টেবিল ফ্যান বলতে মনে পড়ল দেশের বাড়ির টেবিল ফ্যানের কথা। আমার ঠাকুরমার সঙ্গী ছিল একটা রেডিও আর টেবিল-ফ্যান। ফ্যান চালানোর পর খানিক বাদে এর মাথা আস্তে আস্তে ঘুরে যেত আর এক জায়গায় গিয়ে থামত। কোনওদিন ২০° ঘুরল, তো পরের দিন ৩০°, তার পরের দিন ৪৫°, তার পরের দিন আবার ঘুরলই না। এই ফ্যানের মর্জি শুধু ঠাকুরমা জানতেন, আর সেই অনুযায়ী ফ্যানের সামনে মাদুর পেতে বারান্দায় শুতেন। অদ্ভুত ব্যাপার, ঠাকুরমা মারা যাওয়ার পর ফ্যানটা চলা বন্ধ করে দিল। তাকে বোঝার মতো কেউ রইল না, সেই অভিমানে বোধহয়!
সেকাল
আমাদের ছোটবেলায় মিশিমাখা শিখিপাখা ছিল, আর ছিল এসি পাখা, ডিসি পাখা। অল্টারনেটিং কারেন্ট আর ডায়রেক্ট কারেন্ট জানার আট বছর আগেই এই জ্ঞানপ্রাপ্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের গলিতে টিভি ছিল শুধু ছোটনদাদের বাড়িতে আর খুঁড়িদিদের বাড়িতে। খেলা, চিচিংফাঁক বা সিনেমা দেখতে সবাই ওদের বাড়িতে গিয়ে হাজির হতাম, বিশেষ করে ছোটনদাদের বাড়িতে, কারণ খুঁড়িদির মা টিভির প্রতিটি দৃশ্যের রানিং কমেন্ট্রি দিতেন। ওদের ছোটকাকা অফিস থেকে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরলে দেখতেন যে, ঘরে একপাল ছেলে বসে টিভি দেখছে। প্রাইভেসির দফারফা! উনি ওঁর ঘরে গিয়ে ফ্যান চালিয়ে দিতেন আর টিভিতে ঘটাং-ঘটাং শুরু হয়ে যেত। আমরা বুঝে যেতাম, এবার বাড়ি ফেরত যেতে হবে।
ঈশ্বরের আশীর্বাদে এই ছোটকাকা কলকাতার বাইরে ট্রান্সফার হয়ে গেলেন। কিন্তু ঝামেলা কি কমল? দেখা গেল যে, ছোটকাকার ঘরে তালা, কিন্তু টিভিতে সেই ঘটাং-ঘটাং। খোঁজ পড়ে গেল গলিতে আর কার বাড়িতে ডিসি পাখা আছে। খুঁজে খুঁজে বার হল– হাড়ি-কলসির বাড়ি (ভদ্রলোকের নাম প্রায় কেউই জানত না, মানিকতলা বাজারে হাড়ি-কলসির দোকান ছিল বলে সবাই তাঁকে এই নামেই চিনত)। ভদ্রলোক সকালে বেরিয়ে যেতেন আর রাতে ফিরতেন দোকান থেকে, তাই এই আপদের কথা জানা ছিল না। কিন্তু ওঁর বাবা এসেছেন, এখন কয়েকমাস থাকবেন। সদলবলে মানিকতলার বাজারে হানা দেওয়া হল। নির্বিরোধী ভদ্রলোক আমাদের অভিযোগ শুনে ঘাবড়ে গেলেন। অবশেষে রফা হল গৌতমদাদের বাড়ি থেকে ওঁকে টেবিল ফ্যান দেওয়া হবে এক সপ্তাহের জন্য, এর মধ্যে উনি ওঁর ফ্যানের কার্বন বদলাবেন– ইলেকট্রিশিয়ান পাড়ার লোকই জোগাড় করে দেবে, উনি শুধু খরচটা দেবেন। সেই খরচা দিতে ভদ্রলোক নিমরাজি হতে কালু বলল, ‘কিছু দিতে হবে না, আমিই করে দেব!’ কালুর পাকামিকে সবাই ভয় পেত, কিন্তু সেই দফায় ডোবায়নি। ফ্যান নামিয়ে স্ক্রু খুলে স্প্রিং বের করতে কার্বন বেরিয়ে এল। কালু সেটাকে ঘষে ঘষে মসৃণ করে ফিট করে হাঁক দিল– ‘টিভি চালিয়ে দেখে নাও!’ পুরস্কারস্বরূপ কালুকে বৈকালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের দুটো রাজভোগ খাওয়ানো হয়েছিল।
টেবিল ফ্যান বলতে মনে পড়ল দেশের বাড়ির টেবিল ফ্যানের কথা। ঘরে একটা সিলিং ফ্যান ছিল, কিন্তু আমার ঠাকুরমার সঙ্গী ছিল একটা রেডিও আর টেবিল-ফ্যান। কেশব নাগ এই ফ্যানের কথা জানলে নির্ঘাত এই টেবিল ফ্যানটা দিয়ে জ্যামিতির প্রশ্ন সেট করতেন। ফ্যান চালানোর পর খানিক বাদে এর মাথা আস্তে আস্তে ঘুরে যেত আর এক জায়গায় গিয়ে থামত। কিন্তু কোথায় গিয়ে থামবে, সেটা নির্দিষ্ট ছিল না। অন্তত আমাদের কারও জানা ছিল না। কোনও দিন ২০° ঘুরল, তো পরের দিন ৩০°, তার পরের দিন ৪৫°, তার পরের দিন আবার ঘুরলই না। এই ফ্যানের মর্জি শুধু ঠাকুরমা জানতেন, আর সেই অনুযায়ী ফ্যানের সামনে মাদুর পেতে বারান্দায় শুতেন। অদ্ভুত ব্যাপার, ঠাকুরমা মারা যাওয়ার পর ফ্যানটা চলা বন্ধ করে দিল। তাকে বোঝার মতো কেউ রইল না, সেই অভিমানে বোধহয়!
কালীপুজো থেকে দোল– বাড়িতে ফ্যান চলবে না, এই রকমই একটা নিয়ম ছিল। যদি ফাল্গুনের শেষেও দোল হত, এই নিয়মের কোনও পরিবর্তন হত না। সেই সময়ে অনেক বাড়িতে ফ্যান খুলে রাখা হত, বা ইলেকট্রিশিয়ানের কাছে পাঠানো হত সার্ভিস করার জন্য। কোনও বাড়িতে ফ্যানের ব্লেডে খবরের কাগজ মুড়ে রাখা হত, যাতে ময়লা না জমে। এই রকম একজনের বাড়িতে গিয়ে ঘরে মাজারের সামনে পায়রা ওড়ার আওয়াজ শুনেছিলাম, যখন বাড়ির মালিক লাইটের সুইচ জ্বালাতে গিয়ে ভুল করে ফ্যানের সুইচ অন করে ফেলেছিল!
কেউ কেউ বাড়িতে ফ্যানের ব্লেডই খুলে রেখে দিত– ফ্যান চালালে শুধু সেন্টারটাই ঘুরত। গোয়াবাগানের পুটুর দুটো হাতই বোমা ছুড়তে গিয়ে উড়ে গিয়েছিল, ওর খুব অভিমান হয়েছিল যখন দীপ ওকে বলেছিল, ব্লেড ছাড়া ফ্যানের মতো ওকে দেখতে লাগছে। দীপের বাড়িতে অনেক কিছুই অদ্ভুত ছিল। একদিন ঘরের মেঝে থেকে একটা কাপড় সরিয়ে বলল, ‘নিচে চল, মা খাবার দিয়ে দিয়েছে।’ কী করে জানল, জিজ্ঞেস করতে দেখাল ঘরের মেঝেতে একটা কাপড় গোঁজা, সেটা সরালেই নিচের ঘরে কী হচ্ছে দেখা যায়। ওর ঘরেই প্রথম আর শেষ দেখেছিলাম– ফ্যান ক্লক-ওয়াইজ ঘুরছে, সারারাত অস্বস্তিতে ঘুম হয়নি।
ছাত্রকাল
ইশকুলে পড়ার সময় শুনেছি, অন্য ইশকুলের ছেলেরা শীতকালে ফ্যানের ব্লেড ধরে ঝুলে পদ্মফুলের শেপ করে দিত, কিন্তু আমাদের মিশনারি ইশকুলে কারও ঘাড়ে মাথা ছিল না এইরকম বাঁদরামি করার। কিন্তু ক্লাসের নিরীহ ভালোমানুষ ছেলে স্নেহাশিসের যে কী রাগ ছিল ভূগোলের মাস্টারমশাই মি. তিওয়ারির ওপর, কে জানে! কোনও দিন জামায় কালি ছেটাল, তো কোনও দিন প্যান্টে চকের দাগ লাগিয়ে দিল। একবার একটু বাড়াবাড়ি করে টিচারের মাথার ওপরে ফ্যানের মাথায় নস্যি ছড়িয়ে রেখেছিল। স্যর এসে ফ্যান চালাতেই একনাগাড়ে হাঁচি শুরু হল, প্রথমে স্যরের, তারপরে সামনের বেঞ্চে বসা ছেলেদের। ক্লাসের ছেলেরা ওকে মারতে বাকি রেখেছিল শুধু!
’৭০ আর ’৮০-র লোডশেডিং যুগে যখন পাড়া অন্ধকারে ডুবে যেত, তখন পাশের বাড়ির গ্যাঁড়া রোজ হাঁক দিত– ‘জ্যোতিবাবুর জ্যোতি গেল’। আমাদের বাড়িতে কারেন্ট যেত না, কারণ বাড়িওয়ালি ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্না। ছয়ের দশকে তিনি যখন বাড়ি কেনেন, তখন কলকাতার অভিধানে ‘লোডশেডিং’ শব্দটা স্থান পায়নি। তবু তিনি তাঁর প্রতিপত্তির জোরে কাছাকাছি হোমিওপ্যাথি কলেজের থেকে লাইনের ব্যবস্থা করেছিলেন, যাতে কখনও বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের মধ্যে না পড়তে হয়। সকলে যখন অন্ধকারে গরমে ঘামছে, আমাদের মাথার ওপরে ফ্যান ঘুরছে। এই নিয়ে যে বিস্তর শাপশাপান্ত হয়েছে, বুঝতে পারলাম যখন আমার গোল্লায় যাওয়া রুখতে ক্লাস ইলেভেনে বাবা এক আবাসিক বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিলেন।
…………………………….
’৭০ আর ’৮০-র লোডশেডিং যুগে যখন পাড়া অন্ধকারে ডুবে যেত, তখন পাশের বাড়ির গ্যাঁড়া রোজ হাঁক দিত– ‘জ্যোতিবাবুর জ্যোতি গেল’। আমাদের বাড়িতে কারেন্ট যেত না, কারণ বাড়িওয়ালি ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্না। ছয়ের দশকে তিনি যখন বাড়ি কেনেন, তখন কলকাতার অভিধানে ‘লোডশেডিং’ শব্দটা স্থান পায়নি। তবু তিনি তাঁর প্রতিপত্তির জোরে কাছাকাছি হোমিওপ্যাথি কলেজের থেকে লাইনের ব্যবস্থা করেছিলেন, যাতে কখনও বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের মধ্যে না পড়তে হয়।
…………………………….
ব্রহ্মচর্য শিক্ষা সেখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই ঘরে লাইট থাকলেও ফ্যান ছিল না। প্রথম দুই রাত্তির ঘুম হল না, কিন্তু তারপরে বাকি রুমমেটদের মতো হাতপাখায় অভ্যেস হয়ে গেল। হাতপাখা ঘোরাতে ঘোরাতে ঘুমিয়ে পড়তাম, আবার ঘুম ভাঙলে হাত স্বয়ংক্রিয় হয়ে আবার পাখা ঘোরাতে শুরু করত। এই অভ্যাস এতটাই গাঢ়ভাবে সিস্টেমে ঢুকে গেল যে, আজও দৈবাৎ বিদ্যুৎ গোলযোগ হলে আমার ডিম্যান্ড বেড়ে যায়– আমার পাশে শুলে নাকি সারা রাত হাওয়া পাওয়া যায়, কারণ আমি নাকি ঘুমিয়েও পাখা টানি!
ক্রান্তিকাল
ফ্যান কীভাবে হরিকে বিপথ থেকে ফিরিয়ে এনেছিল, তা না জানালে লেখাটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
কলেজের হরির ভোকাল কর্ডে একটা সমস্যা হয়েছিল ইশকুলে পড়াকালীন। সেই থেকে ওর গলার আওয়াজটা অদ্ভুত সরু হয়ে গিয়েছিল– হুইসিলের আওয়াজের মতো। অচেনা লোক দেখলে এক অন্য গলায় কথা বলত, কিন্তু বেশিক্ষণ পারত না, তাই নিজের চেনা চৌহদ্দির বাইরে বেশ গম্ভীর থাকত। সেই হরি প্রেমে পড়ল! হরি ভালো লিখত আর মুক্তোর মতো হাতের লেখা ছিল। প্রেমপত্র পেয়ে ইম্প্রেস্ড হয়ে সেই মেয়েটি হরির সঙ্গে হেদুয়ায় দেখা করল। প্রথম দিন ভালোই গেল। হরি নকল গলায় কয়েকটা কথা বলল, মেয়েটা তাতে আরও ইম্প্রেস্ড হয়ে গেল।
দু’-চারদিন বাদে আবার ওরা দেখা করল। মেয়েটা বিভিন্ন কথাবার্তা বলে চলে আর হরি মোনো-সিলেবিলে বা খুব জোর দুই বাক্যে উত্তর দেয়। এইভাবে কয়েক দিন চলার পর মেয়েটা বিদ্রোহ ঘোষণা করল, ‘এই রকম করলে আমি কথাও বলব না, দেখাও করবো না। আমি বকবক করে চলি আর তুমি কথাই বলো না– ফাজলামি হচ্ছে!’ বেগতিক দেখে হরি কথা বলতে শুরু করল আর অচিরেই বেরিয়ে পড়ল হরির আসল গলা! মেয়েটা নাকি বিস্ফোরিত চোখে হরির দিকে চেয়ে ‘ওরে বাবা রে!’ বলে দৌড়ে কলেজে ফেরত এসেছিল।
যে কোনও মানুষের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে মশকরা করা গর্হিত অন্যায়– কিন্তু সেই বয়সের ছেলেমেয়েদের এইসব বোধবুদ্ধি কমই থাকে। তাই সেই ঘটনার পর থেকে হরি হয়ে গেল কলেজের মেয়েদের খোরাক। হরি মনের দুঃখে বাংলা মদ খাওয়া শুরু করল। আজ থেকে ৩৫ বছর আগে বাঙালির আর বাংলা মদের এক আলাদা তেজ ছিল– সেই সময়ের বাংলা সেবনকারীরা একবাক্যে এ-কথা মানবেন। গলা বেশ ভালোই জ্বলত। হরিকে বন্ধুরা বলল, এই বাংলা গলা দিয়ে রোজ নামলে যে আওয়াজ বেরচ্ছে, সেটায় আরও বারোটা বাজার সমূহ সম্ভাবনা। হরি তখন সোনাগাছি যাওয়া শুরু করল!
এর কোনও জুতসই প্রতিরোধ বন্ধু হিসেবে আমরা গড়ে তুলতে পারলাম না। তার অন্যতম কারণ হরির অভিজ্ঞতার রসালো বর্ণনা। হরির বাবা ছিলেন ব্যাঙ্কের পদস্থ আধিকারিক, কোথাও থেকে খবর পেয়েছিলেন যে, ছেলে উচ্ছন্নে যাচ্ছে, তাই ছেলের হাতখরচ বন্ধ করে দিয়ে দিনে দু’-টাকা দেওয়া শুরু করলেন। কিন্তু হরির অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল, তাই সেই দু’-টাকা থেকে বাঁচিয়ে এক সপ্তাহ বাদে দশ টাকা জমিয়ে সে আবার সোনাগাছি গেল। যে ঘরটায় গিয়েছিল, সেটার সিলিং ফ্যান থেকে একটা তার সরাসরি চৌকির পায়ের সঙ্গে টেপা সুইচ সমেত জড়ানো ছিল। এক সপ্তাহ বাদে গিয়ে হরি এমন বন্য হাতির মতো কাণ্ডকারখানা করল যে, চৌকির দুলুনির চোটে তারে টান পড়ে ঝুপড়ি ঘরের বাঁশে আটকানো সিলিং ফ্যান সোজা হরির নিতম্বে ভেঙে পড়ে। হরি ওই অবস্থায় একটা বুদ্ধিমানের কাজ করেছিল– সোনাগাছির লোকাল ছেলেদের দিয়ে আমাদের খবর পাঠায়। ভাগ্যক্রমে কোমরে না পড়ে ফ্যান নিতম্বে পড়েছিল। মেডিকেল কলেজে গিয়ে শুশ্রুষা করা হয় আর হরির বাবাকে খবর দেওয়া হয় ফুটবল খেলতে গিয়ে এই কাণ্ড হয়েছে। এই ঘটনার পর হরি সোনাগাছি থেকে মন সরিয়ে পড়ায় মন দেয়, আর এখন সেও এক ব্যাঙ্কের পদস্থ আধিকারিক।
প্রৌঢ়কাল
অনেক ঘাটের জল খেয়ে এখন কলেজে পড়াই। সারা কেরিয়ার এসি-তে বসে কাটিয়ে আবার ফ্যানের তলায় ফেরত। সুখ সারাজীবন থাকে না। অন্যদের অফিসের ঘরে ফ্যান চললেও আমার ঘরে বেশিরভাগ সময় ফ্যান বন্ধ। কলেজে যার সঙ্গে রুম শেয়ার করি, সেই পূরবী ম্যাডামের শীতের ব্যামো– এই ঘোর গরমেও ফ্যান অফ করে বসে থাকে। বিশ্বাস করুন, ঘরে মাঝে মাঝে এসি চলে বলে এই ভয়াবহ গরমেও রোজ সোয়েটার পরে বসে থাকে– আজও আছে। এসি দূরে থাক, ফ্যান ঘুরলেও কোঁকায়! আর আমি ক্লাসে গেলে ফ্যান অফ করে দেয়। যেমন খানিক আগেও করেছে। আর আমি বন্ধ ফ্যানের নিচে বসে ঘামছি। আর ‘মিশিমাখা শিখিপাখা’ গুনগুন করছি।
……………………………….
ফলো করুন আমাদের ওয়েবপেজ: রোববার ডিজিটাল
……………………………….
শেষের দিকে তাঁর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন তাঁর মেয়ে শিষ্যরা—শান্তি হিরানন্দ, অঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায়, রীতা গাঙ্গুলি। সকলেই মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেন, বেগম আখতার তাঁদের মাতৃসম স্নেহে মুড়ে রেখেছিলেন। এ মাতৃত্ব তাঁর ওপর কেউ চাপিয়ে দেয়নি। এ মাতৃত্ব তিনিই বেছে নিয়ে হতে পেরেছিলেন শিষ্যদের প্রিয় ‘আম্মি’।