‘নির্জন বারান্দা লাল থাম’-এর পৃথিবীতে পা দিয়ে আমার জীবনে যে পর্ব শুরু হয়েছিল প্রকৃতি মুগ্ধতার, মানুষের সঙ্গে জড়ানোর ইচ্ছের, তা ‘বৃষ্টি আসবে’-তে বয়ে এসেছে এক নিরবচ্ছিন্ন গানের মতো। জীবনে যে কয়েকটি দীর্ঘ কবিতা লিখেছি, তার প্রথমটি ছিল এই বইতে। মহুয়ার দেশ। প্রকৃতি ও মানুষের জীবনের রঙে রাঙানো এক আবেগময় গাথা। দীর্ঘ কবিতা হলেও মহুয়ার দেশ আমার ভবিষ্যতের সাহিত্যিক অভিপ্রায়ের দিকচিহ্ন। এর একটি অংশ কথামুখ হিসেবে ছাপা হয়েছিল আমার প্রথম উপন্যাস ‘মহুলডিহার দিন’-এর সূচনায়, প্রকাশকের অস্বস্তি সত্ত্বেও, কারণ এভাবে কবিতার অংশ ছাপা প্রথাসিদ্ধ ছিল না।
আমার দ্বিতীয় বইটিও যে কবিতার, গদ্যের নয় তা ভুলেই গিয়েছিলাম, যদি না সোফার খাঁজে লুকিয়ে থাকা মোবাইল ফোনের মতো স্মৃতি বেজে উঠত সম্পাদকের ডাকে।
১৯৯২ সাল। তখন আমি বছর বারো একটানা উন্নয়ন, দারিদ্র নিয়ে জেলায় কাজ করে বিদেশে গেছি পড়াশুনো করতে, ডাকে বন্ধুর চিঠি পেলাম। তখন মোবাইল ছিল না। তবে বিদেশ থেকে ফোনে দেশে সরাসরি ডায়ালিং-এর সুবিধা ছিল। কিন্তু ফোন কোথায়? বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে বসে লাইন দিয়ে পালার জন্য অপেক্ষা করতে হত। সেভাবে তো খবর কাগজের অফিসে ফোন করা যায় না। বন্ধুটি ছিল শিল্পী। সে নিজেই চিঠিতে জানাল, আমি যে পাণ্ডুলিপি (হাতে লেখা, অবশ্যই) তাকে দিয়ে গেছিলাম, তা ছাপা হয়ে এসেছে। কিছুদিন পর ডাকে এল দু’কপি বই। নাম: বৃষ্টি আসবে। সেকালের মহার্ঘ্য ডাক প্রক্রিয়ায় কলকাতা থেকে ইংল্যান্ডের নরউইচ। প্রচ্ছদ করেছেন কৃষ্ণেন্দু চাকী, সম্ভবত বন্ধুরই অনুরোধে। তখন অবশ্য কৃষ্ণেন্দু চাকীকে চেনার সুযোগ হয়নি। কারণ, এর আরও আট বছর পর কলকাতার প্রতিমা শিল্পীরা বইয়ের প্রচ্ছদ ও অনবদ্য অলংকরণের সূত্রে কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে আমার পরিচয়। বইটি প্রকাশ করেছিলেন ‘সুবর্ণরেখা’র ইন্দ্রনাথ মজুমদার। জানি না, সে সময় আর কোনও কবিতার বই তাঁরা ছাপতেন কি না, কিন্তু লেটার প্রেসে সুন্দর কাগজে নীল ধূসর প্রচ্ছদে নামলিপির ছায়া-উপচ্ছায়া দিয়ে তৈরি বইটি হাতে পেয়ে আমি হাতে চাঁদ পেলাম।
প্রিন্টার্স পেজে লেখা ছিল:
প্রকাশ: জানুয়ারী ১৯৯২
দাম বারো টাকা
মুখবন্ধে ছিল কলকাতার শিকড় ছিঁড়ে চলে যাওয়া এক মেয়ের কথা। সে যে আমিই। কী লিখেছিল সেই মেয়ে?
‘এগারো বছর আগে একটি তরুণী মেয়ে একা, কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছিল। ভাদ্র মাসে ঘর ছেড়ে যেতে নেই, বুঝি সেই জন্যই আজো তার ফিরে আসা হয়নি। –ভাষা ও নিকট বন্ধু পরিজনকে ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট ভুলিয়েও কি দেয়নি পালামৌর ধূ ধূ মাঠে খর রৌদ্র, শালের বনে সূর্যের উদয়, জ্যোৎস্নায় উদ্বেল সমুদ্র মেখলা বেলাভূমি, বর্ষার গভীর রাতে ব্রাহ্মণীর কালো, সর্পিল মসৃণ জল–
ধীরে ধীরে তার বালিকাসুলভ সারল্য ও জীবনের প্রতি অকপট বিশ্বাস আমূল মন্থিত হয়ে গেছে ফুলবনীর সুদূর অরণ্য গ্রামে ষোলো বছরের কিশোরী মা-র কোলে অন্ধ শিশুর মুখ, কালাহাণ্ডির অজন্মা গ্রস্ত মানুষের ক্ষুধার দায়ে আত্মবিক্রয়ের ক্রূর চেহারা দেখার পর– জীবন তো খেলা নয়, স্বপ্ন নয়; জীবন অতি দুর্দান্ত, রক্তমুখী শার্দূল যার সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করে বাঁচতে হয়– ধীরে ধীরে তার কবিতাও ভরে উঠেছে এইসব পাথর, কাঁচের মারমুখী টুকরোয়– নিভন্ত সূর্যের খণ্ডগুলি নিয়ে দিন যেখানে সমুদ্রে মিশেছে, সেই আলো অন্ধকার সুখ দুঃখের মাঝখানে বসে কেউ কি তার কবিতা পড়বে, তাকে খুঁজবে–’
অনেক দিন পর আজ বইয়ের তাক থেকে নিজের একমাত্র কপিটি হাতে নিয়ে দেখলাম। ভিতরের পাতায় মায়ের হাতে নিজের সই। ইংরেজিতে, ফাউন্টেন পেন-এ। আমার সব লেখা ও বইয়ে মা এই সইটা করে রাখতেন। এটা তাঁর নিজের দখলদারির চিহ্ন। লেখকের ওপর। অন্যের কাছে মেয়েকে উল্লেখ করতেন ‘আমার লেখক’ বলে। স্মৃতির সমুদ্র কত কিছু যে ফেরায়।
ইংল্যান্ডের ইস্ট অ্যাংগলিয়া নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯১-তে যখন তার ডেভ ( Development Studies) স্কুলে ভর্তি হই, বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স তখন ২৫। আমরা দু’জন, আমি আর সতীশ– দু’জনে সহকর্মী দু’টি সন্তানকে দেশে রেখে একসঙ্গে পড়াশুনো করতে এসেছি। ভারত সরকারের মূল প্রস্তাবে আমার গন্তব্য ছিল লন্ডন স্কুল, আর সতীশের গ্লাসগো স্কুল অব টেকনোলজি। দুটোই পুরনো প্রতিষ্ঠান, কিন্তু দুয়ের মাঝে বড়সড় দূরত্ব। কোনও একটায় দু’জনের জায়গা হওয়া মুশকিল। তাই আমরা চলে এসেছি নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে, উন্নয়ন অর্থনীতি পড়তে। সবুজ ঘাস মাঠের উতল ঢেউ ধূসর রঙের আধুনিক ধাঁচের বাড়িগুলিকে ঘিরে, ক্যাম্পাসের দেওয়ালে লতিয়ে উঠছে কমলা লাল ম্যাপলের লতা। শরতের আরম্ভে যে রং আমাদের চোখ ভরিয়েছিল, শীতে দিন হ্রস্ব আর মলিন হয়ে এলে, দেশের হলুদ রোদের জন্য মনকেমন করতে থাকে। হ্রস্ব রৌদ্রহীন শীতের এক দিনে ডাকযোগে এল বইটি।
এক হিসেবে দ্বিতীয় বইটি কবিতারই হবে, তা অনিবার্য ছিল। মূল কারণ, আমার আনাড়ি, দ্বিধাগ্রস্ত স্বভাব। লিখে যাই আপন মনে কিন্তু কীভাবে বই ছাপাতে হয়, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই। বাংলার বাইরে আমার কাজের জীবন, হাতে লিখে ডাকে লেখা পাঠাই কলকাতায় সম্পাদকের দপ্তরে। তাঁরা আমাকে দেখেননি, আমিও ততদিন দেখিনি তাঁদের। ১৯৮০ থেকে আরম্ভ করে দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত বেশ কিছু ছোটগল্প বেরিয়েছে ‘দেশ’-এর পাতায়। তারপর একে একে দেশ ও অন্য সংবাদপত্রে।গল্পের বই করার জন্য যথেষ্ট গল্প জমেছে। কিন্তু আমার প্রকাশক খোঁজার কোনও তাগিদ নেই। তখনও জানি না, এর ঠিক পরের বছর প্রকাশ পাবে আমার প্রথম গল্পের বই ‘চক্রব্যূহ’। তার পরের বছর লিখতে আরম্ভ করব আমার প্রথম উপন্যাস। কিন্তু ১৯৯১-এ বিদেশ পাড়ি দেওয়ার আগে প্রবল চিন্তা, এই যে এক বছর কাল চলে যাব, প্রথম বই প্রকাশের পর পাঁচ বছর পেরতে চলল, মাঝখানে একটা বই বেরলে কেমন হয়? কবিতা তো বেশ কিছু লেখা হল। সেই সময়ের বন্ধু কয়েকজনের উৎসাহে পাণ্ডুলিপি তৈরি, প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ তাদের, বিদেশে বসে আমার বই পাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিতে আমার একটা ছোট্ট ঘর বা কিউবিকল ছিল, সেখানে থাকত লাইব্রেরি থেকে দীর্ঘমেয়াদে নেওয়া রেফারেন্স বই। তার টেবিলের উপর ইচ্ছে করে রেখে দিয়েছিলাম দু’কপি ‘বৃষ্টি আসবে’, যাতে যেতে আসতে দরজার বাইরে থেকেই দেখতে পাই। সে যে কী আনন্দ, তার অন্ত পাইনি তখন।
আমার প্রথম বইটিও ছিল কবিতার । নাম, চন্দন গাছ। পাঁচ বছর আগে বেরিয়েছে। তা নিয়ে বাড়িতে আহ্লাদ কম হয়নি। কারণ, বইটার প্রকাশের পথ দেখিয়ে চলেছিলেন বাবা নিজেই। সেই বাবা যিনি অপূর্ব কবিতা লিখতেন প্রথম যৌবনে, কিন্তু সংসার আর কবিতা নাকি একসঙ্গে হয় না বলে কবিতার খাতা ট্রাঙ্কে তুলে নির্মোহ হয়ে বসে ছিলেন! আমি কবিতা লিখতে আরম্ভ করেছি ৬ বছর বয়সে, লিখতে শেখার পর। তার আগে পর্যন্ত চলেছে মুখে মুখে কবিতা বলা আর গান তৈরির কাল। মাসে একটা ডায়েরি আর পেনসিল আমার বরাদ্দ ছিল। ১৩ বছর বয়সে রায়মশাই ‘সন্দেশ’-এ প্রথম কবিতা ছাপার সময় অনেকগুলি কবিতা ভরা ডায়েরি। ১৭ বছর পর্যন্ত সন্দেশে যা লিখেছি, সেসব জড়ো করে একটা ছোট্ট বই করার ইচ্ছে ছিল বাবার। আমার আপত্তিতে তা আর হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এবার বাবা লেগে পড়ে বলতে লাগলেন, অন্তত কলেজের ফার্স্ট ইয়ার থেকে যেসব কবিতা লেখা হল সেগুলো হারিয়ে যাবে, একটা বই হোক। বাণিজ্যিক কাগজে তখন পর পর কবিতা ছাপা হচ্ছে। সেটা হয়তো উৎসাহের একটা কারণ। কিন্তু নানা রাফ খাতা, কলেজের নোটবইয়ের পিছনের পাতা, দাদাদের ওষুধের স্যাম্পলের প্যাড– এসব থেকে ঝেড়ে-বেছে একটা পাণ্ডুলিপি তৈরি, তাও আবার ভুবনেশ্বরে কাজের জায়গায় বসে, সে এক দুঃসাধ্য কাজ। তখন প্রথম সন্তান ছোট। রাতে শোওয়ার আগে তাকে কোলে শুইয়ে প্রদীপ জ্বেলে পাণ্ডুলিপি তৈরি করেছি কত রাত– পাছে চড়া আলো তার চোখে লাগে। প্রচ্ছদ এঁকে ছিলাম নিজেই, কাগজের উপর চাইনিজ ইংক দিয়ে। উৎসর্গপত্রটিও হাতে আঁকা। সে বই বেরিয়েছিল ১৯৮৭ সালে, আমার বয়স তখন ৩১।
‘চন্দন গাছ’-এর প্রথম কবিতাটি ‘দেশ’ এ প্রথম বেরয়। ‘নির্জন বারান্দা লাল থাম’। দেবগড়ের গহন অরণ্যে এক প্রাচীন প্রাসাদের দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে বনের কস্তুরী গন্ধ বুকের মধ্যে ভরে নিতে নিতে লেখা। বইয়ের পরবর্তী কবিতাগুলি আরও অল্প বয়সের। ১৭-১৮ বছর বয়সের কবিতাও ছিল। কিন্তু ‘নির্জন বারান্দা লাল থাম’-এর পৃথিবীতে পা দিয়ে আমার জীবনে যে পর্ব শুরু হয়েছিল প্রকৃতি মুগ্ধতার, মানুষের সঙ্গে জড়ানোর ইচ্ছের, তা ‘বৃষ্টি আসবে’-তে বয়ে এসেছে এক নিরবচ্ছিন্ন গানের মতো।
পড়াশুনোর পর্ব শেষ করে আমি বাংলার সীমানা পেরিয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে গিয়েছি ১৯৭৯-তে। তারপর ছোটনাগপুরের মালভূমি, দামোদর বরাকরের জল, পালামৌর অরণ্যের মায়া কাটিয়ে মহানদীর জলে ধোয়া ওড়িশার অরণ্য পর্বতসংকুল বিজনতার মধ্যে। চন্দন গাছে যে সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছিল, তা কালাহাণ্ডির খরাক্লিষ্ট খিদের ছায়ায় আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছে ‘বৃষ্টি আসবে’-র মতো কবিতা।
বৃষ্টিহীন গ্রামগঞ্জের ছবি। অনন্ত প্রতীক্ষা আকাশ থেকে নেমে আসা জলের।
‘মদনপুরের হাটে আসতে আরম্ভ করেছে
গরিবের ঘটি-বাটি
সুন্দর নদীর চড়ায় শকুন নামছে
মরা গোরুর হাড় পাঁজরায়
ম্যালেরিয়ার পিলে নিয়ে পাঞ্জাব পৌঁছে গেছে
নির্ভীক খেতমজুর–
বৃষ্টি নামে না।
আমরা এই ভাসানপোতার মাঠ ভেঙে
পাহাড়ের কাছে গেছি। হাঁটু গেড়ে বলেছি
সব শব্দমন্ত্র
জাতিবর্ণ নির্বিশেষে
বৃষ্টি এসো।’
শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির আকিঞ্চন নিয়ে আমাদের ফেরা শিশুর কাছে।
‘স্বপ্নের পুতুল, তুই মোমের মতন মুঠিতে সূর্যকে ছুঁয়ে দে,
বাষ্প কে চুমো খা, সে মেঘ হয়ে
আকাশে ধোঁওয়াবে ।
তোর রাঙা -রাঙা আধফোটা ঠোঁটে
মন্ত্র বল।
তুই ডাক অনুষ্টুভ,
তুই ডাকলে বৃষ্টি আসবে।’
আবার মনে পড়ে গেল, জীবনে যে কয়েকটি দীর্ঘ কবিতা লিখেছি, তার প্রথমটি ছিল এই বইতে। মহুয়ার দেশ। প্রকৃতি ও মানুষের জীবনের রঙে রাঙানো এক আবেগময় গাথা। দীর্ঘ কবিতা হলেও মহুয়ার দেশ আমার ভবিষ্যতের সাহিত্যিক অভিপ্রায়ের দিকচিহ্ন। এর একটি অংশ কথামুখ হিসেবে ছাপা হয়েছিল আমার প্রথম উপন্যাস ‘মহুলডিহার দিন’-এর সূচনায়, প্রকাশকের অস্বস্তি সত্ত্বেও, কারণ এভাবে কবিতার অংশ ছাপা প্রথাসিদ্ধ ছিল না।
‘যদি কখনও দিন পাই এই মহুয়ার দেশের কথা লিখব
ইব নদী বুঢ়া পাহাড় আর লাস্যময়ী হাওয়ার বৃত্তান্ত
যার টানে মগডাল থেকে ঘুরতে ঘুরতে
নীচে নেমে আসছে
শিয়ালির পাতা।’
এখন ভাবলে আশ্চর্য লাগে, কেবল পরবর্তী কবিতার নয়, বহু অনাগত উপন্যাসের সম্ভাবনা রয়ে গেছে ‘বৃষ্টি আসবে’ বইতে। প্রথম উপন্যাস মহুলডিহার দিন থেকে মহানদী, মহাকান্তারের বীজ ঘুমিয়ে আছে এর জীর্ণ পাতার ভিতর, প্রাচীন মথের ডানার, নীরক্ত ফুলের পাপড়ির মতো।
বইটি এখন আর পাওয়া যায় না, বলাই বাহুল্য। তিন দশকের বেশি কেটে গেছে, আরও পঞ্চাশটা বই এসে জুড়েছে। কবিতাগুলি সংযোজিত হয়েছে কবিতা সমগ্রতে, কিছু নির্বাচিত কবিতা গেছে শ্রেষ্ঠ কবিতায়। কলকাতায় ফেরার পর নিজেরই ভুলে শিল্পী-বন্ধুটির সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে যায়। তা আর জোড়া লাগেনি। ঋণ আর মায়া রহিয়া গেল!
আজ আমার কাছে একটি মাত্র কপি, তাতে মায়ের নিজের নাম লেখা। বই বেরনোর খবর পেলে যে মা সোজা প্রকাশকের দরজায় চলে যেতেন আনন্দে আহ্লাদে, তাঁর স্মৃতি আমার এই দ্বিতীয় বইটিতে শৈশবের কুসুমগন্ধ মাখিয়ে রেখেছে।
………………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
………………………………………