নোবেল কমিটি মনে করেছিল তাঁর দক্ষ আখ্যানশৈলীতে ধরা পড়েছে জাপানি মনের সুবাস! কোন জাপানি মন? কোন জাপান? কোন এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব রয়েছে কাওয়াবাতার আখ্যানে? নিছকই কাকতালীয় আর তাই কিংবা তবু আশ্চর্যের যে, ১৮৬৮-তে মেইজি রেস্টোরেশন আর তার ঠিক একশো বছর পর কাওয়াবাতা নোবেল পুরস্কার পান। জাপানের ইতিহাসে মেইজি রেস্টোরেশনের সঙ্গে শুরু হয় জাপানের পাশ্চাত্যকরণ, শিল্পায়ন ও আধুনিকীকরণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিদারুণ আত্মসমর্পণের পর সম্রাট হিরোহিতো দেশবাসীকে ভবিষ্যতের দেশ গঠনের ডাক দিয়েছিলেন! প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া একটা দেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে যখন দুরন্ত গতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের শিখরে ওঠার দিকে যাত্রা করছে, তখন কাওবাতা আর তাঁর চরিত্রেরা আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় যেন প্রযুক্তিসর্বস্ব এই উন্নয়নের শরিক না হয়ে হাঁটছেন আবহমান জাপানের হাত ধরে। আর আজ আজকের পৃথিবী হুড়মুড়িয়ে জাপানি জীবনশৈলী, অনুশীলন ও দর্শনের দিকনির্দেশনামাকে ‘ইকিগাই’ নামে জানে, যার উৎস লুকিয়ে জেন বৌদ্ধ ও শিন্তো যাপনের মধ্যে, কাওয়াবাতা সেই চিরন্তন জাপানের সন্ধান দিচ্ছেন আধুনিক পৃথিবীকে; আজকের পৃথিবীকে।
গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার সাহিত্যিক হান কাং সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর অত্যুৎসাহে টোকিও বিদেশচর্চা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ভাষা-সাহিত্যের ছাত্র-ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, কাওয়াবাতা সানের উপন্যাস-গল্প তারা কীভাবে দেখে? ছেলেমেয়েদের উজ্জ্বল হয়ে ওঠা চোখগুলো মনে পড়ছে। কিছু কথাবার্তার পর বুঝলাম, আজকের জাপানের ব্যস্ত জীবন-যাপনের মধ্যেও কয়েকজন সাহিত্যিক ও কিছু বিশেষ ধরনের সাহিত্য তাদের যে কোনও প্রজন্মের কাছে অবশ্যপাঠ্যের তালিকায় পড়ে। বাংলায় যেমন আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে খুব বড় সাহিত্যিক হিসেবে জানি। অথচ গুণিজনরা অনেক সময় হা-হুতাশ করেন যে পাঠক সেভাবে রবীন্দ্রনাথ পড়ল না!
ঘটনাক্রমে রবীন্দ্রনাথ প্রথম এশীয়, যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান আর তাঁর পাঁচ দশক পরে এশিয়ার দ্বিতীয় প্রাপক হিসেবে একই পুরস্কার পান জাপানের ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার ইয়াসুনারি বা কোসেই কাওয়াবাতা।
কাওয়াবাতা-র জন্ম এক হিসেবে ১১ জুন, আর পারিবারিক সূত্রে ১৪ জুন। প্রথম জাপানযাত্রার রবীন্দ্রনাথকে দেখে স্কুল-পড়ুয়া কাওয়াবাতা-র মনে হয়েছিল যেন বা প্রাচীন প্রাচ্যের কোনও জাদুকরকে দেখছেন! বাণিজ্য নগরী ওসাকাতে কাওয়াবাতা জন্মগ্রহণ করেন আর উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র তিনি। ছাত্র হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য পত্রিকা ‘শিন-শিচো’র পুনঃপ্রতিষ্ঠা তাঁর হাত ধরে। উচ্চশিক্ষা লাভের সময় থেকে তাঁর সাহিত্যচর্চা শুরু। এই সময়েই তিনি ‘বুনগেই শুনজু’ সাহিত্য পত্রিকার প্রখ্যাত সম্পাদক কিকুচি কান-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হন। বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে এই পত্রিকাকে ঘিরে জাপানের সাহিত্য সংস্কৃতি পাশ্চাত্য-অনুপ্রাণিত সাহিত্য আন্দোলনে বিভোর হয়ে উঠেছিল। কাওয়াবাতা পাশ্চাত্যমুখী প্রবণতার উল্টোপথের যাত্রী বরাবর। তবু তাঁর গদ্যশৈলীতে এই সময়-প্রবণতার ছাপ রয়ে গেছে।
……………………………………….
নোবেল কমিটি মনে করেছিল তাঁর দক্ষ আখ্যানশৈলীতে ধরা পড়েছে জাপানি মনের সুবাস! কোন জাপানি মন? কোন জাপান? কোন এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব রয়েছে কাওয়াবাতার আখ্যানে? নিছকই কাকতালীয় আর তাই কিংবা তবু আশ্চর্যের যে, ১৮৬৮-তে মেইজি রেস্টোরেশন আর তার ঠিক ১০০ বছর পর কাওয়াবাতা নোবেল পুরস্কার পান। জাপানের ইতিহাসে মেইজি রেস্টোরেশনের সঙ্গে শুরু হয় জাপানের পাশ্চাত্যকরণ, শিল্পায়ন ও আধুনিকীকরণ।
……………………………………….
অনেকেই মনে করেন কাওয়াবাতা-র অনেক গুরুত্বপূর্ণ আখ্যান আত্মজীবনীমূলক। তাঁর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ গল্প ‘ইযু-নো-ওদোরিকো’ (ইযু’র নাচনি মেয়ে)-র মধ্যে লেখকের কিশোরবেলার ইযু পেনিনসুলা ভ্রমণের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রতিফলন আছে হয়তো। বাল্যপ্রেম হাৎসুয়ো ইতো হয়তো গল্পের চরিত্র হয়ে অমর হয়েছেন। ইতো তাঁর বাল্যপ্রেম, বাকি জীবন হয়তো সেই না-প্রেম তাঁর সঙ্গে সঙ্গে গেছে। তাঁর লেখার মতোই, তাঁর অধিকাংশ প্রোটাগনিস্টের মতোই অদ্ভুত এক বিষাদ সঙ্গে নিয়ে তাঁর ভাবনায় যাপনে রয়ে গেছে। বস্তুত, ১৯২৬-এ প্রকাশিত ‘ইযু-নো-ওদোরিকো’ দিয়ে জনমনোহরণের যে জয়যাত্রা শুরু, একে একে তা তাঁকে জাপানি তথা বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম একজন গুরুত্বপূর্ণ কথাকার হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। ১৯৬৮ সালে নোবেল পুরস্কারের সময় তাঁর তিনটি উপন্যাসের উল্লেখ করা হয়েছিল– ‘ইয়ুকিগুনি’ (বরফের দেশ, ১৯৪৭), ‘সেনবাযুরু’ (হাজার সারস, ১৯৫২) ও ‘কোতো’ (প্রাচীন রাজধানী, ১৯৬২)। এগুলি নিঃসন্দেহে তাঁর শ্রেষ্ঠ আখ্যান। তবে আরও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ও কালজয়ী রচনা রয়েছে তাঁর– ‘ইয়ামা-নো-ওতো’ (পর্বতের শব্দ, ১৯৫৪), ‘মিযযুমি’ (সরোবর, ১৯৫৪), ‘নেমুরেরু বিযো’ (ঘুমন্ত-সুন্দরীদের বাড়ি, ১৯৬১), ‘উৎসুকুশিসা তো কানাশিমি তো’ (সুন্দর ও বিষাদ, ১৯৬৪), ‘কাতাউদে’ (একবাহু, ১৯৬৪) ইত্যাদি।
নোবেল কমিটি মনে করেছিল তাঁর দক্ষ আখ্যানশৈলীতে ধরা পড়েছে জাপানি মনের সুবাস! কোন জাপানি মন? কোন জাপান? কোন এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব রয়েছে কাওয়াবাতার আখ্যানে? নিছকই কাকতালীয় আর তাই কিংবা তবু আশ্চর্যের যে, ১৮৬৮-তে মেইজি রেস্টোরেশন আর তার ঠিক ১০০ বছর পর কাওয়াবাতা নোবেল পুরস্কার পান। জাপানের ইতিহাসে মেইজি রেস্টোরেশনের সঙ্গে শুরু হয় জাপানের পাশ্চাত্যকরণ, শিল্পায়ন ও আধুনিকীকরণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিদারুণ আত্মসমর্পণের পর সম্রাট হিরোহিতো দেশবাসীকে ভবিষ্যতের দেশ গঠনের ডাক দিয়েছিলেন! বিশ্বযুদ্ধে, বিশেষত হিরোশিমা-নাগাসাকির পর প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া একটা দেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে যখন দুরন্ত গতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের শিখরে ওঠার দিকে যাত্রা করছে, তখন কাওবাতা আর তাঁর চরিত্রেরা আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় যেন প্রযুক্তিসর্বস্ব বস্তুগত এই উন্নয়নের শরিক না হয়ে হাঁটছেন আবহমান জাপানের যাপন, মনন আর আধ্যাত্মিক দর্শনের হাত ধরে। নোবেল পুরস্কার গ্রহণ বক্তৃতায় কী বলছেন তিনি!
‘জাপান, সুন্দর ও আমি’ শীর্ষক নোবেল বক্তৃতায় কাওয়াবাতা বারবার যা যা বলছেন, তা আসলে জেন বৌদ্ধধর্মের সারকথা। নিজেকে জানা, নিজের মধ্যে যে আলো রয়েছে তার সন্ধান করা, তাকে জাগ্রত করা– বৌদ্ধ-প্রকৃতির জাগরণ। মানুষ নিজের চেষ্টায় মুক্তিলাভ করতে পারে। ধ্যানের মধ্য দিয়ে লাভ করতে পারে সৌন্দর্য। আর রয়েছে পরিমিতির বোধ। অঙ্কনের প্রাণভ্রোমরা রয়েছে তার পরিমিতি বোধে, তার না-আঁকা অংশের মধ্যে। অঙ্কন থেকে তিনি তাঁর বক্তৃতায় চলে যাচ্ছেন ফুল সাজানোর বিদ্যা ইকেবানায়। বনসাই-এর দর্শনের কথা বলছেন। জাপানের ঐতিহ্যবাহী চা উৎসবের কথা বলছেন। উল্লেখ করতে ভুলছেন না জাপানি শৈলীর বাগান আর তার দর্শনের কথাও। আজকের পৃথিবী হুড়মুড়িয়ে জাপানি জীবনশৈলী, অনুশীলন ও দর্শনের দিকনির্দেশনামাকে ‘ইকিগাই’ নামে জানে, যার উৎস লুকিয়ে জেন বৌদ্ধ ও শিন্তো যাপনের মধ্যে, কাওয়াবাতা সেই চিরন্তন জাপানের সন্ধান দিচ্ছেন আধুনিক পৃথিবীকে; আজকের পৃথিবীকে।
প্রযুক্তি ও আধুনিক জাপানের অগ্রগতির অপরাপর সোপানগুলোকে কাওয়াবাতা ঐতিহ্যবাহী জাপানের অংশ হিসেবে দেখছেন। তাঁর ‘বরফের দেশ’ উপন্যাসের প্রোটাগনিস্ট শিমামুরা প্রথমবার নায়িকাকে দেখছে একটা ট্রেনে। ট্রেন– আধুনিক ও সাম্প্রতিক জাপানের সবচেয়ে বড় চিহ্ন। কেমন সেই ট্রেন? ট্রেনের জানালায় শিমামুরা দেখতে পায় নায়িকা কোমাকো-র সুন্দর চোখ দু’টি। আলোর প্রতিফলনে। বৈদ্যুতিন আলো, চলমান ট্রেন আর জাপানের চিরায়ত নারী-সৌন্দর্যের ধারণা একজায়গায় এসে মেশে। উপন্যাসের শুরুতে আধুনিক প্রযুক্তি, বিশ্বায়নমুখী অর্থনীতির যাত্রা আর ‘গেইশা’ নারীর অঙ্কিত চক্ষুযুগলের চিরন্তন জাপানি সৌন্দর্য পাশাপাশি পরস্পরের হাত ধরে হাঁটে। ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার কোনও বিরোধ নেই এইখানে। উপন্যাসের শেষে নায়িকা যখন পুরনো সিনেমা হলে লাগা আগুনের দিকে তাকিয়ে থাকে– ব্যর্থ সৌন্দর্যের আগুন– তার অপূর্ণতার আগুন– নায়ক তখন নক্ষত্রসাদা আকাশগঙ্গার দিকে তাকিয়ে থাকে। আকাশগঙ্গা– মনে করিয়ে দেয় জাপানের প্রচলিত তানাবাতা উৎসবের কথা। নক্ষত্রের এই উৎসব জাপানে এখনও হয় প্রতি বছর ৭ অগাস্ট। চিনা পুরাণের আলটেয়ার ও ভেগা নক্ষত্রের মিলনের দিন এটা। সারা বছর এই প্রেমিক-প্রেমিকা বিচ্ছেদবেদনায় আকাশগঙ্গার দুই প্রান্তে থাকতে বাধ্য হয় আর এই একটি দিন তারা মিলিত হতে পারে। কাওয়াবাতা-র নায়ক আকাশগঙ্গার দিকে তাকিয়ে থাকে। পাঠক একদিকে সিনেমাহলের আগুন দেখেন, আরেক দিকে তার মনে আসে তানাবাতার দুই চিরবিচ্ছেদের যন্ত্রণাকাতর প্রেমিক নক্ষত্রযুগলের গল্প। কাওয়াবাতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী এই নতুন জাপানের গল্প শোনান– প্রযুক্তি, উন্নয়ন, আধুনিকতার সঙ্গে যেখানে মিশে গেছে প্রচলিত বিশ্বাস, ধারণা, যাপন আর অনুশীলন।
আর জাপানি সাহিত্যকে কাওয়াবাতা দিয়ে যান এক পরম গদ্যশৈলী। আখ্যানতত্ত্বের বিচারে যা কেবল জাপানের জন্য নয়, বিশ্বসাহিত্যের জন্য অভিনব এক দান। সেই যে ছাত্রবেলায় তিনি ইংরেজি সাহিত্যের পাঠ নিয়েছিলেন, আর অংশ হয়ে উঠেছিলেন এমন এক সাহিত্য আন্দোলনের, যাকে তাঁরা বলেছিলেন ‘শিনকানকাকুহা’, সরলীকৃত অর্থে যাকে এক প্রকারের ‘কলাকৈবল্যবাদ’ বলা যায়। নতুন-ইম্প্রেশনবাদ না হলেও তার মধ্যে অবশ্যই পশ্চিমের ডাডাইজম, ইমপ্রেশনিজম ও কিউবিজমের প্রেরণা রয়েছে। কাওয়াবাতা ও সঙ্গীরা একে দেখেছিলেন সময়ের সাপেক্ষে নতুন সংবেদনের নতুন ধারণার সাহিত্য হিসেবে। মূলত ছবি বা কবিতার ক্ষেত্রে পশ্চিমে যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন দানা বেঁধেছিল, তার কিছু উপাদান কাওয়াবাতা ব্যবহার করলেন তাঁর গদ্যে। পরিমিতি আর কাব্যময়তা এই নতুন গদ্যের বিশেষত্ব। প্রাচীন ওয়াকা বা পরবর্তীকালের হাইকু কবিতায় যেভাবে চিত্রকল্প নির্মিত হয়েছে, সেই প্রকৌশল তিনি প্রয়োগ করলেন আখ্যাননির্মাণে।
১৯৬১ সালে প্রকাশিত ‘নেমুরেরু বিযো’ (ঘুমন্ত-সুন্দরীদের বাড়ি) নামের নভেলায় কাওয়াবাতা একজন বয়স্ক মানুষের একাকিত্বের কথা বলেন। নেগুচি একজন নিঃসঙ্গ মানুষ। তিনি অর্থের বিনিময়ে প্রতিরাতে একেক জন সুন্দরীর পাশে শর্তসাপেক্ষে শয্যাগ্রহণ করার সুযোগ পান। সেই সব নারীরা সকলেই কুমারী আর তাদের নেশায় বিবশ করে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়।
ভবিষ্যৎ জাপানি সমাজ তথা উন্নত বিশ্বের একাকিত্ব, নিসঙ্গতা আর মনোবিকলনের আভাস কি আগেই টের পেয়েছিলেন কাওয়াবাতা? তাঁর নোবেল বক্তৃতায় আত্মহত্যার প্রসঙ্গ ছিল। বিশ শতকের অন্যতম শক্তিশালী জাপানি ঔপন্যাসিক ইউকিয়ো মিশিমা ছিলেন তাঁর নিকট বন্ধু। মিশিমা আত্মহত্যা করেছিলেন। মিশিমার আত্মহত্যার অনতি পরেই কাওয়াবাতা যে দুর্ঘটনায় মারা যান, সেটাকেও অনেকে আত্মহত্যা বলে মনে করেন। শান্তিতে থাকা দেশের তালিকার একেবারে ওপরের দিকে থাকা দেশ জাপান কিন্তু আত্মহত্যার হারের তালিকারও ওপরের দিকে থাকা একটি দেশ। কাওয়াবাতা-র লেখা হয়তো তাই আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। যুগান্তরের লেখা হয়ে উঠছে। সব প্রজন্মের অবশ্যপাঠ্য তো তেমন সাহিত্যই হয়!
…………………………….
ফলো করুন আমাদের ওয়েবসাইট: রোববার ডিজিটাল
…………………………….