এই বঙ্গে বহু এমন ক্রিকেটার আছেন বা ছিলেন, শত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যাঁদের কখনও দেশের হয়ে খেলা হয়নি। কখনও তা আটকে দিয়েছে রাজনীতির জাঁতাকল। কখনও বা অনভিপ্রেত চোট-আঘাত। বাংলা ক্রিকেটের সেই হারানো সুরদের নিয়ে খেলাইডোস্কোপ-এ শুরু হয়েছে নতুন সিরিজ– উপেক্ষিত একাদশ। আজ তার দ্বিতীয় পর্ব। সে টিমের অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ শ্যামসুন্দর মিত্র-কে নিয়ে।
২৬.
‘দ্য পয়েজ অ্যান্ড দ্য কাম উইথ হুইচ হি টিকড অফ দোজ রানস ওয়াজ আ লেসন ফর আ ইয়ংস্টার লাইক মি, হু ওয়াজ কামিং আপ অ্যাট দ্যাট স্টেজ… হোয়াট ওয়াজ মোস্ট ইম্প্রেসিভ ওয়াজ দ্য আনহারিড ওয়ে হি সিম টু প্লে, দ্য আনহারিড ওয়ে হি সিমড টু মুভ বিটুইন দ্য উইকেটস…।’
সুনীল মনোহর গাভাসকর সচরাচর সবার উচ্চকিত প্রশংসা করেন না। বরং ‘দ্য ভয়েস অফ ইন্ডিয়ান ক্রিকেট’-এর ‘বাতিক’ আছে, বেপরোয়া বচনে মাঝেসাঝে গোলযোগ বাঁধিয়ে দেওয়ার! এই যেমন, দিন কয়েক আগে বিরাট কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে শনশনে নিদানে কী ভয়ঙ্কর শোরগোলই না ফেলে দিলেন আসুদ্রহিমাচল। কোহলি সমর্থকরা রেগে টং। তা, সেই ‘লিটল মাস্টার’ কাউকে নিয়ে এতটা মুক্তকচ্ছ মানে, বুঝতে হবে সে ক্রিকেটারের যথেষ্ট এলেম আছে। লেখাখানা বেশ পুরনো। আটের দশকের। পুরনো পুঁথি-নথি ঘাঁটতে বসে পাওয়া। অত্যাশ্চর্য হল, লেখাটা কোনও মারাঠিকে নিয়ে নয়। দিল্লিওয়ালাকে নিয়ে নয়। দাক্ষিণাত্যের কোনও দুর্বার প্রতিভা নিয়েও নয়।
লেখাটা এক বাঙালিকে নিয়ে! ভেতো বাঙালি। মেছো বাঙালি। ‘রসগুল্লা’ বাঙালিকে নিয়ে।
লেখাটা শ্যামসুন্দর মিত্রকে নিয়ে!
বাঙালি নিয়ে এ দেশে আজও এক প্রাদেশিক ভাবনা কাজ করে যে, এরা দারুণ কবিতা লেখে। সাহিত্য বোঝে। নাটক করে। সিনেমা বানায়। কিন্তু বড়ই আতুপুতু জাত। খেলাধুলো, বিশেষ করে ক্রিকেট খেলা বাঙালির ধর্মকর্ম নয়। হেতু জলবৎ তরলং। সিংহভাগ ভারতের বিশ্বাস, খেলার মাঠে জিততে গেলে যে বুনো খাঁচা লাগে, যে লৌহকঠিন জেদ প্রয়োজন হয়, বঙ্গ কাঠামোয় তার প্রভূত অভাব। দুই যুগের দুই যুগন্ধর পঙ্কজ রায় ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সপাট ঘুষিতে এ হেন ভ্রান্ত ধারণার মেদিনী-গ্রাস সম্পন্ন করেছেন বটে, তবে তা সাময়িক। বরং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রিকেট কভার করতে গিয়ে বাঙালির খেলোয়াড়ি ক্ষমতা নিয়ে যা খোলতাই কথাবার্তা শুনিটুনি, উৎসাহব্যঞ্জক নয় মোটে।
সেখানে কি না স্বনামধন্য সুনীল গাভাসকর লিখছেন! লিখছেন এক বাঙালিকে নিয়ে। লিখছেন তাঁর থেকে প্রাপ্ত ক্রিকেটের শস্ত্রশিক্ষা পাঠ নিয়ে!
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
সে যুগে ভারতবর্ষেও গ্রেসীয় (ডব্লিউ জি গ্রেস) ঘরানার ক্রিকেট-মুদ্রা রমরমিয়ে চলত। যার শিক্ষা বলে, ক্রিকেট খেলাটা অফসাইডের খেলা। তুমি ব্যাটার হলে, অফসাইডে রাজত্ব করতে শেখো। শোনা যায়, শ্যামসুন্দর সে ধারণাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখাতেন। রনজিৎ সিংজির দর্শনকে অনুসরণ করে। ভালো স্কোয়ার কাট মারতে পারতেন শ্যামসুন্দর। ভালো কভার ড্রাইভ মারতে পারতেন। কিন্তু কিছুই মারতেন না। উল্টে স্বেচ্ছায় ‘মালিকানা’ নিয়ে রাখতেন মাঠের লেগসাইডের। স্কোয়ার লেগ থেকে ফাইন লেগ, মিড অন– সর্বত্র বলকে বাধ্য শিষ্যের মতো পাঠাতে পারতেন কব্জির রাজকীয় মোচড়ে!
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
উদাত্ত সুনীল-সম্ভাষণ বাংলা ক্রিকেটের শ্রদ্ধেয় ‘শামুদা’কে কতখানি শ্লাঘা বা তৃপ্তি সরবরাহ করেছিল, জানি না। জানার উপায়ও নেই। ভদ্রলোক চলে গিয়েছেন প্রায় বছর পাঁচ হয়ে গেল। কিন্তু বাংলা ক্রিকেটের ‘প্যাপিরাস’ খুললে অনুধাবন করা যায়, কেন গাভাসকর ও লেখা লিখেছিলেন। ৫৯ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩০৫৮ রান। পঞ্চাশের ওপর ব্যাটিং গড়। সাত সেঞ্চুরি, ১৭ হাফসেঞ্চুরি। সর্বোপরি, শ্রেষ্ঠ সম্পদ সেই বস্তু, যা মুম্বইকরদের কাছে প্রবল জনপ্রিয়। কাঠিন্য। মানসিক কাঠিন্য। মারাঠিতে ‘খারুশ’। ইংরেজিতে ‘গ্রিট’।
শ্যামসুন্দরের যে ইনিংস দেখে গাভাসকর অমন আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন, তা তাঁর সামনে খেলা। একটা সেঞ্চুরি ইনিংস। যা মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বাংলার সরাসরি হার রোধ করতে খেলেছিলেন শ্যামসুন্দর। বছর সতেরোর গাভাসকর সে সময় মুম্বইয়ের প্রথম একাদশে সুযোগ পেতেন না। তখন তাঁর ক্রিকেট জীবনের ঊষাকাল। মুম্বইয়ের রিজার্ভ স্কোয়াডে থাকতেন। শোনা যায়, শ্যামসুন্দরের ইনিংস দেখতে দেখতে নাকি গাভাসকর অস্ফুটে বলে ফেলেছিলেন, ‘মিটার (শ্যামসুন্দরের পদবী মিত্র, তাই মিটার) ইন্ডিয়া খেলছে না কেন? হাউ ইজ দ্যাট পসিবল!’
মুশকিল হল, সে আমলে ভারতীয় টিমের সিংহদরজা খুলতে গেলে বাংলায় যাঁর হাত ধরতে হত, যাঁর অঙ্গুলিহেলনে চলতে হত, তাঁর অভিধানে জনপ্রিয় বহুজাতিকের বিজ্ঞাপনী ভাষার মতোই লেখা থাকত (শুধু কূট উদ্দেশ্যে) ‘ইমপসিবল ইজ নাথিং’! বেচু দত্ত রায় মহাশয় কত যে বাঙালি প্লেয়ারের ক্ষোভ-দুঃখ-যন্ত্রণার রক্তাক্ত দলিল লিখে গিয়েছেন, লেখাজোকা নেই। যাঁর শর্তই ছিল, ইন্ডিয়া খেলতে হলে, স্পোর্টিং ইউনিয়ন খেলো। নইলে নিপাত যাও, রাস্তা দেখো নিজের! দুর্গাশঙ্কর মুখোপাধ্যায়, শ্যামসুন্দর মিত্ররা পারেননি সেই ‘নির্যাতক’ বেচুবাবুর ইশারা অনুপাতে চলতে। নতজানু হতে। স্পোর্টিংয়ে খেলার প্রস্তাব বারবার ফিরিয়ে দিয়ে মোহনবাগানে প্রায় গোটা ক্রিকেটজীবন সমর্পণ করেছিলেন শ্যামসুন্দর। মোহনবাগানও অকাতর দিয়েছে। জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত করেছে। বাংলা দিয়েছে। সিএবিও জীবনকৃতি পুরস্কারের শ্রদ্ধা-শামিয়ানায় ঢেকে দিয়েছে শ্যামসুন্দরকে। কিন্তু ভারত খেলা তাঁর আর হয়নি।
যে আক্ষেপ শ্যামসুন্দরকে তাড়া করেছে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। অথচ খেলতে কি পারতেন না? আলবাত পারতেন। পারতেন যে, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ’৬৩-র রনজি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনাল তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। তখন ফাস্ট বোলিংয়ের সঙ্গে ভারতীয় ব্যাটারদের সড়গড় করতে এক অভিনব পন্থা নিয়েছিল বোর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার ফাস্ট বোলারকে নিয়ে এসে ভারতের চার প্রদেশের টিমে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। বাংলার হয়ে খেলতেন লেস্টার কিং। বম্বের হয়ে (তখন মুম্বই হয়নি) খেলতেন চার্লি স্টেয়ার্স। চেস্টার ওয়াটসন খেলতেন দিল্লির হয়ে। আর হায়দরাবাদের হয়ে খেলতেন রয় গিলক্রিস্ট। বাংলা-হায়দরাবাদ সেই রনজি কোয়ার্টার ফাইনালের আগে গিলক্রিস্টের উত্তপ্ত বিবৃতির আবহে আগুন ধরে গিয়েছিল প্রায়! কারণ, গিলক্রিস্ট আগাম হুংকার ছেড়েছিলেন যে, অর্ধেক বাংলা টিমকে তিনি হাসপাতালে পাঠাবেন! এমনকী খেলার পূর্বে বলের বাউন্সও নাকি অতীব মনোযোগে গিলক্রিস্ট পরখ করে দেখেছিলেন বলে শোনা যায়। পঙ্কজ রায়ের খুলি ওড়ানোর শপথ নিয়েছিলেন যে!
‘‘বাবা ম্যাচটায় দু’ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন। আর শামুদা করেন ৯৮। হায়দরাবাদকে ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলা’’, ফোনে যোগাযোগ করায় স্মৃতিচারণ করছিলেন পঙ্কজ-পুত্র প্রণব রায়। ‘‘বাবা বলতেন, আমার পর বাংলায় যদি টেকনিক্যালি সাউন্ড কোনও ব্যাটার থাকে, তা হলে সেটা শামু (শ্যামসুন্দর)। অনসাইডে ব্রিলিয়ান্ট ছিলেন জাস্ট!’’
শতভাগ নির্ভেজাল সত্যি। সে যুগে ভারতবর্ষেও গ্রেসীয় (ডব্লিউ জি গ্রেস) ঘরানার ক্রিকেট-মুদ্রা রমরমিয়ে চলত। যার শিক্ষা বলে, ক্রিকেট খেলাটা অফসাইডের খেলা। তুমি ব্যাটার হলে, অফসাইডে রাজত্ব করতে শেখো। শোনা যায়, শ্যামসুন্দর সে ধারণাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখাতেন। রনজিৎ সিংজির দর্শনকে অনুসরণ করে। ভালো স্কোয়ার কাট মারতে পারতেন শ্যামসুন্দর। ভালো কভার ড্রাইভ মারতে পারতেন। কিন্তু কিছুই মারতেন না। উল্টে স্বেচ্ছায় ‘মালিকানা’ নিয়ে রাখতেন মাঠের লেগসাইডের। স্কোয়ার লেগ থেকে ফাইন লেগ, মিড অন– সর্বত্র বলকে বাধ্য শিষ্যের মতো পাঠাতে পারতেন কব্জির রাজকীয় মোচড়ে! ভুল লিখিনি। শ্যামসুন্দর মিত্র-র ‘রিস্ট ফ্লিক’ ঠিক এতটাই অনিন্দ্যসুন্দর ছিলেন। দেশ-বিদেশের বই পড়তেন। বাইরে খেলতে গেলে রেল স্টেশন থেকে পিজি উডহাউস কিংবা সমারসেট মমের বই কেনা বাধ্যতামূলক ছিল। আর ছিল রসবোধ, এক অতুলনীয় রসবোধ। যাঁর কাহিনি-শ্রবণে ‘পরশুরাম’ মনে পড়ে যায়!
শুনেছি, চুনী গোস্বামী একবার তাঁর পিছনে লাগতে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘শামু, তোর থেকে কালো বোধহয় কেউ হতে পারে না!’ মুচকি হেসে শ্যামসুন্দর নাকি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমার মতো গোটা দিন ধরে ব্যাটিং কর। তুইও কালো হয়ে যাবি!’ প্রখ্যাত প্রকাশ পোদ্দার (পি সি পোদ্দার নামে যিনি বাংলায় পরিচিত এবং মহেন্দ্র সিং ধোনিকে তুলে আনার ক্ষেত্রে যাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে) একবার তো মারাত্মক রেগে গিয়েছিলেন! প্রকাশ পোদ্দার নিজে ফিটফাট থাকতেন, ব্যাট-কিট তকতকে রাখতে পছন্দ করতেন। তা, তিনি একটা ম্যাচে দ্রুত আউট হয়ে ফেরার পর শ্যামসুন্দর তাঁকে বড় অমায়িক মুখ করে বলেন, ‘আচ্ছা পিসি (পি সি-কে অবলীলায় পিসি করে দিয়েছিলেন), তোর ব্যাটটা কত দিন চলছে?’ প্রকাশ পোদ্দার উত্তর দেন, ‘‘দু’তিন বছর।’’ প্রত্যুত্তরে শ্যামসুন্দর ভালমানুষের মতো মুখ করে বলে বসেন, ‘অ। তা এ ভাবেই যদি তুই ব্যাট করিস, সারা জীবন তোর ব্যাট টিকে যাবে!’ আর মেজাজ ঠান্ডা থাকে কখনও? রাজু মুখোপাধ্যায়ও পার পাননি। ছয় মারতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরার পর তাঁকেও শুনতে হয়েছে, ‘রাজুবাবু (আদরের ডাকনাম) মাঠে এত ঘাস থাকতে তোর কি না আকাশের মেঘদের এত পছন্দ হল!’ শোনা যায়, পরবর্তী দশ বছরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একখানাও আর ছয় মারতে যাননি রাজু!
ভাবলে কষ্টই লাগে যে সেই লোককে, সেই সদাহাস্যময় শ্যামসুন্দরকে কি না এক হৃদয় যন্ত্রণা নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চিরতরে চলে যেতে হল! সিএবি জীবনকৃতি সম্মান প্রাপ্তির দিন কি না পাশে উপবিষ্ট রাজু মুখোপাধ্যায়কে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে হল, ‘সবই তো হল রাজুবাবু। শুধু ভারতের হয়ে টেস্ট খেলাটা আর হল না।’ কখনও কখনও মনে হয়, পোড়া বাংলায় জন্মানোই ভুল হয়েছে শ্যামসুন্দরের! আসলে বাঙালি কিছু জানুক না জানুক, রাজনীতি জানে। কাঁকড়ার মতো সফল বাঙালিকে টেনে নামাতে জানে। গুনগুন করতে-করতে পিচের দিকে দুলকি চালে হাঁটা, একরাশ অবজ্ঞায় ফিল্ডারের ঝাঁকের দিকে তাকানো, অনির্বচনীয় কব্জির ফ্লিক, কোনও কিছুই বাঙালিকে মোহাবিষ্ট করে না, ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে দেয় না। দিলে, ‘রোম্যান্টিক মিস্টার মিটার’-কে নিয়ে সে আজ উৎসব করত। তাঁর ক্রিকেট-জীবনে প্রখর রৌদ্রের সময় অন্তত অবাঞ্ছিত প্রদোষ নামতে দিত না!
(চলবে)
…পড়ুন খেলাইডোস্কোপ-এর অন্যান্য পর্ব…
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২৫: শিরদাঁড়াটা বিক্রি নেই যাঁদের, তাঁদের দেশ মনে রাখে চিরকাল
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২৪: আম্পায়ার সেই নিঃস্ব প্রজাতি যারা ক্রিকেটকে শুধু দিল, পেল না কিছুই
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২৩: বিশ্বাসে মিলায় ক্রিকেট, ‘কু’সংস্কারে বহুদূর!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২২: ‘ফিক্সার’-রা ছিল, আছে, থাকবে, প্রাগৈতিহাসিক যুগের আরশোলা-র মতো
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২১: বল পিছু স্কোরবোর্ডে যারা সংখ্যা বদলায়, কিন্তু তাদের জীবন বদলায় না
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২০: প্রতি গুরু-পূর্ণিমায় প্রথম ফুল দেব সব্যসাচী সরকারকেই
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৯: ময়দানের ছবিওয়ালাদের কেউ মনে রাখেনি, রাখে না
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৮: যারা আমার মাঠের পরিবার
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৭: অহং-কে আমল না দেওয়া এক ‘গোল’ন্দাজ
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৬: যে দ্রোণাচার্যকে একলব্য আঙুল উপহার দেয়নি
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৫: সাধারণের সরণিতে না হাঁটলে অসাধারণ হতে পারতেন না উৎপল
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৪: মনোজ তিওয়ারি চিরকালের ‘রংবাজ’, জার্সির হাতা তুলে ঔদ্ধত্যের দাদাগিরিতে বিশ্বাসী
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৩: অনুষ্টুপ ছন্দ বুঝতে আমাদের বড় বেশি সময় লেগে গেল
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১২: একটা লোক কেমন অনন্ত বিশ্বাস আর ভালোবাসায় পরিচর্যা করে চলেছেন বঙ্গ ক্রিকেটের
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১১: সম্বরণই বঙ্গ ক্রিকেটের বার্নার্ড শ, সম্বরণই ‘পরশুরাম’
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১০: যাঁরা তৈরি করেন মাঠ, মাঠে খেলা হয় যাঁদের জন্য
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৯: খণ্ড-অখণ্ড ভারতবর্ষ মিলিয়েও ক্রিকেটকে সম্মান জানাতে ইডেনতুল্য কোনও গ্যালারি নেই
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৮: ২০২৩-এর আগে আর কোনও ক্রিকেট বিশ্বকাপ এমন ‘রাজনৈতিক’ ছিল না
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৭: রোহিত শর্মার শৈশবের বাস্তুভিটে এখনও স্বপ্ন দেখা কমায়নি
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৬: বাংলা অভিধানে ‘আবেগ’ শব্দটাকে বদলে স্বচ্ছন্দে ‘বাংলাদেশ’ করে দেওয়া যায়!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৫: ওভালের লাঞ্চরুমে জামাইআদর না থাকলে এদেশে এত অতিথি সৎকার কীসের!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৪: ইডেনের কাছে প্লেয়ার সত্য, ক্রিকেট সত্য, জগৎ মিথ্যা!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৩: এ বাংলায় ডার্বিই পলাশির মাঠ
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২: গ্যালারিতে কাঁটাতার নেই, আছে বন্ধনের ‘হাতকড়া’
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১: চাকরি নেই, রোনাল্ডো আছে