ধুই এ বিষয়ে বিকল্প প্রকল্প নিয়েছিল। সে তখন যে মেসে থাকত, সেখানে জুনিয়র, অতএব জল তুলে রাখার দায়িত্ব তার-ই। সকাল সকাল বেরিয়ে যায় সিনিয়ররা। আর সে বেচারি যখন ঘুম থেকে উঠত তখন কলে পুনশ্চ ফোঁটাকয়েক জীবন মাত্র অবশিষ্ট। এমতাবস্থায় সে ভাবিত হয়ে উঠল যে, যদি কেনা জল খেতে হয়, তাহলে সে টাকা তারই নামে খাতায় উঠবে। অনেক ভেবে একটা ব্যবস্থা উদ্ভাবন করল। মেসে আছে ফিল্টার। প্রায় সব মেসেই প্লাস্টিকের একটা নীলরঙা ফিল্টার থাকে। এই নীল ফিল্টার আর টুকরো-টাকরা হলুদ ফিল্টারেই মেস স্বনির্ভর এবং সাবালক। তো জলের ফিল্টার থাকলে দুটো সুবিধা। অনেকটা জল তুলে রাখা যায়। আর স্বাস্থ্যের ব্যাপারটিতে খানিক আত্মতৃপ্তি থাকে। যদিও ফিল্টারের ভিতর প্রায় শিবলিঙ্গের ন্যায় ঘোর অন্ধকার ক্যান্ডেলটি দেখলে নাগরিকের স্বাস্থ্যদুর্বিপাক বিষয়ে কারও কোনওরকম মতভেদই থাকত না। কে সেটিকে কবে পালটেছিল, তার ঠিক নেই। বাংলায় পালটানোর রেওয়াজ চিরকাল দীর্ঘসূত্রিতায় ভোগে, সে ফিল্টারের ক্যান্ডেল হোক কিংবা সরকার!
যাই হোক, বন্ধুটি একদিন সোজা বেসিনের কাছে ‘প্রাণ’ভিক্ষা করল। তারপর বালতি বালতি জল এনে ঢেলে রাখল ফিল্টারে। হাজার হলেও ফিল্টার তো। সামান্য কাজ করলেও অসামান্য। পরপর ক’দিন এই কাজ করে দেখা গেল, স্বাস্থ্যের কোনও হানি ঘটছে না। বরং সকালে সিনিয়রের আদেশে জুনিয়র জল তুলে রাখছে জেনে মেসের কর্তাদের মনমেজাজ একেবারে তোফা। মানসিক স্বাস্থ্যের সেই বিপুল পরিবর্তনে সাধারণ স্বাস্থ্যেও কোনও হেলদোল হল না।
বন্ধুটির সঙ্গে বেসিনের সেই চন্দ্রাবলী কুঞ্জে অভিসারের পালা ভালই চলছিল। কিন্তু হাটে হাঁড়ি গেলে যা হয়, ভাঙবেই। অসময়ে একদিন একজন সিনিয়র ফিরে এসে দেখল, কত কলে কত জল! সেদিন একদফা হইচই হল। বন্ধুর ক্ষমাপ্রার্থনা সত্ত্বেও নাকি কয়েকজনের পেট সে রাতে গুজগুজ করেছিল। আর আমার বন্ধুটি মনস্থ করেছিল যে, এ পরবাসে রবে কে! চাই নিজের রাজ্যপাট, নিজের মেস।
তবে, মেসের ঔদার্য স্মরণীয় যে, এই বন্ধুটিকে আমরা পরে জল তোলার ক্ষেত্রে অবিশ্বাস করিনি। বহুদিন আমাদের মেসে সকালে জল তুলতাম দিবাকর আর আমি। পরে সে দলে এল বুবু। কে কোনজন আর বলছি না।
তবে একটা কথা– জলে আমরা জিওলিন দিইনি কখনও, বন্ধুতেই নিখাদ ভরসা।
…পড়ুন মেসবালক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ১। মেস এমন দেশ যেখানে বাঁধাকপির পৃথক আত্মপরিচয় চিবিয়ে নষ্ট করা যায় না
পর্ব ২। আদরের ঘরের দুলালদের সদর চেনাল মেস
রবীন্দ্রনাথ চিঠিতে নন্দলালকে লিখেছেন, ‘আমার ছবিগুলি শান্তিনিকেতন চিত্রকলার আদর্শকে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেচে’। এ কি ভারি আশ্চর্যের কথা নয়? এখানে ‘শান্তিনিকেতন চিত্রকলার আদর্শ’ বলতে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন?