Robbar

মা ও মেয়ে: বন্ধুত্বের কুয়াশায় সমর্পণ

Published by: Robbar Digital
  • Posted:January 12, 2025 5:51 pm
  • Updated:January 12, 2025 6:48 pm  

অনিলার সঙ্গে মীরার সম্পর্ক আর পাঁচটা বয়ঃসন্ধির মেয়ের মতোই ভালোবাসা-ঈর্ষা-নির্ভরতা মেশানো একটা সম্পর্ক। মীরাকে বাড়িতেই ওয়াক্সিং করে দেন তার মা, যত্ন করে ভালোবেসে খাবার তৈরি করে দেন। শর্ট স্কার্টও কিনে দেন। এমনকী, শিক্ষক দিবসে ‘হেড প্রিফেক্ট’ হওয়ার জন্য প্রিন্সিপাল মীরার জন্য আগে থেকে শাড়ি বেছে রাখা এবং সেটা পরিয়ে দেখে নেওয়া, এসবে মীরা মায়ের ওপর নির্ভরশীল, কিন্তু গানের তালে তালে নাচের সময় মায়ের শরীরী দোলা একটা সময়ের পরে আর নিতে পারে না মীরা। কোথাও গিয়ে মা-ই যেন তার প্রতিযোগী হয়ে যায়। অনিলা প্রথমেই ধরে ফেলে মীরার সঙ্গে শ্রীর বন্ধুত্ব এবং পড়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের রসায়ন।

মৌপিয়া মুখোপাধ্যায়

সূচি তালাতি পরিচালিত ছবি ‘গার্লস উইল বি গার্লস’ ছবির শুরুতেই কালো পর্দার ওপর ভেসে আসে আওয়াজ– ‘কাম অন গার্লস’ এবং তারপরে ড্রামের তালে তালে মার্চ পাস্টের আওয়াজ। প্রথমেই এর সঙ্গে একদম কঠোর মিলিটারি অনুশাসনের আবহ মনে পড়ে যায়। তারপর অবশ্য দেখা যায় (সম্ভবত দক্ষিণ) ভারতের এক পাহাড়ি অঞ্চলে এক সহ-শিক্ষামূলক এবং আবাসিক বিদ্যালয়ের ‘অ্যাসেম্বলি’ এবং সেখানে সেই বিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘোষিত হয় ‘হেড প্রিফেক্ট’ হিসেবে একজন মেয়ের নাম। জানতে পারি ‘অ্যাকাডেমিক্স’ এবং ‘লিডারশিপ কোয়ালিটি’– দুটোতেই সমান ভালো হোস্টেলের সেই মেয়েটির নাম মীরা কিশোর। মীরা এগিয়ে গিয়ে ব্যাজ নেয় এবং তারপরে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের শপথ গ্রহণে নেতৃত্ব দেয়। এই শপথের মূল বিষয় হল যে, তারা সবাই প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য এবং বিদ্যালয়ের সমস্ত নিয়মকানুনকে সম্মান করে মেনে চলবে।

Prime Video: Girls Will Be Girls

এটা সেই সময়ের গল্প, যখন অধুনা তামাদি হয়ে যাওয়া ল্যান্ডলাইন ফোনের একবার বেজে উঠে থেমে যাওয়া সময়ে অসময়ে মা-বাবা আর বাড়ির অন্যান্যদের এড়িয়ে গিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকাদের সংকেত ধ্বনি বহন করত। অবশ্য ইন্টারনেট আর ‘সাইবার ক্যাফে’ এসে গেছে, যেখানে ‘ওপেন সিক্রেট’ হিসেবে উঁচু ক্লাসের ছেলেরা ‘নীল ছবি’ দেখে। এই ছবিতে ‘বয়জ উইল বি বয়জ’-এর সাপেক্ষেও অনেককেই দেখা যায়। মীরার সহপাঠী এবং প্রেমিক শ্রী একটা ভারসাম্য বজায় রাখে যেন দুই পক্ষের মধ্যে। মীরার ক্লাসে নতুন ভর্তি হওয়া এই ছেলেটি, যার নাম শ্রীনিবাসন বা শ্রী, একটু অন্যরকম এবং বয়সের তুলনায় অনেকটাই পরিণত। সে নতুন একটা ‘অ্যাস্ট্রোনমি ক্লাব’ খুলেছে আর পরে জানা যায় যে, ছেলেটি ইতিমধ্যেই অনেকগুলো দেশে বসবাস করে এসেছে কারণ, তাঁর বাবা একজন ‘ডিপ্লোম্যাট’!

যখন মীরা আর শ্রী একসঙ্গে বসে নিজেদের যৌনতা এবং যৌনাঙ্গ বিষয়ে জেনে নিতে চায় ‘সেক্স’ করার প্রাক্ প্রস্তুতি হিসেবে, তখন পাশের ইন্টারনেট থেকে যৌন শীৎকারের আওয়াজ ভেসে এলে মীরা আর সে অপ্রস্তুত হয়ে হেসে ফেলে। এইসব বিষয় নিয়ে মীরাকে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠিত হতে দেখা যায় না। নিজের শরীরের ওপর যে ‘এজেন্সি’ মীরার আছে, তা নিয়ে কোনও দ্বিধাই দেখা যায় না তার মধ্যে। প্রথম থেকেই শ্রীর সঙ্গে হাতের আঙুলে ছোঁয়া লাগা তার ভালো লাগে। হোস্টেলের বাথরুমে স্নানের সময় সে নিজের হাতে আদর করে। নিজের শরীর নিয়ে কোনও ছুঁৎমার্গ তার নেই। সে হোস্টেলে থাকে, কিন্তু অনিলা এখানে আসলে বাড়িতেই থাকে মায়ের সঙ্গে। বাড়িতে সফ্ট-টয় দিয়ে সে নিজের গোপনাঙ্গে ফ্রকের ওপর দিয়েই ‘টাচ’ করায়। সে খুশি হয় কারণ সে তার বন্ধু এবং প্রেমিকের সঙ্গে বসেই তাঁদের নিজেদের শরীর নিয়ে স্বাভাবিক কৌতূহলের সঠিক উত্তর খুঁজতে পারছে। তবে সে যখন দেখে যে তিন-চার জন ছেলে স্কুলে সিঁড়ির ধাপে ক্যামেরা রেখে মেয়েদের স্কার্টের তলা দিয়ে ছবি তুলছে, তখন কিন্তু ‘মিস বনশল’-কে রিপোর্ট করতে দ্বিধা করে না। ‘মিস’ এসব বিষয় এড়িয়ে গিয়ে ‘ইগ্‌নোর’ করাটাই ভালো বলে ছেড়ে দিতে চাইলেও মীরা এদের সাসপেনশনের কথা বলে। সে মানতে পারে না যে, এই রকম অসভ্যতা করেও ছেলেরা এমন ভাবে পার পেয়ে যাবে!

Girls Will Be Girls (2024) | Rotten Tomatoes

শরীর বিষয়ে ‘সম্মতি’র মানে সে বোঝে। মিস বনশল একদিকে মেয়েদের এই সমস্যাগুলো বোঝেন– এসবই তো দীর্ঘদিন ধরেই সবার জানা বিষয়! কিন্তু প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানোর এবং তা রক্ষা করার আজন্মলালিত সংস্কারে তিনিও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন! তিনি বরং তাই আগে থেকে মেয়েদেরই সাবধান হতে বলেন। প্রিয়া এবং মীরাকে চেয়ারের ওপর তুলে দাঁড় করিয়ে ‘সিনিয়র’ ছাত্রীদের দেখিয়ে দেন যে, স্কার্টের ঝুল ঠিক কতটা হলে আর মোজা ঠিক কতটা অবধি ঢেকে রাখলে তা শোভন এবং ‘নিরাপদ’! এই দৃশ্যে হাসি পেতেও পারে, কিন্তু  যখন বায়োলজি ল্যাবে কাজ করার সময় সামনের টেবিল থেকে ইচ্ছে করে পেন্সিল ফেলে দিয়ে বারবার ঝুঁকে পড়ে তার স্কার্টের তলায় উঁকি মারা সহপাঠী ছেলেদের কথা জানিয়ে শ্রী এসে তাকে সাবধান করে দিয়ে সামলে বসতে বলে, তখন মীরার মুখে যে অসহায়তার ছাপ ফুটে ওঠে, সেটার সঙ্গে পিতৃতান্ত্রিক সমাজের ‘মেয়ে’ মাত্রেই পরিচিত। শ্রীও কিন্তু সহপাঠীদের কিছু বলে না।

ভারতীয় ঐতিহ্য মেনেই এই ছবিতে ‘মা’ এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলের ছাদে, ‘অ্যাস্ট্রোনমি ক্লাব’-এর রাতের আকাশ দেখা শেষ হলে একটাই কম্বল ভাগ করে দু’জনে পাশাপাশি বসে ‘শেয়ার’ করা ‘সিক্রেট’-এর কেন্দ্রে থাকে মা। শ্রী জানায়, ছোটবেলায় একবার সে তার মাকে জামাকাপড় ছাড়ার সময় নগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলে এবং চিৎকার করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে মা-ন্যাওটা সে আর মায়ের পিছু পিছু ঘোরেনি কখনও। মীরা শুনতে শুনতে বিব্রত বোধ করলেও ‘জাজমেন্টাল’ হয় না। সেও মায়ের কথাই বলে। ছোটবেলায় নিজের নতুন সোয়েটার হারিয়ে ফেলে, মায়ের ভয়ে এক অপছন্দের সহপাঠীর সোয়েটার চুরি করে ছিল সে! স্পষ্টই জানায় যে, এখন সে মাকে আগের মতো ভয় না পেলেও, মাকে ‘জাস্ট’ সহ্য করতে পারে না!

Girls Will Be Girls Richa Chadha Ali Fazal coming-of-age drama to premiere on Prime Video - India Today

শ্রী-র মা নৃত্যশিল্পী। ভারতনাট্যম শেখান। খুব ব্যস্ত এবং তাঁকে আমরা ছবিতে দেখতে পাই না। আর মীরার মা পুরো ছবি জুড়েই। তিনি এই স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্রী কিন্তু তাঁদের সময়ে মেয়েদের ‘হেড প্রিফেক্ট’ হওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না বলে আফসোস করেন। গৃহবধূ, ‘লাভ ম্যারেজ’ এবং অল্প বয়সে তাঁরও অনেক ‘অ্যাডমায়ারার’ ছিল। এখন তিনি প্রয়োজন অনুযায়ী, মেয়ের সঙ্গে আর শ্বশুরবাড়ি হরিদ্বারে সময় কাটান। এখানে অনিলার মায়ের ফাঁকা বাড়ি আছে।

………………………………………….

এটা সেই সময়ের গল্প যখন অধুনা তামাদি হয়ে যাওয়া ল্যান্ডলাইন ফোনের একবার বেজে উঠে থেমে যাওয়া সময়ে অসময়ে মা-বাবা আর বাড়ির অন্যান্যদের এড়িয়ে গিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকাদের সংকেত ধ্বনি বহন করত। অবশ্য ইন্টারনেট আর ‘সাইবার ক্যাফে’ এসে গেছে, যেখানে ‘ওপেন সিক্রেট’ হিসেবে উঁচু ক্লাসের ছেলেরা ‘নীল ছবি’ দেখে । এই ছবিতে ‘বয়জ উইল বি বয়জ’-এর সাপেক্ষেও অনেককেই দেখা যায়।

………………………………………….

অনিলার সঙ্গে মীরার সম্পর্ক আর পাঁচটা বয়ঃসন্ধির মেয়ের মতোই ভালোবাসা-ঈর্ষা-নির্ভরতা মেশানো একটা সম্পর্ক। মীরাকে বাড়িতেই ওয়াক্সিং করে দেন তার মা, যত্ন করে ভালোবেসে খাবার তৈরি করে দেন। শর্ট স্কার্টও কিনে দেন। এমনকী, শিক্ষক দিবসে ‘হেড প্রিফেক্ট’ হওয়ার জন্য প্রিন্সিপাল মীরার জন্য আগে থেকে শাড়ি বেছে রাখা এবং সেটা পরিয়ে দেখে নেওয়া, এসবে মীরা মায়ের ওপর নির্ভরশীল, কিন্তু গানের তালে তালে নাচের সময় মায়ের শরীরী দোলা একটা সময়ের পরে আর নিতে পারে না মীরা। কোথাও গিয়ে মা-ই যেন তার প্রতিযোগী হয়ে যায়। অনিলা প্রথমেই ধরে ফেলে মীরার সঙ্গে শ্রীর বন্ধুত্ব এবং পড়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের রসায়ন। কিশোরী মেয়ের জন্য মায়ের উদ্বেগ, হরিদ্বারে তাঁর তুতো ননদ বাড়ির কড়া পাহারাদারি সহ্য করতে না পেরে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে বলেই হয়তো তিনি নিজে মেয়ের বন্ধুকে বাড়িতে ডেকে নেন, এমনকী ফোনের মাউথপিসে তোয়ালে জড়িয়ে গলা ভারী করে, মিথ্যে পরিচয় দিয়ে হোস্টেল থেকে ডেকে ফোন ধরিয়ে দেন মেয়ের হাতে। তিনি লাগাম ছাড়েন কিন্তু রাশ রাখেন নিজের হাতে। স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, বন্ধুত্বের বাইরে কোনও সম্পর্ক তিনি ‘অ্যালাও’ করবেন না।

Preeti Panigrahi, Kani Kusruti, and Kesav Binoy Kiron in Girls Will Be Girls

মীরা যে সিনেমা দেখতে যাবে বলে সিনেমা দেখতে যায়নি– সে কথা ধরে ফেলতে তাঁর বিশেষ সময় লাগে না। দেখা যায়, শ্রী-র সঙ্গে অনিলাই বেশি গল্প করেন। এমনকী শ্রী-র ১৯ বছরের জন্মদিনের রাতে তাঁকে বাড়িতেই থাকতেও বলেন, কিন্তু মীরা যে ছাদে গিয়ে একান্তে সময় কাটানোর কথা ভাবে, তাতে জল ঢেলে দিয়ে শ্রীকে বসার ঘরের সোফায় শুতে না দিয়ে নিজের ঘরেই শুতে বলেন, কারণ, মীরা নিজের ঘর ছেড়ে অনিলার সঙ্গে শুতে রাজি হয় না। মীরা অথবা শ্রী– একজনকে নিজের চোখের সামনে তিনি রাখবেনই! সারা রাত মীরা জেগে থাকে। ভোর সাড়ে পাঁচটায় গিয়ে সে মায়ের ঘরের দরজা ধাক্কায়। অনিলা দরজা খুলে দেয়। কিন্তু শ্রীকে শত ডাকলেও সে উঠতেই পারে না। বারবার আধঘণ্টা, ১০ মিনিট করে কাটিয়ে যায় আর মীরা ছাদে আগে গিয়ে রেখে আসা লেপটা নিয়ে ছাদের রেলিং-এ নিষ্ফল আক্রোশে আছড়াতে থাকে। অনিলা তাঁর স্বাভাবিক পরিস্থিতি, বিচার-বিবেচনা অনুযায়ী বাঁধ দিতে থাকেন মেয়ের এই বয়সের শরীরী আকর্ষণকে। আর মীরার তত জেদ চেপে যায় শ্রীর সঙ্গে জীবনের প্রথম যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টায়। কিন্তু এই মরিয়া হয়ে যাওয়া তাগিদের ফলে, জীবনের প্রথম ‘সেক্স’ খুব একটা আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে না।

……………………………….

পড়ুন মৌপিয়া মুখোপাধ্যায়-এর অন্য লেখা: কখন অন্যকে ‘না’ বলতে হবে, আর কখন নিজেকে ‘হ্যাঁ’ বলতে হবে– এটা জেনে ফেলাই আলোকপ্রাপ্তি

……………………………….

প্রথম দিন শ্রী মীরার বাড়িতে আসার সময় ফুল নিয়ে আসে আর অনিলা মীরাকেই বলে সেটা ফুলদানিতে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে। আর প্রথম সুযোগেই মীরা শ্রীকে জানিয়ে দেয় যে, মায়ের রান্নার প্রশংসা করে বেশি বেশি খেলেই মায়ের মন জেতা যাবে। কিন্তু সেই সঙ্গে মায়ের মন জেতার আরও অব্যর্থ চাবিকাঠি শ্রী বুঝে ফেলে। আর সেটা হচ্ছে মনোযোগ। সে জানে যে প্রত্যেকের এরকম চাবিকাঠি আছে। কিন্তু মীরার মনে হয়, তার মানে মাকে ব্যবহার করছে শ্রী এভাবে? ছদ্ম মনোযোগ দিয়ে? সে মানতে পারে না। এর আগেও শ্রী নিজেদের মধ্যে সৎ থাকার নিয়ম করেও অনেক আপাত ‘নির্দোষ কৌশল’ অবলম্বন করে মীরাকে খুশি করার জন্য, যেগুলো মীরা পরে ধরে ফেলে এবং সরাসরি নস্যাৎ করতে না পারলেও এতটা ‘কৌশলী’ হওয়াটা সে মন থেকে মেনে নিতে পারে না। এমনকী তাদের জন্যই যে শ্রী তার মায়ের ‘চাবিকাঠি’ বুঝে তাকে সেই মতো মনোযোগ দেয়, সেটাও তার কাছে খুব একটা সততার কাজ মনে হয় না। তাই শ্রীর পরের সপ্তাহে বাড়িতে আসার কথায় মীরা চুপ করে থাকলে এবং পেছন থেকে অনিলাও মীরাকেই এই সিদ্ধান্ত নিতে দিলে সে চুপ করে থাকে। মীরা আর অনিলার সংসারে, শ্রীর নিয়ে আসা, শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো টেবিলের ফুলদানি থেকে সরিয়ে নতুন তাজা ফুল সাজানো হয় চুপচাপ। আর ছাদে মায়ের মাথায় তেল মালিশ করে দেয় মীরা স্বেচ্ছায়। মায়ের মাথার তেল আর নিজের চোখের জল একাকার হয়ে যায় কিন্তু মায়ের মাথায় মুখ রেখে মায়ের আদর খেতে থাকে সে। আসলে এত ‘পলিটিক্যালি কারেক্ট’, কৌশলী, ‘ডিপ্লোম্যাট’ পুরুষের দরকার নেই তাদের জীবনে।

Richa Chadha and Ali Fazal's production 'Girls Will Be Girls' to release in France and UK - The Hindu

অসাধারণ একটা চিত্রনাট্য এবং কম কথায়, মীরার ভূমিকায় প্রীতি পানিগ্রাহী, অনিলার ভূমিকায় কানি কুসরুতির যথাযথ অভিনয়ে এবং অন্যান্য যোগ্য সঙ্গতে একটি কিশোরীর চোখ দিয়ে মেয়েদের আবেগ, সততা, ভালোবাসা এবং শরীরের এজেন্সি নিয়ে ‘মেয়েদের মেয়েদের মতো’ হওয়াটা, যেভাবে উপস্থাপিত হয়েছে এই ছবিতে, তা অত্যন্ত ইতিবাচক।

……………………………………………..

ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল

……………………………………………..