ইট পেতে গাছতলায় ছাঁটাই– তাকেই শুনেছি বলা হত ‘ইতালিয়ান’ বা আরও সঠিকভাবে ‘ইটালিয়ান’ সেলুন। আটের দশকে মিঠুন চক্রবর্তীর উত্থান-পর্বে বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয় মিঠুন চক্রবর্তীর চুলের ছাঁট– জুলফি অংশটি ছেঁটে ঘাড়ের কাছের চুল খানিকটা বড় করে তাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে রাখা; এই ছিল মোদ্দা কথা। সে সময়কার উঠতি যুবকরা এই ছাঁটের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। এই ‘ইতালিয়ান সেলুন’-এর ‘হেয়ার ড্রেসার’-রাই কিন্তু চিত্রতারকাদের চুলের বাহারি কাণ্ডগুলি অনায়াস দক্ষতায় ঘটিয়ে ফেলতেন! মিঠুন থেকে ধর্মেন্দ্র কিংবা দেব আনন্দ– সকলের ‘হেয়ার স্টাইল’ ছিল সেসব জবরদস্ত কাটিয়েদের হস্তগত। এই ‘সেলুন’ থেকে নয়ের দশকে বিশেষভাবে মেয়েদের জন্যই চালু হওয়া ‘বিউটি পার্লার’ হয়ে ‘Salon’-র যাত্রাপথে বিলুপ্ত হয়েছে ‘চামড়া’ শব্দটি, বদলে গেছে আমাদের অভ্যাস, দেখার চোখ, ভাবনা।
মনে করুন ‘সোনার কেল্লা’ ছবির সেই চিরকালীন দৃশ্যটির কথা, যে-দৃশ্যে ট্রেনের কামরায় আবির্ভূত হলেন শ্রী লালমোহন গাঙ্গুলি। ‘Hindi self-taught’ বইটি নিয়ে বেশ অনেক দিন ধরেই যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভদ্রলোক– সেকথা ফেলুদা বুঝতে পারে। ‘আপনার ঘড়ির ব্যান্ডের তলায় চামড়ার আসল রংটা মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছে…’ ফেলুদার এই বক্তব্যে চমকে যান রহস্য-রোমাঞ্চ উপন্যাস লেখক জটায়ু, আর আমাদের কান কখনও কখনও আটকে যায় ‘চামড়া’ শব্দটিতে। এই ফেলুদা-উচ্চারিত বাক্যটি বাঙালির প্রাত্যহিক বাচন থেকে হারিয়ে গেছে প্রায় চিরতরে। জনসমক্ষে বহুকাল আমরা ‘ত্বক’ বা ‘skin’ না-বলে আর ‘চামড়া’ বলার সাহস পাই না তেমন। কখনও কখনও এমনকী, ‘ত্বচা’ পর্যন্ত বলে ফেলি। এই পরিবর্তনের নেপথ্যে বিজ্ঞাপনের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ছোটবেলা থেকেই বড় চুলের প্রতি ভালোবাসার কারণে আমার নিজের চুল কাটতে যাওয়ার খুব একটা অভিজ্ঞতা ছিল না। সেই কারণে বন্ধুদের কাছেই কেবল শুনে এসেছিলাম পাড়ার সেলুনে গিয়ে ত্রৈমাসিক বা গ্রীষ্মাবকাশের চুল কাটার গল্প। অনেক পরে বড় হয়ে বাইরে বাইরে থাকতে শুরু করে দেখলাম চুলের অবস্থা সঙ্গীন, ততদিনে জীবনের প্রতি খানিক ঔদাসীন্য এসেছে। মনে হল, চুলই যখন, পুনরায় বেড়ে যাবে, এ ঝামেলা কেটে ফেলাই সমীচীন। ততদিনে সেলুন পর্যায় থেকে আমাদের উন্নতি ঘটেছে ‘বিউটি পার্লার’ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে আরও কিছু বছর অতিক্রান্ত হল এবং চুল যে আর বাড়াব না, এই সিদ্ধান্তে প্রায় অনড় হয়ে পড়লাম, অতঃপর নিয়মিত চুল কাটার দিন এসে পড়ল, তবে কলকাতা, এমনকী, মফস্সলে ততদিনে হলুদ আলো, বিলিতি অথবা নিদেনপক্ষে বলিউডি সংগীত এবং নান্দনিক অন্দরসজ্জায় শোভিত ‘Unisex Family Salon’ রমরমিয়ে চলছে। নিয়মিত মানুষজন সেখানে যাচ্ছেন এবং নানাবিধ ‘self love’ অথবা ‘makeover’ করছেন, বলা বাহুল্য টাকাপয়সার সমস্যা না থাকলে বিষয়টি বেশ আরামপ্রদ বটে। বেশিদিনের কথা নয়, দেড়-দুই দশক আগেও ‘ইউনিসেক্স ফ্যামিলি সালঁ’-র ধারণা সেভাবে মধ্যবিত্ত বাঙালির মধ্যে ছিল না।
ইতোমধ্যে একবার দ্রুত মনে করে নিই নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দি গ্রেট ছাঁটাই’ গল্পটিকে। সেই যে বল্টুদার পিসতুতো ভাই হুলোদার বউভাতের শুভলগ্নে যেদিন পেটরোগা প্যালার কপালেও এমনকী, লুচি-মাংস-পোলাও-চপ-দই-ক্ষীর-দরবেশের সম্ভাবনা নৃত্য করছিল, সেইদিনই তার জীবনে ঘনিয়ে আসে মর্মান্তিক দুর্যোগ। বিয়েবাড়ি যেতে মান রাখতে সেকালেও চুল ছাঁটা অতি আবশ্যিক বলে পরিগণিত হত। প্রথমে ওঁ তারকব্রহ্ম সেলুন, তারপর বিউটি-ডি-সেলুনিকা এবং শেষ পর্যন্ত সুকেশ কর্তনালয়ের মায়াবী হাতছানি উপেক্ষা করে টেনিদার তত্ত্বাবধানে গিয়ে পড়তে হয় গাছতলায় ইট পাতা পরামানিকের সেলুনে। পরের অংশটি অবশ্য আরও করুণ, দু’-ইঞ্চি, তিন ইঞ্চি, পাঁচ ইঞ্চি ছাঁটের চক্করে সম্পূর্ণ ন্যাড়া হওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না; এই যে ইট পেতে গাছতলায় ছাঁটাই– তাকেই শুনেছি বলা হত ‘ইতালিয়ান’ বা আরও সঠিকভাবে ‘ইটালিয়ান’ সেলুন। আটের দশকে মিঠুন চক্রবর্তীর উত্থান-পর্বে বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয় মিঠুন চক্রবর্তীর চুলের ছাঁট– জুলফি অংশটি ছেঁটে ঘাড়ের কাছের চুল খানিকটা বড় করে তাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে রাখা; এই ছিল মোদ্দা কথা। সে সময়কার উঠতি যুবকরা এই ছাঁটের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন।
এই ‘ইতালিয়ান সেলুন’-এর ‘হেয়ার ড্রেসার’-রাই কিন্তু চিত্রতারকাদের চুলের বাহারি কাণ্ডগুলি অনায়াস দক্ষতায় ঘটিয়ে ফেলতেন! মিঠুন থেকে ধর্মেন্দ্র কিংবা দেব আনন্দ– সকলের ‘হেয়ার স্টাইল’ ছিল সেসব জবরদস্ত কাটিয়েদের হস্তগত। এই ‘সেলুন’ থেকে নয়ের দশকে বিশেষভাবে মেয়েদের জন্যই চালু হওয়া ‘বিউটি পার্লার’ হয়ে ‘Salon’-র যাত্রাপথে বিলুপ্ত হয়েছে ‘চামড়া’ শব্দটি, বদলে গেছে আমাদের অভ্যাস, দেখার চোখ, ভাবনা। তবে এর পরবর্তী অংশটির সঙ্গেও পরিচিত প্রায় সকলেই। এই আমাকেই যেমন চুল কাটতে গিয়ে প্রতিবার পড়তে হয় ঘোর বিড়ম্বনায়। যতই মনস্থির করে যান চুল কেটে গভীর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ফেরার পথ ধরবেন, বাড়ি ফেরার সময়ে আপনার ‘ত্বক’-এর শুষ্কতা, ভুরুর অবাধ্যতা, চুলের অসহায়তা, হাত-পা-এর নখের এলোমেলো বেড়ে ওঠা আপনাকে পীড়া দেবেই। আপনি যতই নিরাসক্ত হন না কেন, চুল কেটে অর্থক্ষয়ের হতাশার সঙ্গে আপনাকে পেয়ে বসবে আপনার জন্য ‘অবশ্য-প্রয়োজনীয়’ সেই সব প্রসাধনী দ্রব্যের কথা; মনে হবে এসব না করে সভ্য সমাজে মুখ দেখানোই বেদনাদায়ক। তবে এসব কথা নতুন না, সেই কোন তিন দশকেরও বেশি আগে এ দেশের বাজারকে খুলে দেওয়া হল হাট করে, আর আমরা পড়লাম কঠিন পুঁজিবাদের ফাঁদে; এসব জানতে আমাদের বাকি নেই। তবে সে যতই পরিচিত কথা হোক না কেন, কথাটি ধ্রুবসত্য। সেই যে ‘ওনিডা’ কোম্পানির ঈর্ষার প্রতীক সবুজ শয়তান উড়ে এসে জুড়ে বসল, এবং আমরাও ‘পড়শির ঈর্ষা’-ই যে আমাদের গর্ব, এই ভেবে প্রসন্ন হলাম।
প্রসাধন-সামগ্রীর বিজ্ঞাপন সেকালেও ছিল, একালেও আছে। তার কয়েকখানি দেখে নেওয়া যাক আপাতত।
এই বিজ্ঞাপন গত শতাব্দীর পাঁচের দশকের, বাংলা বিজ্ঞাপনের ধরন যে সময়ে আজকের বিজ্ঞাপনের থেকে ছিল উল্লেখযোগ্য রকম আলাদা। পাঠক দেখতেই পাচ্ছেন, জবাকুসুম চুলের তেলের বিজ্ঞাপনে তেলের গুণাগুণ বিষয়ে প্রায় কোনও কথাই খরচ না করে ব্যবহার করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ‘নিদ্রিতা’ কবিতার সেই অংশটি, যার মধ্যে একটি পঙ্ক্তিতে রয়েছে, ‘মেঘের মতো গুচ্ছ কেশরাশি শিখান ঢাকি পড়েছে ভারে ভারে’… তার সঙ্গে সাদায়-কালোয় এই ছবি মুগ্ধ করে, আজও। রবীন্দ্রনাথের আশ্চর্য শব্দচয়নের মধ্যে থেকে পাঠক যে বিহ্বলতাটুকু খুঁজে পাবেন, সেটুকুই বিজ্ঞাপনটির উদ্দেশ্য।
কখনও আবার ব্যবহার করা হয়েছে ‘কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি’, ‘বধূ’ ইত্যাদি কবিতার চিরকালীন পঙ্ক্তিগুলি। কেবল রবীন্দ্রনাথই নয়, শার্ল বোদলেয়ারের কবিতার বুদ্ধদেব বসু-কৃত অনুবাদ ‘চুল’।
এই বিজ্ঞাপনটি ব্যবহার করছি এ কারণে, ছয়ের দশকের এই বিউলাক্স ক্রিমের বিজ্ঞাপনে পাচ্ছি ‘ত্বক’ শব্দটি। এরই কপির একটি জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে এমন একটি বাক্য, যেখানে লেখা হচ্ছে, ‘বিউলাক্স বিউটি ক্রীম সুগন্ধযুক্ত এবং ল্যামোলিন ও ক্যালামিন সহযোগে তৈরী…’। বলা বাহুল্য, সেই প্রাক্-ইন্টারনেট-পর্বে যে কোনও মুহূর্তে পৃথিবীর যে কোনও শব্দের অর্থ জেনে যাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। কিন্তু বিজ্ঞাপনে উজ্জ্বল-সুন্দর নারীমুখ, তীক্ষ্ণ চিবুক এবং অচেনা শব্দের উপস্থিতিতে পণ্যটিকে যথার্থ মনে হওয়াই বাঞ্ছনীয়, তখনও বিজ্ঞাপনে ফোটোগ্রাফের ব্যবহার সেইভাবে শুরু হয়নি।
এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে, সাতের দশকের প্রথমার্ধে (১৩৮০ বঙ্গাব্দে) সন্তোষকুমার ঘোষ ‘বিউটি ট্রিট্’ নামে একটি উপন্যাস লেখেন। এ কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছেন যে মহিলা, তিনি বিজ্ঞাপন সংস্থায় কর্মরত। সেই উপন্যাসেই দেখি, ‘জাগলারি অফ সাউন্ড’ নাকি বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে খুবই জরুরি, অর্থাৎ পাঠক-ক্রেতা এসব ‘হার্ড সাউনডিং ওয়ার্ড’ পড়লে খুশি হবেন, তা যতই অর্থহীন হোক না কেন। এ প্রসঙ্গে একেবারে শেষে আরেকবার আসা যাবে। তার আগে বোরোলিন, কেয়ো কার্পিন, নিভিয়া ইত্যাদি পণ্যের কয়েকটি বিজ্ঞাপন দেখে নেওয়া যাক।
প্রসাধনী সামগ্রীতে মূলত নারীদের ছবিই ব্যবহার করা হত (যদিও কিছু ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রমও যে ছিল না, তা নয়)। তাদের চুল, ‘ত্বক’, লাবণ্য, সৌন্দর্য নিয়ে বিজ্ঞাপন অবশ্যম্ভাবীভাবে মাথা ঘামিয়েছে; তবে এ-ও ঠিক যে বোরোলিনের মতো ক্রিম যতটা না ছিল প্রসাধনী, তার সঙ্গে একাধারে একটি পারিবারিক পণ্য হিসাবেও তার ভূমিকা ছিল যথেষ্ট। সে ভূমিকা আজ কিছুটা মলিন হলেও একেবারে মুছে যায়নি। একইসঙ্গে কেয়ো কার্পিন তেল, নিভিয়া ইত্যাদিও ব্যবহৃত হয়েছে পারিবারিক ভাবেই। তবে এসবই চার-পাঁচ দশক আগের কথা।
সময় বদলাতে শুরু করে নয়ের দশক থেকে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হতে আরম্ভ করেছে ফোটোগ্রাফ। যদিও তার আগে ‘লাক্স’ দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত চিত্রতারকাদের ছবি ব্যবহার করেছে তাদের বিজ্ঞাপনে।
একটু ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্য করলেই বেশ বোঝা যায় বিজ্ঞাপনপগুলির ধরন বদলাতে আরম্ভ করেছে। সেই ধরনের ‘জাগলারি অফ সাউন্ড, সিগনিফাইং নাথিং’ ক্রমে বেড়ে চলে রমরম করে।
Veet-এর বিজ্ঞাপনটি নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। তবে আপনার পা যদি ওয়্যাক্সিং করা না থাকে, তবে তা কি আর এমন ‘স্মুদনেস এবং উজ্জ্বলতা(!)’-প্রাপ্ত হবে? এটুকু বলে তো ছেড়ে দিলেন ওঁরা, এবার আপনিই ভাবুন কী করবেন? ‘উজ্জ্বলতা’-র মতো আশ্চর্য দুষ্প্রাপ্য বস্তু না পেলে কি আপনার জীবনটাই বৃথা হয়ে যাবে না?
অতঃপর আপনার অল্প অল্প হীনম্মন্যতা হবে। এ হল সেই অস্বস্তি, যা আপনি টের পান ‘সালঁ’-এ গেলে। গিয়েছিলেন হয়তো সামান্য কিছু করতে, ফিরলেন বেশ কয়েকটি হাজার টাকা খরচ করে, না হলেই ‘উজ্জ্বলতা’ ফসকে যায় যদি?
পরের বিজ্ঞাপনটির কপি আমাকে বিস্মিত এবং রোমাঞ্চিত করে। বিজ্ঞাপনটি শ্যাম্পুর, কিন্তু কেমন এই ‘বায়োম্যাচ ইনোভেশনের অভিজ্ঞতা’? কাকে বলে, ‘প্রকৃতির গোপনতা বায়োলাজ ডিকোডস্’? এইসব রাশি রাশি ‘উজ্জ্বলতা’, ‘গোপনতা’র ভিড়ে খানিক দমবন্ধ হয়ে আসার জোগাড় হয়।
……………………………..
ফলো করুন আমাদের ওয়েবসাইট: রোববার.ইন
……………………………..
এসব আমরা যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে দিব্যি বুঝি। কিন্তু তারপর যেই পরেরবার চুল ছাঁটতে যাই, পুনরায় চেপে ধরে সেই অস্বস্তিগুলি। আমার চামড়া, নখ, হাত, পা, চুল, চোখের তলা, ভুরু সবকিছু নিয়ে সচেতন হয়ে পড়ি ফের। এত খারাপ চেহারা নিয়ে মুখ দেখাব কেমন করে? নিশ্চয়ই আমার অবিলম্বে Hyaluronic Acid, Kojic Acid, Niacinamide, AHA-BHA ইত্যাদি বিজাতীয় নামের পদার্থ ব্যবহার করা উচিত, তাহলেই আমি লাভ করব অনন্ত যৌবন, শিশুর মতো ‘ত্বক’। অতঃপর বিজ্ঞাপনের জয়, ‘ডি-লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস-ইয়াক-ইয়াক’।
……………. কাটছাঁট-এর অন্যান্য পর্ব …………….
শুভময় মিত্র-র লেখা: গুরু এই সেলুনেই চুল কাটতেন
ঈপ্সিতা হালদার-এর লেখা: ইতিহাসে অনুপস্থিত ও কাব্যে উপেক্ষিতাদের নিজস্ব বৌদ্ধিক চর্চার আস্তানা ‘সাঁল’ থেকে উঠে আসে উলটপুরাণ
হরিপদ ভৌমিক-এর লেখা: কলকাতায় প্রথম নাপিত ধর্মঘট হয়েছিল ১৪৬ বছর আগে!