ফেলুদা, ব্যোমকেশ, বাঁটুল দি গ্রেট নয়, বাংলার পুতুলশিল্পে ছিল শক্তিমান পুতুলের বহমান ধারা। বর্তমানে তা থিতিয়ে এসেছে। হয়তো শক্তিমানকে বুঝতে খুব একটা বাড়তি মেধা লাগে না। তাই সে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের ‘কাছের মানুষ’ হয়ে উঠতে পেরেছিল। এই প্রসঙ্গে শিল্পী স্বপন পাল ও আরতি পাল জানিয়েছেন যে, বাংলার গোয়েন্দা চরিত্রদের পুতুলে তারা কোনও দিনই পরিণত করেননি।
বহমান সময়ের ধারায় থাকা প্রতিটি দশক জাতির জীবনে ছাপ রেখে যায়। সেই ছাপ শত চটকদার মনোরঞ্জনেও উঠতে চায় না। নয়ের দশক ঠিক এমনই এক সময়ের অধ্যায়, যার রেশ আজও অনুভব করা যায়। আটের দশক বিশ্বায়নের মুক্ত অর্থনীতি দেখেনি কিন্তু নব্বই দেখেছিল। এর পরেও সে কিন্তু নিজের মাটির শিকড় থেকে সরে আসেনি। বিশ্বায়নের চোখ রাঙানি মধ্যে পুতুল নাচ, যাত্রাপালা, বিশ্বকর্মা পুজোর আগে রাত জেগে সুতোয় মাঞ্জা দেওয়া, রথযাত্রায় শিশুদের উচ্ছাস অবিরত ধারায় এগিয়ে গিয়েছিল। ভিডিও গেম তখনও ছিল, স্যাটেলাইট চ্যানেল মধ্যবিত্তের ভাষায় কেবল টিভি হয়ে রাজ করছিল কিন্তু তার মধ্যেও বাঙালি মাটির টানকে ভুলতে দেয়নি। আর তাই দালের মেহেন্দির ভাংরা বিট ও আলিশা চিনোয়ের ইন্ডি পপের মধ্যেও কার্তিক মাসের নগর কীর্তনের ধারা সে বজায় রেখেছিল। মাইকেল জ্যাকসনের বিশ্বজোড়া খ্যাতির মাঝেও নচিকেতা-অঞ্জন-সুমন-শিলাজিৎ সেই সময়ের তরুণদের মনে রামধনু একেছিল। এমন আবহে দূরদর্শন আলো করে এসেছিল এক দেশি সুপার হিরো। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের অনুপম মিশেলে গড়া যার গল্প সেই শক্তিমান। আর তাকে নিয়েই সেই সময় তৈরি হল মাটির পুতুল।
সুপারম্যান ক্রিপটন গ্রহের মহাজাগতিক শক্তি পেয়েছিল, পিটার পার্কারকে মাকড়সায় কামড়ে ছিল বলেই সে স্পাইডারম্যান হয়েছিল, ব্রুস ওয়েন কোটি কোটি ডলারের শক্তি নিয়ে ব্যাটম্যান হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু গুটিংগা গ্রামের গঙ্গাধর বিদ্যাধর মায়াধর ওঙ্কারনাথ শাস্ত্রীর কোনটাই ছিল না। তাই সে যোগবলে নিজের কুণ্ডলিনী শক্তিকে জাগিয়ে তুলে পঞ্চতত্ত্ব অর্থাৎ পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়ু, আকাশ থেকে নিজের শক্তি অর্জন করে শক্তিমান হয়েছিলেন। হিমালয়ের অজ্ঞাত গুহায় থাকা সূর্যবংশীয়রা ছোটবেলা থেকে লালন পালন করে বড় করে তোলেন। আবার সিরিয়ালের গল্প যত এগিয়েছে তত হলিউড শৈলীর ভিনগ্রহী, দুষ্টু বিজ্ঞানী, সময়ের যাত্রা অর্থাৎ টাইম ট্রেভেল, মমির প্লট এসেছে। একদিকে প্রাচ্য অন্যদিকে পাশ্চাত্য। এই দুইয়ের মেলবন্ধন শক্তিমানকে বাঙালির ঘরের ছেলে করে তুলেছিল। তার প্রভাব পড়েছিল বাংলার পুতুল শিল্পে। জন্ম নিয়েছিল শক্তিমান পুতুল। লক্ষণীয় ওই একই সময় মিলিন্দ সোমনের সাই-ফাই সিরিয়াল ক্যাপ্টেন ভিয়ম মহাকাশে দাপিয়ে বেড়ালেও শক্তিমানের মতো জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। পাশাপাশি চিত্রনাট্যে শক্তিমানের সহজ সরল আটপৌরে জীবনযাপন সমাজতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন বাঙালিকে আকর্ষণ করেছিল।
এখনও শক্তিমান পুতুলের ধারা বজায় রেখেছেন বাংলার একাধিক শিল্পী। এই পুতুলের ধারা বর্তমানে ক্ষয়িষ্ণু হলেও সে অক্ষত শিল্পীদের মরমি হাতের ছোঁয়ায়। সেই ছোঁয়ার অধিকারী যারা তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বছর ৬০-এর মৃৎশিল্পী স্বপন পাল। প্রায় চার দশক ধরে মাটির পুতুল হুগলির শ্রীরামপুরের বুকে বানিয়ে চলেছেন। শক্তিমান পুতুল নিয়ে প্রশ্ন করা মাত্রই চোখ দু’টি আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে বরিষ্ঠ শিল্পীর। একটা সময়ে বছরে দশ হাজার শক্তিমান পুতুল বানিয়ে বিক্রি করতেন তিনি। চাহিদা এমন ছিল যে, মেলায় পুতুলের ঝোলা খোলা আগেই শিশুরা মা-বাবাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। শক্তিমান পুতুল দিয়ে কুলোনো যেত না। এমনকী, সেই সময়ের বিভিন্ন মেলায় শুধু শক্তিমান পুতুলগুলোকে পেটি করে ভ্যান রিকশায় করে নিয়ে যেতে হত। সেই কাজ করা একার সাধ্য ছিল না। ফলে পরিবারের সকলে শক্তিমান পুতুল নির্মাণ ও বিক্রির প্রক্রিয়ায় অংশ নিত। শক্তিমান পুতুল নিয়ে একটা মজার গল্পও শোনালেন তিনি। একবার হাওড়ার বেলুড়ে কোনও এক মেলায় মাটির পুতুল নিয়ে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে বেশিরভাগ ছিল শক্তিমান পুতুল ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের মূর্তি। মেলা শেষে দেখা গেল, সব শক্তিমান পুতুল বিক্রি হয়ে গেছে। পড়ে রয়েছে ঠাকুর রামকৃষ্ণের মূর্তি। এমনকী, শক্তিমান পুতুল না পেলে শিশুরা কান্নাকাটি করত। কিন্তু এ সবই আজ প্রায় ২০ বছর আগের কথা। এখন চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে আক্ষেপ করেন তিনি। স্বপন পালের তৈরি শক্তিমান পুতুলের বিন্যাস করতে গিয়ে প্রথমেই গুরুত্ব দিতে হবে সমাজের শ্রেণিবৈষম্যকে। কারণ নয়ের দশকে আর্থিকভাবে একটু পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলোর বাড়িতে থাকত সাদা-কালো টিভি। আর সেই টিভিতে শক্তিমানের লাল পোশাক কালো দেখাত। যদিও বুকের চক্র, কোমর বন্ধ, বাহু এবং কবজিতে থাকা বর্ম সোনালি রঙের সেটা কিছুটা বোঝা যেত।
তারই প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে স্বপনবাবুর তৈরি শক্তিমান পুতুলে। পুতুলটি দুই খোল ছাঁচের কাঁচা মাটির তৈরি। একটি মাটির স্তম্ভের ওপর সেটি দাড় করানো। শক্তিমানের দাড়ানোর দু’টি শৈলীর পুতুল শিল্পী তৈরি করতেন। একটিতে থাকত শক্তিমানের দু’টি হাত কোমরের মধ্যে রাখা অপরটি ছিল একটি হাত থাকবে কোমরে অন্যটি আকাশের দিকে তর্জনী ছুড়ে দেবে। অর্থাৎ গোল গোল ঘোরার আগে শক্তিমান যে প্রস্তুতি নিত এটা সেই শৈলীর। বড় চোখ নিয়ে মুখে অভয়মিশ্রিত হাসি। মাথার চুল টিভির পর্দার শক্তিমানের মতোই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লাল পোশাকের শক্তিমানও বানাতেন শিল্পী। এখানে বলা দরকার, ১৯৯৭ সালে দূরদর্শনে প্রথমবারের জন্য শক্তিমানের সম্প্রচার শুরু হয়। সেই সময় কিন্তু ব্যাটারিচালিত রিমোট কনট্রোল খেলনা সহজলভ্য ছিল। তার মধ্যেও মাটির তৈরি একটি সুপারহিরোর পুতুল যেন পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে প্রাচ্যের লোকজ ধারার প্রতিরোধ হয়ে উঠেছিল। স্বপনবাবুর কথায় শক্তিমান সম্প্রচার শুরু হওয়ার পর প্রথম দশ বছর এই পুতুলকে নিয়ে সাড়া জাগানো উন্মাদনা ছিল শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে। কালক্রমে তা কমতে থাকে। আগে প্রায় এক ফুট উচ্চতার শক্তিমান পুতুল তৈরি করতেন তিনি। এখন দশ ইঞ্চি উচ্চতার শক্তিমান পুতুল তৈরি করেন। টিভিতে শক্তিমানকে দেখে এই শৈলীর পুতুল তৈরির অণুপ্রেরণা পান। মাত্র দশটি শক্তিমান পুতুল দিয়ে তৈরি হয় পথচলা সেটা স্পর্শ করে দশ হাজারে। চড়ক, রথযাত্রা, ঝুলন যাত্রার মেলা ছাড়াও ১২ মাসই চলত শক্তিমান পুতুলের ধারা।
শক্তিমান পুতুল নিয়ে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে শ্রীরামপুর রাজ্যধরপুরের বরিষ্ঠ মৃৎশিল্পী আরতি পাল বলেন যে, টিভিতে শক্তিমানের সম্প্রচার শুরু হতেই পুতুল তৈরি সিদ্ধান্ত নেন তাঁর বাবা নারায়ণচন্দ্র পাল। একটি পুলিশ পুতুলের হাত কেটে, টুপি ফেলে দিয়ে, নতুন করে আলগা হাত ও মাথার চুল লাগিয়ে তৈরি করা হয় শক্তিমান পুতুল। চাহিদা এমন ছিল যে রাতে বানিয়ে রাখা শক্তিমান পরের দিন সকালেই বিক্রি হয়ে যেত। প্রথম দিকে সাদা-কালো টিভি দেখে শক্তিমানের পোশাকের রং কালো করলেও পরবর্তীতে সেটা লালে পরিণত হয়। স্বপন পালের তৈরি শক্তিমানের সঙ্গে আরতি পালের তৈরি পুতুলের একটা বড় ফারাক করে দিয়েছে চক্র। স্বপন পাল যেখানে শক্তিমানের বুকের ওপরে থাকা চক্র ছাঁচ দিয়ে গড়েছেন সেখানে আরতি পাল কিন্তু শক্তিমানের শরীরে থাকা সেই চক্র নিজের অনুপম তুলির টানে একেছেন। ওইটুকু পরিসরের মধ্যে তুলির স্বতস্ফূর্ত ছন্দ শিল্প রসিকদের মোহিত করতে বাধ্য। এখন প্রায় পাঁচ দশক ধরে পুতুল বানিয়ে চলেছেন আরতি পাল। এই বয়সেও তুলি কিন্তু সুনিপুণ ছন্দে কথা বলে চলেছে। শিল্পী জানিয়েছেন, আগে শক্তিমান ছাড়াও তার সাধারণ সত্তা গঙ্গাধর, বান্ধবী গীতা বিশ্বাস, দুষ্টু বিজ্ঞানী জয়কাল, কিলবিশ বানাতেন। কালক্রমে আজ হাতে গোনা কয়েকটি শক্তিমান বানান তিনি। আরতি পালের তৈরি শক্তিমান পুতুলের উচ্চতা ছয় ইঞ্চির মতো। এক খোল ছাঁচ। কাঁচা মাটির। কেশবিন্যাস টিভির শক্তিমানের মতো। চোখ দু’টি বড়। মুখ গোলগাল। হালকা হাসি মুখে খেলে বেড়াচ্ছে। পেটের দিকটি একটু উঁচু। আসলে শক্তিমান রূপী মুকেশ খান্না মাঝবয়সে এসে শক্তিমান হয়েছিলেন। ফলে মাঝবয়সি পুরুষের যে দেহভাব হওয়া উচিত তার পুরোটাই স্বপন পাল ও আরতি পালের তৈরি পুতুলে দেখা যায়। শক্তিমানের কোমর বন্ধ, কবজি ও বাহুর বর্ম তৈরি করতে স্বপন পাল আলাদা মাটি ব্যবহার করেছেন সেখানে আরতি পাল এই সকল জায়গা হাতে এঁকেছেন।
ফেলুদা, ব্যোমকেশ, চাঁদের পাহাড়ের শঙ্কর বাঙালির মনে শিহরন জাগালেও বাংলার পুতুল শিল্পে তারা কল্কে পায়নি। অথচ শক্তিমান বঙ্গ-লোকসংস্কৃতির আপনজন হয়ে উঠল। হয়তো তাকে বুঝতে খুব একটা বাড়তি মেধা লাগে না। তাই সে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কাছের মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছিল। এই প্রসঙ্গে স্বপন পাল ও আরতি পাল জানিয়েছেন যে, বাংলার গোয়েন্দা চরিত্রদের পুতুলে তারা কোনও দিনই পরিণত করেননি।
হুগলির চুঁচুড়ার দুই শিল্পী গোকুল পাল ও উজ্জ্বল পালের শক্তিমান পুতুল আবার স্থূলতা নেই। পেশিবহুল চেহারা। কিন্তু মুখের বিন্যাসে স্থূলতা বিদ্যমান। আজও রথ ও চড়কের মেলায় শক্তিমান পুতুল তৈরি করেন এই দুই শিল্পী। তাদের তৈরি শক্তিমান পুতুল দুই খোল ছাঁচের। অন্যান্য শিল্পীর তুলনায় গোকুল পালের তৈরি শক্তিমান পুতুলের পিছন দিকেও চক্র রয়েছে। কবজি বর্মে বড়। মুখের ভঙ্গিতে নায়কোচিত মনোভাব লক্ষ করা যায়।
পূর্ব বর্ধমানের দাইহাট পাতাইহাটের শিল্পী রঞ্জন পালের তৈরি পুতুলগুলোতে পূর্ববঙ্গীয় শৈলীর ভাব লক্ষ্য করা যায়। এ বিষয়ে প্রথম আলোকপাত করেছিলেন লোকসংস্কৃতি গবেষক স্বপন ঠাকুর। সেই রঞ্জন পালও ছাঁচের পোড়ামাটির শক্তিমান পুতুল তৈরি করেন। তাঁর তুলির টানে শক্তিমানের মুখের অভিব্যক্তিতে পূর্ববঙ্গীয় শৈলীর ছোঁয়া রয়েছে। মুকেশ খান্নার স্থূলভাব প্রকাশ পেয়েছে এই পুতুলে। কেশবিন্যাসে সাতের দশকের ছোঁয়া। চোখের মধ্যে বাঙালির শান্ত ছেলের মনোভাব। শহর কলকাতা থেকে এত দূরে শক্তিমানকে নিয়ে সাধারণের আবেগ জন্ম দিয়েছে এই পুতুলকে। যদিও কালের নিয়মে এই পুতুল অবলুপ্তির দিকে এগিয়ে চলেছে।
………………………………………
আরও পড়ুন শুভঙ্কর দাস-এর লেখা: ঘাড় নাড়া পুতুলের আদিরূপ কি যক্ষের মূর্তি?
………………………………………
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপে সুপার হিরোদের ‘realistic action figure’ বা বাস্তবধর্মী ছোট সংস্করণ সংগ্রহের ঐতিহ্য রয়েছে। এমনকী, চিনে হলিউড সুপার হিরোদের ব্যাটারিচালিত খেলনা তৈরির একটা বিশাল শিল্প রয়েছে। এত প্রতিকূলতার মাঝেও সমানে লড়ে গিয়েছে বাংলার মৃৎশিল্পীদের তৈরি শক্তিমান পুতুল। শক্তিমানের পরবর্তী সময়ে ঋত্বিক রোশন কৃশ হয়ে বড় পর্দা কাঁপালেও গ্রাম্যসমাজে সে দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়েছে। ফারাকটা গড়ে দিয়েছে মুকেশ খান্নার অভিনয়। গড়পড়তা বাঙালি হিন্দি খুব একটা ভালো না বুঝলেও মুকেশের অভিনয়ের নিজস্ব ভাষ্য হৃদয় ছুঁয়ে গেছে আট থেকে আশির। উল্লেখ করা যেতে পারে, আটের দশকে কমিক্স গল্পের মাধ্যমে অমিতাভ বচ্চনকে সুপারহিরো করে জনপ্রিয় করতে চেয়েছিলেন গুলজার। কিন্তু তা কখনই শক্তিমানের মতো জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি অপপ্রচার রুখতে ও তরুণ প্রজন্মকে যুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রটির জন্ম হয়েছিল। রাজনীতির থেকে সুপারহিরোর জন্ম মার্কিন দেশে হলেও শক্তিমান জন্ম নিয়েছিল একটা দেশি সুপারহিরো চাহিদা মেটাতে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে শক্তিমান চরিত্রে আরও বিস্তার দরকার ছিল। প্রয়োজন ছিল নতুন মুখের। সেটা না-হওয়ায় হারিয়ে যেতে বসে সে। আজ এই ২০২৪ নতুন করে উস্কে উঠেছে শক্তিমানকে নিয়ে ছবির কথা। নতুন করে আবারও বুক বাঁধছে বাঙালি মৃৎশিল্পীরা।
……………………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
……………………………………….
আমবাগানে গজল-সম্রাজ্ঞীকে গোর দেওয়া হয়ে যাওয়ার পর, রাত জেগে শাহিদ লেখেন ‘In Memory of Begum Akhtar’ নামে একটি কবিতা, যে কবিতাটা পরে উৎসর্গ করেছিলেন সেলিমকে। এর বেশ কয়েক বছর পর শাহিদের একটা কবিতার বই বের হয় ‘In Memory of Begum Akhtar’ নামে।